Showing posts with label Health Tips. Show all posts
ডেন্টিস্ট ছাড়াই দূর করুন দাঁতের টার্টার
অনেকের দাঁতেই কমবেশি হলুদ বা বাদামি খনিজ পদার্থের আবরণ দেখা যায়। একে টার্টার বলা হয়। আমরা যাকে দাঁতে পাথর হিসেবে চিনি। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এই টার্টার ক্রমশ বাড়তে থাকে। যা দাঁতের পিরিওডোনটাইটিসের কারণ।
পিরিওডোনটাইটিস কী
পিরিওডোনটাইটিস হলে দাঁতের মাড়ির টিস্যুতে প্রদাহ হয়। ফলে মাড়ি সংকোচিত হয়ে অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন নিয়মিত দাঁতে জমা টার্টার পরিষ্কার করা। টার্টার দূর করার প্রথম সমাধান হলো ডেন্টিস্ট। তবে আপনি চাইলে বাড়িতে বসেও এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
টার্টার পরিষ্কার করতে যা লাগবে
* বেকিং সোডা
* ডেন্টাল পিক
* লবণ
* হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড
* পানি
* টুথব্রাশ
* কাপ
* অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ
টার্টার দূর করতে সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকরী উপাদান হচ্ছে বেকিং সোডা। আসুন এবার জেনে নিই টার্টার দূর করার পদ্ধতি।
প্রথম ধাপ
কাপে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ১/২ চা চামচ লবণ মেশান। এবার গরম পানিতে টুথব্রাশ ভিজিয়ে বেকিং সোডা ও লবণের মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। সবশেষে কুলকুচি করে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
এক কাপ হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান। এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন। এরপর ১/২ কাপ পানি দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।
তৃতীয় ধাপ
ডেন্টাল পিক দিয়ে দাঁতের হলুদ টার্টার ধীরে ধীরে ঘষে তুলুন। মাড়ির ক্ষতি এড়াতে ডেন্টাল পিক ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
চতুর্থ ধাপ
অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করুন।
চকচকে সাদা দাঁতের জন্য আরও কয়েকটি টিপস-
স্ট্রবেরি ও টমেটো
ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ বলে স্ট্রবেরি ও টমেটো দাঁতের জন্য ভালো। টার্টার পরিষ্কার করতে স্ট্রবেরি বা টমেটো দাঁতে ঘষে পাঁচ মিনিট রাখুন। এতে টার্টার নরম হবে। এবার বেকিং সোডা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। স্ট্রবেরি বা টমেটো ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম, লেবু, পেঁপে ও কমলালেবু ব্যবহার করা যাবে।
পনির
খাওয়ার আগে পনির খেয়ে নিতে পারেন। পনির খাবারের এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় যা টার্টার তৈরির মূল উপাদান।
জেনে নিন-
১. দাঁত পরিষ্কারের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশের সময় ওপর-নিচ ব্রাশ করুন। খেয়াল রাখুন মাড়ি ও দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ যেন পরিষ্কার হয়।
২. ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
৩. মরিচ জাতীয় খাবার লালা নিঃসরণে সাহায্য করে। যা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার করে।
৪. ব্যাকটেরিয়া দূর করতে রাতে শোয়ার আগে কমলার খোসা দাঁতে ঘষে নিন। সকালবেলা ব্রাশ করে ফেলুন।
সন্তান নিতে চাইলে যৌনতায় আনতে হবে পরিবর্তন
অনেক দম্পতিই সন্তান নিতে চান কিন্তু কোনো কারণে তা নিতে পারছেন না। এ ধরনের ক্ষেত্রে উর্বরতা বাড়ানোর জন্য যৌনতায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
এক ঘণ্টার মধ্যে দুইবার যৌনতা করা সম্ভব হলে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন তিন গুণ বাড়ে। আর এ পদ্ধতিতেই সন্তান নেওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন লন্ডনের নর্থ মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, যখন কোনো পুরুষ এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার বীর্যপাত করেন তখন উর্বরতা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।
গবেষকদের প্রধান ও উর্বরতা বিশেষজ্ঞ গোলাম বাহাদুর বলেন, ‘এটি তুলনামূলকভাবে একটি ছোট গবেষণা হলেও এ গবেষণার ফলাফল একটি বড় পদক্ষেপ এবং উর্বরতা বৃদ্ধিতে উন্নতি ঘটাতে পারে।’
এ গবেষণার জন্য বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে প্রথম ও দ্বিতীয়বার যৌনতার সময় নির্ধারণ করে দেন গবেষকরা। এরপর তাদের এ সময়ের ভিত্তিতে গর্ভধারণের হার নির্ণয় করা হয়। এতে দেখা যায়, এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার যৌনতা গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া দ্বিতীয়বার যৌনতায় তুলনামূলকভাবে ফ্রেশ স্পার্ম উৎপন্ন হয়, যা আগের তুলনায় উন্নতমানের।
এক ঘণ্টার মধ্যে দুইবার যৌনতা করা সম্ভব হলে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন তিন গুণ বাড়ে। আর এ পদ্ধতিতেই সন্তান নেওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন লন্ডনের নর্থ মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, যখন কোনো পুরুষ এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার বীর্যপাত করেন তখন উর্বরতা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।
গবেষকদের প্রধান ও উর্বরতা বিশেষজ্ঞ গোলাম বাহাদুর বলেন, ‘এটি তুলনামূলকভাবে একটি ছোট গবেষণা হলেও এ গবেষণার ফলাফল একটি বড় পদক্ষেপ এবং উর্বরতা বৃদ্ধিতে উন্নতি ঘটাতে পারে।’
এ গবেষণার জন্য বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে প্রথম ও দ্বিতীয়বার যৌনতার সময় নির্ধারণ করে দেন গবেষকরা। এরপর তাদের এ সময়ের ভিত্তিতে গর্ভধারণের হার নির্ণয় করা হয়। এতে দেখা যায়, এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার যৌনতা গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া দ্বিতীয়বার যৌনতায় তুলনামূলকভাবে ফ্রেশ স্পার্ম উৎপন্ন হয়, যা আগের তুলনায় উন্নতমানের।
ডেন্টিস্টের সাহায্য ছাড়াই বাড়িতে দাঁত ঝকঝকে সাদা করার ১০ টি উপায়!
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বুঝলে পরে বিপদে পড়তে হয় – এইকথা সবাই জানে। দাঁত সুস্থ, সবল, পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করতে প্রত্যেকের কিছু করণীয় আছে। শুধু শুধু ডেন্টিস্টের পিছনে অর্থ ব্যয় না করে ঘরেই পাওয়া সম্ভব পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল দাঁত।
ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়েও নিজের বাসাতেই প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার দাঁত পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই ১০ টি পদ্ধতি।
১.বেকিং সোডাঃ
দাঁত পরিষ্কার করতে বেকিং সোডার তুলনা নেই। বাটিতে আধা চা চামচ টুথপেস্টের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি টুথব্রাশে লাগিয়ে ব্রাশ করলেই দাঁত ঝকঝকে হয়ে যাবে। আর দেরী কেন? পরিষ্কার সাদা দাঁত পেতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
২.ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশঃ
ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে সবচেয়ে সহজ উপায়ের একটি হচ্ছে ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা। দাঁতের বিবর্ণ অংশ এনামেল দূর করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার সবচেয়ে ফলপ্রসু।
৩.খাবার গ্রহণের পর ব্রাশ করাঃ
প্রতিবার খাবার গ্রহণের পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত রোগমুক্ত এবং ঝকঝকে থাকে।
৪.লেবুঃ
লেবুর রস দাঁতে লাগালে এনামেল দূর হয়ে দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়। অনেকে অবশ্য লেবুর রস এবং লবণ মিক্সড করে ব্যবহার করে।
৫.পারঅক্সাইডঃ
দাঁতের রঙ ময়লা হওয়ার অন্যতম কারণ খাদ্যকণা ও জীবাণু। খাবারের কালশিটে দাগ ও জীবানুমুক্ত করার জন্য দাঁত ব্রাশ করার পর পারঅক্সাইড দিয়ে কুলি করুন। তাতে দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে।
