Showing posts with label International News. Show all posts
যেখানে মানুষ আসে শুধুমাত্র আত্ম-হত্যা করার জন্য !
পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান আছে যেগুলোর কথা জানলে ও শুনলে আমরা অবাক হই এবং এমন কিছু স্থান আছে যেগুলোর কথা শুনলে শুধু অবাকই হইনা সেগুলোর প্রতি আমাদের জানার আগ্রহ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।
তেমনি একটি অদ্ভুত জায়গা যেটি জাপান শহরের মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের উত্তর পাদদেশে অবস্থিত। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের এই জায়গাটি সুদীর্ঘ ও বিশাল বিশাল সবুজ গাছগাছালি দ্বারা নিভৃত। এই জায়গাটির নেপথ্যের কথা জানলে অবাক হতে হয় যে এখানে মানুষ আসে শুধুমাত্র আত্ম-হত্যা করার জন্য। যদিওবা কিছু কিছু ব্যক্তি এখানে আসেন তদন্তমুলক কাজ করতে তবে বেশির ভাগের উদ্দেশ্য আত্মহত্যা।
এই রহস্যময় জঙ্গলটির নাম “Aokigahara”। এটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থান, যার কারন আজ পর্যন্ত জানতে পারেননি পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা। আওকিগাহারা একটি বন যেটি মাউন্ট ফুজির পাদদেশে এবং টোকিও শহর থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে এটি “জুকাই” নামে পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষায় জুকাই শব্দের অর্থ “গাছের সাগর”। এই বনটিতে থাকা গাছের উচ্চতা ও ঘনত্ব অনেক বেশি। এটি ভ্রমণকারীদের জনপ্রিয় মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের দুই গুহা “বরফ গুহা ও বায়ু গুহার” নিকটেই অবস্থিত।
আওকিগাহারা সুইসাইড ফরেস্ট নামেও পরিচিত যার আয়তন ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। এই সুবিস্তৃত বনটি কঠিন পাথর ও বরফ গুহা দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সুবিশাল বনটির গাছগুলোর ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে একবার ঢুঁকলে নিশ্চিত পথ হারিয়ে ফেলবে। জানা যায় যে অনেক আগ্রহী দর্শনার্থী এর মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের পথ নির্দেশনা ঠিক রাখতে তারা প্লাস্টিক টেপ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু তাদেরও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের মতে এই বনের মধ্যে কেউ একবার প্রবেশ করলে তার এমন মায়ার সৃষ্টি হয় যে সে আর ফিরে আসতে পারে না। এক সময় সে তার অতীত কাহিনী পর্যালোচনা শুরু করে এবং নিষ্ঠুরভাবে নিজেকে নিজেই শেষ করে দেয়। এমনকি জাপানিরা এই জায়গাটিকে অভিশপ্ত ভাবে তাই অনেকেই এই জায়গায় আসার সাহস করে না। যার কারনেই আজও এই জায়গাটি রহস্যময় থেকে গেছে।
এমনকি আপনি যদি ভুতের গল্পের প্রতি আকৃষ্ট নাও থাকেন তারপরও এই স্থানটির একটি বিশেষ অনুভুতি আছে। Seicho Matsumoto একজন বিখ্যাত জাপানি লেখক তার ১৯৬০ সালে প্রকাশিত “KuroiJukai”উপন্যাসে লিখেন একজন যুবক প্রেমিক এখানে আত্ম-হত্যা করেন। এছাড়াও CNN-এররিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারু নামের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি লোহা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন যাকে একসময় তার কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে প্রচণ্ড হতাশা, গ্লানি আর তার পরিবারের দায়ভার চালাতে পারবে না এই ভেবে সে চলে যায় সুইসাইড খ্যাঁত ফরেস্ট আওকিগাহারাতে। তার চিরকুট হতে পাওয়া তথ্য মতে সে বলেছিল, “আমি অদৃশ্যভাবে এখানে থাকতে চাই, আমি আমার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি তাই আমি এখানে”।
এই বনটি দিন দিন আত্মহত্যার জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানে প্রতিবছর গড়ে ১০০টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে মোট ১০৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায় যা ২০০২ সালের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। ১৯৯৮ সালে ৭৩টি, ১৯৯৯ সালে ৬৮টি, ২০০০ সালে ৫৯টি, ২০০১ সালে ৫৯টি ও ২০০২ সালে ৭৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে মোট ২৪৭টি মৃতদেহ পাওয়া যায়, যা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। স্থানীয় সরকার কঠোর ভাবে এই আত্মহত্যার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। স্থানীয় সরকার পুলিশ, সেবাকর্মী ও অবস্থানরত সাংবাদিকদের মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে আসা লোকদের সাহায্য ও তাদের আত্মহত্যা না করতে উদ্ভুত্ত করে যাচ্ছে।
জাপানে আত্মহত্যার হার ইতিমধ্যে বিশ্বে সর্বোচ্চ যার একটি বড় কারন দেশটির চলমান অর্থনৈতিক মন্দা। দেশটিতে জানুয়ারি ২০০৯ সালে রেকর্ড পরিমান ২৬৪৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যা জানুয়ারি ২০০৮ সালে ছিল ২৩০৫টি। এক বছরে আত্মহত্যার হার ১৫% বেড়ে যায়। জাপান সরকার বলেছেন যে, দেশে আত্মহত্যার পরিমান এমন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে যা ২০১৬ সালে ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
দেশটি স্কুলে এবং কর্মস্থলে আত্মঘাতী সচেতনতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন যে এতে করে উপশুল্ক বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি হবেবেকারত্ব ও দেউলিয়ার। Toyoki Yoshida একজন আত্মহত্যা ও ক্রেডিট পরামর্শদাতা তিনি বলেন যে, “বেকারত্বই আত্মহত্যার মূল কারন”।
সমাজ ও সরকারের উচিত অতিবিলম্বে আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিবিধান স্থাপন করা। সরকারের উচিত আরও বেশি করে কর্মস্থল তৈরি করা ও যারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাদের মানসিক প্রশান্তির সুব্যবস্থা করা।
তেমনি একটি অদ্ভুত জায়গা যেটি জাপান শহরের মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের উত্তর পাদদেশে অবস্থিত। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের এই জায়গাটি সুদীর্ঘ ও বিশাল বিশাল সবুজ গাছগাছালি দ্বারা নিভৃত। এই জায়গাটির নেপথ্যের কথা জানলে অবাক হতে হয় যে এখানে মানুষ আসে শুধুমাত্র আত্ম-হত্যা করার জন্য। যদিওবা কিছু কিছু ব্যক্তি এখানে আসেন তদন্তমুলক কাজ করতে তবে বেশির ভাগের উদ্দেশ্য আত্মহত্যা।
এই রহস্যময় জঙ্গলটির নাম “Aokigahara”। এটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থান, যার কারন আজ পর্যন্ত জানতে পারেননি পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা। আওকিগাহারা একটি বন যেটি মাউন্ট ফুজির পাদদেশে এবং টোকিও শহর থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে এটি “জুকাই” নামে পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষায় জুকাই শব্দের অর্থ “গাছের সাগর”। এই বনটিতে থাকা গাছের উচ্চতা ও ঘনত্ব অনেক বেশি। এটি ভ্রমণকারীদের জনপ্রিয় মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের দুই গুহা “বরফ গুহা ও বায়ু গুহার” নিকটেই অবস্থিত।
আওকিগাহারা সুইসাইড ফরেস্ট নামেও পরিচিত যার আয়তন ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। এই সুবিস্তৃত বনটি কঠিন পাথর ও বরফ গুহা দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সুবিশাল বনটির গাছগুলোর ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে একবার ঢুঁকলে নিশ্চিত পথ হারিয়ে ফেলবে। জানা যায় যে অনেক আগ্রহী দর্শনার্থী এর মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের পথ নির্দেশনা ঠিক রাখতে তারা প্লাস্টিক টেপ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু তাদেরও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের মতে এই বনের মধ্যে কেউ একবার প্রবেশ করলে তার এমন মায়ার সৃষ্টি হয় যে সে আর ফিরে আসতে পারে না। এক সময় সে তার অতীত কাহিনী পর্যালোচনা শুরু করে এবং নিষ্ঠুরভাবে নিজেকে নিজেই শেষ করে দেয়। এমনকি জাপানিরা এই জায়গাটিকে অভিশপ্ত ভাবে তাই অনেকেই এই জায়গায় আসার সাহস করে না। যার কারনেই আজও এই জায়গাটি রহস্যময় থেকে গেছে।
এমনকি আপনি যদি ভুতের গল্পের প্রতি আকৃষ্ট নাও থাকেন তারপরও এই স্থানটির একটি বিশেষ অনুভুতি আছে। Seicho Matsumoto একজন বিখ্যাত জাপানি লেখক তার ১৯৬০ সালে প্রকাশিত “KuroiJukai”উপন্যাসে লিখেন একজন যুবক প্রেমিক এখানে আত্ম-হত্যা করেন। এছাড়াও CNN-এররিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারু নামের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি লোহা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন যাকে একসময় তার কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে প্রচণ্ড হতাশা, গ্লানি আর তার পরিবারের দায়ভার চালাতে পারবে না এই ভেবে সে চলে যায় সুইসাইড খ্যাঁত ফরেস্ট আওকিগাহারাতে। তার চিরকুট হতে পাওয়া তথ্য মতে সে বলেছিল, “আমি অদৃশ্যভাবে এখানে থাকতে চাই, আমি আমার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি তাই আমি এখানে”।
