- Back to Home »
- Health Tips »
- চিকিৎসায় দূর হয় বন্ধ্যাত্ব
Posted by : Md:Joy Chowdhury
Aug 29, 2013
ড. পি কে সেন কলকাতার বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ এবং সার্জন।
এমবিবিএস(ক্যাল), ডিজিও(ক্যাল), এমডি (গাইনোকোলজি এবং অবস্ট্রেস্টিক্স)।
তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন রেজিস্টার এবং এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালের প্রাক্তন স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ। ড. পিকে সেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গাইনোকোলজি এবং অবস্ট্রেস্টিক্স বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক।
বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ আজকের প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় মাপের সমস্যা। এই সমস্যা প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাব পড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও।
আজও আমাদের সমাজে বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে অনেকেই চান না। কিন্তু অন্য আর পাঁচটি শারীরিক সমস্যার মতোই এগুলিও একটি সমস্যা।
অথচ চিকিৎসা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক অবস্থায় বেশির ভাগ মহিলাই চিকিৎসা করান না।। ফলে সমস্যা বাড়তে বাড়তে জটিল আকার ধারণ করে।
এ সমস্যাগুলি নিয়ে জানতেই বাংলানিউজটোয়ন্টিফোর.কম- এর কলকাতা প্রতিনিধি ভাস্কর সরদার হাজির হয়েছিলেন ড. পিকে সেন‘র চেম্বারে। ৬১ বছর বয়সের প্রবীণ এই চিকিৎসক জানালেন বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে তার মতামত।
বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলি কি কি?
প্রথমেই বলি বন্ধ্যাত্ব শুধু মহিলাদের শারীরিক সমস্যা নয়। এটা মহিলা পুরুষ উভয়েরই সমস্যা হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব’র কারণ গুলির মধ্যে একটি প্রধান- হল আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাব। এছাড়াও অন্যান্য বড় কারণ গুলি হল বেশী বয়েসে বিয়ে, প্রথম গর্ভস্থ শিশুকে গর্ভে নষ্ট করে দেওয়া, অ্যাবরসন, টিউবাল ব্লকেজ বিবিধ।
পাঠকদের সুবিধার জন্য কারণ একটু বুঝিয়ে বলুন?
আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে খুব বেশী জড়িয়ে যাওয়া যে কোন মানুষেরই শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। অতিরিক্ত মশল্লা দেওয়া হোটেল রেস্তরার খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে, সঠিক বিশ্রাম না নেওয়া, ভাত-রুটি থেকে সরে গিয়ে পিজা-বার্গার এর ভক্ত হয়ে ওঠা এই সব কিছুই সমস্যার কারণ। তার সঙ্গে “কোল্ড ড্রিঙ্ক”-এর অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ্যাত্বর অন্যতম কারণ।
এছাড়া অ্যাবরসন করা হলে অনেক সময়ই তা সঠিকভাবে করা হয় না। এরফলে হতে পারে সংক্রমণ এবং এটিও বন্ধ্যাত্বর একটি প্রধান কারণ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে তৈরি হয় ‘টিউবাল ব্লকেজ’র ফলেও জন্ম নেয় বন্ধ্যাত্বর সমস্যা।
কী পরিমাণ মহিলা বন্ধাত্বর শিকার?
ভারত-বাংলাদেশের হিসাব ধরলে বলা যেতে পারে ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন মহিলা বন্ধ্যাত্বর শিকার। গোটা পৃথিবীর হিসাবটাও এরই কাছাকাছি।
বেশি বয়েসে মহিলাদের বিয়ের ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্যা মনে করেন?
সমাজ বদল হচ্ছে । আজকের নারীরা সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা পড়াশুনা করে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। শুধু তারা উপার্জন করছেন তাই নয়- তারা দেশ ও সমাজের প্রগতির অঙ্গ হিসেবে পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে চলেছেন।
কিন্তু অনেক সময় জীবনের অন্যদিকের কাজ-কর্মে সময় দিতে গিয়ে দেরী করে তাদের বিয়ে হচ্ছে। সেখানেই শুরু হতে পারে সমস্যা।
কি কারণে বেশি বয়সে এই সমস্যা হয়?
