Showing posts with label International News. Show all posts
যেখানে মানুষ আসে শুধুমাত্র আত্ম-হত্যা করার জন্য !
পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান আছে যেগুলোর কথা জানলে ও শুনলে আমরা অবাক হই এবং এমন কিছু স্থান আছে যেগুলোর কথা শুনলে শুধু অবাকই হইনা সেগুলোর প্রতি আমাদের জানার আগ্রহ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।
তেমনি একটি অদ্ভুত জায়গা যেটি জাপান শহরের মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের উত্তর পাদদেশে অবস্থিত। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের এই জায়গাটি সুদীর্ঘ ও বিশাল বিশাল সবুজ গাছগাছালি দ্বারা নিভৃত। এই জায়গাটির নেপথ্যের কথা জানলে অবাক হতে হয় যে এখানে মানুষ আসে শুধুমাত্র আত্ম-হত্যা করার জন্য। যদিওবা কিছু কিছু ব্যক্তি এখানে আসেন তদন্তমুলক কাজ করতে তবে বেশির ভাগের উদ্দেশ্য আত্মহত্যা।
এই রহস্যময় জঙ্গলটির নাম “Aokigahara”। এটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থান, যার কারন আজ পর্যন্ত জানতে পারেননি পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা। আওকিগাহারা একটি বন যেটি মাউন্ট ফুজির পাদদেশে এবং টোকিও শহর থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে এটি “জুকাই” নামে পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষায় জুকাই শব্দের অর্থ “গাছের সাগর”। এই বনটিতে থাকা গাছের উচ্চতা ও ঘনত্ব অনেক বেশি। এটি ভ্রমণকারীদের জনপ্রিয় মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের দুই গুহা “বরফ গুহা ও বায়ু গুহার” নিকটেই অবস্থিত।
আওকিগাহারা সুইসাইড ফরেস্ট নামেও পরিচিত যার আয়তন ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। এই সুবিস্তৃত বনটি কঠিন পাথর ও বরফ গুহা দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সুবিশাল বনটির গাছগুলোর ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে একবার ঢুঁকলে নিশ্চিত পথ হারিয়ে ফেলবে। জানা যায় যে অনেক আগ্রহী দর্শনার্থী এর মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের পথ নির্দেশনা ঠিক রাখতে তারা প্লাস্টিক টেপ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু তাদেরও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের মতে এই বনের মধ্যে কেউ একবার প্রবেশ করলে তার এমন মায়ার সৃষ্টি হয় যে সে আর ফিরে আসতে পারে না। এক সময় সে তার অতীত কাহিনী পর্যালোচনা শুরু করে এবং নিষ্ঠুরভাবে নিজেকে নিজেই শেষ করে দেয়। এমনকি জাপানিরা এই জায়গাটিকে অভিশপ্ত ভাবে তাই অনেকেই এই জায়গায় আসার সাহস করে না। যার কারনেই আজও এই জায়গাটি রহস্যময় থেকে গেছে।
এমনকি আপনি যদি ভুতের গল্পের প্রতি আকৃষ্ট নাও থাকেন তারপরও এই স্থানটির একটি বিশেষ অনুভুতি আছে। Seicho Matsumoto একজন বিখ্যাত জাপানি লেখক তার ১৯৬০ সালে প্রকাশিত “KuroiJukai”উপন্যাসে লিখেন একজন যুবক প্রেমিক এখানে আত্ম-হত্যা করেন। এছাড়াও CNN-এররিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারু নামের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি লোহা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন যাকে একসময় তার কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে প্রচণ্ড হতাশা, গ্লানি আর তার পরিবারের দায়ভার চালাতে পারবে না এই ভেবে সে চলে যায় সুইসাইড খ্যাঁত ফরেস্ট আওকিগাহারাতে। তার চিরকুট হতে পাওয়া তথ্য মতে সে বলেছিল, “আমি অদৃশ্যভাবে এখানে থাকতে চাই, আমি আমার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি তাই আমি এখানে”।