৬.আপেলঃ
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আপেল রাখুন। সামনের অংশের দাঁত দিয়ে আপেলে কামড় দিন, এতে ময়লা দূর হয়ে ঝকঝকে উজ্জ্বল দাঁত পেয়ে যাবেন।
৭.পানিঃ
প্রতিবার খাবার গ্রহণের দাঁতে লেগে থাকা অবশিষ্টাংশ খাদ্য সরাতে পানি দিয়ে কুলি করুন। দাঁতের মার্জনের বিকল্প হিসেবে কাজ করে পানি।
৮.স্ট্রবেরিঃ
দাঁত মজবুত ও চকচকে রাখতে স্ট্রবেরি খাওয়া উচিত। দাঁতের হোয়াটনেস বা ব্লাশার হিসাবে কাজ করে স্ট্রবেরি। যদিও কিছুটা ব্যয়সাপেক্ষ এই পদ্ধতি কিন্তু এটা মনে রাখুন দাঁত ক্ষয় করে ডেন্টিস্টের চিকিৎসা গ্রহন করার চেয়ে এটি সহজলভ্য।
৯.পনিরঃ
দাঁতের ক্ষয়রোধের প্রধান খনিজ উপাদাণ হলো ক্যালসিয়াম। পনিরে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। দাঁতের সুস্থ্যতা রক্ষায় পনির বিশেষ করে শক্ত পনির গ্রহণ করুন।
১০.পেঁয়াজঃ
পেঁয়াজ খেয়ে মুখে দূর্গন্ধ হয় ঠিকই কিন্তু দাঁত পরিষ্কারে পেঁয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের এনামেল দূর করে দাঁত ঝকঝকে পরিষ্কার করতে পেঁয়াজ গ্রহণ করুন।
তথ্যসূত্রঃ ভিকুল
ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়েও নিজের বাসাতেই প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার দাঁত পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই ১০ টি পদ্ধতি।
১.বেকিং সোডাঃ
দাঁত পরিষ্কার করতে বেকিং সোডার তুলনা নেই। বাটিতে আধা চা চামচ টুথপেস্টের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি টুথব্রাশে লাগিয়ে ব্রাশ করলেই দাঁত ঝকঝকে হয়ে যাবে। আর দেরী কেন? পরিষ্কার সাদা দাঁত পেতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
২.ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশঃ
ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে সবচেয়ে সহজ উপায়ের একটি হচ্ছে ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা। দাঁতের বিবর্ণ অংশ এনামেল দূর করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার সবচেয়ে ফলপ্রসু।
৩.খাবার গ্রহণের পর ব্রাশ করাঃ
প্রতিবার খাবার গ্রহণের পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত রোগমুক্ত এবং ঝকঝকে থাকে।
৪.লেবুঃ
লেবুর রস দাঁতে লাগালে এনামেল দূর হয়ে দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়। অনেকে অবশ্য লেবুর রস এবং লবণ মিক্সড করে ব্যবহার করে।
৫.পারঅক্সাইডঃ
দাঁতের রঙ ময়লা হওয়ার অন্যতম কারণ খাদ্যকণা ও জীবাণু। খাবারের কালশিটে দাগ ও জীবানুমুক্ত করার জন্য দাঁত ব্রাশ করার পর পারঅক্সাইড দিয়ে কুলি করুন। তাতে দাঁত ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে।
৬.আপেলঃ
৭.পানিঃ
প্রতিবার খাবার গ্রহণের দাঁতে লেগে থাকা অবশিষ্টাংশ খাদ্য সরাতে পানি দিয়ে কুলি করুন। দাঁতের মার্জনের বিকল্প হিসেবে কাজ করে পানি।
৮.স্ট্রবেরিঃ
দাঁত মজবুত ও চকচকে রাখতে স্ট্রবেরি খাওয়া উচিত। দাঁতের হোয়াটনেস বা ব্লাশার হিসাবে কাজ করে স্ট্রবেরি। যদিও কিছুটা ব্যয়সাপেক্ষ এই পদ্ধতি কিন্তু এটা মনে রাখুন দাঁত ক্ষয় করে ডেন্টিস্টের চিকিৎসা গ্রহন করার চেয়ে এটি সহজলভ্য।
৯.পনিরঃ
দাঁতের ক্ষয়রোধের প্রধান খনিজ উপাদাণ হলো ক্যালসিয়াম। পনিরে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। দাঁতের সুস্থ্যতা রক্ষায় পনির বিশেষ করে শক্ত পনির গ্রহণ করুন।
১০.পেঁয়াজঃ
পেঁয়াজ খেয়ে মুখে দূর্গন্ধ হয় ঠিকই কিন্তু দাঁত পরিষ্কারে পেঁয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের এনামেল দূর করে দাঁত ঝকঝকে পরিষ্কার করতে পেঁয়াজ গ্রহণ করুন।
তথ্যসূত্রঃ ভিকুল
তোতলামো, হামজ্বর ও এলার্জি প্রতিরোধে হলুদ বড়ই উপকারী
হলুদ স্বাস্থ্য সচেতনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। হলুদের বহুবিধ গুণাগুণ রয়েছে। আজ হলুদের গুণাগুণ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
প্রতিদিনের রান্নায় হলুদের ব্যবহার অন্তহীন। খাবারকে বর্ণময় করে আকর্ষণীয় করার জন্যই হলুদ মূলত ব্যবহার হয়। তবে এর স্বাস্থ্যগত উপকারীতাও অনেক।
হলুদ পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করলে শিশুরা চর্মরোগে আক্রান্ত হয় না। এ কারণে গ্রামাঞ্চলের মায়েরা মাঝে মধ্যেই শিশুদের তেল-হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে থাকেন। শিশুদের কৃমি বিনাসের জন্য হলুদের ওষুধ দিয়ে থাকেন ভেশজবীদরা।
# কাঁচা হলুদের রস বয়স অনুপাতে প্রযোজ্য পরিমাণে (সর্বোচ্চ ২০ ফোটা) লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কৃমি বিনষ্ট হয়।
# শিশুদের তোতলামি কাটিয়ে ওঠার জন্য হলুদ খাওয়ানো হয়। কথা বলতে গিয়ে আটকে গেলে কিন্বা তোতলামো থাকলে হলুদের গুড়া গাওয়া ঘি-এ ভেজে চেটে চেটে খেতে হয়। তবে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। ২/৩ গ্রাম হলুদ এক চা চামচ আন্দাজ ঘি-এর সঙ্গে ভাজতে হবে।
# হামজ্বর হলে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুড়ো করে উস্তা পাতার রস ও অল্প মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হয়। এতে হামজ্বর দ্রুত সেরে যায়।
# চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস কিন্বা হাসের ডিম খেলে অনেকের শরীরে এলার্জি দেখা দেয়। শরীরের একাধিক অংশ চাকা হয়ে ফুটে ওঠে। এক্ষেত্রে নিম পাতার গুড়ার সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণে কাঁচা হলুদের গুড়া এবং তিন গুণ পরিমাণ আমলকির গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে চা চামচ পরিমাণ প্রতিদিন খেতে হয়। তবে প্রায় ১৫ দিন খালি পেটে খেতে হবে। এতে এলার্জি কমে যাবে ৯০ ভাগ। তবে এলার্জি যদি না কমে তাতে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না।
# একটি পরিবারে চোখ ওঠা শুরু হলে পর্যায়ক্রমে সকলেরই চোখ ওঠে। এতে হলুদ দিয়ে খুব সহজেই এই রোগের চিকিৎসা করা যায়। হলুদ থেতলে সেই রস নিয়ে পানিতে মেশাতে হয়। তারপর সেই পানি পরিষ্কার রুমাল ভিজিয়ে নিয়ে চোখ মুছতে হয়। তাতে দ্রুত চোখ ওঠা সেরে যায় এবং চোখের লাল ভাবও কেটে যায়।
# জোঁক ধরলে বা শরীরের কোন স্থানে হাড় মচকে গেলে হলুদ বাটা কিন্বা হলুদ গুড়া দিতে হয়। মচকানো স্থানে হলুদ এবং লবণ মিশিয়ে দিলে মচকানো ব্যথা দ্রুত কেটে যায়।
# রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার রয়েছে। কাঁচা হলুদের রস খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা বেটে মুখে লাগালে ব্রণ সারে এবং মুখের স্ক্রীণ ভালো থাকে।
প্রতিদিনের রান্নায় হলুদের ব্যবহার অন্তহীন। খাবারকে বর্ণময় করে আকর্ষণীয় করার জন্যই হলুদ মূলত ব্যবহার হয়। তবে এর স্বাস্থ্যগত উপকারীতাও অনেক।
হলুদ পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করলে শিশুরা চর্মরোগে আক্রান্ত হয় না। এ কারণে গ্রামাঞ্চলের মায়েরা মাঝে মধ্যেই শিশুদের তেল-হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে থাকেন। শিশুদের কৃমি বিনাসের জন্য হলুদের ওষুধ দিয়ে থাকেন ভেশজবীদরা।