এই বনটি দিন দিন আত্মহত্যার জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানে প্রতিবছর গড়ে ১০০টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে মোট ১০৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায় যা ২০০২ সালের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। ১৯৯৮ সালে ৭৩টি, ১৯৯৯ সালে ৬৮টি, ২০০০ সালে ৫৯টি, ২০০১ সালে ৫৯টি ও ২০০২ সালে ৭৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
জাপানে আত্মহত্যার হার ইতিমধ্যে বিশ্বে সর্বোচ্চ যার একটি বড় কারন দেশটির চলমান অর্থনৈতিক মন্দা। দেশটিতে জানুয়ারি ২০০৯ সালে রেকর্ড পরিমান ২৬৪৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যা জানুয়ারি ২০০৮ সালে ছিল ২৩০৫টি। এক বছরে আত্মহত্যার হার ১৫% বেড়ে যায়। জাপান সরকার বলেছেন যে, দেশে আত্মহত্যার পরিমান এমন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে যা ২০১৬ সালে ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
দেশটি স্কুলে এবং কর্মস্থলে আত্মঘাতী সচেতনতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন যে এতে করে উপশুল্ক বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি হবেবেকারত্ব ও দেউলিয়ার। Toyoki Yoshida একজন আত্মহত্যা ও ক্রেডিট পরামর্শদাতা তিনি বলেন যে, “বেকারত্বই আত্মহত্যার মূল কারন”।
সমাজ ও সরকারের উচিত অতিবিলম্বে আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিবিধান স্থাপন করা। সরকারের উচিত আরও বেশি করে কর্মস্থল তৈরি করা ও যারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাদের মানসিক প্রশান্তির সুব্যবস্থা করা।
২ বছরের গর্ভবতী ছেলে শিশু
২ বছরের ‘গর্ভবতী’ ছেলে শিশুর পেট থেকে বের হল যমজ সন্তানের ভ্রƒণ। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল চীনের ২ বছরের শিশু। পেটটা কেমন ফুলে উঠেছিল, শ্বাসও নিতে কষ্ট হচ্ছিল খুব। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সবার চক্ষুচড়ক গাছ। ২ বছরের সেই ছেলে শিশুর পেটে অস্ত্রপচারের পর বেরিয়া এল যমজ সন্তান। ২ বছরের বাবা, থুড়ি মা, থুড়ি জš§দাতার নাম জিও ফেং। ডাক্তাররা বললেন, ফংয়ের পেটের মধ্যে ছিল অপুষ্ট ভ্রƒণ এবং অস্ত্রপচারের পর সেই ভ্রƒণ নষ্ট করা হয়। ফেংয়ের পেটের মধ্যে থাকা ভ্রƒণ দুটো ছিল যমজ। ফংয়ের পেটে থাকা ভ্রƒণ নষ্ট করে না দিলে সে মারা যেতে পারত, তাই ডাক্তাররা ঝুঁকি নেননি।
ছাগলও গাছে চড়ে
পেটে টান পড়লে ছাগলও ঘাস খায় কিংবা অমুক রাজার শাসনামলে বাঘে-ছাগলে একঘাটে পানি খেতো- প্রবাদ প্রবচনের বদৌলতে এসব শ্র“তিমধুর কল্পকাহিনীর গল্পরাজ্যে একটু-আধটু যাওয়া-আসা থাকলেও ছাগল গাছে চড়ে এ রকম আষাঢ়ে গল্পের হাটে আজ পর্যন্ত বোধহয় কেউ-ই সওদা করেনি! চাক্ষুষ দেখার পরেও হয়তো অনেকেরই দৃষ্টিভ্রম মনে হবে। এমনকি অতি অবিশ্বাসে শরীরে একটু চিমটি কেটে নিজের সজ্ঞানে অস্তিত্বটুকুর পরখ নেয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তারপরও যে সত্যটা টিকে থাকে তা হল ছাগল বাস্তবেই গাছে ওঠে!
অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি দেখা যায় আফ্রিকার দেশ মরক্কোর ছোট্ট গ্রাম তামিরিতে। এই গ্রামের ছাগলগুলো খাদ্যের সন্ধানে অনায়াসে চড়তে পারে গাছে। অরগ্যান নামের ওই গাছের জামের মতো মিষ্টি ফল খুবই পছন্দ ছাগলের। এখানেই শেষ নয়, আরও যে বিষয়টি থেকে যায় তা হল- গাছগুলো কিন্তু সাধারণ পেয়ারা গাছের মতো ছোট নয়। পূর্ণবয়স্ক একটি অরগ্যান গাছের উচ্চতা ১৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
গাছের মিষ্টি ফল খেতেই মূলত গাছে চড়ে ছাগলগুলো। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত ভারসাম্য রাখতে হয় শরীরের, যেটা চতুষ্পদী এমন জন্তুর জন্য খুবই কঠিন কাজ। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, মরক্কোর দুর্ভিক্ষপ্রবণ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই ছাগলগুলো খাবারের জন্য গাছে উঠতে শিখেছে। উল্লেখ্য, মরক্কোই সবচেয়ে ছোট পানির বোতলটির দামও পঞ্চাশ পাউন্ড।
শুধু তাই নয়, বেরিস নামক ফলগুলো খেলে এর ভেতরের বীজটাও তার অসাধারণ দক্ষতায় নিচে ফেলে দেয় খুব দ্রুততার সঙ্গে। এটা ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে। এটা পিষে অরগ্যান তেলও তৈরি হয়। হাফিংটন পোস্ট।
অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি দেখা যায় আফ্রিকার দেশ মরক্কোর ছোট্ট গ্রাম তামিরিতে। এই গ্রামের ছাগলগুলো খাদ্যের সন্ধানে অনায়াসে চড়তে পারে গাছে। অরগ্যান নামের ওই গাছের জামের মতো মিষ্টি ফল খুবই পছন্দ ছাগলের। এখানেই শেষ নয়, আরও যে বিষয়টি থেকে যায় তা হল- গাছগুলো কিন্তু সাধারণ পেয়ারা গাছের মতো ছোট নয়। পূর্ণবয়স্ক একটি অরগ্যান গাছের উচ্চতা ১৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
গাছের মিষ্টি ফল খেতেই মূলত গাছে চড়ে ছাগলগুলো। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত ভারসাম্য রাখতে হয় শরীরের, যেটা চতুষ্পদী এমন জন্তুর জন্য খুবই কঠিন কাজ। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, মরক্কোর দুর্ভিক্ষপ্রবণ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই ছাগলগুলো খাবারের জন্য গাছে উঠতে শিখেছে। উল্লেখ্য, মরক্কোই সবচেয়ে ছোট পানির বোতলটির দামও পঞ্চাশ পাউন্ড।
শুধু তাই নয়, বেরিস নামক ফলগুলো খেলে এর ভেতরের বীজটাও তার অসাধারণ দক্ষতায় নিচে ফেলে দেয় খুব দ্রুততার সঙ্গে। এটা ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে। এটা পিষে অরগ্যান তেলও তৈরি হয়। হাফিংটন পোস্ট।
ভয়ংকর চেহারার মাছের সন্ধান
মাছটির মুখে হাতির মতো বড় দুটি কাঁটাযুক্ত গজদাঁত। মুখটিও বিকট দেখতে। কুমিরের মতো খাঁজযুক্ত কাটা চলে গেছে মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত।
ভয়ংকর দেখতে এই মাছটি সম্প্রতি ধরা পড়েছে মালয়েশিয়ার দক্ষিণ চীন সাগরের বোর্নিয় উপকূলীয় অঞ্চলে।
ডেইলি মেইলের বরাতে জানা যায়, মাছটি ধরা পড়ার পর শিকারি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হন। মাছটি শনাক্ত করতে রীতিমতো গলদঘর্ম হন তারা।
স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে মাছটির নাম দিয়েছে ‘অ্যারমার ফিশ’ বা বর্ম মাছ। মাছটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ধারালো কাঁটাযুক্ত স্পাইন চলে গেছে। তবে লেজের দিকে এসে হয়ে গেছে ছোট। যা দেখতে একবারের বর্মের মতো। এজন্যই হয়তো এই নামকরণ।
মাছটি ধরার পর সাপার মনসুর বোর্নিও পোস্টকে বলেন, আমি আমার জীবনে প্রথম এই ধরনের মাছ দেখলাম এবং ধরলাম। তাই মাছটি ধরার পর এটি আমার স্ত্রীর জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার বন্ধুদের নিযে সমুদ্রে বোটে করে ঘুরছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা মাছ ধরতে শুরু করি এবং বিরল এ মাছটি ধরি।
সাপার স্ত্রী সিটি বলেন, আমার স্বামী মাছটির বাড়ি আনার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। আমার বাচ্চারাও খুব খুশি।
দেশটির সংরক্ষিত এলাকা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগ সারওয়াক ফরেস্ট্রি করপোরেশন মাছটির শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাছটি বর্তমানে সাপার বাড়িতেই সংরক্ষিত আছে। সঠিক প্রজাতি জানা গেলে বিশ্বের মাছের তালিকায় যুক্ত হবে আরও একটি নতুন মাছ।
ভয়ংকর দেখতে এই মাছটি সম্প্রতি ধরা পড়েছে মালয়েশিয়ার দক্ষিণ চীন সাগরের বোর্নিয় উপকূলীয় অঞ্চলে।
ডেইলি মেইলের বরাতে জানা যায়, মাছটি ধরা পড়ার পর শিকারি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হন। মাছটি শনাক্ত করতে রীতিমতো গলদঘর্ম হন তারা।
স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে মাছটির নাম দিয়েছে ‘অ্যারমার ফিশ’ বা বর্ম মাছ। মাছটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ধারালো কাঁটাযুক্ত স্পাইন চলে গেছে। তবে লেজের দিকে এসে হয়ে গেছে ছোট। যা দেখতে একবারের বর্মের মতো। এজন্যই হয়তো এই নামকরণ।
মাছটি ধরার পর সাপার মনসুর বোর্নিও পোস্টকে বলেন, আমি আমার জীবনে প্রথম এই ধরনের মাছ দেখলাম এবং ধরলাম। তাই মাছটি ধরার পর এটি আমার স্ত্রীর জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার বন্ধুদের নিযে সমুদ্রে বোটে করে ঘুরছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা মাছ ধরতে শুরু করি এবং বিরল এ মাছটি ধরি।
সাপার স্ত্রী সিটি বলেন, আমার স্বামী মাছটির বাড়ি আনার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। আমার বাচ্চারাও খুব খুশি।
দেশটির সংরক্ষিত এলাকা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগ সারওয়াক ফরেস্ট্রি করপোরেশন মাছটির শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাছটি বর্তমানে সাপার বাড়িতেই সংরক্ষিত আছে। সঠিক প্রজাতি জানা গেলে বিশ্বের মাছের তালিকায় যুক্ত হবে আরও একটি নতুন মাছ।
১৪ ফুট লম্বা গোঁফ!