এই বনটি দিন দিন আত্মহত্যার জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানে প্রতিবছর গড়ে ১০০টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে মোট ১০৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায় যা ২০০২ সালের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। ১৯৯৮ সালে ৭৩টি, ১৯৯৯ সালে ৬৮টি, ২০০০ সালে ৫৯টি, ২০০১ সালে ৫৯টি ও ২০০২ সালে ৭৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে মোট ২৪৭টি মৃতদেহ পাওয়া যায়, যা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। স্থানীয় সরকার কঠোর ভাবে এই আত্মহত্যার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। স্থানীয় সরকার পুলিশ, সেবাকর্মী ও অবস্থানরত সাংবাদিকদের মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে আসা লোকদের সাহায্য ও তাদের আত্মহত্যা না করতে উদ্ভুত্ত করে যাচ্ছে।
জাপানে আত্মহত্যার হার ইতিমধ্যে বিশ্বে সর্বোচ্চ যার একটি বড় কারন দেশটির চলমান অর্থনৈতিক মন্দা। দেশটিতে জানুয়ারি ২০০৯ সালে রেকর্ড পরিমান ২৬৪৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যা জানুয়ারি ২০০৮ সালে ছিল ২৩০৫টি। এক বছরে আত্মহত্যার হার ১৫% বেড়ে যায়। জাপান সরকার বলেছেন যে, দেশে আত্মহত্যার পরিমান এমন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে যা ২০১৬ সালে ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
দেশটি স্কুলে এবং কর্মস্থলে আত্মঘাতী সচেতনতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন যে এতে করে উপশুল্ক বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি হবেবেকারত্ব ও দেউলিয়ার। Toyoki Yoshida একজন আত্মহত্যা ও ক্রেডিট পরামর্শদাতা তিনি বলেন যে, “বেকারত্বই আত্মহত্যার মূল কারন”।
সমাজ ও সরকারের উচিত অতিবিলম্বে আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিবিধান স্থাপন করা। সরকারের উচিত আরও বেশি করে কর্মস্থল তৈরি করা ও যারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাদের মানসিক প্রশান্তির সুব্যবস্থা করা।
তেমনি একটি অদ্ভুত জায়গা যেটি জাপান শহরের মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের উত্তর পাদদেশে অবস্থিত। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের এই জায়গাটি সুদীর্ঘ ও বিশাল বিশাল সবুজ গাছগাছালি দ্বারা নিভৃত। এই জায়গাটির নেপথ্যের কথা জানলে অবাক হতে হয় যে এখানে মানুষ আসে শুধুমাত্র আত্ম-হত্যা করার জন্য। যদিওবা কিছু কিছু ব্যক্তি এখানে আসেন তদন্তমুলক কাজ করতে তবে বেশির ভাগের উদ্দেশ্য আত্মহত্যা।
এই রহস্যময় জঙ্গলটির নাম “Aokigahara”। এটি পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় স্থান, যার কারন আজ পর্যন্ত জানতে পারেননি পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা। আওকিগাহারা একটি বন যেটি মাউন্ট ফুজির পাদদেশে এবং টোকিও শহর থেকে ১০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। স্থানীয়দের কাছে এটি “জুকাই” নামে পরিচিত। স্থানীয়দের ভাষায় জুকাই শব্দের অর্থ “গাছের সাগর”। এই বনটিতে থাকা গাছের উচ্চতা ও ঘনত্ব অনেক বেশি। এটি ভ্রমণকারীদের জনপ্রিয় মাউন্ট ফুজি পাহাড়ের দুই গুহা “বরফ গুহা ও বায়ু গুহার” নিকটেই অবস্থিত।
আওকিগাহারা সুইসাইড ফরেস্ট নামেও পরিচিত যার আয়তন ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। এই সুবিস্তৃত বনটি কঠিন পাথর ও বরফ গুহা দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সুবিশাল বনটির গাছগুলোর ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে একবার ঢুঁকলে নিশ্চিত পথ হারিয়ে ফেলবে। জানা যায় যে অনেক আগ্রহী দর্শনার্থী এর মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের পথ নির্দেশনা ঠিক রাখতে তারা প্লাস্টিক টেপ ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু তাদেরও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের মতে এই বনের মধ্যে কেউ একবার প্রবেশ করলে তার এমন মায়ার সৃষ্টি হয় যে সে আর ফিরে আসতে পারে না। এক সময় সে তার অতীত কাহিনী পর্যালোচনা শুরু করে এবং নিষ্ঠুরভাবে নিজেকে নিজেই শেষ করে দেয়। এমনকি জাপানিরা এই জায়গাটিকে অভিশপ্ত ভাবে তাই অনেকেই এই জায়গায় আসার সাহস করে না। যার কারনেই আজও এই জায়গাটি রহস্যময় থেকে গেছে।