খুব সহজ করে বলতে গেলে মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের পর এই সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার জটিল ভাষা না বলেও বলা যায় MAFH,MAH,TSH এই তিনটি হরমোন গর্ভবতী হবার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব পূর্ণ কাজ করে।
মহিলাদের ৩৫ বছর হবার পর MAFH হরমোন এর ক্ষরণ বেড়ে যায় ও MAH হরমোন এর ক্ষরণ কমে যায় এর ফলে সমস্যা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কারণ আছে।
অতিরিক্ত ওজন কি সমস্যার কারণ?
অবশ্যই। তবে এটা শুধু মহিলাদের নয় পুরুষদেরও সমস্যার কারণ। অতিরিক্ত ওজন কমাতেই হবে। এটি আজকের দম্পতিদের একটি প্রধান সমস্যা।
পুরুষদের ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে?
অনেক পুরুষের সমস্যাও বন্ধ্যাত্বের কারণ। যে সমস্যা গুলি বেশি দেখা যায় সেগুলি হোল “স্পার্ম কাউন্ট” কমে যাওয়া। খুব দ্রুত “স্পার্ম” মরে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া আছে “মামস” বা বিভিন্ন যৌন সংক্রমণ জাতীয় রোগের শিকার হওয়া। এই গুলিও বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ।
কারণ গুলি কি কি?
আবারও বলতে হবে আধুনিক জীবনযাত্রা আর খাদ্যাভ্যাসের কথা। ধূমপান, অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন, ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার ফলে “স্পার্ম কাউন্ট” কমে যায়। এর ফলে তৈরি হয় বন্ধাত্ব। অপর দিকে বাড়তে থাকে ওজন, সেটি বন্ধ্যাত্বের অপর একটি কারণ।
মহিলাদের আর একটি সমস্যা অনিয়মিত ঋতুচক্র। একজন স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ হিসেবে আপনি সমস্যাটিকে কি ভাবে দেখেন?
এটি কিশোরী থেকে শুরু করে ৪০ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এর কারণ অনেকটাই খাদ্যাভাস। এছাড়া আছে বাড়তে থাকা ওজন। বাড়িতে রান্না খাবার ছেড়ে বিরিয়ানি, চপ, কাটলেট-এর প্রতি প্রবল ভালবাসা এটির অন্যতম কারণ।
তবে এই সমস্যাকে ফেলে রাখা একদমই উচিত নয় অনেকেই এটাকে নিয়ে অবহেলা করেন। এই সমস্যার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত।
এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যা থেকে সমাধানের রাস্তা বলুন
এসব সমস্যা থেকে দুরে থাকতে হলে পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই সুস্থ জীবন শৈলীতে ফিরে আসতে হবে। সময় মত নিয়ম করে খাওয়া, তেল জাতীয় খাদ্য যতটা সম্ভব কম খাওয়া, প্রচুর পরিমাণে সবুজ এবং তাজা শাক- সবজী খাওয়া। বাইরের মুখরোচক খাবার ছেড়ে ঘরে বানান পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
এছাড়াও নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ওজন বাড়তে না দেওয়া। এই গুলি বজায় রাখলে এই ধরণের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। তবে এরপরও সমস্যা দেখা দিলে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
এই দ্রুততর এবং মানসিক চাপ যুক্ত জীবনে কি এই জীবন শৈলী বজায় রাখা সম্ভব? কাজের চাপ বা মানসিক চাপ কি সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয় না?