# কাঁচা হলুদের রস বয়স অনুপাতে প্রযোজ্য পরিমাণে (সর্বোচ্চ ২০ ফোটা) লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কৃমি বিনষ্ট হয়।
# শিশুদের তোতলামি কাটিয়ে ওঠার জন্য হলুদ খাওয়ানো হয়। কথা বলতে গিয়ে আটকে গেলে কিন্বা তোতলামো থাকলে হলুদের গুড়া গাওয়া ঘি-এ ভেজে চেটে চেটে খেতে হয়। তবে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। ২/৩ গ্রাম হলুদ এক চা চামচ আন্দাজ ঘি-এর সঙ্গে ভাজতে হবে।
# হামজ্বর হলে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুড়ো করে উস্তা পাতার রস ও অল্প মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হয়। এতে হামজ্বর দ্রুত সেরে যায়।
# চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস কিন্বা হাসের ডিম খেলে অনেকের শরীরে এলার্জি দেখা দেয়। শরীরের একাধিক অংশ চাকা হয়ে ফুটে ওঠে। এক্ষেত্রে নিম পাতার গুড়ার সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণে কাঁচা হলুদের গুড়া এবং তিন গুণ পরিমাণ আমলকির গুড়া একসঙ্গে মিশিয়ে চা চামচ পরিমাণ প্রতিদিন খেতে হয়। তবে প্রায় ১৫ দিন খালি পেটে খেতে হবে। এতে এলার্জি কমে যাবে ৯০ ভাগ। তবে এলার্জি যদি না কমে তাতে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না।
# একটি পরিবারে চোখ ওঠা শুরু হলে পর্যায়ক্রমে সকলেরই চোখ ওঠে। এতে হলুদ দিয়ে খুব সহজেই এই রোগের চিকিৎসা করা যায়। হলুদ থেতলে সেই রস নিয়ে পানিতে মেশাতে হয়। তারপর সেই পানি পরিষ্কার রুমাল ভিজিয়ে নিয়ে চোখ মুছতে হয়। তাতে দ্রুত চোখ ওঠা সেরে যায় এবং চোখের লাল ভাবও কেটে যায়।
# জোঁক ধরলে বা শরীরের কোন স্থানে হাড় মচকে গেলে হলুদ বাটা কিন্বা হলুদ গুড়া দিতে হয়। মচকানো স্থানে হলুদ এবং লবণ মিশিয়ে দিলে মচকানো ব্যথা দ্রুত কেটে যায়।
# রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার রয়েছে। কাঁচা হলুদের রস খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা বেটে মুখে লাগালে ব্রণ সারে এবং মুখের স্ক্রীণ ভালো থাকে।
চোখ, চুল ও মুখের রোগসহ নানা উপকার করে লবণ
চোখ, চুল ও মুখের রোগসহ নানা ধরনের রোগে উপকার পাওয়া যায় লবণ। তবে অবশ্যই লবণ ব্যবহার করতে হবে পরিমিতভাবে। আসুন কিভাবে এই লবণ থেকে উপকার পাওয়া যাবে সে বিষয়ে যেনে নিই।
লবণ রক্তে ও শরীরের তরল রসের ঘন হয়ে যাওয়া বা দানা বাধা রোধ করে। সেগুলোকে তরল বা দ্রবণীয় অবস্থায় রাখে। ব্রেণে ও স্নায়ুতে বেশি জলীয় বা তরল পদার্থ জমা হতে দেয় না। শরীরের যেসব পদার্থের উপর জীবনি শক্তি নির্ভর করে সেই সব নানা রকমের রস নি:স্মরণ করে।
প্রয়োজনের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। অনেক দিন ধরে বেশি লবণ দেওয়া খাবার খেয়ে থাকলে মাঝে মাঝে খাদ্যদ্রব্য একেবারে লবণ বাদ দিলে ভালো হয়। এভাবে মাঝে মাঝে লবণ উপবাস করলে শরীরে অনেক উপকার হয়। শরীর ফুলে ওঠা বেরি বেরি, অর্শ্ব, হাঁপানি, রক্তের চাপ প্রভৃতি অসুখে লবণ খাওয়া বারণ বা খুবই অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। তরকারি, ডাল ইত্যাদি কম লবণ দিয়ে রান্না করতে হয়। পাতে আলাদা করে লবণ খাওয়া একেবারেই অনুচিত।
প্রয়োজনের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। অনেক দিন ধরে বেশি লবণ দেওয়া খাবার খেয়ে থাকলে মাঝে মাঝে খাদ্যদ্রব্য একেবারে লবণ বাদ দিলে ভালো হয়। এভাবে মাঝে মাঝে লবণ উপবাস করলে শরীরে অনেক উপকার হয়। শরীর ফুলে ওঠা বেরি বেরি, অর্শ্ব, হাঁপানি, রক্তের চাপ প্রভৃতি অসুখে লবণ খাওয়া বারণ বা খুবই অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। তরকারি, ডাল ইত্যাদি কম লবণ দিয়ে রান্না করতে হয়। পাতে আলাদা করে লবণ খাওয়া একেবারেই অনুচিত।
খাওয়া দাওয়ায় লবণের গুণ ও প্রয়োগ:
# বিষাক্ত পোকা-মাকড়ে, হাত পুড়ে যাওয়া, ক্ষতে ও রক্তপাতে লবণ লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
# চোখ, চুল ও মুখের রোগে এবং হাত-পা ফাটলে লবণ পানিতে প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
# শরীরে লবণের অভাব হলে নানা অসুখ এমনকি কৃমি পর্যন্ত হতে পারে।
# কোন কারণে পেটে বিষ চলে গেলে শরীরের প্রকৃতি অনুসারে এক চা চামচ, চার ভাগের এক ভাগ অথবা আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে পানি খাওয়ায়ে বমি করালে বিষ বেরিয়ে যায়। কিন্বা ১৫/২০ মিনিট পর মলাবেগ আসে এবং মলের সঙ্গে বিশ বেরিয়ে যায়।
# পানিতে লবণ মিশিয়ে ফুটিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
# লবণ শুকনা তাওয়ায় লাল হওয়া পর্যন্ত সেকে নিয়ে হালকা গরম পানি মিশিয়ে খেলে (অল্প পরিমাণ) বদ হজম, উদরাবাত, আমজ্বর, কফজ্বর আর বিষ্মজ্বর ও ঠাণ্ডা লেগে যে জ্বর হয় সে জ্বরে উপকার হয়।
# সবার আগে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে খেলে অন্ত্র পরিষ্কার হয়, কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর হয় এবং শৌচশুদ্ধি হয়। পুরনো কৌষ্ঠকাঠিণ্যও সেরে যায়।
# সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুদিন ধরে লবণ মেশানো পানি খেলে পেটের ভেতরের ছোট ছোট কৃমি বেরিয়ে যায়, নতুন কৃমি জন্মায় না। পাঁচন ক্রিয়া (হজম) ভালো হয়।
# বিষাক্ত পোকা-মাকড়ে, হাত পুড়ে যাওয়া, ক্ষতে ও রক্তপাতে লবণ লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
# চোখ, চুল ও মুখের রোগে এবং হাত-পা ফাটলে লবণ পানিতে প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
# শরীরে লবণের অভাব হলে নানা অসুখ এমনকি কৃমি পর্যন্ত হতে পারে।
# কোন কারণে পেটে বিষ চলে গেলে শরীরের প্রকৃতি অনুসারে এক চা চামচ, চার ভাগের এক ভাগ অথবা আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে পানি খাওয়ায়ে বমি করালে বিষ বেরিয়ে যায়। কিন্বা ১৫/২০ মিনিট পর মলাবেগ আসে এবং মলের সঙ্গে বিশ বেরিয়ে যায়।
# পানিতে লবণ মিশিয়ে ফুটিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
# লবণ শুকনা তাওয়ায় লাল হওয়া পর্যন্ত সেকে নিয়ে হালকা গরম পানি মিশিয়ে খেলে (অল্প পরিমাণ) বদ হজম, উদরাবাত, আমজ্বর, কফজ্বর আর বিষ্মজ্বর ও ঠাণ্ডা লেগে যে জ্বর হয় সে জ্বরে উপকার হয়।
# সবার আগে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে খেলে অন্ত্র পরিষ্কার হয়, কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর হয় এবং শৌচশুদ্ধি হয়। পুরনো কৌষ্ঠকাঠিণ্যও সেরে যায়।
# সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুদিন ধরে লবণ মেশানো পানি খেলে পেটের ভেতরের ছোট ছোট কৃমি বেরিয়ে যায়, নতুন কৃমি জন্মায় না। পাঁচন ক্রিয়া (হজম) ভালো হয়।
সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন এই ফেসপ্যাকটি, যৌবন ধরে রাখুন আজীবন!
সৌন্দর্যের দিক থেকে জাপানিজ নারীরা সবসময়েই অনবদ্য। বিশেষ করে তাঁদের ঝলমলে চুল এবং নিখুঁত ত্বকের কারণে। এমন অনেক জাপানিজ চিত্রনায়িকা ও মডেলরা আছেন যাঁদের সত্যিকারের বয়স অনেক বেশি, কিন্তু দেখলে মনে হয় এখনও তরুণী! বিশ্বজুড়েই জাপানিজ নারীদের এই চিরতারুণ্য একটা রহস্যের বিষয় বৈকি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাঁদের এই তারুণ্যের পেছনে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি কাজ করে তা হল ‘ভাত’। কি, অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, জাপানিজদের বয়স ধরে রাখে ভাতের তৈরি একটি ফেস প্যাক। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই জাদুকরী ফেসপ্যাকটির কথা।
উপকরণ:
৩ টেবিল চামচ ভাত
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ গরম দুধ
যেভাবে তৈরি করবেন:
-চাল সিদ্ধ করুন। অর্থাৎ ভাত রান্না করুন। এবার চাল থেকে পানি আলাদা করে ফেলুন বা মাড় ফেলে দিন।
-গরম ভাত চটকে নিন, নাহলে পরে শক্ত হয়ে যাবে। এর সাথে হালকা গরম বা উষ্ণ দুধ এবং মধু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন :
-প্রথমে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে কোন হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
-মুখ শুকিয়ে গেলে ভাতের প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে ভাল করে লাগান।
-প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ভাত সিদ্ধ পানি বা মাড় দিয়ে মুখ ও ঘাড় ধুয়ে ফেলুন।
-সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
যেভাবে কাজ করে:
ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ত্বককে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে থাকে ও তারুণ্য ধরে রাখে। তার সাথে সাথে সানবার্নও প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে লিনোলিক এসিড যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ভাতের মাড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা ত্বকের পানির পরিমাণ বজায় রাখার পাশপাশি রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
মাত্র দুই সপ্তাহে ত্বকের রঙ ফর্সা করবে ঘরে তৈরি এই ক্রিমটি!
