Showing posts with label Technology News. Show all posts

আসুন জেনে নেই মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া !


তরুণদের মোটরসাইকেলের প্রতি বেজায় প্রীতি। শুধু তরুণরাই নয়, কর্মজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানান পেশার মানুষ মোটরসাইকেল চালান। কিন্তু অনেকেরই মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নেই। সম্প্রতি পুলিশের আইজিপি ঘোষণা দিয়েছেন, ৩ জুন থেকে রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল আটক করতে অভিযান চালানো হবে। তাই যাদের মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নেই তারা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি(বিআরটিএ) থেকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে পারেন।

আসুন জেনে নেই মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশের সড়কে ৫০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি‘র মোটর সাইকেল চলাচলের অনুমতি আছে। বিআরটিএর তথ্য মতে ৫০ এবং ৮০ সিসির মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫ হাজার ৬১৩ টাকা। ১০০ সিসির মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ২১ হাজার ৩৬৩ টাকা। এবং ১৫০ সিসির মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ২৩ হাজার ৬৬৩টাকা।

রেজিস্টেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে এসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বিআরটিএ ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়। এখান থেকে(www.brta.gov.bd) ফর্ম ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।

অতঃপর বিআরটিএ অফিস কর্তৃক আবেদনকারীর আবেদন ফর্ম ও সংযুক্ত দালিলাদি যাচাই-বাছাই করে সঠিক পাওয়া গেলে গ্রাহককে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি জমা প্রদান করতে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান করা হবে। ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শনেরর জন্য বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে।

গাড়িটি পরিদর্শন করার পর মালিকানা ও গাড়ি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি করার পর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কর্তৃক রেজিস্টেশনের অনুমোদন প্রদান করা হয় এবং রেজিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি প্রাপ্তিস্বীকার পত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত গ্রাহককে প্রদান করা হয়।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি) তৈরির জন্য গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে। এজন্য গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করা হয়। বায়োমেট্রিক্স প্রদানের পর ডিআরসি গ্রহণের জন্যও গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করা হয়।

মোটর সাইকেল এবং অন্যান্য গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়। এগুলো হলো:

১ । মালিক ও আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র। আবেদন ফরম এ ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে বা বিআরটিএ অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে।

একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো গাড়ির মালিক হলে সেক্ষেত্রে একজনের নামে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সকলের সম্মতি সম্বলিত হলফনামা এবং প্রতিষ্ঠান/কোম্পানির ক্ষেত্রে স্বাক্ষর ও সিলমোহর, ব্যাংক অথবা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাড়ির মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যাডে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে।

২ । বিল অব এন্ট্রি, ইনভয়েস, বিল অব লেডিং ও এলসিএ কপি।

৩ । সেল সার্টিফিকেট /সেল ইন্টিমেশন/বিক্রয় প্রমাণপত্র (আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত)

৪ । প্যাকিং লিস্ট, ডেলিভারি চালান ও গেইট পাশ (সিকেডি গাড়ির ক্ষেত্রে)

৫ । টিন সার্টিফিকেট এবং অগ্রিম/অনুমিত আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র

৬ । বিদেশি নাগরিকের নামে রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার মেয়াদের কপি।

৭ । (ক) মূসক-১ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), (খ) মূসক-১১(ক)/ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), (গ) ভ্যাট পরিশোধের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )

৮ । প্রস্তুতকারক/বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত বডি ও আসন ব্যবস্থার স্পেসিফিকেশন সম্বলিত ড্রইং (বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার, ডেলিভারী ভ্যান, অটো টেম্পু ইত্যাদি মোটরযানের ক্ষেত্রে)।

৯ । সিকেডি মোটরযানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র টাইপ অনুমোদন ও অনুমোদিত সংযোজনী তালিকা।

১০। বডি ভ্যাট চালান ও ভ্যাট পরিশোধের রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

১১। প্রযোজ্য রেজিস্ট্রেশন ফি জমাদানের রসিদ।

১২। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

১৩। ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/টেলিফোন বিল/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির যেকোনটির সত্যায়িত ফটোকপি এবং মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।