সুস্থ থাকতে হলে সঠিক সময় পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে- তা সে যতই কাজের চাপ থাক না কেন। প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে হবে। খুব কম করে হলেও ১৫ মিনিট।
ওজন বাড়লে হাজির হবে আরও নানা রকম রোগ। বন্ধ করতে হবে ঠাণ্ডা পানীয় সহযোগে পিজা, বার্গার, চপ, কাটলেটসহ তেল, চর্বি জাতীয় খাবার।
কি ধরনের রোগী আপনার কাছে বেশী আসে
বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগীরা আসেন। কারো বাচ্চা জন্মানোর পর কোন সমস্যা নিয়ে, কারো বা তার আগের কোন সমস্যা নিয়ে। অনেক গর্ভবতী মা-র সুগার, মৃগী রোগ, উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা থাকে তারাও আসেন। এছাড়া স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্ব সমস্যার রোগীরা তো আছেনই।
ইতোমধ্যেই রোগীরা আসতে শুরু করেছেন কলকাতার চারু চন্দ্র প্লেসের তার চেম্বারে। এছাড়াও তিনি আরও চারটি জায়গায় রোগি দেখেন। মাত্র দশ জন রোগি দেখেন ডাক্তার পি কে সেন ।
তিনি আগেই জানিয়েছিলেন অনেক রোগী আসেন বাংলাদেশ থেকে। মনে হচ্ছিল সেই রকম এক জন কারো সঙ্গে দেখা হলে ভালো হত। কথা শেষ করে বেড়িয়ে এলাম তার ঘর থেকে। বাইরে কয়েকজন বসে আছেন। জানতে চাইলাম কোথা থেকে এসেছেন?
পেয়েও গেলাম একজনকে। শেখ সাহেব ও ফ্যান্সী বিবি। এসেছেন ঢাকা থেকে। প্রশ্ন করলাম কি করে সন্ধান পেলেন এই ডাক্তারের? স্বাভাবিক কারণেই একটু ইতস্তত ভাব। শেখ সাহেব পোশাক ব্যবসায়ী, বয়স ৪১ ফ্যান্সী বিবির বয়স ২৫। জানালেন ঢাকা হাইকোর্টের এক মহিলা উকিলের কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে এখানে এসেছেন।
সেই উকিল এই ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা নিয়ে আজ “মা” হয়েছেন।
ফ্যান্সী বিবি বললেন ডাক্তারবাবুর প্রতি তার অসীম ভরসা। শেখ সাহেব বিশ্বাস করেন আল্লা চাইলে তিনি “আব্বা” ডাক শুনবেনই, আর ডাক্তারবাবু তো আছেনই ।
যেকোন পরামর্শের জন্য
Email-hnc24x7@gmail.com
তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন রেজিস্টার এবং এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালের প্রাক্তন স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ। ড. পিকে সেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গাইনোকোলজি এবং অবস্ট্রেস্টিক্স বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক।
বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ আজকের প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় মাপের সমস্যা। এই সমস্যা প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাব পড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও।
আজও আমাদের সমাজে বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে অনেকেই চান না। কিন্তু অন্য আর পাঁচটি শারীরিক সমস্যার মতোই এগুলিও একটি সমস্যা।
অথচ চিকিৎসা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক অবস্থায় বেশির ভাগ মহিলাই চিকিৎসা করান না।। ফলে সমস্যা বাড়তে বাড়তে জটিল আকার ধারণ করে।
এ সমস্যাগুলি নিয়ে জানতেই বাংলানিউজটোয়ন্টিফোর.কম- এর কলকাতা প্রতিনিধি ভাস্কর সরদার হাজির হয়েছিলেন ড. পিকে সেন‘র চেম্বারে। ৬১ বছর বয়সের প্রবীণ এই চিকিৎসক জানালেন বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে তার মতামত।
বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলি কি কি?
প্রথমেই বলি বন্ধ্যাত্ব শুধু মহিলাদের শারীরিক সমস্যা নয়। এটা মহিলা পুরুষ উভয়েরই সমস্যা হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব’র কারণ গুলির মধ্যে একটি প্রধান- হল আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাব। এছাড়াও অন্যান্য বড় কারণ গুলি হল বেশী বয়েসে বিয়ে, প্রথম গর্ভস্থ শিশুকে গর্ভে নষ্ট করে দেওয়া, অ্যাবরসন, টিউবাল ব্লকেজ বিবিধ।
পাঠকদের সুবিধার জন্য কারণ একটু বুঝিয়ে বলুন?
আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে খুব বেশী জড়িয়ে যাওয়া যে কোন মানুষেরই শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। অতিরিক্ত মশল্লা দেওয়া হোটেল রেস্তরার খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে, সঠিক বিশ্রাম না নেওয়া, ভাত-রুটি থেকে সরে গিয়ে পিজা-বার্গার এর ভক্ত হয়ে ওঠা এই সব কিছুই সমস্যার কারণ। তার সঙ্গে “কোল্ড ড্রিঙ্ক”-এর অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ্যাত্বর অন্যতম কারণ।
এছাড়া অ্যাবরসন করা হলে অনেক সময়ই তা সঠিকভাবে করা হয় না। এরফলে হতে পারে সংক্রমণ এবং এটিও বন্ধ্যাত্বর একটি প্রধান কারণ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে তৈরি হয় ‘টিউবাল ব্লকেজ’র ফলেও জন্ম নেয় বন্ধ্যাত্বর সমস্যা।
কী পরিমাণ মহিলা বন্ধাত্বর শিকার?
ভারত-বাংলাদেশের হিসাব ধরলে বলা যেতে পারে ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন মহিলা বন্ধ্যাত্বর শিকার। গোটা পৃথিবীর হিসাবটাও এরই কাছাকাছি।
বেশি বয়েসে মহিলাদের বিয়ের ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্যা মনে করেন?
সমাজ বদল হচ্ছে । আজকের নারীরা সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা পড়াশুনা করে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। শুধু তারা উপার্জন করছেন তাই নয়- তারা দেশ ও সমাজের প্রগতির অঙ্গ হিসেবে পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে চলেছেন।
কিন্তু অনেক সময় জীবনের অন্যদিকের কাজ-কর্মে সময় দিতে গিয়ে দেরী করে তাদের বিয়ে হচ্ছে। সেখানেই শুরু হতে পারে সমস্যা।
কি কারণে বেশি বয়সে এই সমস্যা হয়?
খুব সহজ করে বলতে গেলে মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের পর এই সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার জটিল ভাষা না বলেও বলা যায় MAFH,MAH,TSH এই তিনটি হরমোন গর্ভবতী হবার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব পূর্ণ কাজ করে।
মহিলাদের ৩৫ বছর হবার পর MAFH হরমোন এর ক্ষরণ বেড়ে যায় ও MAH হরমোন এর ক্ষরণ কমে যায় এর ফলে সমস্যা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কারণ আছে।
অতিরিক্ত ওজন কি সমস্যার কারণ?
অবশ্যই। তবে এটা শুধু মহিলাদের নয় পুরুষদেরও সমস্যার কারণ। অতিরিক্ত ওজন কমাতেই হবে। এটি আজকের দম্পতিদের একটি প্রধান সমস্যা।
পুরুষদের ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে?
অনেক পুরুষের সমস্যাও বন্ধ্যাত্বের কারণ। যে সমস্যা গুলি বেশি দেখা যায় সেগুলি হোল “স্পার্ম কাউন্ট” কমে যাওয়া। খুব দ্রুত “স্পার্ম” মরে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া আছে “মামস” বা বিভিন্ন যৌন সংক্রমণ জাতীয় রোগের শিকার হওয়া। এই গুলিও বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ।
কারণ গুলি কি কি?
আবারও বলতে হবে আধুনিক জীবনযাত্রা আর খাদ্যাভ্যাসের কথা। ধূমপান, অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন, ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার ফলে “স্পার্ম কাউন্ট” কমে যায়। এর ফলে তৈরি হয় বন্ধাত্ব। অপর দিকে বাড়তে থাকে ওজন, সেটি বন্ধ্যাত্বের অপর একটি কারণ।
মহিলাদের আর একটি সমস্যা অনিয়মিত ঋতুচক্র। একজন স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ হিসেবে আপনি সমস্যাটিকে কি ভাবে দেখেন?