রাম সিং চৌহানের মুখ জুড়ে গোঁফ। দৈর্ঘ্যে ১৪ ফুট। বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হওয়ারই কথা। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গোঁফ রেখে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন রাম সিং-এটি আর এখন অবিশ্বাস করার জো নেই। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন রাম সিং। জানা যায়, ভারতের জয়পুরের এ নাগরিক ৩২ বছর ধরে গোঁফ কাটেননি। ১৯৭০ দশক থেকে তিনি গোঁফের পরিচর্যা শুরু করেন। রাম সিং দৈনিক দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন গোঁফের পরিচর্যায়। তার গোঁফের আকৃতি সত্যিই অসাধারণ। প্রতিদিন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল দিয়ে গোঁফের পরিচর্যা করেন রাম সিং। দৈনিক ভোরবেলায় গোঁফে কাপড় পেঁচিয়ে যোগ ব্যায়াম করেন তিনি। গোসলের পর বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে গোঁফ শুকাতে গেলে তার স্ত্রী নিচ থেকে সেটি ধরতে পারেন। গোঁফের যত্ন সম্পর্কে রাম সিং বলেন, গোঁফ পরিচর্যা অনেকটা শিশু প্রতিপালনের ন্যায়। ১৪ ফুট লম্বা গোঁফের পেছনে জীবনের বড় একটি সময় আমাকে ব্যয় করতে হয়েছে। এটি সহজ কোনো কাজ নয়। গোঁফ বড় করে রেকর্ড গড়া রাম সিং আরও বলেন, গোঁফ রাখার সঙ্গে নিঃসন্দেহে সম্মান জড়িত। প্রাচীনকালে ভারতে প্রায় প্রত্যেক বিখ্যাত ব্যক্তিরই গোঁফ ছিল। তাই বড় গোঁফ রাখতে পেরে আমি গর্বিত। জানা যায়, ইতালি ও জার্মানিতে রাম সিংয়ের গোঁফের প্রদর্শনী হয়েছে। তিনি রাজস্থান ট্যুরিজম বিভাগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদের বিশালাকৃতির গোঁফ দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া তার অন্যতম দায়িত্ব ছিল। বর্তমানে তার ছেলে তাকে অনুসরণ করে গোঁফের যত্ন নেওয়া শুরু করেছেন। ডেইলি মেইল।
তুরস্কে সমুদ্র তলদেশের কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
সমুদ্র তলদেশে চলাচলে সক্ষম কমিউটার ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করল তুরস্ক। মঙ্গলবার এ ট্রেনের উদ্বোধন করে দেশটির সরকার। ট্রেন চলাচলের জন্য মারমারে নামের সমুদ্র তলদেশের টানেল এশিয়া ও ইউরোপকে যুক্ত করবে।
ট্রেনটি প্রতিঘণ্টায় ৭৫ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। এ ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল ও প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এদ্রোগান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশটিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকী উদযাপনে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে সরকার।
এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ইস্তাম্বুলের ভয়াবহ যানজট নিরসন করা ও বসফরাস প্রণালির দু’প্রান্তে যাতায়াতে সময় বাঁচানো। বসফরাসের একদিকে ইউরোপ ও অন্যদিকে এশিয়া অবস্থিত।
এ টানেল নির্মাণে নয় বছর সময় লাগে। আর এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ট্রেনটি প্রতিঘণ্টায় ৭৫ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। এ ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল ও প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এদ্রোগান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশটিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকী উদযাপনে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে সরকার।
এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ইস্তাম্বুলের ভয়াবহ যানজট নিরসন করা ও বসফরাস প্রণালির দু’প্রান্তে যাতায়াতে সময় বাঁচানো। বসফরাসের একদিকে ইউরোপ ও অন্যদিকে এশিয়া অবস্থিত।
এ টানেল নির্মাণে নয় বছর সময় লাগে। আর এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিয়ে করছেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ সুলতান কোসেনের সব দুশ্চিন্তার যেন অবসান হলো। কোনো মেয়ে তার জীবনসঙ্গী হবেন কী না-এ নিয়ে তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবশেষে এক তুর্কি তরুণী তার সঙ্গে ঘর বাধতে রাজি হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তার সে চিন্তার অবসান হলো।
তুরস্কের এ তরুণ লম্বায় আট ফুট তিন ইঞ্চি। হাতের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার ও পায়ের দৈর্ঘ্য ৩৬ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার। যাকে তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তার উচ্চতা পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি।
৩০ বছর বয়সী সুলতান রবিবার তুরস্কে নিজ বাসভবনে নিজের চেয়ে উচ্চতায় দুই ফুট সাত ইঞ্চি ছোট ২০ বছর বয়সী দীবোর সঙ্গে আংটি বদল করেন। শিগগিরই তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানা গেছে।
জীবনের সঙ্গী পেয়ে উল্লসিত সুলতান বলেন, ‘আমি অনেক চিন্তায় ছিলাম কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবো কিনা। তবে শেষ পর্যন্ত দীবো আমার জীবনে এলো। আমি অনেক শিহরিত।’
কোসেন পেশায় একজন কৃষক। সুলতানকে জীবনসঙ্গী করতে পেরে দীবাও গর্ববোধ করেন।
১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারদিনে জন্মগ্রহণ করেন সুলতান। জন্মের পর থেকেই হরমোনজনিত কারণে অস্বাভাবিকভাবে শারীরিক বৃদ্ধি হতে থাকে তার। তবে শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে শারীরিক বৃদ্ধি থামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে ঠাঁই পাওয়া সুলতানের।
তুরস্কের এ তরুণ লম্বায় আট ফুট তিন ইঞ্চি। হাতের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার ও পায়ের দৈর্ঘ্য ৩৬ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার। যাকে তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তার উচ্চতা পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি।
৩০ বছর বয়সী সুলতান রবিবার তুরস্কে নিজ বাসভবনে নিজের চেয়ে উচ্চতায় দুই ফুট সাত ইঞ্চি ছোট ২০ বছর বয়সী দীবোর সঙ্গে আংটি বদল করেন। শিগগিরই তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানা গেছে।
জীবনের সঙ্গী পেয়ে উল্লসিত সুলতান বলেন, ‘আমি অনেক চিন্তায় ছিলাম কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবো কিনা। তবে শেষ পর্যন্ত দীবো আমার জীবনে এলো। আমি অনেক শিহরিত।’
কোসেন পেশায় একজন কৃষক। সুলতানকে জীবনসঙ্গী করতে পেরে দীবাও গর্ববোধ করেন।
১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারদিনে জন্মগ্রহণ করেন সুলতান। জন্মের পর থেকেই হরমোনজনিত কারণে অস্বাভাবিকভাবে শারীরিক বৃদ্ধি হতে থাকে তার। তবে শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে শারীরিক বৃদ্ধি থামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে ঠাঁই পাওয়া সুলতানের।
বান্ধবী যখন পুত্রবধূ!