ত্বকের রং উজ্জ্বল করার জন্য আমাদের কত শত চেষ্টা। এর জন্য কত দামী দামী রং ফর্সাকারী ক্রিম, লোশন ব্যবহার করে থাকি আমরা অনেকেই। আবার অনেকে স্কিন ট্রিটমেন্টও করিয়ে থাকি। ব্লিচিং, হোয়াটিং ট্রিটমেন্ট সাময়িকভাবে আপনার ত্বক উজ্জ্বল করলেও, স্থায়ীভাবে এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। তাই রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করার চেয়ে ঘরে তৈরি করা ক্রিম ব্যবহার করা অনেক বেশি নিরাপদ। ত্বকের রঙ যদি ফর্সা করতেই চান, তাহলে ঘরেি তৈরি করে ফেলতে পারেন রং ফর্সাকরী নাইট ক্রিম খুব সহজে। আসুন, আজ জেনে নিই বাজারের মত স্কিন হোয়াটিং নাইট ক্রিম তৈরি করার পদ্ধতি।
যা যা লাগবে
১/৪ কাপ কাঠ বাদাম
১/৪ কাপ টক দই ( ক্রিমী)
২ টেবিল চামচ কাঁচা লেবুর রস
এক চিমটি হলুদের গুঁড়া
১/২ চা চামচ চন্দনের গুঁড়া
১ চিমটি জাফরন
যেভাবে তৈরি করবেন
-বাদাম সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে পিষে পেষ্ট করে নিন।
-এখন বাদামের পেষ্ট, টক দই, লেবুর রস, হলুদের গুঁড়া, চন্দনের গুঁড়া, জাফরান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। খুব ভাল করে উপাদানগুলো মেশান যেন দানা দানা না থাকে।
-কাঁচা লেবুর রসের পরিবর্তে আপনি পাকা লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন।
-হলুদের গুঁড়া ব্যবহারে আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তবে আপনি হলুদ বাদ দিতে পারেন।
-ক্রিমটি তৈরি করার পর ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন। সাথে সাথে ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহারের আগে কমপক্ষে এক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
-এক সপ্তাহের বেশি এটি সংরক্ষণ করবেন না।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
-ঘুমাতে যাবার আগে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে।
-প্রথমে হালকা কোন ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে দুধ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।
-মুখ ধোয়ার পর ক্রিমটি হাতে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করে মুখে লাগান। ক্রিমটি যেন ভাল করে মুখের সাথে মিশে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। ক্রিমটি মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
-সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের কালো দাগ, ব্রণের দাগ , ব্ল্যাক হেডেস দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
-প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন। দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
সপ্তাহে মাত্র ১ বার করুন এই কাজটি আর চির বিদায় বলুন ব্ল্যাকহেডসকে
ব্ল্যাকহেডস কখনোই হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। মূলত ব্ল্যাকহেডস লোমকূপের নিচে থাকে। পরে এটি ব্রণ আকারে আত্নপ্রকাশ করে। শুরুতে ব্ল্যাকহেডসের প্রতিকার করা না হলে আপনার ত্বকে ব্রণ দিয়ে ভরে যেতে পারে। ত্বক ঠিকমত পরিষ্কার করা না হলে ত্বকের লোমকুপের গোঁড়ায় ময়লা জমে যায়, আর যার থেকেই সৃষ্টি হয় ব্ল্যাকহেডসের। এই ব্ল্যাকহেডসকে বিদায় বলুন সহজ একটি উপায়ে।
যা যা লাগবে-
মিন্ট টুথপেষ্ট
লবণ বা বেকিং সোডা
বরফের টুকরো
যা করবেন-
-প্রথমে একটি পাত্রে মিন্ট টুথপেষ্ট নিন।
-এবার তার সাথে লবণ মেশান।
-টুথপেষ্ট এবং লবণ সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
-মুখটা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এবার ভেজা মুখে প্যাকটি লাগান, বিশেষ করে নাক, চিবুক যে স্থানগুলোতে ব্ল্যাকহেডস বেশি হয়ে থাকে। এবার ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
-হয়তো এটি কিছুক্ষণের জন্য জ্বালা পোড়া করতে পারে, তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য। অল্প কিছুক্ষণ পর এটি চলে যাবে। (খুব বেশী জ্বালা পোড়া করলে ব্যবহার করবেন না)
-৫ মিনিট পর প্যাক মুখে বসে গেলে ভেজা আঙুল দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন। ত্বকে ম্যাসাজ করার জন্য দুই আঙুল ব্যবহার করুন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। খুব জোড়ে ম্যাসাজ করবেন না যেন ত্বকের ক্ষতি না হয়।
– তারপর কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সব শেষে বরফের টুকরা দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করে ফেলুন। এটি ত্বকের খোলা লোমকূপগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সাথে সাথে ত্বকের ময়লাও দূর করে থাকবে।
টিপস:
-এই প্যাকটি চোখের কাছাকাছি জায়গাগুলোতে লাগাবেন না।
-অনেকের নাক বা চিবুকের ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, এতে ভয় পাবেন না। এটি সাময়িক।
-অবশ্যই এটি ব্যবহার করার পর বরফ দিয়ে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দিবেন।
-সপ্তাহে একবার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ব্ল্যাকহেডস দূর করে দিবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
ডেন্টিস্ট ছাড়াই দূর করুন দাঁতের টার্টার
পিরিওডোনটাইটিস কী
পিরিওডোনটাইটিস হলে দাঁতের মাড়ির টিস্যুতে প্রদাহ হয়। ফলে মাড়ি সংকোচিত হয়ে অকালে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন নিয়মিত দাঁতে জমা টার্টার পরিষ্কার করা। টার্টার দূর করার প্রথম সমাধান হলো ডেন্টিস্ট। তবে আপনি চাইলে বাড়িতে বসেও এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
টার্টার পরিষ্কার করতে যা লাগবে
• বেকিং সোডা
• ডেন্টাল পিক
• লবণ
• হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড
• পানি
• টুথব্রাশ
• কাপ
• অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ
টার্টার দূর করতে সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকরী উপাদান হচ্ছে বেকিং সোডা। আসুন এবার জেনে নিই টার্টার দূর করার পদ্ধতি।
প্রথম ধাপ
কাপে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ১/২ চা চামচ লবণ মেশান। এবার গরম পানিতে টুথব্রাশ ভিজিয়ে বেকিং সোডা ও লবণের মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। সবশেষে কুলকুচি করে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
এক কাপ হাইড্রোজেন পেরোক্সাইডের সঙ্গে ১/২ কাপ হালকা গরম পানি মেশান। এই পানি মুখে নিয়ে এক মিনিট রাখুন। এরপর ১/২ কাপ পানি দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।
তৃতীয় ধাপ
ডেন্টাল পিক দিয়ে দাঁতের হলুদ টার্টার ধীরে ধীরে ঘষে তুলুন। মাড়ির ক্ষতি এড়াতে ডেন্টাল পিক ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
চতুর্থ ধাপ
অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করুন।
ঝকঝকে সাদা হাসির জন্য আরও কয়েকটি টিপস-
স্ট্রবেরি ও টমেটো
ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ বলে স্ট্রবেরি ও টমেটো দাঁতের জন্য ভালো। টার্টার পরিষ্কার করতে স্ট্রবেরি বা টমেটো দাঁতে ঘষে পাঁচ মিনিট রাখুন। এতে টার্টার নরম হবে। এবার বেকিং সোডা মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। স্ট্রবেরি বা টমেটো ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম, লেবু, পেঁপে ও কমলালেবু ব্যবহার করা যাবে।
পনির
খাওয়ার আগে পনির খেয়ে নিতে পারেন। পনির খাবারের এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় যা টার্টার তৈরির মূল উপাদান।
জেনে রাখা ভালো
• দাঁত পরিষ্কারের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশের সময় ওপর-নিচ ব্রাশ করুন। খেয়াল রাখুন মাড়ি ও দাঁতের মধ্যবর্তী অংশ যেন পরিষ্কার হয়।
• ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
• মরিচ জাতীয় খাবার লালা নিঃসরণে সাহায্য করে। যা প্রাকৃতিকভাবে মুখ পরিষ্কার করে।
• ব্যাকটেরিয়া দূর করতে রাতে শোয়ার আগে কমলার খোসা দাঁতে ঘষে নিন। সকালবেলা ব্রাশ করে ফেলুন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বিছানাই ঘুম থেকে তুলে দেবে আপনাকে ! (ভিডিও)
সকালে ঘুম থেকে ওঠা প্রায় অসম্ভব কাজের একটি। অলস মানুষের কাছে এমনটাই মনে হয়। আবার অনেক পরিশ্রমী মানুষও সকালে সহজে ঘুম থেক উঠতে পারেন না। এদের জন্যে ঘড়ির শক্তিশালী অ্যালার্মও কোনো কাজ দেয় না। তাহলে সমাধান? একেবারে অব্যর্থ সমাধান দিয়েছে কলিন ফার্জ।
কলিনের নিজেরও একই সমস্যা। তিনি ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। এ জন্যে জীবনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু আর না। বিছানা ছেড়ে উঠতে না চাইলেও বিছানা আপনাকে ঠিকই ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কারণ তিনি বানিয়েছেন ‘হাই ভোল্টেজ ইজেকটর বেড’। এটি বেল, ট্রাম্পেট এবং গাড়ির হর্নের আওয়াজ তো বাজাবেই, সেই সঙ্গে আপনাকে সরাসরি বিছানা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে।
এটি বানাতে ফার্জ বিছানার ফ্রেমের সঙ্গে হিঞ্জ বসিয়েছেন। এর মাধ্যমে বিছানার ফ্রেম ও ম্যাট্রেস এক লাফে ওপরের দিকে উঠে যাবে। এ কাজে শক্তি জোগাতে পিস্টন বসিয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়ের শক্তি জোগাতে শক্তিশালী এয়ার কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে। এই শক্তির মাত্রা কম-বেশি করার ব্যবস্থা রয়েছে। বিছানাটি কত জোরে আপনাকে ছুড়ে দেবে এবং আপনি কত দূরে পড়তে চান তার ওপর নির্ভর করে কম্প্রেসারের শক্তি নির্ধারণ করবেন।
মূলত কফি কম্পানি টেইলর অব হ্যারোগেট-এর একটি ক্যাম্পেইনে মজার অংশ হিসেবে এই বিছানাটি বানিয়েছেন তিনি। কফিল ব্লেন্ড ‘হাই ভোল্টেজ’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিছানাটি বানানো হয়েছে।
কলিনের নিজেরও একই সমস্যা। তিনি ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। এ জন্যে জীবনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু আর না। বিছানা ছেড়ে উঠতে না চাইলেও বিছানা আপনাকে ঠিকই ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কারণ তিনি বানিয়েছেন ‘হাই ভোল্টেজ ইজেকটর বেড’। এটি বেল, ট্রাম্পেট এবং গাড়ির হর্নের আওয়াজ তো বাজাবেই, সেই সঙ্গে আপনাকে সরাসরি বিছানা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে।
এটি বানাতে ফার্জ বিছানার ফ্রেমের সঙ্গে হিঞ্জ বসিয়েছেন। এর মাধ্যমে বিছানার ফ্রেম ও ম্যাট্রেস এক লাফে ওপরের দিকে উঠে যাবে। এ কাজে শক্তি জোগাতে পিস্টন বসিয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়ের শক্তি জোগাতে শক্তিশালী এয়ার কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে। এই শক্তির মাত্রা কম-বেশি করার ব্যবস্থা রয়েছে। বিছানাটি কত জোরে আপনাকে ছুড়ে দেবে এবং আপনি কত দূরে পড়তে চান তার ওপর নির্ভর করে কম্প্রেসারের শক্তি নির্ধারণ করবেন।
মূলত কফি কম্পানি টেইলর অব হ্যারোগেট-এর একটি ক্যাম্পেইনে মজার অংশ হিসেবে এই বিছানাটি বানিয়েছেন তিনি। কফিল ব্লেন্ড ‘হাই ভোল্টেজ’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিছানাটি বানানো হয়েছে।
কি ভাবে সারিয়ে তুলবেন ব্রণের ক্ষত?