এটি কিশোরী থেকে শুরু করে ৪০ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এর কারণ অনেকটাই খাদ্যাভাস। এছাড়া আছে বাড়তে থাকা ওজন। বাড়িতে রান্না খাবার ছেড়ে বিরিয়ানি, চপ, কাটলেট-এর প্রতি প্রবল ভালবাসা এটির অন্যতম কারণ।
তবে এই সমস্যাকে ফেলে রাখা একদমই উচিত নয় অনেকেই এটাকে নিয়ে অবহেলা করেন। এই সমস্যার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত।
এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যা থেকে সমাধানের রাস্তা বলুন
এসব সমস্যা থেকে দুরে থাকতে হলে পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই সুস্থ জীবন শৈলীতে ফিরে আসতে হবে। সময় মত নিয়ম করে খাওয়া, তেল জাতীয় খাদ্য যতটা সম্ভব কম খাওয়া, প্রচুর পরিমাণে সবুজ এবং তাজা শাক- সবজী খাওয়া। বাইরের মুখরোচক খাবার ছেড়ে ঘরে বানান পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
এছাড়াও নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ওজন বাড়তে না দেওয়া। এই গুলি বজায় রাখলে এই ধরণের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। তবে এরপরও সমস্যা দেখা দিলে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
এই দ্রুততর এবং মানসিক চাপ যুক্ত জীবনে কি এই জীবন শৈলী বজায় রাখা সম্ভব? কাজের চাপ বা মানসিক চাপ কি সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয় না?
সুস্থ থাকতে হলে সঠিক সময় পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে- তা সে যতই কাজের চাপ থাক না কেন। প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে হবে। খুব কম করে হলেও ১৫ মিনিট।
ওজন বাড়লে হাজির হবে আরও নানা রকম রোগ। বন্ধ করতে হবে ঠাণ্ডা পানীয় সহযোগে পিজা, বার্গার, চপ, কাটলেটসহ তেল, চর্বি জাতীয় খাবার।
কি ধরনের রোগী আপনার কাছে বেশী আসে
বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগীরা আসেন। কারো বাচ্চা জন্মানোর পর কোন সমস্যা নিয়ে, কারো বা তার আগের কোন সমস্যা নিয়ে। অনেক গর্ভবতী মা-র সুগার, মৃগী রোগ, উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা থাকে তারাও আসেন। এছাড়া স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্ব সমস্যার রোগীরা তো আছেনই।
ইতোমধ্যেই রোগীরা আসতে শুরু করেছেন কলকাতার চারু চন্দ্র প্লেসের তার চেম্বারে। এছাড়াও তিনি আরও চারটি জায়গায় রোগি দেখেন। মাত্র দশ জন রোগি দেখেন ডাক্তার পি কে সেন ।
তিনি আগেই জানিয়েছিলেন অনেক রোগী আসেন বাংলাদেশ থেকে। মনে হচ্ছিল সেই রকম এক জন কারো সঙ্গে দেখা হলে ভালো হত। কথা শেষ করে বেড়িয়ে এলাম তার ঘর থেকে। বাইরে কয়েকজন বসে আছেন। জানতে চাইলাম কোথা থেকে এসেছেন?
পেয়েও গেলাম একজনকে। শেখ সাহেব ও ফ্যান্সী বিবি। এসেছেন ঢাকা থেকে। প্রশ্ন করলাম কি করে সন্ধান পেলেন এই ডাক্তারের? স্বাভাবিক কারণেই একটু ইতস্তত ভাব। শেখ সাহেব পোশাক ব্যবসায়ী, বয়স ৪১ ফ্যান্সী বিবির বয়স ২৫। জানালেন ঢাকা হাইকোর্টের এক মহিলা উকিলের কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে এখানে এসেছেন।
সেই উকিল এই ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা নিয়ে আজ “মা” হয়েছেন।
ফ্যান্সী বিবি বললেন ডাক্তারবাবুর প্রতি তার অসীম ভরসা। শেখ সাহেব বিশ্বাস করেন আল্লা চাইলে তিনি “আব্বা” ডাক শুনবেনই, আর ডাক্তারবাবু তো আছেনই ।
যেকোন পরামর্শের জন্য
Email-hnc24x7@gmail.com