পৃথিবীর সব দেশেই পুত্রবধূদের কাছে স্বামীর বাবা বা শ্বশুররা সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের সম্পর্ক অনেকটা বাবা-মেয়ের মতোই হয়ে থাকে। কিন্তু চীনে শ্বশুর আর পুত্রবধূর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে এমন অসামাজিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফলে দীর্ঘদিনের ফেসবুক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ছেলের হাতে উত্তম মধ্যমের শিকার হয়েছেন বাবা ওয়াং।
৫৭ বছরের ওয়াংয়ের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় লিলির। সম্পর্কে তারা পুত্রবধূ আর শ্বশুর। কিন্তু ফেসবুকে দুজনেই নিজেদের পরিচয় গোপন রাখায় তাদের সম্পর্কটিও গোপন থাকে। এমনকি তারা দুজন দুজনকে যে ছবি পাঠান সেগুলোও ছিল অন্যের। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের জের ধরে তারা পরস্পরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওয়াং হেলংঝিয়াং প্রদেশের মুলিং শহরের এক হোটেলে রুম ভাড়া নেন বান্ধবী লিলির সঙ্গে দেখা করার জন্য।
এদিকে ওয়াংয়ের ছেলে এবং লিলির স্বামী ডা. জুন স্ত্রীর অনলাইন প্রেম সম্পর্কে জেনে যায়। স্ত্রীর ও তার প্রেমিককে হাতে নাতে ধরার জন্য সে লিলির পিছু নেয়। গন্তব্যে পৌঁছে তার তো চক্ষু চরক গাছ! লিলির বন্ধু যে আর কেউ নয়, স্বয়ং তার বাবা। রেগে গিয়ে জুন তার বাবা ও স্ত্রীকে পেটায়। এতে লিলির তিনটি দাঁত ভেঙে যায়।
দু’বছর আগের কথা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওয়াং ফেসবুকে তার সম্পর্কে লেখেন, ‘অন্যদের বুঝতে পারা ভালো।’ আর লিলি ফেসবুকে তার নিজের সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘নিসঃঙ্গ ফুল’। একদিন রাতে ফেসবুকে দু’জনার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব।
লিলি একজন গৃহবধূ। ছেলের দেখাশোনা ছাড়া সংসারে তার আর তেমন কাজ নেই। সময় কাটে ফেসবুকে চ্যাট করে। তার স্বামী ডা. জুন মালবাহী ট্রাক চালান। কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় বাইরে বাইরেই থাকতে হয় তাকে।
বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ছবি আদান প্রদান করে ওয়াং আর লিলি। লিলি পাঠায় তার এক সুন্দরী বান্ধবীর ছবি। আর ওয়াং পাঠান তার এক বন্ধুর ছবি। ছবি দেখে দু’জন তো মহাখুশি। শুধু ছবি নয়। নিজেদের পরিচয় পর্যন্ত তারা গোপন রাখে।
ওয়াং নিজেকে একটি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একাই দিন কাটাচ্ছেন।
আর লিলি ওয়াংকে জানান, তার স্বামী পাঁচ বছর ধরে জেল খাটছে। আর সে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিঃসঙ্গ দিন গুজরান করছে।
সব মিলিয়ে দু’জনকে দু’জনার মনে ধরে। তারা এবার মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যা ৬টায় তাদের সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু যেদিন তাদের দেখা করার কথা সেদিনই হঠাৎ দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরে লিলির স্বামী জুন। সে ফেসবুক ঘেঁটে স্ত্রীর গোপন প্রণয় এবং তার ডেটিং সম্পর্কে জেনে যায়। তখন সে স্ত্রীকে হাতে নাতে পাকড়াও করতে মনে মনে ফন্দি আঁটে। সে ফোন করে বৌকে জানায়, তাকে এক্ষুণি আবার কাজে বেরুতে হবে।
লিলি তখন ছেলেকে তারা মায়ের বাসায় রেখে নিশ্চিন্ত মনে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বের হন। কিন্তু বান্ধবীকে অভ্যর্থণা জানাতে ওয়াং যখন হোটেল রুমের দরজা খুলেন তখন বিস্ময়ে হতবাক লিলি। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারই সম্মানিত শ্বশুরবাবা।
‘কিছু একটা ভুল হচ্ছে’ বলে দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়ে লিলি। কিন্তু যাবে আর কোথায়! তার গোয়েন্দা স্বামী যে তার পেছনেই ছিল! স্ত্রী আর বাবাকে একসঙ্গে দেখে তার মাথায় আগুন ধরে যায়। সে দু’জনকেই আচ্ছামতো পেটায়। এ পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্বশুর আর পুত্রবধূকে ছেড়ে দিলেও সম্মানিত বাবার গায়ে হাত তোলায় পাঁচ দিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে জুনকে।
পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জুন বলেন, ‘সংসারের অভাব মেটাতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে আমি যখন আধমরা হয়ে যাচ্ছি তখন এরা দুইজন ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে।
৫৭ বছরের ওয়াংয়ের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় লিলির। সম্পর্কে তারা পুত্রবধূ আর শ্বশুর। কিন্তু ফেসবুকে দুজনেই নিজেদের পরিচয় গোপন রাখায় তাদের সম্পর্কটিও গোপন থাকে। এমনকি তারা দুজন দুজনকে যে ছবি পাঠান সেগুলোও ছিল অন্যের। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের জের ধরে তারা পরস্পরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওয়াং হেলংঝিয়াং প্রদেশের মুলিং শহরের এক হোটেলে রুম ভাড়া নেন বান্ধবী লিলির সঙ্গে দেখা করার জন্য।
এদিকে ওয়াংয়ের ছেলে এবং লিলির স্বামী ডা. জুন স্ত্রীর অনলাইন প্রেম সম্পর্কে জেনে যায়। স্ত্রীর ও তার প্রেমিককে হাতে নাতে ধরার জন্য সে লিলির পিছু নেয়। গন্তব্যে পৌঁছে তার তো চক্ষু চরক গাছ! লিলির বন্ধু যে আর কেউ নয়, স্বয়ং তার বাবা। রেগে গিয়ে জুন তার বাবা ও স্ত্রীকে পেটায়। এতে লিলির তিনটি দাঁত ভেঙে যায়।
দু’বছর আগের কথা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওয়াং ফেসবুকে তার সম্পর্কে লেখেন, ‘অন্যদের বুঝতে পারা ভালো।’ আর লিলি ফেসবুকে তার নিজের সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘নিসঃঙ্গ ফুল’। একদিন রাতে ফেসবুকে দু’জনার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব।
লিলি একজন গৃহবধূ। ছেলের দেখাশোনা ছাড়া সংসারে তার আর তেমন কাজ নেই। সময় কাটে ফেসবুকে চ্যাট করে। তার স্বামী ডা. জুন মালবাহী ট্রাক চালান। কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় বাইরে বাইরেই থাকতে হয় তাকে।
বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ছবি আদান প্রদান করে ওয়াং আর লিলি। লিলি পাঠায় তার এক সুন্দরী বান্ধবীর ছবি। আর ওয়াং পাঠান তার এক বন্ধুর ছবি। ছবি দেখে দু’জন তো মহাখুশি। শুধু ছবি নয়। নিজেদের পরিচয় পর্যন্ত তারা গোপন রাখে।
ওয়াং নিজেকে একটি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একাই দিন কাটাচ্ছেন।
আর লিলি ওয়াংকে জানান, তার স্বামী পাঁচ বছর ধরে জেল খাটছে। আর সে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিঃসঙ্গ দিন গুজরান করছে।
সব মিলিয়ে দু’জনকে দু’জনার মনে ধরে। তারা এবার মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যা ৬টায় তাদের সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু যেদিন তাদের দেখা করার কথা সেদিনই হঠাৎ দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরে লিলির স্বামী জুন। সে ফেসবুক ঘেঁটে স্ত্রীর গোপন প্রণয় এবং তার ডেটিং সম্পর্কে জেনে যায়। তখন সে স্ত্রীকে হাতে নাতে পাকড়াও করতে মনে মনে ফন্দি আঁটে। সে ফোন করে বৌকে জানায়, তাকে এক্ষুণি আবার কাজে বেরুতে হবে।
লিলি তখন ছেলেকে তারা মায়ের বাসায় রেখে নিশ্চিন্ত মনে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বের হন। কিন্তু বান্ধবীকে অভ্যর্থণা জানাতে ওয়াং যখন হোটেল রুমের দরজা খুলেন তখন বিস্ময়ে হতবাক লিলি। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারই সম্মানিত শ্বশুরবাবা।
‘কিছু একটা ভুল হচ্ছে’ বলে দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়ে লিলি। কিন্তু যাবে আর কোথায়! তার গোয়েন্দা স্বামী যে তার পেছনেই ছিল! স্ত্রী আর বাবাকে একসঙ্গে দেখে তার মাথায় আগুন ধরে যায়। সে দু’জনকেই আচ্ছামতো পেটায়। এ পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্বশুর আর পুত্রবধূকে ছেড়ে দিলেও সম্মানিত বাবার গায়ে হাত তোলায় পাঁচ দিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে জুনকে।
পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জুন বলেন, ‘সংসারের অভাব মেটাতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে আমি যখন আধমরা হয়ে যাচ্ছি তখন এরা দুইজন ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে।
আইফোনের জন্য কন্যাশিশু বিক্রি
চীনে আইফোন আর বিলাস সামগ্রি কেনার জন্য মাত্র কয়েক সপ্তাহের এক কন্যাশিশুকে বিক্রি করে দেন তার বাবা মা। এখন শিশু বিক্রির মামলায় আদালতে বিচার চলছে ওই তরুণ দম্পতির। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হবে।
চীনের মিস জ্যাং ও মি. তেং নামের তরুণ দম্পতি সংবাদপত্রে তাদের গর্ভস্থ শিশুকে বিত্রির জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেন। তারা তাদের সন্তানের দাম হাকেন পাঁচ হাজার ডলার। শিশুটি জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সাংহাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা ঠুকে দেয়। চীনের এক আদালতে ওই চীনা দম্পতির বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
চীনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সন্তান বিক্রির অর্থ দিয়ে ওই চীনা দম্পতি ইতিমধ্যে একটি আইফোন কেনেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি বিলাস পণ্য কেনেন তারা। বাকি অর্থ ব্যাকে জমা রাখেন। বেকার ওই দম্পতির আরো দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে অভিজুক্ত জ্যাং ও তেং শিশু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা প্রসিকিউটরকে বলেন, মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তারা তাকে একটি স্বচ্ছল পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। যাতে সে শিক্ষাসহ সব ধরনের সুযোগ পায়। এ প্রসঙ্গে সাংহাইয়ের এক পত্রিকাকে তারা বলেন,‘আমরা অর্থের জন্য নয়, ওর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ওকে বিক্রি করে দিয়েছি।’
তবে তাদের ব্যাংক রেকর্ড ঘেটে প্রসিকিউটররা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে, কেবল অর্থ লাভের উদ্দেশেই তারা এ জঘন্য কাজ করেছেন।
বাচ্চা বিক্রির পরপরই তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি আইফোন এবং দুটি দামি সামগ্রি ক্রয় করেন।
শিশু বিক্রির ঘটনা গোপন করার জন্য জ্যাং তার গর্ভবতী হওয়ার খবরটি লুকানোর চেষ্টা করেন। বাচ্চা হওয়ার ঘটনা যাতে জানাজানি না হয এজন্য তিনি নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন। বাচ্চা বিক্রি করে দেয়ার পর তারা প্রতিবেশীদের জানায়, জ্যা গর্ভবতী ছিল না। তার পেটে আসলে টিউমার হয়েছিল।
এর আগে গত বছর চীনে আইফোন কেনার জন্য এক কিশোরের কিডনি বিক্রির ঘটনা ঘটে। এ অপরাধে হুনান প্রদেশে সাত লোক কারাদণ্ড ভোগ করছে।
চীনের মিস জ্যাং ও মি. তেং নামের তরুণ দম্পতি সংবাদপত্রে তাদের গর্ভস্থ শিশুকে বিত্রির জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেন। তারা তাদের সন্তানের দাম হাকেন পাঁচ হাজার ডলার। শিশুটি জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সাংহাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা ঠুকে দেয়। চীনের এক আদালতে ওই চীনা দম্পতির বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
চীনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সন্তান বিক্রির অর্থ দিয়ে ওই চীনা দম্পতি ইতিমধ্যে একটি আইফোন কেনেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি বিলাস পণ্য কেনেন তারা। বাকি অর্থ ব্যাকে জমা রাখেন। বেকার ওই দম্পতির আরো দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে অভিজুক্ত জ্যাং ও তেং শিশু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা প্রসিকিউটরকে বলেন, মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তারা তাকে একটি স্বচ্ছল পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। যাতে সে শিক্ষাসহ সব ধরনের সুযোগ পায়। এ প্রসঙ্গে সাংহাইয়ের এক পত্রিকাকে তারা বলেন,‘আমরা অর্থের জন্য নয়, ওর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ওকে বিক্রি করে দিয়েছি।’
তবে তাদের ব্যাংক রেকর্ড ঘেটে প্রসিকিউটররা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে, কেবল অর্থ লাভের উদ্দেশেই তারা এ জঘন্য কাজ করেছেন।
বাচ্চা বিক্রির পরপরই তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি আইফোন এবং দুটি দামি সামগ্রি ক্রয় করেন।
শিশু বিক্রির ঘটনা গোপন করার জন্য জ্যাং তার গর্ভবতী হওয়ার খবরটি লুকানোর চেষ্টা করেন। বাচ্চা হওয়ার ঘটনা যাতে জানাজানি না হয এজন্য তিনি নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন। বাচ্চা বিক্রি করে দেয়ার পর তারা প্রতিবেশীদের জানায়, জ্যা গর্ভবতী ছিল না। তার পেটে আসলে টিউমার হয়েছিল।
এর আগে গত বছর চীনে আইফোন কেনার জন্য এক কিশোরের কিডনি বিক্রির ঘটনা ঘটে। এ অপরাধে হুনান প্রদেশে সাত লোক কারাদণ্ড ভোগ করছে।
১৭ টি প্রাণ কেড়ে নেয়া এক অভিশপ্ত সিন্দুক!