এমনকি আপনি যদি ভুতের গল্পের প্রতি আকৃষ্ট নাও থাকেন তারপরও এই স্থানটির একটি বিশেষ অনুভুতি আছে। Seicho Matsumoto একজন বিখ্যাত জাপানি লেখক তার ১৯৬০ সালে প্রকাশিত “KuroiJukai”উপন্যাসে লিখেন একজন যুবক প্রেমিক এখানে আত্ম-হত্যা করেন। এছাড়াও CNN-এররিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারু নামের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি লোহা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন যাকে একসময় তার কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে প্রচণ্ড হতাশা, গ্লানি আর তার পরিবারের দায়ভার চালাতে পারবে না এই ভেবে সে চলে যায় সুইসাইড খ্যাঁত ফরেস্ট আওকিগাহারাতে। তার চিরকুট হতে পাওয়া তথ্য মতে সে বলেছিল, “আমি অদৃশ্যভাবে এখানে থাকতে চাই, আমি আমার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি তাই আমি এখানে”।
এই বনটি দিন দিন আত্মহত্যার জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানে প্রতিবছর গড়ে ১০০টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে মোট ১০৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায় যা ২০০২ সালের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। ১৯৯৮ সালে ৭৩টি, ১৯৯৯ সালে ৬৮টি, ২০০০ সালে ৫৯টি, ২০০১ সালে ৫৯টি ও ২০০২ সালে ৭৮টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
জাপানে আত্মহত্যার হার ইতিমধ্যে বিশ্বে সর্বোচ্চ যার একটি বড় কারন দেশটির চলমান অর্থনৈতিক মন্দা। দেশটিতে জানুয়ারি ২০০৯ সালে রেকর্ড পরিমান ২৬৪৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যা জানুয়ারি ২০০৮ সালে ছিল ২৩০৫টি। এক বছরে আত্মহত্যার হার ১৫% বেড়ে যায়। জাপান সরকার বলেছেন যে, দেশে আত্মহত্যার পরিমান এমন ভাবে বেড়ে যাচ্ছে যা ২০১৬ সালে ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
দেশটি স্কুলে এবং কর্মস্থলে আত্মঘাতী সচেতনতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন যে এতে করে উপশুল্ক বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি হবেবেকারত্ব ও দেউলিয়ার। Toyoki Yoshida একজন আত্মহত্যা ও ক্রেডিট পরামর্শদাতা তিনি বলেন যে, “বেকারত্বই আত্মহত্যার মূল কারন”।
সমাজ ও সরকারের উচিত অতিবিলম্বে আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিবিধান স্থাপন করা। সরকারের উচিত আরও বেশি করে কর্মস্থল তৈরি করা ও যারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তাদের মানসিক প্রশান্তির সুব্যবস্থা করা।
২ বছরের গর্ভবতী ছেলে শিশু
২ বছরের ‘গর্ভবতী’ ছেলে শিশুর পেট থেকে বের হল যমজ সন্তানের ভ্রƒণ। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল চীনের ২ বছরের শিশু। পেটটা কেমন ফুলে উঠেছিল, শ্বাসও নিতে কষ্ট হচ্ছিল খুব। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সবার চক্ষুচড়ক গাছ। ২ বছরের সেই ছেলে শিশুর পেটে অস্ত্রপচারের পর বেরিয়া এল যমজ সন্তান। ২ বছরের বাবা, থুড়ি মা, থুড়ি জš§দাতার নাম জিও ফেং। ডাক্তাররা বললেন, ফংয়ের পেটের মধ্যে ছিল অপুষ্ট ভ্রƒণ এবং অস্ত্রপচারের পর সেই ভ্রƒণ নষ্ট করা হয়। ফেংয়ের পেটের মধ্যে থাকা ভ্রƒণ দুটো ছিল যমজ। ফংয়ের পেটে থাকা ভ্রƒণ নষ্ট করে না দিলে সে মারা যেতে পারত, তাই ডাক্তাররা ঝুঁকি নেননি।
ছাগলও গাছে চড়ে
পেটে টান পড়লে ছাগলও ঘাস খায় কিংবা অমুক রাজার শাসনামলে বাঘে-ছাগলে একঘাটে পানি খেতো- প্রবাদ প্রবচনের বদৌলতে এসব শ্র“তিমধুর কল্পকাহিনীর গল্পরাজ্যে একটু-আধটু যাওয়া-আসা থাকলেও ছাগল গাছে চড়ে এ রকম আষাঢ়ে গল্পের হাটে আজ পর্যন্ত বোধহয় কেউ-ই সওদা করেনি! চাক্ষুষ দেখার পরেও হয়তো অনেকেরই দৃষ্টিভ্রম মনে হবে। এমনকি অতি অবিশ্বাসে শরীরে একটু চিমটি কেটে নিজের সজ্ঞানে অস্তিত্বটুকুর পরখ নেয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তারপরও যে সত্যটা টিকে থাকে তা হল ছাগল বাস্তবেই গাছে ওঠে!
অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি দেখা যায় আফ্রিকার দেশ মরক্কোর ছোট্ট গ্রাম তামিরিতে। এই গ্রামের ছাগলগুলো খাদ্যের সন্ধানে অনায়াসে চড়তে পারে গাছে। অরগ্যান নামের ওই গাছের জামের মতো মিষ্টি ফল খুবই পছন্দ ছাগলের। এখানেই শেষ নয়, আরও যে বিষয়টি থেকে যায় তা হল- গাছগুলো কিন্তু সাধারণ পেয়ারা গাছের মতো ছোট নয়। পূর্ণবয়স্ক একটি অরগ্যান গাছের উচ্চতা ১৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
গাছের মিষ্টি ফল খেতেই মূলত গাছে চড়ে ছাগলগুলো। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত ভারসাম্য রাখতে হয় শরীরের, যেটা চতুষ্পদী এমন জন্তুর জন্য খুবই কঠিন কাজ। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, মরক্কোর দুর্ভিক্ষপ্রবণ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই ছাগলগুলো খাবারের জন্য গাছে উঠতে শিখেছে। উল্লেখ্য, মরক্কোই সবচেয়ে ছোট পানির বোতলটির দামও পঞ্চাশ পাউন্ড।
শুধু তাই নয়, বেরিস নামক ফলগুলো খেলে এর ভেতরের বীজটাও তার অসাধারণ দক্ষতায় নিচে ফেলে দেয় খুব দ্রুততার সঙ্গে। এটা ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে। এটা পিষে অরগ্যান তেলও তৈরি হয়। হাফিংটন পোস্ট।
অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি দেখা যায় আফ্রিকার দেশ মরক্কোর ছোট্ট গ্রাম তামিরিতে। এই গ্রামের ছাগলগুলো খাদ্যের সন্ধানে অনায়াসে চড়তে পারে গাছে। অরগ্যান নামের ওই গাছের জামের মতো মিষ্টি ফল খুবই পছন্দ ছাগলের। এখানেই শেষ নয়, আরও যে বিষয়টি থেকে যায় তা হল- গাছগুলো কিন্তু সাধারণ পেয়ারা গাছের মতো ছোট নয়। পূর্ণবয়স্ক একটি অরগ্যান গাছের উচ্চতা ১৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
গাছের মিষ্টি ফল খেতেই মূলত গাছে চড়ে ছাগলগুলো। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত ভারসাম্য রাখতে হয় শরীরের, যেটা চতুষ্পদী এমন জন্তুর জন্য খুবই কঠিন কাজ। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, মরক্কোর দুর্ভিক্ষপ্রবণ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই ছাগলগুলো খাবারের জন্য গাছে উঠতে শিখেছে। উল্লেখ্য, মরক্কোই সবচেয়ে ছোট পানির বোতলটির দামও পঞ্চাশ পাউন্ড।
শুধু তাই নয়, বেরিস নামক ফলগুলো খেলে এর ভেতরের বীজটাও তার অসাধারণ দক্ষতায় নিচে ফেলে দেয় খুব দ্রুততার সঙ্গে। এটা ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে। এটা পিষে অরগ্যান তেলও তৈরি হয়। হাফিংটন পোস্ট।