১৪। নিলামে ক্রয়কৃত প্রতিরক্ষা বিভাগের গাড়ির ক্ষেত্রে লগবুকে বর্ণিত প্রস্তুতকাল ও প্রস্তুতকারকের বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদত্ত ছাড়পত্র।

১৫। নিলামে ক্রয়কৃত সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের গাড়ির ক্ষেত্রে নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেরামতের বিস্তারিত বিবরণ।

১৬।রিকন্ডিশন্ড মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবে-

ক) ‘টিও’ ফরম (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত), ‘টিটিও’ ফরম ও বিক্রয় রসিদ (আমদানিকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত)।

খ) ডি-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং ডি-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজি অনুবাদের সত্যায়িত কপি (সার্টিফিকেট অব ক্যানসেলেশন এর সত্যায়িত কপি)

গ) এক কপিতে একাধিক গাড়ির বর্ণনা থাকলে মূলকপি প্রদর্শনপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/বিভাগ কর্তৃক সত্যায়িত কপি দাখিল করা যাবে।

১৭। মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটির পরিদর্শন প্রতিবেদন।মটর সাইকেল সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র যে কোম্পানি থেকে মটর সাইকেল টি ক্রয় করেছেন সেই কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করুন।

অদৃশ্য ভবন নির্মান করবে দক্ষিণ কোরিয়া!


সাধারণত মানুষ কোনকিছু নির্মান করে সবাইকে দেখানোর জন্য। কিন্তু আশ্চর্য জনক হলেও সত্য দক্ষিন কোরিয়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম অদৃশ্য ভবন! তাও আবার যেন তেন ভবন নয়, আকাশচুম্বী ভবন।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সেদেশে একটি সুউচ্চ অদৃশ্য টাওয়ার নির্মানের অনুমোদন দিয়েছে। এই অদৃশ্য টাওয়ারের উচ্চতা হবে ১,৪৭৬ ফিট এবং এটি হবে পৃথিবীর ৩য় উচ্চতম আকাশচুম্বী অট্টালিকা।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই টাওয়ারের নাম হবে ‘ইনফিনিটি টাওয়ার’।  এলইডি ডিসপ্লে সিস্টেম দ্বারা এর বাইরের দেয়াল মোড়ানো হবে আর ভিবিন্ন প্রান্তে থাকবে কয়েকটি হাই রেজুলেশন ক্যামেরা।
ক্যামেরা গুলো প্রতি মহুর্তে চারপাশের ছবি তুলবে এবং এই ছবিগুলো সমন্বয় করে এলইডি ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হবে। এতে করে ভবনটিকে চারপাশের পরিবেশ থেকে অদৃশ্য মনে হবে। সেইসাথে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে ডিসপ্লে নিয়ন্ত্রন করে এর অদৃশ্যমানতা কমানো বাড়ানোও যাবে।
এই অদৃশ্য টাওয়ারের ডিজাইন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জিডিএস আর্কিটেক্ট’। ইনফিনিটি টাওয়ারের নির্মানকাজ কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্টায়ত্ত্ব নির্মান প্রতিষ্ঠান ‘কোরিয়া ল্যান্ড এন্ড হাউজিং করপোরেশন’-কে বিষ্ময়কর এই ভবনটি নির্মানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্ধদের জন্য বিশেষ চশমা উদ্ভাবন কুয়েটে


খুলনা: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রতিকূলতাকে দূর করতে উদ্ভাবিত হল বিশেষ ধরনের চশমা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই ছাত্র নাজমুল ও মোস্তফা তৈরি করেছেন অন্ধদের জন্য বিশেষ এই চশমা।

সোমবার সকালে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নাজমুল ও মোস্তফা জানান চশমা উদ্ভাবনের কথকতা।

বিশেষ ধরনের এ চশমাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তারা বলেন, লাঠি দিয়ে ঠক ঠক করে পথ খুঁজে হাঁটার বদলে এখন ছোট্ট এই চশমাই বলে দেবে পথের ঠিকানা, সামনের পথ সম্পর্কে সচেতন করবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের।