আজ অনেক আগের একটি সত্য গল্প। আমেরিকার সিভিল ওয়ারের ২০ বছর আগের ঘটনা। জ্যাকব কুলি নামের একজন মার্কিন ব্যক্তি তার ছেলের জন্য একটি সিন্দুক তৈরি করতে চাইলেন। জ্যাকব ছিলেন বেশ ধনী ব্যক্তি। তার অনেকগুলো দাস ছিল। তিনি তার এফ্রো-আমেরিকান দাস হোসিয়াকে নির্দেশ দিলেন সিন্দুকটি তৈরি করার। হোসিয়া কাঠ খোদাই করে সিন্দুক বানালেন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে জ্যাকবের সেটি পছন্দ হয় নি। তিনি তার দাসকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন। জ্যাকবের অন্যান্য দাস অর্থাৎ হোসিয়াহর বন্ধুরা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা সিন্দুকের ভেতরের একটি ড্রয়ারে পেঁচার রক্ত ছড়িয়ে দিলেন। এই পেঁচাটিকে ব্ল্যাক-ম্যাজিক প্রয়োগে মেরে ফেলা হয়েছিল। আর এটি করে সেসময়ের একজন স্থানীয় জাদুকর। এই জাদুকর বলে, ‘জ্যাকবের পরবর্তী প্রজন্মের যে বা যারা সিন্দুকের সংস্পর্শে আসবে তারা সবাই মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করবে।“
জ্যাকব তার যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুক বানিয়েছিলেন, সেই শিশুটি তার জন্মের পর পরই মারা যায়। শিশুটি যে ঘরে ছিল সিন্দুকটিও সেখানেই রাখা হয়েছিল। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। এই ব্যক্তিও তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুক নিজেদের দখলে নেয়। জন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর বাগানের মালিক হয়েছিল। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা একজন আইরিশ ব্যক্তি সিনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে থাকার কোন জায়গা না পেয়ে মেলিন্ডা ও সিন এসে জনের সাহায্য প্রার্থনা করে। জন সেসময় আর্থিকভাবে বেশ ধনী হয়ে উঠছিল সে তার বেশ কিছু খামার থেকে একটি মেলিন্ডা ও তার স্বামী সিনকে দিয়ে দেয়। সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মাঝেই স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
জনের স্ত্রী এলি চিন্তা করলো, এই দম্পতিকে তার শ্বশুর জ্যাকবের সিন্দুক উপহার দেয়া যাক। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। এলি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাতো না। যাই হোক, কাউকে না বলে একদিন সিন মেলিন্ডার কাছ থেকে পালিয়ে যায়। মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর-বর্ণ ধারণ করে, সে মারা যায়। মেলিন্ডা মারা যাবার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন নিজের কাছে নিয়ে এসে বড় করে তুলে। এভেলিন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে, মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। এভেলিন বড় হয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকাকালীন সময়ে কিছুই ঘটে নি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সাথে সাথে একটি দত্তক মেয়েও ছিল, যার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হলো, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ করেই আরাবেলার স্বামী মারা গেল। আরাবেলা তার শিশু সন্তানের পোশাক রেখেছিল সিন্দুকে, শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বৌ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখে। সে মারা যায়।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছে, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে বাচ্চাটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর, সে প্যারালাইজড হয়ে যায়। ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছিলেন। তিনি তার এক এফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসে, যে জাদুবিদ্যা জানত। সে অনেক চেষ্টা করে সিন্দুকটিকে অভিশাপমুক্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সেও মারা যায়। ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সি মেইনি সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি যাদুঘরে দিয়ে দেয়। সতেরোটি প্রাণ সংহার করার পর এর অশুভ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়াম আছে। এর প্রথম ড্রয়ারটি বন্ধ করা। কেউ অভিশাপ বিশ্বাস করুক আর না করুক। যদি কিছু হয়ে যায়? বলাই বাহুল্য, এসবের সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজতক বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
জ্যাকব তার যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুক বানিয়েছিলেন, সেই শিশুটি তার জন্মের পর পরই মারা যায়। শিশুটি যে ঘরে ছিল সিন্দুকটিও সেখানেই রাখা হয়েছিল। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। এই ব্যক্তিও তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুক নিজেদের দখলে নেয়। জন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর বাগানের মালিক হয়েছিল। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা একজন আইরিশ ব্যক্তি সিনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে থাকার কোন জায়গা না পেয়ে মেলিন্ডা ও সিন এসে জনের সাহায্য প্রার্থনা করে। জন সেসময় আর্থিকভাবে বেশ ধনী হয়ে উঠছিল সে তার বেশ কিছু খামার থেকে একটি মেলিন্ডা ও তার স্বামী সিনকে দিয়ে দেয়। সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মাঝেই স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
জনের স্ত্রী এলি চিন্তা করলো, এই দম্পতিকে তার শ্বশুর জ্যাকবের সিন্দুক উপহার দেয়া যাক। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। এলি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাতো না। যাই হোক, কাউকে না বলে একদিন সিন মেলিন্ডার কাছ থেকে পালিয়ে যায়। মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর-বর্ণ ধারণ করে, সে মারা যায়। মেলিন্ডা মারা যাবার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন নিজের কাছে নিয়ে এসে বড় করে তুলে। এভেলিন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে, মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। এভেলিন বড় হয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকাকালীন সময়ে কিছুই ঘটে নি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সাথে সাথে একটি দত্তক মেয়েও ছিল, যার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হলো, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ করেই আরাবেলার স্বামী মারা গেল। আরাবেলা তার শিশু সন্তানের পোশাক রেখেছিল সিন্দুকে, শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বৌ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখে। সে মারা যায়।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছে, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে বাচ্চাটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর, সে প্যারালাইজড হয়ে যায়। ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছিলেন। তিনি তার এক এফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসে, যে জাদুবিদ্যা জানত। সে অনেক চেষ্টা করে সিন্দুকটিকে অভিশাপমুক্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সেও মারা যায়। ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সি মেইনি সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি যাদুঘরে দিয়ে দেয়। সতেরোটি প্রাণ সংহার করার পর এর অশুভ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়াম আছে। এর প্রথম ড্রয়ারটি বন্ধ করা। কেউ অভিশাপ বিশ্বাস করুক আর না করুক। যদি কিছু হয়ে যায়? বলাই বাহুল্য, এসবের সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজতক বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
ছেলেটি না মরলে আমার বাঁচা হতো না
কেনিয়ার নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিংমলে গত সপ্তাহের সন্ত্রাসী হামলার কথা বিশ্ববাসী কমবেশি শুনেছে। মিডিয়ার কল্যানে মানুষ জেনেছে কিভাবে সন্ত্রাসীরা শপিং মলের ভেতর একের পর এক নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মেরেছে। কি নারী, কি পুরুষ, শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক; কোনো বাছবিচার করেনি সন্ত্রাসীরা। সামনে যাকেই পেয়েছে তাকে মেরে লাশের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সন্ত্রাসীদের এই রক্তপিপাসার মধ্যে কেনিয়ার একজন রেডিও উপস্থাপিকা উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পেরেছেন। নইলে তাকেও আজ থাকতে হতো নিহতদের তালিকায়। স্রেফ বুদ্ধির জোরে বেঁচে যাওয়া ওই রেডিও তারকার নাম স্নেহা কোঠারি মাশরু। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই তরুণী চারদিনব্যাপী ওই হামলার পর জীবিত বের হয়ে আসেন। পরে বাইরের দুনিয়াকে তিনি জানিয়েছেন কিভাবে সন্ত্রাসীদের উদ্ধত বন্দুকের নল থেকে তিনি রেহাই পেয়েছিলেন।
রক্তপিপাসুরা একের পর এক গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে আসছে। স্নেহা বাঁচার জন্য িগ্বদিক ছুটছেন। তার মতো ছুটছে আরো অগণিত মানুষ। চোখের সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে একজনের পর অন্যজন। স্নেহা সামনে তাকিয়ে দেখেন দুই বন্দুকবাজকে। দৌঁড়ে পলায়নরত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে ঠান্ডা মাথায় গুলি ছুড়ছে। এক কিশোরী সিড়ির আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পুরো শরীরটা লুকাতে পারলো না। এক সন্ত্রাসী ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। ঠান্ডা মাথায় বন্দুকটা তাক করলো। এরপর বন্দুকের আওয়াজ। তারপর রক্তের স্রোত।