ব্রণ ত্বকের একটি পরিচিত সমস্যা। পরিছি ছেলে মেয়ে উভয়ের একটি বয়স সীমা পয়ার হবার পরে মুখে ছোট ছোট ব্রণ উঠে। আর এই সমস্যাটির সাথে যুদ্ধ করেন নি এমন মানুষ কমই আছে। ব্রন যেকোন বয়সের মানুষের ত্বকেই দেখা দিয়ে থাকে বিশেষ করে টিনএজারদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
এরপর হয়তো একটি সময় ব্রন সমস্যা রোধ হয় কিন্তু পুরোপুরি রোধ হয় না। তৈলাক্ত ত্বকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রন হতে দেখা যায়।ব্রন স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে থাকে কিন্তু সবচেয়ে বেশি খারাপ তখনই লাগে যখন ব্রণের ক্ষত দাগ আমদের ত্বকে রিয়ে যায় যাকে মূলত একনে স্কার বলা হয়।
ব্রন হাত দিয়ে খুঁটলে এমন দাগ দেখা দেয় ত্বকে। আর এই ক্ষত দাগগুলোকে ত্বক হতে খুব সহজে রোধ করা যায় না। কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে এই দাগগুলো সারিয়ে তোলা যায় কিন্তু এটি অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই চলুন জেনে নিই ব্রণের ক্ষত দাগ সারাতে কী করবেন।
আলুর রস
নানা ধরণের পুষ্টি ও মিনারেলে ভরপুর সবজি হল আলু। আর এই আলু আমাদের দেহ ও ত্বক উভয়ের জন্যই ভালো। ত্বক থেকে ব্রণের ক্ষত দাগ সারাতে আলুর জুস ব্যবহার করুন। একটি আলু নিয়ে কেটে স্লাইস করে নিন তারপর সরাসরি ত্বকের ক্ষত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।
এছাড়াও আলু কেটে ব্লেন্ড করে তা থেকে রস নিয়ে ত্বকে ম্যাসেজ করতে পারেন এবং আরও ভালো ফল পেতে আলুর রস ত্বকে দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এইভাবে ত্বকে আলুর রস ব্যবহার করুন।
চিনি দিয়ে স্ক্রাব
যাঁদের ত্বকে ব্রনের অনেক ক্ষত দাগ রয়েছে তারা চিনি ব্যবহার করতে পারেন দাগ রোধ করতে। কারণ চিনিতে আছে গ্লাইকলিক এসিড( glycolic acid) ও AHA উপাদান যা ত্বকের মৃত কোষ রোধ করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে তাতে সামান্য অলিভ ওয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
তারপর ত্বকে ম্যাসেজ করুন। ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২/৩ বার ত্বকে চিনির এই পেস্ট ব্যবহার করুন। কিন্তু ত্বক পরিষ্কার করে ফেলার পর ময়শ্চার লাগাতে ভুলবেন না।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ত্বকে ব্রণের ক্ষত রোধ করতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্রণের ক্ষত দাগা সারাতে খুব ভালো কাজ করে। প্রতিদিন ময়শ্চারাইযার হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে ব্যবহার করুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের ক্ষত দাগ তো রোধ করেই সাথে ব্রণও রোধ করে।
কালোজিরার নানান গুন
মসলাপাতি রান্নায় যেমন অপরিহার্য, তেমনি ভেষজে অনন্য। বিভিন্ন মসলার ভেষজ গুণ বিভিন্ন। এগুলো জেনে ব্যবহার করলে অনেক প্রকার রোগের হাত থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়। তেমনি কালোজিরা; বরং এটি মসলা কেন, সব ভেষজের সেরা। ইসলামি মতে, কালোজিরায় মৃত্যু ছাড়া সব রোগের উপশম রয়েছে। তাই কালোজিরাকে মসলার সাথে সাথে ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করে অল্প পয়সায় অনেক বেশি উপকার লাভ করা যায়।
কালোজিরা গুণে তিক্তরসধারী, উগ্র সুগন্ধযুক্ত, ক্ষুধা বৃদ্ধিকারক, পেটের বায়ুনাশক ও মূত্রকারক। এটি উদরি বা ফুসফুসজনিত রোগে উপকারী। এ ছাড়া কৃমির উপদ্রব নিবারণের জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়। কেউ কেউ কাশি ও জন্ডিসে এটি সেবনের কথা বলেন। ইউনানি মতে, এটি বিরেচক ও অর্শ্বে হিতকর। তা ছাড়া প্রসূতীর দুধ বাড়ায় এটির ব্যবহার রয়েছে। এর ব্যবহারবিধি নিচে দেয়া হলো :
১.স্তন্যস্বল্পতা : পেটে আমদোষ থাকলে অথবা শরীরের রসধাতু শুকাতে থাকলে স্তন্য কমে যায়। এ সময় কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে ওই মাত্রায় সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।
২.মাসিক ঋতু : যেসব মহিলা অনিয়মিত অথবা স্বল্প অথবা অধিক স্রাবের জন্য কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাদের ঋতু হওয়ার পাঁচ-সাত দিন আগে থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে সামান্য গরম এমন পানিসহ সকালে ও বিকেলে খেতে হয়। তার পরও অসুবিধা থেকে গেলে পরপর ২-৩ মাস ওভাবে খেতে হবে।
৩.বাধক দোষ : এ দোষ হলে মেয়েরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, কেউবা আত্মসুখে তৎপর থাকে, কেউবা শূচীবায়ুগ্রস্ত হয়, কারো কারো দেহটা স্থূল হয়ে যায় আবার কখনো বা তা হয় না। আবার সবাই যে শুকিয়ে যাবে, তাও নয়। কিন্তু মনের ওপর এ রোগের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এর ফলে কেউ কেউ কামজ উন্মাদ রোগেও আক্রান্ত হয়। আবার এ দোষে কোনো কোনো মহিলা জননগ্রন্থির ক্রিয়াশক্তি হারিয়ে ফেলে। সেই সাথে আরো অনেক উপসর্গ এসে জোটে। এ ক্ষেত্রে কালোজিরা সামান্য ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে সকালে ও সন্ধ্যায় ৭৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় খেতে হয় এবং তা মাসিকেও খেতে হবে। এভাবে ২-৩ মাস খেলে রোগের উপশম হবে।
৪.গর্ভাশয়ের দ্বার সঙ্কোচন : প্রসবের পর কালোজিরার ক্বাথ খেলে গর্ভাশয়ের দ্বার সঙ্কুচিত হয় এবং সেই সাথে স্তন্য বাড়ে।
৫.কক্টরজ ও ঋতুরোধ : অল্প মাত্রায় কালোজিরা মেয়েদের ঋতুস্রাব বাড়ায়, কষ্টরজ ও ঋতুরোধ অসুখ সারায়। তবে বেশি মাত্রায় খেলে গর্ভস্রাব হয়।
৬.মাথায় যন্ত্রণা : কাঁচা সর্দি হয়ে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কালোজিরা পুঁটলিতে বেঁধে শুঁকতে হবে। তবে পুঁটলিতে নেয়ার আগে তা রগড়ে নিতে হবে। তাতে গন্ধ বের হয় এবং উপকার হয়। তা ছাড়া সির্কাতে ভিজিয়ে শুঁকলেও মাথাব্যথা সারে।
৭.মাথায় সর্দি বসা (শ্লেষ্মা বসে যাওয়া) : এ অবস্থায় কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে ও মিহি গুঁড়োর নস্যি নিলে উপকার হয়।
৮.নতুন সর্দি : এ অবস্থায় কালোজিরার নস্যি নিলে উপকার মেলে।
৯.চুলকানি : কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানিতে উপকার হয়। এতে ১০০ গ্রাম সরষের তেলে ২৫-৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সে তেল ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