চারপাশের সব বস্তু চিহ্নিত করে পথ বলে দেবে ঠিকঠাক। পথ চলার আগে শুধু একটি বোতাম টিপে চশমাটি চালু করে দিলেই হল। সামনে, ডানে, বামে কোনো বাধা পেলেই সশব্দে সতর্ক করে দেবে ব্যবহারকারিকে। সামনের জন্য ‘ফ্রন্ট’, ডানের জন্য ‘রাইট’, বামের জন্য ‘লেফট’ উচ্চারণ করে বস্তুর সঠিক অবস্থানটি জানিয়ে দেবে সে।

ব্যবহারকারী থেকে বস্তুর দূরত্ব ভেদে উচ্চারণের তীব্রতাও হবে ভিন্ন। যা থেকে ব্যবহারকারী বস্তুর দূরত্ব সম্পর্কে একটি পূর্ণ ধারণা পাবেন।

ছোট এই যন্ত্রটি দিয়ে প্রায় তিন মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কোনো বস্তুর অবস্থান ৯৮% নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম। দিনে-রাতে, এমনকি কুয়াশার মধ্যেও যন্ত্রটি ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানান উদ্ভাবক দলটি।

বিশেষ এই চশমাটি তৈরি করতে কি কি ব্যবহার করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, যন্ত্রটিতে দূরত্ব নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ‘আল্ট্রাসনিক সেন্সর’, ডাটা প্রসেসিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ‘পিআইসি’ সিরিজের মাইক্রোকন্ট্রোলার এবং আউটপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণ এয়ারফোন।

যন্ত্রটির শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইল ব্যাটারি যা একবার চার্জ করলে ব্যবহার করা যাবে টানা ত্রিশ ঘণ্টা। এমনকি চার্জ শেষ হয়ে গেলেও বিশেষ ক্যাবল ইন্টারফেসের মাধ্যমে এটিকে মোবাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করে সচল রাখা যাবে বাড়তি কয়েক ঘণ্টা।

তারা জানান, অন্ধদের জন্য বানানো হলেও সামান্য কিছু পরিবর্তন করে যন্ত্রটিকে ব্যবহার করা যাবে আরও অনেক ক্ষেত্রে।

নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করে কক্ষে অবাঞ্চিত ব্যক্তির প্রবেশ শনাক্ত করত পারবে এ চশমা। এছাড়া গাড়ি চুরি রোধেও এটি রাখতে পারবে সক্রিয় ভূমিকা। যেকোনো ধরনের রোবোটিক প্ল্যাটফর্মেও একে ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে দূরত্ব পরিমাপ করা যেমন সম্ভব তেমনি অন্ধ ব্যক্তিরা এটি পরে পানিতে সাঁতারও কাটতে পারবেন বলে জানালেন উদ্ভাবকরা।

যন্ত্রটি তৈরি করতে মাত্র সাতশ’ টাকা খরচ হয়েছে বলে এর ক্রয়মূল্যও থাকবে হাতের নাগালেই। তবে বাজারজাত করতে পারলে খরচ আরও কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানালেন নাজমুল ও মোস্তফা।

ভবিষ্যতে এই প্রোজেক্টটিকে আরও অনেক দূরে নিয়ে যেতে চান উদ্ভাবক দলটি। খরচ কমিয়ে আরও নতুন নতুন সুবিধা সংযোজন এবং প্রযুক্তিবান্ধব করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানান তারা।

তারা বলেন, ভবিষ্যতে যন্ত্রটিতে থাকবে জিপিএস টেকনোলজি এবং একে স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত করা হবে, যাতে অন্ধ ব্যক্তিরা সহজে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। সেই সঙ্গে থাকবে অন্ধ ব্যক্তিদের ওপর সার্বক্ষণিক অনলাইন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সব নির্দেশনা দেওয়া হবে বাংলা ভাষায়।

বাংলাদেশের মত একটি দরিদ্র ও অনুন্নত দেশে যন্ত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন নাজমুল ও মোস্তফা।

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মত আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আগ্রহী কুয়েটের এই কৃতী শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা পেলে তারা তাদের উদ্ভাবন ক্ষেত্রকে আরও সম্প্রসারিত করতে পারবেন।