স্নেহা একটি পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের এই নিষ্ঠুরতা দেখলেন। তার সামনের ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে অনেকের রক্তমাখা দেহ। দেখলেন বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসী ওই পিলারের দিকেই এগিয়ে আসছে। স্নেহা বুঝলেন এবার সব শেষ। পিলারের আড়ালে নিজেকে লুকানো সম্ভব নয়। মুহুর্তে মনে পড়ে গেল স্বামী এবং শিশুপুত্রের মুখ। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছা করল তার। কিন্তু সেটা যে আর সম্ভব নয় তা বুঝতে পারলেন। মৃত্যুদূত একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সামনে। তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি কিশোর ছেলে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে তার দিকেই আসছে। কিন্তু তাকে দেখেই গর্জে উঠল এক সন্ত্রাসীর বন্দুক। মুহুর্তেই ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো স্নেহার সামনে এসে। ছেলেটি ছটফট করতে লাগলো আর রক্তের ফোয়ারা ছুটতে লাগলো তার পিঠ দিয়ে। স্নেহা ভাবলেন এবার তার পালা।
হঠাত্ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। তিনি ছেলেটির শরীর থেকে দুই হাতে রক্ত নিয়ে নিজের দুই হাতে মাখলেন। ছেলেটি তখনো ছটফট করছে। এমন আহত একটি ছেলের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শরীরে মাখতে গিয়ে নিজেকে প্রচন্ড স্বার্থপর মনে হলো স্নেহার। এমন সময় ছেলেটির মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো। স্নেহা বুঝলেন মোবাইলের রিংটোন শুনে সন্ত্রাসীরা বুঝি সেদিকে ছুটে এসে তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তিনি দ্রুত ছেলেটির প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে সুইচ অফ করে দিলেন। রিংটোন থেমে গেল। কিন্তু স্নেহা বুঝতে পারলেন সেই সাথে ছেলেটির জীবনপ্রদীপও নিভে গেল! স্নেহা তখন আর ইতঃস্তত না করে তার বুক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দুই হাতে নিয়ে সারা মুখে ও পায়ে মাখলেন। এরপর মাথার চুলের খোপা খুলে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে মরার মতো করে শুয়ে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের কাছে এক সন্ত্রাসীর অস্তিত্ব বুঝতে পারলেন। কিন্তু সে স্নেহাকে মৃত মনে করে তার দিকে গুরুত্ব দিল না। তার মাথার পাশে দাঁড়িয়েই সে গুলি করে ফেলে দিল আরেক বৃদ্ধকে। এরপর সে হেটে অন্যদিকে চলে গেল।
বেঁচে গেলেন স্নেহা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই গল্প তিনি শুনিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীকে। স্টান্ডার্ড ডিজিটালের সাথে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন তার বেঁচে থাকার এই অবিশ্বাস্য গল্প। তার কাছে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে তার। স্নেহা বিশ্বাস করেন, সেই কিশোরটি তার সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়ে না মরলে বাঁচতে পারতেন না তিনি। তাই তিনি জানার চেষ্টা করছেন কে ছিল সেই হতভাগ্য কিশোর। নিহত ছেলেটির ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। একটি ফুল দিয়ে অন্তত একটু সম্মান জানাতে চান।
রক্তপিপাসুরা একের পর এক গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে আসছে। স্নেহা বাঁচার জন্য িগ্বদিক ছুটছেন। তার মতো ছুটছে আরো অগণিত মানুষ। চোখের সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে একজনের পর অন্যজন। স্নেহা সামনে তাকিয়ে দেখেন দুই বন্দুকবাজকে। দৌঁড়ে পলায়নরত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে ঠান্ডা মাথায় গুলি ছুড়ছে। এক কিশোরী সিড়ির আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পুরো শরীরটা লুকাতে পারলো না। এক সন্ত্রাসী ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। ঠান্ডা মাথায় বন্দুকটা তাক করলো। এরপর বন্দুকের আওয়াজ। তারপর রক্তের স্রোত।
স্নেহা একটি পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের এই নিষ্ঠুরতা দেখলেন। তার সামনের ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে অনেকের রক্তমাখা দেহ। দেখলেন বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসী ওই পিলারের দিকেই এগিয়ে আসছে। স্নেহা বুঝলেন এবার সব শেষ। পিলারের আড়ালে নিজেকে লুকানো সম্ভব নয়। মুহুর্তে মনে পড়ে গেল স্বামী এবং শিশুপুত্রের মুখ। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছা করল তার। কিন্তু সেটা যে আর সম্ভব নয় তা বুঝতে পারলেন। মৃত্যুদূত একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সামনে। তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি কিশোর ছেলে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে তার দিকেই আসছে। কিন্তু তাকে দেখেই গর্জে উঠল এক সন্ত্রাসীর বন্দুক। মুহুর্তেই ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো স্নেহার সামনে এসে। ছেলেটি ছটফট করতে লাগলো আর রক্তের ফোয়ারা ছুটতে লাগলো তার পিঠ দিয়ে। স্নেহা ভাবলেন এবার তার পালা।
হঠাত্ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। তিনি ছেলেটির শরীর থেকে দুই হাতে রক্ত নিয়ে নিজের দুই হাতে মাখলেন। ছেলেটি তখনো ছটফট করছে। এমন আহত একটি ছেলের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শরীরে মাখতে গিয়ে নিজেকে প্রচন্ড স্বার্থপর মনে হলো স্নেহার। এমন সময় ছেলেটির মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো। স্নেহা বুঝলেন মোবাইলের রিংটোন শুনে সন্ত্রাসীরা বুঝি সেদিকে ছুটে এসে তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তিনি দ্রুত ছেলেটির প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে সুইচ অফ করে দিলেন। রিংটোন থেমে গেল। কিন্তু স্নেহা বুঝতে পারলেন সেই সাথে ছেলেটির জীবনপ্রদীপও নিভে গেল! স্নেহা তখন আর ইতঃস্তত না করে তার বুক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দুই হাতে নিয়ে সারা মুখে ও পায়ে মাখলেন। এরপর মাথার চুলের খোপা খুলে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে মরার মতো করে শুয়ে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের কাছে এক সন্ত্রাসীর অস্তিত্ব বুঝতে পারলেন। কিন্তু সে স্নেহাকে মৃত মনে করে তার দিকে গুরুত্ব দিল না। তার মাথার পাশে দাঁড়িয়েই সে গুলি করে ফেলে দিল আরেক বৃদ্ধকে। এরপর সে হেটে অন্যদিকে চলে গেল।
বেঁচে গেলেন স্নেহা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই গল্প তিনি শুনিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীকে। স্টান্ডার্ড ডিজিটালের সাথে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন তার বেঁচে থাকার এই অবিশ্বাস্য গল্প। তার কাছে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে তার। স্নেহা বিশ্বাস করেন, সেই কিশোরটি তার সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়ে না মরলে বাঁচতে পারতেন না তিনি। তাই তিনি জানার চেষ্টা করছেন কে ছিল সেই হতভাগ্য কিশোর। নিহত ছেলেটির ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। একটি ফুল দিয়ে অন্তত একটু সম্মান জানাতে চান।
মরেও বেঁচে গেলেন!
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ১২ মিনিট ফাঁসির দড়িতে ঝুলে ছিলেন তিনি। ডাক্তার তাকে মৃতও ঘোষণা করে। কিন্তু মর্গে বেঁচে উঠলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ইরানে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে দ্বিতীয়বার ফাঁসিতে না ঝোলানোর আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটির আইনমন্ত্রী মোস্তফা পোওরমোহাম্মাদিও জানিয়েছেন, আলিরেজা নামে ৩৭ বছর বয়সী ওই মাদক চোরাকারবারীকে দ্বিতীয়বার ঝোলানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এতে ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে আইনমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
ইরানে বিচার বিভাগের ওপর অর্থাৎ আদালতের ওপর সরকারের সরাসরি কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই ওই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার ফাঁসিতে ঝোলানো হবে কি না সেটি আদালতেই নির্ধারিত হবে।
বিশ্বে যেসব দেশে সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ইরান তাদের অন্যতম।
গত সপ্তায় ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় বোজনর্ড শহরের কারাগারে আলিরেজার ফাঁসি কার্যকর হয়। ১২ মিনিট ফাঁসিররজ্জুতে ঝুলে থাকার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
কিন্তু পরদিন আলিরেজার পরিবার তার মরদেহ নেওয়ার জন্য মর্গে গিয়ে দেখতে পায় তিনি শ্বাস নিচ্ছেন।
পরবর্তীসময়ে আলিরেজাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি সশস্ত্র প্রহরায় রয়েছেন।
তার সর্বশেষ অবস্থা এখনো জানা যায়নি। তবে সোমবার দেশটির ইরনা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আলিরেজা কোমায় চলে গেছেন।
নতুন মেশিন উদ্ভাবন: শিশুর জন্ম হবে মেশিনে!
কৃত্রিম উপায়ে শরীরের বাইরেই মানবশিশুর জন্ম-প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণায় গবেষকরা দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারবোর্ড সংবাদ সংস্থা। এই প্রক্রিয়াতে শিশুর জন্ম হবে মেয়ের গর্ভের মতই একটি টিউবে!
গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে সেরগেসি প্রক্রিয়াতে একটি শিশু তার প্রকৃত মায়ের গর্ভে না হয়ে অন্য একজন সাহায্যকারী কিংবা ভাড়ায় সন্তান প্রসব করে এমন মায়ের গর্ভে জন্ম হয়। এতে সন্তান নিজের গর্ভে নিতে চাননা এমন মায়েদের জন্য আলাদা করে সারোগেট মাদার’ বা গর্ভ ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে নতুন এই প্রক্রিয়াতে আর গর্ভ ভাড়া করার কোন দরকার নেই।
এদিকে গবেষকরা দাবি করছেন, ‘একটোজেনেসিস’ নামের এই পদ্ধতি ২০৩৪ সাল নাগাদ ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে এবং ওই সময় থেকে মেশিনে শিশুর জন্ম সম্ভব হবে। ফলে শিশুর মৃত্যুহার একই সাথে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মাতৃ মৃত্যুহার অনেক অংশে কমে যাবে।
পশুর জন্ম হচ্ছে টিউবে।
পশুর জন্ম হচ্ছে টিউবে।
কিভাবে একটি যন্ত্রে শিশুর জন্ম হবে এবং বেড়ে উঠবে? এমন প্রশ্নে গবেষকরা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রের গঠন উল্লেখ করে দেখান, একটি বিশেষ টিউবে শিশুর ভ্রূণ বিকশিত করা হবে। সেখানেই শিশু ধীরে ধীরে মায়ের গর্ভের মত বেড়ে উঠবে। সম্পূর্ণ যন্ত্র ফ্লুইড দিয়ে ভরা থাকবে এবং এর থেকে বিভিন্ন ক্যাবল এবং তার দিয়ে আধুনিক সব যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকবে। এসব যন্ত্রের মাঝে থাকবে শিশুর জন্য খাদ্য তৈরি চেম্বার, আলাদা শ্বাস প্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র। এতদিন এই যন্ত্র ব্যাক্টেরিয়া এবং বিভিন্ন পশুর জন্ম বৃদ্ধিতে ব্যবহার হলেও এখন এটি মানুষের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এদিকে এই যন্ত্রের উদ্ভাবন নিয়ে সারা দুনিয়াতে অনেকেই একে মানুষকে কৃত্রিম করে ফেলার একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছেন, এভাবে মানুষ মেশিনে জন্ম দিলে মা-ও সন্তানের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে, পরিবারের প্রতি শিশুর আকর্ষণ থাকবেনা। মানুষে মানুষে ভালোবাসা নষ্ট হয়ে যাবে।
তবে গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা এখন যে অবস্থায় আছে এতেও শিশুর জন্ম মেশিনে দেয়ার চেষ্টা করা যায় কিন্তু এখনো এটি কিছু আইনি এবং নৈতিক বাধা থাকায় বাস্তবে সম্ভব হচ্ছেনা।
স্বামী আপন ভাই, জানা ছিল না আগে!
বিয়ের সাত বছর পর এক আকস্মিক ঘটনার মধ্য দিয়ে আপন ভাই-বোন সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন ব্রাজিলের এক যুগল।
যুক্তরাজ্যের মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদ্রিয়ানা (৩৯) ও তার স্বামী লিয়েন্দ্রো (৩৭)- দুজনেই জানতেন তাদের মা শিশুকালে তাদেরকে ফেলে রেখে গেছে। ব্রাজিলের পৃথক শহরে বেড়ে উঠলেও সাত বছর আগে বিয়ে করেন তারা। সংসারে ছয় বছরের একটি কন্যাও রয়েছে তাদের।
স্বামী-স্ত্রীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল ছিল। দুজনই মা’কে হারিয়েছেন। দুজনের মায়ের নামের সঙ্গেই ‘মারিয়া’ শব্দটি। অবশ্য ব্যাপারটিকে তারা কাকতালীয় হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন।
আদ্রিয়ানা মায়ের খোঁজে একদিন হাজির হলেন ব্রাজিলের ‘রেডিও গ্লোবো’র লাইভ অনুষ্ঠানে। ‘অ্যাঞ্জেল অব মিটিংস’ নামে পরিচিত ওই অনুষ্ঠানটি মূলত হারিয়ে যাওয়াদের খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হারানো মায়ের খোঁজ পেয়েই বসলেন অদ্রিয়ানা। তবে জীবনের সেই আনন্দঘন মুহূর্তটি তার জন্য নতুন আরেক তিক্ত বাস্তবতা উন্মোচন করল।
সাত বছর ধরে সংসার করা স্বামী যে তার মায়েরই সন্তান, আদ্রিয়ানা তা জানতে পারলেন মায়ের সঙ্গে আলাপের পর।
মাথায় বাজ পড়ার মতো এমন খবরে কেঁদে ফেললেন লিয়েন্দ্রো। জীবনে যে এমন বাস্তবতার মুখে পড়তে হবে তা কল্পনাতেও ছিল না এই যুগলের।
আদ্রিয়ানার সংসারে বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই। এমন ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছা তাদের না থাকলেও সংসার চালিয়ে যাবেন বলেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
নানির গর্ভে হবে নাতির জন্ম!
ওয়াশিংটন: নিজের নাতির জন্ম নিজেই দিতে চলেছেন এক আমেরিকান নানি। আমেরিকার ইউটাহ প্রদেশে জুলিয়া নাভারো নামের ৫৮ বছর বয়েসী এক নারী নিজের নাতিকে জন্ম দিতে চলেছেন। নিজের মেয়ে অসুস্থ এবং গর্ভধারণে অক্ষম থাকায়, মেয়ে জামাইয়ের শুক্রানু ধারণ করে তিনি গর্ভধারণ করেছেন বলে জানান জুলিয়া।
জুলিয়ার মেয়ে লরেনা ম্যাককিনন জানান, গত তিন বছর ধরে তিনি গর্ভধারণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই সময়ের মধ্যে তার অন্তত ১০ বার গর্ভপাত হয়। শারীরিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতার জন্য তিনি গর্ভধারণে ব্যর্থ হন। তাই তিনি তার সন্তানের জন্মের জন্য একজন প্রতিনিধি খুঁজতে থাকেন।
লরেনার বোন এবং তার এক বান্ধবী গর্ভধারণের জন্য রাজি হলেও পরে তারা সিদ্ধান্ত বদল করেন। তখন লরেনার সন্তান ধারণে রাজি হন তার মা। তিনি বলেন, “পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি মনে করি একজনের বিপদে আরেকজনের এগিয়ে আসা উচিত।”
চিকিৎসকরা জানান, বয়সের কারণে নানি জুলিয়ারও গর্ভপাতের আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা আরো জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলিয়ার নাতি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউজ।
রোগীর লিভারে ডাক্তারের স্বাক্ষর!
শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মে নিজের পরিচয় রাখতে পছন্দ করেন। তবে যদি সেই তুলি হয় একটি ছুঁড়ি এবং ক্যানভাস হয় মানবদেহ, তাহলে এ ধরণের আইডিয়া পরিহার করাই উচিৎ। কিন্তু এক ব্রিটিশ ডাক্তার সেই কাজটিই করেছেন। তিনি তার রোগীর লিভারে নিজের 'ব্র্যান্ড' খোঁদাই করে চিহ্নিত করে রেখেছেন।
ইংল্যান্ডের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের এক সার্জন আর্গন প্লাজমা কোয়াগুলেশন টুল ব্যবহার করে পেশেন্টের লিভারে স্বাক্ষর দিয়ে রেখেছেন। পরবর্তীতে আরেকজন ডাক্তার একই রোগীর অন্য আরেকটি সার্জারি করতে গেলে সেই চিহ্নটি আবিষ্কার করেন। এজন্য ব্র্যান্ড অংকনকারী সার্জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং রিপোর্ট বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই সার্জন তার অন্যান্য রোগীদেরও হয়ত একইভাবে 'সিগনেচার' করে দিয়েছেন। অবশ্য, ডাক্তাররা বলছেন, ঐ স্বাক্ষরের ব্যাপারে পেশেন্টের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই, কেননা এর দ্বারা তারা কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। এটি একটি হালকা ক্ষতর মত চেহারা নিয়ে থাকবে।
যাইহোক, এ ধরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে, অন্য আরেকজন ডাক্তার একজন মহিলার অপসারিত জরায়ুতে পেশেন্টের নাম লিখে দিয়েছিলেন। আরেক সার্জন তার রোগীর সি-সেকশন অপারেশনের পর তলপেটে নিজের সাইন দেন। এরা উভয়েই পরবর্তীতে আইনী ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট বলতেই যখন আমাদের মনে ভেসে উঠে একজন ক্ষমতাবান ও বিত্তবান ব্যক্তিত্বের ছবি তখন জোসে মুজিকার নাম শুনলেই ভেসে উঠবে দানশীল ও সহজ সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক রাষ্ট্রনায়কের ছবি।
আর উরুগুয়ের সেই বর্তমান প্রেসিডেন্টের নামই হলো জোসে মুজিকা । যাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট। যিনি যৌবনে ছিলেন একজন গেরিলা ও সত্যিকারের যোদ্ধা।
যাকে রাজনীতিবিদদের আরাম-আয়েশ আর চাকচিক্যময় জীবন কাছে টানে না। তবে বিশ্বের মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত উরুগুয়ের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার মাসিক বেতন প্রায় ১২ হাজার ডলার ।
কিন্তু বেতনের শতকরা ৯০ ভাগই তিনি দান করে দেন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এবং নিজের জন্য অবশিষ্ট রাখেন মাত্র ৭৭৫ ডলার (কমবেশি)। এই দানশীলতার কারণেই তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
তার স্ত্রীর নাম লুসিয়াও । নিঃসন্তান এই দম্পতির সবচেয়ে দামি সম্পত্তি হলো ১৯৮৭ সালে কেনা এক হাজার ৯০০ ডলারের একটি গাড়ি।
আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, উরুগুয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর এই ব্যক্তির বসবাসের খামার বাড়িটি দেখলে যে কেউ ভূতেরবাড়ি বলে চমকে উঠবে। বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকার বদলে প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি বেছে নিয়েছেন নিতান্তই এক সাধারণ জীবন।
এখনো কর্দমাক্ত পথ পেরিয়েই নিজের খামার বাড়িতে পৌঁছাতে হয় তাকে। এই অর্ধ-পরিত্যক্ত খামার বাড়ির মালিকানাও তার নয়, তার স্ত্রীর। এখনো খামারে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত কৃষিকাজ করেন তিনি। খামারে চাষ করছেন হরেক রকমের ফুল।
ভাঙাচোরা একটি পুরানো কুয়াই বাড়িতে পানি সরবরাহের একমাত্র ব্যবস্থা। বিশ্বের দরিদ্রতম এই প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে মাত্র দুজন পুলিশ আর ম্যানুয়েলা নামের একটি আদুরের কুকুর। তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত এই কুকুরটিরও একটি পা খোঁড়া।
এক সময়কার বামপন্থি গেরিলা নেতা মুজিকার নামে কোনো ঋণ নেই, এমনকি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই।
নিজেকে নিয়ে মুজিকার উপলব্ধি, 'আমাকে সবাই দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট বলে। আমার তো মনে হয়, দরিদ্র তারাই যারা সারাটা জীবন কেবল ভোগ্যপণ্য কেনার অর্থ জোগাড় করতে দাসের মতো খেটে যাচ্ছে।'
নিজেকে তিনি পরিচয় দেন একজন কৃষক হিসেবে। ২০০৯ সালে দেশটির জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেন। মুজিকা তার ৭৮ বছরের জীবনে জেল খেটেছেন ১৪ বছর আর গুলি খেয়েছেন মোট ছয়বার।
দেশটির আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করে মুজিকা জানান, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না, এখন তার অবসরের সময় হয়েছে এবং আগামী বছর তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেবেন ।
বসবাসের অনুপযুক্ত দশটি জায়গা, তবু সেখানে মানুষ বসবাস করে!