১০.বিছের হুলের জ্বালা : কালোজিরা বেটে তা লাগিয়ে দিলে অল্প সময় পরই হুলের জ্বালা কমে যায়।
১১.গলা ফোলা : সর্দি-কাসির দোষে গ্লান্ড ফুলেছে, সে ক্ষেত্রে কালোজিরা, চাল পোড়া, মুসাববর সমান পরিমাণে নিয়ে বেটে প্রলেপ দিলে এক দিনের মধ্যে ফোলা ও ব্যথা উভয়ই উপশম হয়।
১২.শোথ : পানিতে কালোজিরা বেটে প্রলেপ দিলে হাত-পা ফোলাসহ সব শোথ কমে।
১৩.দাঁতের ব্যথা : গরম পানিতে কালোজিরা নিয়ে তা দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথার উপশম হয়।
১৪.দাদ : কালোজিরা বেটে প্রলেপ দিলে এসবে উপকার হয়। তা ছাড়া ওপরে উল্লিখিত চুলকানির নিয়মে দিলে আরো ভালো হয়।
১৫.ধবল : কালোজিরা বেটে প্রলেপ দিলে এসবে উপকার হয়। তা ছাড়া ওপরে উল্লেখিত চুলকানির নিয়মে দিলে আরো ভালো হয়।
১৬.নতুন চুল গজানো : কালোজিরা বেটে নিয়ে মাথায় অনেক দিন ধরে মালিশ করলে নতুন চুল গজায়।
১৭.লাবণ্য : ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে মুখ উজ্জ্বল হয় ও রং ফর্সা হয়।
১৮.সন্তান প্রসব : কালোজিরা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে সন্তানের প্রসব তাড়াতাড়ি হয়।
১৯.কৃমি : ভিনেগারে ভিজিয়ে কালোজিরা খেলে কৃমি নষ্ট হয়।
২০.স্মৃতিভ্রংশ : স্মৃতিভ্রংশ ও স্মরণশক্তির দুর্বলতায় কালোজিরা খুব কার্যকর। ৩ গ্রাম কালোজিরা ২০ মিলিলিটার বিশুদ্ধ মধুসহ চাটলে এ রোগ সারে।
কালোজিরা গুণে তিক্তরসধারী, উগ্র সুগন্ধযুক্ত, ক্ষুধা বৃদ্ধিকারক, পেটের বায়ুনাশক ও মূত্রকারক। এটি উদরি বা ফুসফুসজনিত রোগে উপকারী। এ ছাড়া কৃমির উপদ্রব নিবারণের জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়। কেউ কেউ কাশি ও জন্ডিসে এটি সেবনের কথা বলেন। ইউনানি মতে, এটি বিরেচক ও অর্শ্বে হিতকর। তা ছাড়া প্রসূতীর দুধ বাড়ায় এটির ব্যবহার রয়েছে। এর ব্যবহারবিধি নিচে দেয়া হলো :
১.স্তন্যস্বল্পতা : পেটে আমদোষ থাকলে অথবা শরীরের রসধাতু শুকাতে থাকলে স্তন্য কমে যায়। এ সময় কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে ওই মাত্রায় সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।
২.মাসিক ঋতু : যেসব মহিলা অনিয়মিত অথবা স্বল্প অথবা অধিক স্রাবের জন্য কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাদের ঋতু হওয়ার পাঁচ-সাত দিন আগে থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে সামান্য গরম এমন পানিসহ সকালে ও বিকেলে খেতে হয়। তার পরও অসুবিধা থেকে গেলে পরপর ২-৩ মাস ওভাবে খেতে হবে।
৩.বাধক দোষ : এ দোষ হলে মেয়েরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, কেউবা আত্মসুখে তৎপর থাকে, কেউবা শূচীবায়ুগ্রস্ত হয়, কারো কারো দেহটা স্থূল হয়ে যায় আবার কখনো বা তা হয় না। আবার সবাই যে শুকিয়ে যাবে, তাও নয়। কিন্তু মনের ওপর এ রোগের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এর ফলে কেউ কেউ কামজ উন্মাদ রোগেও আক্রান্ত হয়। আবার এ দোষে কোনো কোনো মহিলা জননগ্রন্থির ক্রিয়াশক্তি হারিয়ে ফেলে। সেই সাথে আরো অনেক উপসর্গ এসে জোটে। এ ক্ষেত্রে কালোজিরা সামান্য ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে সকালে ও সন্ধ্যায় ৭৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় খেতে হয় এবং তা মাসিকেও খেতে হবে। এভাবে ২-৩ মাস খেলে রোগের উপশম হবে।
৪.গর্ভাশয়ের দ্বার সঙ্কোচন : প্রসবের পর কালোজিরার ক্বাথ খেলে গর্ভাশয়ের দ্বার সঙ্কুচিত হয় এবং সেই সাথে স্তন্য বাড়ে।
৫.কক্টরজ ও ঋতুরোধ : অল্প মাত্রায় কালোজিরা মেয়েদের ঋতুস্রাব বাড়ায়, কষ্টরজ ও ঋতুরোধ অসুখ সারায়। তবে বেশি মাত্রায় খেলে গর্ভস্রাব হয়।
৬.মাথায় যন্ত্রণা : কাঁচা সর্দি হয়ে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কালোজিরা পুঁটলিতে বেঁধে শুঁকতে হবে। তবে পুঁটলিতে নেয়ার আগে তা রগড়ে নিতে হবে। তাতে গন্ধ বের হয় এবং উপকার হয়। তা ছাড়া সির্কাতে ভিজিয়ে শুঁকলেও মাথাব্যথা সারে।
৭.মাথায় সর্দি বসা (শ্লেষ্মা বসে যাওয়া) : এ অবস্থায় কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে ও মিহি গুঁড়োর নস্যি নিলে উপকার হয়।
৮.নতুন সর্দি : এ অবস্থায় কালোজিরার নস্যি নিলে উপকার মেলে।
৯.চুলকানি : কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানিতে উপকার হয়। এতে ১০০ গ্রাম সরষের তেলে ২৫-৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সে তেল ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
১০.বিছের হুলের জ্বালা : কালোজিরা বেটে তা লাগিয়ে দিলে অল্প সময় পরই হুলের জ্বালা কমে যায়।
১১.গলা ফোলা : সর্দি-কাসির দোষে গ্লান্ড ফুলেছে, সে ক্ষেত্রে কালোজিরা, চাল পোড়া, মুসাববর সমান পরিমাণে নিয়ে বেটে প্রলেপ দিলে এক দিনের মধ্যে ফোলা ও ব্যথা উভয়ই উপশম হয়।
১২.শোথ : পানিতে কালোজিরা বেটে প্রলেপ দিলে হাত-পা ফোলাসহ সব শোথ কমে।
১৩.দাঁতের ব্যথা : গরম পানিতে কালোজিরা নিয়ে তা দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথার উপশম হয়।
১৪.দাদ : কালোজিরা বেটে প্রলেপ দিলে এসবে উপকার হয়। তা ছাড়া ওপরে উল্লিখিত চুলকানির নিয়মে দিলে আরো ভালো হয়।
১৫.ধবল : কালোজিরা বেটে প্রলেপ দিলে এসবে উপকার হয়। তা ছাড়া ওপরে উল্লেখিত চুলকানির নিয়মে দিলে আরো ভালো হয়।
১৬.নতুন চুল গজানো : কালোজিরা বেটে নিয়ে মাথায় অনেক দিন ধরে মালিশ করলে নতুন চুল গজায়।
১৭.লাবণ্য : ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে মুখ উজ্জ্বল হয় ও রং ফর্সা হয়।
১৮.সন্তান প্রসব : কালোজিরা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে সন্তানের প্রসব তাড়াতাড়ি হয়।
১৯.কৃমি : ভিনেগারে ভিজিয়ে কালোজিরা খেলে কৃমি নষ্ট হয়।
২০.স্মৃতিভ্রংশ : স্মৃতিভ্রংশ ও স্মরণশক্তির দুর্বলতায় কালোজিরা খুব কার্যকর। ৩ গ্রাম কালোজিরা ২০ মিলিলিটার বিশুদ্ধ মধুসহ চাটলে এ রোগ সারে।
২১.প্রস্রাবের বাধকতা : পরিমাণমতো কালোজিরা খেলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়।
২২. শূল ব্যথা, বুকের ব্যথা, বমনেচ্ছা : কালোজিরা বেটে খেলে এসব রোগ সারে। সেই সাথে বাটা গায়েও মালিশ করতে হয়।
জন্ডিস, প্লীহাবৃদ্ধি, রোগেও ভাল উপকার পাওয়া যায়।
যে কারনে ধনেপাতা, এক কথায় বিপদজনক!