এ ব্যাপারে সরকার ও গবেষণাবান্ধব প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেছেন নাজমুল ও মোস্তফা।
Khulna-kuet-glass
তারা জানান, তাদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন কুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শেখ সাদি।

প্রফেসর ড. সাদি যন্ত্রটি সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বাইরেও এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হয়েছে, তবে এত হালকা ও ব্যবহারবান্ধব করা যায় নি। ব্যবহারের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করলে প্রাথমিক অবস্থায় যন্ত্রটি বেশ ভাল সহায়তা প্রদান করছে, তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে আরও ব্যবহারবান্ধব করা সম্ভব।

উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, ওজন কমানো, ব্যবহার উপযোগী বাণিজ্যিক আকার প্রদান, ইন্টারনেট সংযোগ ও জি.পি.এস. সুবিধার মাধ্যমে যন্ত্রটিকে আরও ব্যাপকতা দান করা সম্ভব। এতে খরচ কমিয়ে এবং উৎপাদন হার বাড়িয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।

নাজমুল হাসান তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগে এবং মোস্তফা কামাল কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ছেন। দু’জনই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাদের সম্পর্কে সদ্য ড্রোন কপ্টার তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ০৮ ব্যাচের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন খান দীপ বাংলানিউজকে বলেন, দুজনেই ক্যাম্পাসে নানা রকম উদ্ভাবনী প্রতিভার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। নাজমুলের আগ্রহ ইলেক্ট্রনিক্সের দিকে আর মোস্তফার আগ্রহ মেকানিক্যাল কাজে। তারা দু’জনই মূলত রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী এবং আমার বিশ্বাস তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সামনে এ ধরনের আরো অনেক কার্যকর উদ্ভাবন সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, দেশের প্রকৌশল বিদ্যার অন্যতম বিদ্যাপীঠ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। বিশ্বের প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে পিছিয়ে নেই এখানকার কারিগররাও।

লাইন ফলোয়ার, মেজ সলভার, অবস্টাকল এভয়ডার, গারবেজ ক্লিনার, ভয়েস কন্ট্রোল রোবট তাদের অনেক আগেই তৈরি করা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের। সম্প্রতি তারা তৈরি করেছেন চালকবিহীন এবং নিঃশব্দে চলা উড়োজাহাজ (ড্রোন কপ্টার) ও ইউনিভার্সাল স্মার্ট এনার্জি মিটার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তৈরি করলেন অন্ধদের জন্য এই বিশেষ চশমাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩/আপডেট ১২৪২ ঘণ্টা

বানান ভুল ধরবে কলম

লার্নস্টিফট ডিজিটাল পেন দিয়ে লেখার সময় কোনো ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে কলমটি কেঁপে উঠে লেখককে তার ভুল সম্পর্কে সাবধান করে দেয়।

 
নতুন এক প্রযুক্তিপণ্য লেখককে ধরিয়ে দেবে বানান ভুল। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লার্নস্টিফট ডিজিটাল পেন দিয়ে লেখার সময় ভুল করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেঁপে উঠবে কলমটি।
লার্নস্টিফট একটি জার্মান শব্দ, যার ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে লার্নিং পেন।
পণ্যটির নির্মাতারা বর্তমানে ডিজিটাল এ কলমটির বানান প্রক্রিয়া এবং হাতের লেখার ধরণ নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। কলমটি ভুল বানান এবং লেখার সময় কাটাকাটি শনাক্ত করতে পারে। নির্মাতারা একটি ধারাবাহিক ভিডিওতে কলমটির বিভিন্ন বিষয় নিয়মিত জানাচ্ছেন।
ডিজিটাল এ কলমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম, এআরএম প্রসেসর, কয়েকটি সেন্সর, ফিজিকাল ভাইব্রেশন ফিডব্যাক এবং ওয়াই-ফাই।
জার্মানির মিউনিখভিত্তিক নির্মাতারা কলমটির একটি নমুনাও তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে কলমটিতে ব্যাকরণ, বাক্যগঠন ও অন্যান্য ভাষার ফিচার যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতাদের।

- Copyright © Personal Blog - Tips Guru - Powered by Md Joy - Designed by Md Joy Chowdhury -