বিশ্বের এমনও কিছু জায়গা আছে যেখানে বসবাস আপনার কাছে অসম্ভব মনে হতে
পারে। কিন্তু সব সম্ভবের এই পৃথিবীতে আসলে কিছুই অসম্ভব নয়। প্রচন্ড
প্রতিকূলতার মাঝেও মানুষ বসবাস করে আসছে এমন কিছু জায়গা থেকেই আজ ঘুরিয়ে
নিয়ে আসবো আপনাদের!
Arctic Circle এ অবস্থিত এই শহরটিতে প্রায় ১৫০০ লোকের বসবাস। অন্যতম শীতল এই জায়গাটি একসময় অপরাধীদের নির্বাসন দেয়ার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিলো।
আগুন পাহাড় নামেই অত্যধিক পরিচিত এই জায়গাটি। এই অগ্নিপাহাড়ে সবসময় ধিকিধিকি করে আগুন জ্বলতে থাকে, এবং গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৬০ বার সবেগে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। তবু এখানকার উর্বর মাটির লোভ সামলাতে পারেনি প্রায় আড়াইলাখ মানুষ!
এই লেকের গভীরে প্রায় কয়েক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মিথেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চিত রয়েছে। যদি কোনোভাবে গ্যাসগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় তবে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় সাথে সাথেই মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে!
এই জায়গাটি বেশ মজার, অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে ছোটো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৯টি পরিবারের ৫০ জন মানুষের বাস এই জায়গাটিতে। তবে এখানে নেই কোনো পোতাশ্রয় কিংবা উড়োজাহার নামবার স্থান। যদি কোনোভাবে আপনি ওখানে পৌঁছাতে পারেন তবে পাবেন অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট!
ছবিটি দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কি পরিমাণ দূষিত চীনের এই শহর। তবে সত্যি বলতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ হতেও পারবেনা এই শহরটি, কিন্তু তবু এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস।
আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীতে এখনও ৭৯ জন লোক বসবাস করছে, যদিও সম্পূর্ণ জায়গাটি জ্বলন্ত লাভায় পরিপুর্ণ!
এই জায়গাটি পুরো পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন! বলা হয় এটি পৃথিবীর ভেতরেই অন্য এক এলিয়েন জগত! এখানে যেসব উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সেগুলো আর কোথাওই পাওয়া যায়নি! এখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাসে এবং তারা চলাচলের জন্য চমৎকার দুটি রাস্তাও ব্যবহার করে!
পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী অধ্যুষিত জায়গা এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরে এই জায়াগটির বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব একটা বন্ধুসুলভ নয়। বলা যায় বাইরের কেউ এখানে নিষিদ্ধ!
বজ্রপাতের ভয় থাকলে এই গ্রামে বসবাস না করাটাই আপনার জন্য ভালো। কিন্তু এখানকার অধিবাসিরা নিয়মিত এই বজ্রপাতের সাথেই বসবাস করেন, প্রতি স্কয়ার মাইলে বছরে গড়ে ৬০বার বজ্রপাত হয় এখানে!
এই গ্রামটিকে বলা যায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা! এখানে যেতে আপনাকে একটি সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, তবু এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস!
Atacama Desert, Chile/Peru
বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান বলে পরিচিত এই জায়গাটিতে প্রতি হাজার বছরে মাত্র ৪ বছর বৃষ্টি পড়ে! এই মরুভূমিতে দিনের বেলা যেমন ভয়াবহ গরম পড়ে ঠিক তেমন রাত্রিতে ভয়াবহ শীত পড়ে। তবু এমন একটি জায়গায় অন্তত এক মিলিয়নেরও বেশী মানুষের বসবাস অবাক করে দেয়!Verkhoyansk, Russia
Arctic Circle এ অবস্থিত এই শহরটিতে প্রায় ১৫০০ লোকের বসবাস। অন্যতম শীতল এই জায়গাটি একসময় অপরাধীদের নির্বাসন দেয়ার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিলো।
Mount Merapi, Indonesia
আগুন পাহাড় নামেই অত্যধিক পরিচিত এই জায়গাটি। এই অগ্নিপাহাড়ে সবসময় ধিকিধিকি করে আগুন জ্বলতে থাকে, এবং গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৬০ বার সবেগে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। তবু এখানকার উর্বর মাটির লোভ সামলাতে পারেনি প্রায় আড়াইলাখ মানুষ!
Lake Kivu, Democratic Republic of Congo/Rwanda
এই লেকের গভীরে প্রায় কয়েক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মিথেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চিত রয়েছে। যদি কোনোভাবে গ্যাসগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় তবে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় সাথে সাথেই মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে!
The Pitcairn Islands
এই জায়গাটি বেশ মজার, অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে ছোটো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৯টি পরিবারের ৫০ জন মানুষের বাস এই জায়গাটিতে। তবে এখানে নেই কোনো পোতাশ্রয় কিংবা উড়োজাহার নামবার স্থান। যদি কোনোভাবে আপনি ওখানে পৌঁছাতে পারেন তবে পাবেন অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট!
Linfen, China
ছবিটি দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কি পরিমাণ দূষিত চীনের এই শহর। তবে সত্যি বলতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ হতেও পারবেনা এই শহরটি, কিন্তু তবু এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস।
Pompeii, Italy
আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীতে এখনও ৭৯ জন লোক বসবাস করছে, যদিও সম্পূর্ণ জায়গাটি জ্বলন্ত লাভায় পরিপুর্ণ!
Socotra Island, Yemen
এই জায়গাটি পুরো পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন! বলা হয় এটি পৃথিবীর ভেতরেই অন্য এক এলিয়েন জগত! এখানে যেসব উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সেগুলো আর কোথাওই পাওয়া যায়নি! এখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাসে এবং তারা চলাচলের জন্য চমৎকার দুটি রাস্তাও ব্যবহার করে!
Tristan da Cunha
পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী অধ্যুষিত জায়গা এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরে এই জায়াগটির বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব একটা বন্ধুসুলভ নয়। বলা যায় বাইরের কেউ এখানে নিষিদ্ধ!
Kifuka, Democratic Republic of the Congo
বজ্রপাতের ভয় থাকলে এই গ্রামে বসবাস না করাটাই আপনার জন্য ভালো। কিন্তু এখানকার অধিবাসিরা নিয়মিত এই বজ্রপাতের সাথেই বসবাস করেন, প্রতি স্কয়ার মাইলে বছরে গড়ে ৬০বার বজ্রপাত হয় এখানে!
Motuo, China
এই গ্রামটিকে বলা যায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা! এখানে যেতে আপনাকে একটি সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, তবু এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস!
কপালে নাক
চীনে কপালের উপর নাক তৈরী করা হয়েছে এক ব্যক্তির। ফুজিয়ান রাজ্যের নাগরিক ২২ বছর বয়সী জিওলিয়ান নামের ওই ব্যক্তি গত বছর আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নাক হারান।
এরপর নাসারন্ধের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। একপর্যায়ে সংক্রমনে তার নাকের কার্টিলেজ (কানেকটিভ টিস্যু) নষ্ট হয়ে যায়। তারপর জিওলিয়ান চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলে কিছুতেই কিছু করতে পারছিলেন ডাক্তাররা।
শেষমেষ সার্জনরা কৃত্রিমভাবে জিওলিয়ানের কপালে নাক বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। চিকিৎসকরা কপালে স্কিন টিস্যু বসিয়ে নতুন এই নাক তৈরি করেছেন।
শিগগিরই যথাস্থানে নাক প্রতিস্থাপনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
অলৌকিক শিশুর মাতৃভক্তি
ঢাকা: পৃথিবীতে মায়ের মতো আপন আর কে আছে? মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক কতটা অকৃত্রিম তা চীনা এই মা ছেলেকে দেখেই বোঝা যায়।
২০১০ সালে মা ঝাং রংজিয়াং সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কোমায় চলে যান।
তাকে হাসপাতালে নেয়া পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন ঝাং অন্তঃসত্ত্বা।
অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকে ঝাংয়ের গর্ভের শিশু। ২০১১ সালে কোমায় থাকা অবস্থাতেই ঝাংয়ের সিজার করেন চিকিৎসকরা। জন্ম নেয় গোয়া কিয়াংবো।
সে বছর মে মাসে অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা শিশু গোয়ার কণ্ঠস্বর শুনে কোমায় থেকে ফেরেন ঝাং।
কিন্তু কোমা থেকে ফিরলেও পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে আছেন তিনি। তাই নিজের খাবার চিবিয়ে খেতে পারেন না ঝাং।
তাতে কি? গোয়ার বয়স এখন দুই বছর। সে খাবার চিবিয়ে মুখ দিয়েই মাকে খাইয়ে দেয়। আর সারাক্ষণ মায়ের পাশেই থাকে সে।