নিত্যদিনের বিভিন্ন খাবারে ধনেপাতা ব্যবহার করে থাকেন খাবারের গন্ধ এবং স্বাদে একটা পরিবর্তন আনার জন্য। ধনেপাতার বৈজ্ঞানিক নাম হল কোরিয়ানড্রাম স্যাটিভাম। কিন্তু কখনও কি কল্পনা করেছেন যে এই সুস্বাদু খাবারটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে?
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা হল, এই সুপরিচিত সবুজ সবজিটির অনেক ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বিদ্যমান। যা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর দিনদিন অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
লিভারের ক্ষতিসাধন
অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু দেহের মাঝে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে।
নিম্ন রক্তচাপ
অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে, যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া এটি হালকা মাথাব্যথারও উদ্রেক করতে পারে।
পেট খারাপ
স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি হওয়া হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যায়।
ডায়রিয়া
ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন।
নিঃশ্বাসের সমস্যা
আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।
বুকে ব্যথা
অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।
ত্বকের সংবেদনশীলতা
সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও তৈরি করে থাকে।
অ্যালার্জীর সমস্যা
ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জীর তৈরি হয়। এই অ্যালার্জীর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র্যা শ ওঠা এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে।
প্রদাহ
অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবনের আরেকটি বিশেষ পার্শ্ব প্রতক্রিয়া হল মুখে প্রদাহ হওয়া। এই ঔষধিটির বিভিন্ন এসিডিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়।
ভ্রূণের ক্ষতি
গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান মহিলাদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে যার ফলে মহিলাদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা হল, এই সুপরিচিত সবুজ সবজিটির অনেক ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বিদ্যমান। যা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর দিনদিন অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
লিভারের ক্ষতিসাধন
অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু দেহের মাঝে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে।
নিম্ন রক্তচাপ
অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে, যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া এটি হালকা মাথাব্যথারও উদ্রেক করতে পারে।
পেট খারাপ
স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি হওয়া হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যায়।
ডায়রিয়া
ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন।
নিঃশ্বাসের সমস্যা
আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।
বুকে ব্যথা
অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।
ত্বকের সংবেদনশীলতা
সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও তৈরি করে থাকে।
অ্যালার্জীর সমস্যা
ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জীর তৈরি হয়। এই অ্যালার্জীর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র্যা শ ওঠা এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে।
প্রদাহ
অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবনের আরেকটি বিশেষ পার্শ্ব প্রতক্রিয়া হল মুখে প্রদাহ হওয়া। এই ঔষধিটির বিভিন্ন এসিডিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়।
ভ্রূণের ক্ষতি
গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান মহিলাদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে যার ফলে মহিলাদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।
ঘরে তৈরি জাদুকরী ক্রিম ঝরিয়ে দেবে বাড়তি মেদ, মাত্র ৭ দিনেই!
বাজারে মেদ কমানোর জন্য নানান রকমের ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। পেট বা বাহুর মত শরীরের যেসব অংশে মেদ কমানো কষ্টকর, এসব ক্রিম সেই সব স্থানে ব্যবহারের জন্যই। যদিও চিকিৎসকেরা বলেন এগুলো ব্যবহার করা খুবই ক্ষতিকর। তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে নিজের ঘরেই একদম স্বল্প খরচে মেদ কমানোর ক্রিম বানিয়ে নিন। হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন। আপনি চাইলে মাত্র ৩টি উপাদান দিয়ে নিজের ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন একটি জাদুকরী ক্রিম আর পেতে পারেন নিজের পছন্দের ফিগার! মাত্র ৭ দিন ব্যবহারেই ফলাফল পেতে শুরু করবেন এবং প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
প্রকৃতির কাছে আছে সব সমস্যার সমাধান। তাই মেদ কমানোর কাজেও আমরা নেব প্রকৃতির আশ্রয়।
যা যা লাগবে
১০০ এম এল বেবি ক্রিম (সদ্য জন্মানো শিশুদের ব্যবহারের জন্য যে ক্রিম। ভালো দেখে নামকরা ব্রান্ডের নেবেন।)
২০ ফোঁটা অরেঞ্জ বা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল
২-৫ ফোঁটা দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল
প্রণালি
-
একটি কাঁচের কৌটায় ক্রিম নিন। এর সাথে বাকি দুটি এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। মিশিয়ে নিন।
-এরপর ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা ক্রিমটি এভাবেই রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময় পর আরও একবার ভালো করে মেশান। ব্যাস, তৈরি আপনার ক্রিম।
- এই ক্রিম এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর নতুন করে তৈরি করতে হবে। তবে এক মাসের আগে শেষ করে ফেলাই ভালো।
-সূর্যের আলো থেকে দূরে মুখ বন্ধ কাঁচের যারে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার প্রণালি
-ক্রিমটি নিয়ম করে প্রতিদিন গোসলের পর ব্যবহার করুন।
-যেসব স্থানে মেদ কমাতে চান, সেসব অঞ্চলে ক্রিমটি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। দেহে ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে এই ক্রিম।
-ক্রিম ব্যবহারের পর সেইদিন আর গোসল করবেন না। তাতে উপকারিতা কমে যাবে।
মনে রাখুন
এই ক্রিমটি যেসব স্থানের মেদ কমানোর জন্য কার্যকর, যেসব স্থানে ত্বকের নিচে জমা মেদ কমানো খুবই কষ্টকর। যেমন থাই, হিপ, বাহু, পেট ইত্যাদি এলাকায়। মেদ কমিয়ে এই ক্রিমটি ত্বককেও সুন্দর করে তোলে। তবে বুকে বা স্তনে এই ক্রিম ব্যবহার করবেন না। বা শরীরের কোন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
বেবি ক্রিম অন্য যে কোন ক্রিমের তুলনায় আমাদের জন্য নিরাপদ। আর কমলা বা লেবুর মত টক জাতীয় ফলের এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের নিচে জমে থাকা মেদ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল এমনিতেই কার্যকরী বস্তু, আর কমলা বা লেবুর সাথে মিলে এতই হয়ে ওঠে আরও কার্যকর!
প্রকৃতির কাছে আছে সব সমস্যার সমাধান। তাই মেদ কমানোর কাজেও আমরা নেব প্রকৃতির আশ্রয়।
যা যা লাগবে
১০০ এম এল বেবি ক্রিম (সদ্য জন্মানো শিশুদের ব্যবহারের জন্য যে ক্রিম। ভালো দেখে নামকরা ব্রান্ডের নেবেন।)
২০ ফোঁটা অরেঞ্জ বা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল
২-৫ ফোঁটা দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল
প্রণালি
-
একটি কাঁচের কৌটায় ক্রিম নিন। এর সাথে বাকি দুটি এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন। মিশিয়ে নিন।
-এরপর ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা ক্রিমটি এভাবেই রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময় পর আরও একবার ভালো করে মেশান। ব্যাস, তৈরি আপনার ক্রিম।
- এই ক্রিম এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর নতুন করে তৈরি করতে হবে। তবে এক মাসের আগে শেষ করে ফেলাই ভালো।
-সূর্যের আলো থেকে দূরে মুখ বন্ধ কাঁচের যারে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার প্রণালি
-ক্রিমটি নিয়ম করে প্রতিদিন গোসলের পর ব্যবহার করুন।
-যেসব স্থানে মেদ কমাতে চান, সেসব অঞ্চলে ক্রিমটি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। দেহে ময়েশ্চারাইজারের কাজও করবে এই ক্রিম।
-ক্রিম ব্যবহারের পর সেইদিন আর গোসল করবেন না। তাতে উপকারিতা কমে যাবে।
মনে রাখুন
এই ক্রিমটি যেসব স্থানের মেদ কমানোর জন্য কার্যকর, যেসব স্থানে ত্বকের নিচে জমা মেদ কমানো খুবই কষ্টকর। যেমন থাই, হিপ, বাহু, পেট ইত্যাদি এলাকায়। মেদ কমিয়ে এই ক্রিমটি ত্বককেও সুন্দর করে তোলে। তবে বুকে বা স্তনে এই ক্রিম ব্যবহার করবেন না। বা শরীরের কোন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
বেবি ক্রিম অন্য যে কোন ক্রিমের তুলনায় আমাদের জন্য নিরাপদ। আর কমলা বা লেবুর মত টক জাতীয় ফলের এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের নিচে জমে থাকা মেদ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। দারুচিনির এসেনশিয়াল অয়েল এমনিতেই কার্যকরী বস্তু, আর কমলা বা লেবুর সাথে মিলে এতই হয়ে ওঠে আরও কার্যকর!
ফরমালিন: স্বাস্থ্যের কি কি ক্ষতি করে
ফরমালিন আসলে কি। যদি এই ফরমালিন সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা আমাদের থাকতো তাহলে হয়তো আমরা এরকম মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য হয়তো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতাম।
কি এই ফরমালিন
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতো। পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনক। ফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়
ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছে
ফল
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে।
মাছ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)। ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না।
মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবে
# পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
# লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়।
# প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
# সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়।
এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক
এটা দু’ভাবে ক্ষতি করতে পারে:
# তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলে-
ক. সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে।
খ. চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
গ. দুর্বলতা ও মাথাব্যথা।
ঘ. কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়।
ঙ. বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে।
চ. লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে।
ছ. স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।
জ. খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে।
২। দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলে:
ক. ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খ. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
গ. ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
ঘ. ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
# লেখক : ডা. মোঃ তানভীর আলী, মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কি এই ফরমালিন
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতো। পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনক। ফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়
ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছে
ফল
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে।
মাছ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)। ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না।
মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবে
# পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
# লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়।
# প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
# সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়।
এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক
এটা দু’ভাবে ক্ষতি করতে পারে:
# তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলে-
ক. সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে।
খ. চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
গ. দুর্বলতা ও মাথাব্যথা।
ঘ. কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়।
ঙ. বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে।
চ. লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে।
ছ. স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।
জ. খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে।
২। দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলে:
ক. ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খ. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
গ. ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
ঘ. ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
# লেখক : ডা. মোঃ তানভীর আলী, মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!
চুম্বনকে সবসময়েই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে চুম্বনকে এখন শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই নয় বরং ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও বলা যেতে পারে। অবাক হচ্ছেন?
অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপভোগ্য মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প ।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপভোগ্য মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প ।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
সংক্রমিত রোগ গনোরিয়া
গনোরিয়া এমন একটি রোগ যা কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এক পুরুষ থেকে অন্য নারীতে বা এক নারী থেকে অন্য পুরুষে সংক্রমিত হতে থাকে। এ রোগের রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ খুবই কম। এটি বংশ পরম্পরায় সংক্রামিত হয় না। সাধারণ পুরুষ বা নারীর যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি করে থাকে। এ ক্ষতে পুঁজ সৃষ্টি হয়। এ পুঁজ যদি অন্য নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে তাহলে এ জীবাণু তাদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। সেখানে বাসা বাঁধে এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে।
লক্ষণ : নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই বুঝতে হবে পুরুষ বা নারী এ রোগে আক্রান্ত।
প্রস্রাবের জ্বালা অনুভূত হতে থাকে। প্রস্রাবের পরে চাপ দিলে সামান্য আঠা আঠা মতো পুঁজ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পুরুষের ইন্দ্রিয় বাইরে ও নারীর যোনির চারদিকে ঘা হতে দেখা যায়। এসব ঘায়ে জ্বালা ও তাতে পুঁজ হয়ে থাকে। ক্রমশ ঘা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথা বেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং প্রস্রবা করতে ভীষণ কষ্ট হয়। অল্প অল্প জ্বর দেখা দেয়। জ্বরের সঙ্গে মাথাধরা, গা-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, শরীরের ভুগলে ঋতুতে গণ্ডগোল হয়। ঋতুস্রাত বেশি হতে থাকে। কখনো মাসে দুবার হয়। আবার কখনো ঋতুস্রাব শেষে শ্বেতস্রাব হতে থাকে।
ভয়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো : এ রোগ হলে পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি হয়। নারীর সঙ্গে তার সন্তানেরও ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। নিচে সেদিকগুলো তুলে ধরা হলো। নারীর ডিম্ববাহী ও নারীর ডিম্বকোষ আক্রান্ত হলে তার সন্তান জন্ম চিরদিনের জন্য বন্ধ্য ও নারী বন্ধ্যত্ববরণ করতে পারে। কখনো কখনো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম অবস্থায় ওই রোগ হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ গর্ভপাত হয়ে পড়ে যায়, তার জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। গর্ভের শেষ অবস্থায় এ রোগ হলে সন্তান জন্মের সময় তার চোখে রোগের পুঁজ লেগে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা : এ রোগের খুব ভালো ওষুধ হলো সিপ্রোসিন/ এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট খেলে ধীরে ধীরে রোগ কমে আসবে ও রোগী সুস্থ হবে। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ব্যবস্থাপত্র নেবেন।
অন্যান্য ব্যবস্থা : যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে জ্বরের জন্য হালকা খাবার যেমন_ পাউরুটি সেঁকে বা হরলিকস প্রভৃতি হালকা ও তরল খাবার দিতে হবে। এ রোগ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রীকে পূর্ণ চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হতে হবে আগে। না হলে এর ফল খুবই খারাপ হবে।
নতুন মেশিন উদ্ভাবন: শিশুর জন্ম হবে মেশিনে!
কৃত্রিম উপায়ে শরীরের বাইরেই মানবশিশুর জন্ম-প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণায় গবেষকরা দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারবোর্ড সংবাদ সংস্থা। এই প্রক্রিয়াতে শিশুর জন্ম হবে মেয়ের গর্ভের মতই একটি টিউবে!
গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে সেরগেসি প্রক্রিয়াতে একটি শিশু তার প্রকৃত মায়ের গর্ভে না হয়ে অন্য একজন সাহায্যকারী কিংবা ভাড়ায় সন্তান প্রসব করে এমন মায়ের গর্ভে জন্ম হয়। এতে সন্তান নিজের গর্ভে নিতে চাননা এমন মায়েদের জন্য আলাদা করে সারোগেট মাদার’ বা গর্ভ ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে নতুন এই প্রক্রিয়াতে আর গর্ভ ভাড়া করার কোন দরকার নেই।
এদিকে গবেষকরা দাবি করছেন, ‘একটোজেনেসিস’ নামের এই পদ্ধতি ২০৩৪ সাল নাগাদ ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে এবং ওই সময় থেকে মেশিনে শিশুর জন্ম সম্ভব হবে। ফলে শিশুর মৃত্যুহার একই সাথে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মাতৃ মৃত্যুহার অনেক অংশে কমে যাবে।
পশুর জন্ম হচ্ছে টিউবে।
পশুর জন্ম হচ্ছে টিউবে।
কিভাবে একটি যন্ত্রে শিশুর জন্ম হবে এবং বেড়ে উঠবে? এমন প্রশ্নে গবেষকরা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রের গঠন উল্লেখ করে দেখান, একটি বিশেষ টিউবে শিশুর ভ্রূণ বিকশিত করা হবে। সেখানেই শিশু ধীরে ধীরে মায়ের গর্ভের মত বেড়ে উঠবে। সম্পূর্ণ যন্ত্র ফ্লুইড দিয়ে ভরা থাকবে এবং এর থেকে বিভিন্ন ক্যাবল এবং তার দিয়ে আধুনিক সব যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকবে। এসব যন্ত্রের মাঝে থাকবে শিশুর জন্য খাদ্য তৈরি চেম্বার, আলাদা শ্বাস প্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র। এতদিন এই যন্ত্র ব্যাক্টেরিয়া এবং বিভিন্ন পশুর জন্ম বৃদ্ধিতে ব্যবহার হলেও এখন এটি মানুষের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এদিকে এই যন্ত্রের উদ্ভাবন নিয়ে সারা দুনিয়াতে অনেকেই একে মানুষকে কৃত্রিম করে ফেলার একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছেন, এভাবে মানুষ মেশিনে জন্ম দিলে মা-ও সন্তানের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে, পরিবারের প্রতি শিশুর আকর্ষণ থাকবেনা। মানুষে মানুষে ভালোবাসা নষ্ট হয়ে যাবে।
তবে গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা এখন যে অবস্থায় আছে এতেও শিশুর জন্ম মেশিনে দেয়ার চেষ্টা করা যায় কিন্তু এখনো এটি কিছু আইনি এবং নৈতিক বাধা থাকায় বাস্তবে সম্ভব হচ্ছেনা।
ছেলে বা মেয়ে সন্তান চাইলে যেটা করা প্রয়োজন
অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ৬টি ফল
আজকাল ডায়াবেটিস ঘরে ঘরে। প্রত্যেক বাড়িতে খুঁজলেই ২/১ জন ডায়াবেটিস রোগী মিলবে। শুনতে আহামরি মনে না হলেও কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন যে কি মারাত্মক এক রোগ এই ডায়াবেটিস। জীবনটাকে যেন একেবারে আগাগোড়া বদলে দেয়, পাল্টে দেয় খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে জীবনযাপনের ধারা পর্যন্ত সব কিছুই। আসুন, জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কয়েকটি ফল সম্পর্কে।
১)কিউয়ি-
এই ফলটি বিদেশী হলেও আজকাল আমাদের দেশে সহজেই কিনতে মেলে। ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল একটি ফল এটি। এই ফলটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
২)কালোজাম-
একজন সুগার রোগী একদম চিন্তামুক্তভাবে এই ফলটি খেতে পারেন। কালোজাম রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। শুধু ফলই নয়, কালোজামের বীজকে গুঁড়ো করে দিনে একবার যদি হাফ চামচ খাওয়া যায় সেটিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩)পেয়ারা-
ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার জন্য অন্যতম একটি উপকারী হল হল পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন ‘এ’ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বিনা সংকোচে খেটে পারেন এই ফল।
৪)পেঁপে-
কাঁচা ও পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলটিতেও বেশ ভাল পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। খিদে পেলে পেট ভরাতেও অনন্য এই খাবার। তবে খাবেন পরিমিত পরিমাণে।
৫)তরমুজ-
যত ইচ্ছা তত পরিমাণে যে ফলটি খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা, সেটা হচ্ছে তরমুজ। খিদে মেটানো, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগানো ছাড়া পানি শূন্যতাও রোধ করে এই ফলটি।
৬) কামরাঙ্গা-
আমাদের দেশি এই ফলটি ডায়াবেটিসদের রোগীদের জন্য আরও একটি উপকারী খাবার। খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে।