স্বামী আপন ভাই, জানা ছিল না আগে!
বিয়ের সাত বছর পর এক আকস্মিক ঘটনার মধ্য দিয়ে আপন ভাই-বোন সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন ব্রাজিলের এক যুগল।
যুক্তরাজ্যের মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদ্রিয়ানা (৩৯) ও তার স্বামী লিয়েন্দ্রো (৩৭)- দুজনেই জানতেন তাদের মা শিশুকালে তাদেরকে ফেলে রেখে গেছে। ব্রাজিলের পৃথক শহরে বেড়ে উঠলেও সাত বছর আগে বিয়ে করেন তারা। সংসারে ছয় বছরের একটি কন্যাও রয়েছে তাদের।
স্বামী-স্ত্রীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল ছিল। দুজনই মা’কে হারিয়েছেন। দুজনের মায়ের নামের সঙ্গেই ‘মারিয়া’ শব্দটি। অবশ্য ব্যাপারটিকে তারা কাকতালীয় হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন।
আদ্রিয়ানা মায়ের খোঁজে একদিন হাজির হলেন ব্রাজিলের ‘রেডিও গ্লোবো’র লাইভ অনুষ্ঠানে। ‘অ্যাঞ্জেল অব মিটিংস’ নামে পরিচিত ওই অনুষ্ঠানটি মূলত হারিয়ে যাওয়াদের খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হারানো মায়ের খোঁজ পেয়েই বসলেন অদ্রিয়ানা। তবে জীবনের সেই আনন্দঘন মুহূর্তটি তার জন্য নতুন আরেক তিক্ত বাস্তবতা উন্মোচন করল।
সাত বছর ধরে সংসার করা স্বামী যে তার মায়েরই সন্তান, আদ্রিয়ানা তা জানতে পারলেন মায়ের সঙ্গে আলাপের পর।
মাথায় বাজ পড়ার মতো এমন খবরে কেঁদে ফেললেন লিয়েন্দ্রো। জীবনে যে এমন বাস্তবতার মুখে পড়তে হবে তা কল্পনাতেও ছিল না এই যুগলের।
আদ্রিয়ানার সংসারে বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই। এমন ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছা তাদের না থাকলেও সংসার চালিয়ে যাবেন বলেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ছেলে বা মেয়ে সন্তান চাইলে যেটা করা প্রয়োজন
অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ৬টি ফল
আজকাল ডায়াবেটিস ঘরে ঘরে। প্রত্যেক বাড়িতে খুঁজলেই ২/১ জন ডায়াবেটিস রোগী মিলবে। শুনতে আহামরি মনে না হলেও কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন যে কি মারাত্মক এক রোগ এই ডায়াবেটিস। জীবনটাকে যেন একেবারে আগাগোড়া বদলে দেয়, পাল্টে দেয় খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে জীবনযাপনের ধারা পর্যন্ত সব কিছুই। আসুন, জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কয়েকটি ফল সম্পর্কে।
১)কিউয়ি-
এই ফলটি বিদেশী হলেও আজকাল আমাদের দেশে সহজেই কিনতে মেলে। ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল একটি ফল এটি। এই ফলটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
২)কালোজাম-
একজন সুগার রোগী একদম চিন্তামুক্তভাবে এই ফলটি খেতে পারেন। কালোজাম রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। শুধু ফলই নয়, কালোজামের বীজকে গুঁড়ো করে দিনে একবার যদি হাফ চামচ খাওয়া যায় সেটিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩)পেয়ারা-
ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার জন্য অন্যতম একটি উপকারী হল হল পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন ‘এ’ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বিনা সংকোচে খেটে পারেন এই ফল।
৪)পেঁপে-
কাঁচা ও পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলটিতেও বেশ ভাল পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। খিদে পেলে পেট ভরাতেও অনন্য এই খাবার। তবে খাবেন পরিমিত পরিমাণে।
৫)তরমুজ-
যত ইচ্ছা তত পরিমাণে যে ফলটি খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা, সেটা হচ্ছে তরমুজ। খিদে মেটানো, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগানো ছাড়া পানি শূন্যতাও রোধ করে এই ফলটি।
৬) কামরাঙ্গা-
আমাদের দেশি এই ফলটি ডায়াবেটিসদের রোগীদের জন্য আরও একটি উপকারী খাবার। খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে।
২৪ ঘণ্টার মাঝে সাইনাস ইনফেকশন দূর করার দারুণ ঘরোয়া উপায়!
শুধু শীতকালে নয়, এই বর্ষাকালেও অনেকেরই বেড়েছে সাইনাসের উপদ্রব। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ও নাকে প্রবল ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে কাটছে দিন। ওষুধ খাচ্ছেন, ভাপ নিচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, তাই না? সাইনাস রোগটাই এমন যে ওষুধে কমানো যায় না সহজে, বরং ঘরোয়া টোটকা গুলো বেশ কাজে আসে। তেমনই একটি ঘরোয়া টোটকা নিয়ে আজকের এই ফিচার।
অল্প কয়েকটা উপাদান দিয়ে ঘরেই তৈরি করে রাখুন। তারপর কষ্ট করে হলেও নিয়মিত খান। ২৪ ঘণ্টার মাঝেই কার্যকারিতা দেখতে পাবেন। কয়েকদিনের নিয়মিত সেবনে আরাম মিলবে। বহুকাল যাবত সাইনাসের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই ঘরোয়া উপায়।
কী কী লাগবে?
ছোট এক কাপ মধু
সম পরিমাণ লেবুর রস
একটা ছোট ম্যাজেনটা রঙের পিঁয়াজ
৩ টা কচি ছোট শালগম
৬ কোয়া রসুন
প্রণালি-
- সমস্ত সবজি ধুয়ে টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট ভালো করে ছেঁকে রস বের করে নিন। প্রয়োজনে ২/৩ বার ছাঁকুন।
-রসের সাথে লেবুর রস ও মধু মেশান। ভালো করে নাড়ুন।
-মিশ্রণটি একটি কাঁচের জারে ভরে মুখ আটকে ফ্রিজে রাখুন। ধাতব বা চিনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন না।
-একবার তৈরি করলে ২/৩ দিন ভালো থাকবে।
-সেবনের পূর্বে কক্ষ তাপমাত্রায় এনে নেবেন।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য- ২ টেবিল চামচ সেবন করবেন প্রতিদিন
ছোটদের ক্ষেত্রে- ১ টেবিল চামচ প্রতিদিন
সেবনের পর কুসুম কুসুম গরম পানি পান করুন আধা গ্লাস। ২৪ ঘণ্টার মাঝে কার্যকারিতা দেখতে পাবেন।
তথ্য সূত্র- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মনিরউজ্জামান আলমগীরের লেখা বই
জেনেনিন নিয়মিত শারীরিক মিলনের ১৫ উপকারিতা
ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷ কিন্তু আপনি জানেন কি শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে:
ভালো ব্যায়াম:
শারীরিক মিলনের সময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩0 মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায়:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাত আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমদের শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷
জীবন কাল বাড়ে:
নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷
ব্যাথা থেকে মুক্তি:
বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন, আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷
পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয়:
যে সব মহিলাদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণত পিরিয়ডের সময় মহিলাদের ব্যাথা হয়ে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷
মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি:
মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে। ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷
ভালোবাসা বাড়ে:
শারীরিক মিলনের আকর্ষণের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এর কার্যকারীতা ভীষণ জরুরি৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷
কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে:
শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয়। তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷
ভালো ঘুম হয়:
শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন৷
আত্মবিশ্বাস বাড়ে:
শারীরিক মিনলের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতরকার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷
ওজন কমে:
শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয়। তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷
সৌন্দর্য্য বাড়ে:
শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
ভালো ত্বক:
শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে। তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝঁকি কমে:
নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷
হাঁপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি:
শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন রূপে দেখা হয়৷ এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়৷ আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷
কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি:
মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷
বিস্বস্ততা বাড়ে:
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তারা একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷
রক্তের প্রবাহ বাড়ে:
শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বাড়ায় তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়৷
যে কারণে দোয়েল জাতীয় পাখি
দোয়েলকে কেন বাংলাদেশের জাতীয় পাখির মর্যাদা দেওয়া হলো? অন্যপাখিও তো জাতীয় পাখি হতে পারতো! যেমন ধরা যাক শালিক, ঘুঘু, ময়না, বক প্রভৃতি।
আমরা সবাই শুধু এতটুকুই জানি যে, দোয়েল আমাদের দেশের জাতীয় পাখি। এর বেশি কিছু জানি না! কিন্তু কী কারণে এবং কোন বিবেচনায় দোয়েল জাতীয় পাখির মুকুট পড়ল তা আমাদের অনেকেরই অজ্ঞাত। বস্তুতপক্ষে বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন।
জাতীয় পাখি হওয়ার জন্য দোয়েলের দাবি কতখানি শক্তিশালী? এই ভাবনা থেকেই একদিন মুখোমুখি হই বরেণ্য পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হকের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি বেশ কিছুদিন আগে এমন একটি লেখা লিখেছিলাম। তার অংশবিশেষ বলছি আপনাকে। প্রথম কথা, জাতীয় কিছু করা মানে অর্থাৎ পশু, পাখি, বৃক্ষ, ফল ইত্যাদি সিম্বলিক (প্রতীক) ব্যাপার মাত্র। এটাকে সৌখিনও বলা হয়। সৌখিনতার চাইতে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিক নেই।
এখানে শুধু দুটো জিনিস সাধারণত ভালো করে দেখা হয়। প্রথমটি হলো- ওই দেশে ওই জিনিসটা বেশি সংখ্যক রয়েছে কি-না? প্রচুর সংখ্যক থাকার অর্থই হলো ওই দেশকে সে রিপ্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করছে। যেমন ধরা যাক ইলিশ মাছের কথা। যে কোনো মাছের নাম জানে না সেও ইলিশ মাছের নাম জানে। এই মাছটি এতো ব্যাপকভাবে পরিচিত যে আমরা সবাই এর নাম জানি। ওই পাখিটিরও এমনই ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয় থাকতে হবে। লোকের মুখে মুখে হতে হবে। তবেই সেটি জাতীয় বলে অখ্যায়িত হওয়ার চূড়ান্ত যোগ্যতা রাখে।
দ্বিতীয়ত, অন্য কোনো দেশ এটিকে তাদের জাতীয় করে ফেলেছে কি-না, সেটি দেখা। যদি দোয়েল ভারতের জাতীয় পাখি হতো, তবে বাংলাদেশ কখনোই তাকে জাতীয় পাখি হিসেবে তালিকাভুক্ত করত না। অধিক পরিচিতি এবং অন্য কোনো দেশ এটিকে জাতীয় হিসেবে আগেই তালিকাভুক্ত করেছে কি-না এই দুটো জিনিস মূলত কোনো কিছুকে জাতীয় হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রধান মানদণ্ড। ইনাম আল হক আরো বলেন, এটা যখন করা হয়েছিল তখন পাখির লোকেদেরই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তখন যারা প্রাণিবিজ্ঞানী বা গবেষক ছিলেন তাদের মতামত ছিল দোয়েল। একটি খুবই যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি। দোয়েলও ইলিশ মাছের মতই আমাদের দেশে ব্যাপক পরিচিত। তবে আমাদের দেশের সর্বত্র কাকের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও কাক–কে কেউ জাতীয় পাখি করবে না। কারণ স্বভাবগত বিষয়ের জন্যই সে আমাদের প্রিয় পাখিদের তালিকায় পড়ে না।
তিনি আরও বলেন, শালিক, দোয়েল, বক এই ৩/৪টি পাখি এরাই সম্ভবত জাতীয় পাখির মর্যাদার লড়াইয়ে তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার টেবিলে ছিল। তার মধ্যে দোয়েলকেই মনোনীত করা হয়েছে এ জন্য যে, এই পাখিটি আমাদের দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। শহর থেকে শুরু করে পাহাড়-বন কিংবা গ্রামের নির্জন পুকুরের পাড়েও তার দেখা মেলে। আমাদের দেশের খুব কম পাখির অবস্থান এমন। যে পাখি শহরে থাকে সে আর বনে থাকতে পারে না। বাসস্থান, বিচরণভূমি ও আহারগত কারণে। কিন্তু সর্বত্রই রয়েছে দোয়েল।
এ পাখি গবেষক আরও বলেন, গহিন বনেও আপনি দোয়েল পাবেন। দোয়েল ছাড়া আর কোনো পাখিকে সারাদেশের আনাচে কানাচে এভাবে দেখা যায় না। সুন্দরবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ছোট-বড় বনে তারা বিচরণ করছে। আবার ঢাকার মতো প্রচণ্ড কোলাহলপূর্ণ ব্যস্ত শহরেও দোয়েল দিব্বি টিকে আছে। চারিদিকে দোলানকোঠো, কোনো গাছপালা নেই। যেহেতু যে সব স্থানে টিকে থাকতে পারে এবং বাংলাদেশের সর্বত্র আছে তাই তাকেই নির্বাচন করা হয়েছে।
ইনাম আল হক বলেন, অরেকটা বিষয় দেখুন, দোয়েল খুব নিরুপোদ্রপ একটা পাখি। কখনোই এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। সে শুধু পোকা খায়। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো তার চমৎকার গানের গলা। ভোরবেলা তার মিষ্টি-মধুর গান চারপাশ মধুর করে তোলে।
বার্ড ক্লার্ব সূত্র জানায়, দোয়েল বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। এর ইংরেজি নাম Oriental Magpie-Robin। এরা দৈর্ঘ্যে ২০ সেমি ও ওজনে ৪০ গ্রাম। পুরুষ দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচে কালো রঙের, পেট সাদা। ডানার দুই পাশে সাদা রঙের প্যাচ আছে। স্ত্রী দোয়েলের উপরিভাগ ও গলার নিচে ছাই-রঙা হয়। পেটের অংশ পুরুষ দোয়েলের মত উজ্জ্বল নয়, কিছুটা ফিকে সাদা। মার্চ-জুলাই প্রজনন কাল। এ সময় গাছের গর্ত, দেয়াল, পাইপের ফাঁকে ঘাস-পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। সবুজ রঙের ৪-৫টি ডিম দেয়। ১২-১৩ দিন ছানা বের হয়।
ঘরে বসেই সমাধান, আন্ডার আর্মের কালো দাগ
আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের কালো দাগ নিয়ে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। আন্ডার আর্ম বা বগল কালো বিশ্রি লাগে নিজের কাছেই। এমনটি হলে স্লিভলেস ড্রেসও পরা যায় না।
পার্লারে গিয়ে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের কালো দাগের ট্রিটমেন্ট নেয়া যায়। তবে এটাও অনেকের জন্যই বিব্রতকর। ঘরে বসেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ওয়াক্সিং
আনডার আর্ম বা বাহুর নিচ কালো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সেভিং অথবা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম। এজন্য ওয়াক্সিং করুন। যদিও এটা আপনাকে কিছুটা ব্যাথা দিবে। কিন্তু এর মাধ্যমে চুল গোঁড়াসহ উঠে আসবে এবং এতে করে আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ হবে ফর্সা।
ঘরেই তৈরি করুন ফর্সাকারী মাস্ক :
কালো আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ ফর্সা করার জন্য ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন মাস্ক।
উপকরণ:
আধা চা চামচ লবণ
১/৩ কাপ গোলাপ জল
১/৩ কাপ জনসন বেবি পাউডার।
পদ্ধতি :
উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ নরম একটি মিশ্রণ না হয়।এটি আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন আর ভালো ফলাফল দেখুন প্রথম বার ব্যবহারেই। এটি প্রতিবার ওয়াক্সিং এর পর পরই আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগাবেন।
লেবুর রস :
এটি একটি খুবই উপকারী পদ্ধতি। গোসলের আগে লেবু কেটে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে ঘষতে হবে। লেবু ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। গোসলের পর ত্বক নরম করার জন্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম লাগান।
আলু এবং শসা :
আলু প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। আলু পাতলা করে কেটে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে ঘষতে পারেন বা আলুর রস বের করেও লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। একইভাবে শশা ব্যবহার করতে পারেন।
জাফরান মিশ্রণ :
এক চিমটি জাফরান ২ চামচ দুধে অথবা ক্রিমে মিশিয়ে শোবার সময় আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগান। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।এটি শুধু বাহুর নিচের অংশ কে ফর্সাই করে না, জার্ম ও ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে।
চন্দন ও গোলাপজল :
একসাথে মিশিয়ে লাগান। চন্দন এর ফর্সাকারী উপাদান দিয়ে ফর্সা করবে আর গোলাপ জল ত্বক রাখবে ঠান্ডা আর নরম।
ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে সতর্কতা :
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে শরীরের গন্ধ কিছুদিনের জন্য দূর করুন। বেকিং সোডা অল্প পানিতে দিয়ে আনডার আর্ম বা বাহুর নিচটা ধুয়ে ফেলুন। ডিওডোরেন্ট সরাসরি শরীরে না লাগিয়ে কাপড়ে লাগান
নানির গর্ভে হবে নাতির জন্ম!
ওয়াশিংটন: নিজের নাতির জন্ম নিজেই দিতে চলেছেন এক আমেরিকান নানি। আমেরিকার ইউটাহ প্রদেশে জুলিয়া নাভারো নামের ৫৮ বছর বয়েসী এক নারী নিজের নাতিকে জন্ম দিতে চলেছেন। নিজের মেয়ে অসুস্থ এবং গর্ভধারণে অক্ষম থাকায়, মেয়ে জামাইয়ের শুক্রানু ধারণ করে তিনি গর্ভধারণ করেছেন বলে জানান জুলিয়া।
জুলিয়ার মেয়ে লরেনা ম্যাককিনন জানান, গত তিন বছর ধরে তিনি গর্ভধারণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই সময়ের মধ্যে তার অন্তত ১০ বার গর্ভপাত হয়। শারীরিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতার জন্য তিনি গর্ভধারণে ব্যর্থ হন। তাই তিনি তার সন্তানের জন্মের জন্য একজন প্রতিনিধি খুঁজতে থাকেন।
লরেনার বোন এবং তার এক বান্ধবী গর্ভধারণের জন্য রাজি হলেও পরে তারা সিদ্ধান্ত বদল করেন। তখন লরেনার সন্তান ধারণে রাজি হন তার মা। তিনি বলেন, “পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি মনে করি একজনের বিপদে আরেকজনের এগিয়ে আসা উচিত।”
চিকিৎসকরা জানান, বয়সের কারণে নানি জুলিয়ারও গর্ভপাতের আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা আরো জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলিয়ার নাতি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউজ।
রোগীর লিভারে ডাক্তারের স্বাক্ষর!
শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মে নিজের পরিচয় রাখতে পছন্দ করেন। তবে যদি সেই তুলি হয় একটি ছুঁড়ি এবং ক্যানভাস হয় মানবদেহ, তাহলে এ ধরণের আইডিয়া পরিহার করাই উচিৎ। কিন্তু এক ব্রিটিশ ডাক্তার সেই কাজটিই করেছেন। তিনি তার রোগীর লিভারে নিজের 'ব্র্যান্ড' খোঁদাই করে চিহ্নিত করে রেখেছেন।
ইংল্যান্ডের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের এক সার্জন আর্গন প্লাজমা কোয়াগুলেশন টুল ব্যবহার করে পেশেন্টের লিভারে স্বাক্ষর দিয়ে রেখেছেন। পরবর্তীতে আরেকজন ডাক্তার একই রোগীর অন্য আরেকটি সার্জারি করতে গেলে সেই চিহ্নটি আবিষ্কার করেন। এজন্য ব্র্যান্ড অংকনকারী সার্জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং রিপোর্ট বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই সার্জন তার অন্যান্য রোগীদেরও হয়ত একইভাবে 'সিগনেচার' করে দিয়েছেন। অবশ্য, ডাক্তাররা বলছেন, ঐ স্বাক্ষরের ব্যাপারে পেশেন্টের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই, কেননা এর দ্বারা তারা কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। এটি একটি হালকা ক্ষতর মত চেহারা নিয়ে থাকবে।
যাইহোক, এ ধরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে, অন্য আরেকজন ডাক্তার একজন মহিলার অপসারিত জরায়ুতে পেশেন্টের নাম লিখে দিয়েছিলেন। আরেক সার্জন তার রোগীর সি-সেকশন অপারেশনের পর তলপেটে নিজের সাইন দেন। এরা উভয়েই পরবর্তীতে আইনী ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন।
গাজরের হালুয়া
আজ আপনাদের জন্য রয়েছে গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি।
# গাজর ১ কেজি
# দুধ ২ কাপ
# চিনি ২ কাপ
# মেওয়া টুকরো করা ৪০০ গ্রাম
# ঘি আধা কাপ
# পেস্তাবাদাম ২০ গ্রাম
# কিসমিস, দারুচিনি, এলাচ পরিমাণ মতো
উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে গাজর ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন। এবার কুকারে গাজর, দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এখন গাজরগুলো ব্ল্যান্ড করে নিন। অন্য একটি পাত্রে ঘি, মেওয়া, এলাচ, দারুচিনি, ব্ল্যান্ড করা গাজর, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে যখন শুকিয়ে আসবে এবং তেল ভেসে উঠবে ও জড়ায়ে আসবে তখন একটি ট্রেতে ইঞ্চি পরিমাণ পুর করে ঢালতে হবে। ট্রেতে ঢালার পর কিসমিস, পেস্তাবাদাম এর উপরে ছড়িয়ে দিন। এবার ঠাণ্ডা হলে চাকু দিয়ে বোরফি আকারে কেটে নিন। হয়ে গেলো মজাদার গাজরের হালুয়া। এটি শীতের কালের স্বাস্থ্যকর একটি ভালো আইটেম।পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট বলতেই যখন আমাদের মনে ভেসে উঠে একজন ক্ষমতাবান ও বিত্তবান ব্যক্তিত্বের ছবি তখন জোসে মুজিকার নাম শুনলেই ভেসে উঠবে দানশীল ও সহজ সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক রাষ্ট্রনায়কের ছবি।
আর উরুগুয়ের সেই বর্তমান প্রেসিডেন্টের নামই হলো জোসে মুজিকা । যাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট। যিনি যৌবনে ছিলেন একজন গেরিলা ও সত্যিকারের যোদ্ধা।
যাকে রাজনীতিবিদদের আরাম-আয়েশ আর চাকচিক্যময় জীবন কাছে টানে না। তবে বিশ্বের মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত উরুগুয়ের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার মাসিক বেতন প্রায় ১২ হাজার ডলার ।
কিন্তু বেতনের শতকরা ৯০ ভাগই তিনি দান করে দেন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এবং নিজের জন্য অবশিষ্ট রাখেন মাত্র ৭৭৫ ডলার (কমবেশি)। এই দানশীলতার কারণেই তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
তার স্ত্রীর নাম লুসিয়াও । নিঃসন্তান এই দম্পতির সবচেয়ে দামি সম্পত্তি হলো ১৯৮৭ সালে কেনা এক হাজার ৯০০ ডলারের একটি গাড়ি।
আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, উরুগুয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর এই ব্যক্তির বসবাসের খামার বাড়িটি দেখলে যে কেউ ভূতেরবাড়ি বলে চমকে উঠবে। বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকার বদলে প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি বেছে নিয়েছেন নিতান্তই এক সাধারণ জীবন।
এখনো কর্দমাক্ত পথ পেরিয়েই নিজের খামার বাড়িতে পৌঁছাতে হয় তাকে। এই অর্ধ-পরিত্যক্ত খামার বাড়ির মালিকানাও তার নয়, তার স্ত্রীর। এখনো খামারে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত কৃষিকাজ করেন তিনি। খামারে চাষ করছেন হরেক রকমের ফুল।
ভাঙাচোরা একটি পুরানো কুয়াই বাড়িতে পানি সরবরাহের একমাত্র ব্যবস্থা। বিশ্বের দরিদ্রতম এই প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে মাত্র দুজন পুলিশ আর ম্যানুয়েলা নামের একটি আদুরের কুকুর। তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত এই কুকুরটিরও একটি পা খোঁড়া।
এক সময়কার বামপন্থি গেরিলা নেতা মুজিকার নামে কোনো ঋণ নেই, এমনকি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই।
নিজেকে নিয়ে মুজিকার উপলব্ধি, 'আমাকে সবাই দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট বলে। আমার তো মনে হয়, দরিদ্র তারাই যারা সারাটা জীবন কেবল ভোগ্যপণ্য কেনার অর্থ জোগাড় করতে দাসের মতো খেটে যাচ্ছে।'
নিজেকে তিনি পরিচয় দেন একজন কৃষক হিসেবে। ২০০৯ সালে দেশটির জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেন। মুজিকা তার ৭৮ বছরের জীবনে জেল খেটেছেন ১৪ বছর আর গুলি খেয়েছেন মোট ছয়বার।
দেশটির আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করে মুজিকা জানান, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না, এখন তার অবসরের সময় হয়েছে এবং আগামী বছর তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেবেন ।
বসবাসের অনুপযুক্ত দশটি জায়গা, তবু সেখানে মানুষ বসবাস করে!
বিশ্বের এমনও কিছু জায়গা আছে যেখানে বসবাস আপনার কাছে অসম্ভব মনে হতে
পারে। কিন্তু সব সম্ভবের এই পৃথিবীতে আসলে কিছুই অসম্ভব নয়। প্রচন্ড
প্রতিকূলতার মাঝেও মানুষ বসবাস করে আসছে এমন কিছু জায়গা থেকেই আজ ঘুরিয়ে
নিয়ে আসবো আপনাদের!
Arctic Circle এ অবস্থিত এই শহরটিতে প্রায় ১৫০০ লোকের বসবাস। অন্যতম শীতল এই জায়গাটি একসময় অপরাধীদের নির্বাসন দেয়ার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিলো।
আগুন পাহাড় নামেই অত্যধিক পরিচিত এই জায়গাটি। এই অগ্নিপাহাড়ে সবসময় ধিকিধিকি করে আগুন জ্বলতে থাকে, এবং গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৬০ বার সবেগে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। তবু এখানকার উর্বর মাটির লোভ সামলাতে পারেনি প্রায় আড়াইলাখ মানুষ!
এই লেকের গভীরে প্রায় কয়েক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মিথেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চিত রয়েছে। যদি কোনোভাবে গ্যাসগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় তবে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় সাথে সাথেই মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে!
এই জায়গাটি বেশ মজার, অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে ছোটো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৯টি পরিবারের ৫০ জন মানুষের বাস এই জায়গাটিতে। তবে এখানে নেই কোনো পোতাশ্রয় কিংবা উড়োজাহার নামবার স্থান। যদি কোনোভাবে আপনি ওখানে পৌঁছাতে পারেন তবে পাবেন অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট!
ছবিটি দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কি পরিমাণ দূষিত চীনের এই শহর। তবে সত্যি বলতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ হতেও পারবেনা এই শহরটি, কিন্তু তবু এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস।
আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীতে এখনও ৭৯ জন লোক বসবাস করছে, যদিও সম্পূর্ণ জায়গাটি জ্বলন্ত লাভায় পরিপুর্ণ!
এই জায়গাটি পুরো পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন! বলা হয় এটি পৃথিবীর ভেতরেই অন্য এক এলিয়েন জগত! এখানে যেসব উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সেগুলো আর কোথাওই পাওয়া যায়নি! এখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাসে এবং তারা চলাচলের জন্য চমৎকার দুটি রাস্তাও ব্যবহার করে!
পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী অধ্যুষিত জায়গা এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরে এই জায়াগটির বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব একটা বন্ধুসুলভ নয়। বলা যায় বাইরের কেউ এখানে নিষিদ্ধ!
বজ্রপাতের ভয় থাকলে এই গ্রামে বসবাস না করাটাই আপনার জন্য ভালো। কিন্তু এখানকার অধিবাসিরা নিয়মিত এই বজ্রপাতের সাথেই বসবাস করেন, প্রতি স্কয়ার মাইলে বছরে গড়ে ৬০বার বজ্রপাত হয় এখানে!
এই গ্রামটিকে বলা যায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা! এখানে যেতে আপনাকে একটি সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, তবু এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস!
Atacama Desert, Chile/Peru
বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান বলে পরিচিত এই জায়গাটিতে প্রতি হাজার বছরে মাত্র ৪ বছর বৃষ্টি পড়ে! এই মরুভূমিতে দিনের বেলা যেমন ভয়াবহ গরম পড়ে ঠিক তেমন রাত্রিতে ভয়াবহ শীত পড়ে। তবু এমন একটি জায়গায় অন্তত এক মিলিয়নেরও বেশী মানুষের বসবাস অবাক করে দেয়!Verkhoyansk, Russia
Arctic Circle এ অবস্থিত এই শহরটিতে প্রায় ১৫০০ লোকের বসবাস। অন্যতম শীতল এই জায়গাটি একসময় অপরাধীদের নির্বাসন দেয়ার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিলো।
Mount Merapi, Indonesia
আগুন পাহাড় নামেই অত্যধিক পরিচিত এই জায়গাটি। এই অগ্নিপাহাড়ে সবসময় ধিকিধিকি করে আগুন জ্বলতে থাকে, এবং গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৬০ বার সবেগে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। তবু এখানকার উর্বর মাটির লোভ সামলাতে পারেনি প্রায় আড়াইলাখ মানুষ!
Lake Kivu, Democratic Republic of Congo/Rwanda
এই লেকের গভীরে প্রায় কয়েক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মিথেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চিত রয়েছে। যদি কোনোভাবে গ্যাসগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় তবে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় সাথে সাথেই মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে!
The Pitcairn Islands
এই জায়গাটি বেশ মজার, অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে ছোটো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৯টি পরিবারের ৫০ জন মানুষের বাস এই জায়গাটিতে। তবে এখানে নেই কোনো পোতাশ্রয় কিংবা উড়োজাহার নামবার স্থান। যদি কোনোভাবে আপনি ওখানে পৌঁছাতে পারেন তবে পাবেন অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট!
Linfen, China
ছবিটি দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কি পরিমাণ দূষিত চীনের এই শহর। তবে সত্যি বলতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ হতেও পারবেনা এই শহরটি, কিন্তু তবু এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস।
Pompeii, Italy
আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীতে এখনও ৭৯ জন লোক বসবাস করছে, যদিও সম্পূর্ণ জায়গাটি জ্বলন্ত লাভায় পরিপুর্ণ!
Socotra Island, Yemen
এই জায়গাটি পুরো পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন! বলা হয় এটি পৃথিবীর ভেতরেই অন্য এক এলিয়েন জগত! এখানে যেসব উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সেগুলো আর কোথাওই পাওয়া যায়নি! এখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাসে এবং তারা চলাচলের জন্য চমৎকার দুটি রাস্তাও ব্যবহার করে!
Tristan da Cunha
পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী অধ্যুষিত জায়গা এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরে এই জায়াগটির বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব একটা বন্ধুসুলভ নয়। বলা যায় বাইরের কেউ এখানে নিষিদ্ধ!
Kifuka, Democratic Republic of the Congo
বজ্রপাতের ভয় থাকলে এই গ্রামে বসবাস না করাটাই আপনার জন্য ভালো। কিন্তু এখানকার অধিবাসিরা নিয়মিত এই বজ্রপাতের সাথেই বসবাস করেন, প্রতি স্কয়ার মাইলে বছরে গড়ে ৬০বার বজ্রপাত হয় এখানে!
Motuo, China
এই গ্রামটিকে বলা যায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা! এখানে যেতে আপনাকে একটি সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, তবু এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস!
দূর করূন ব্ল্যাকহেডস
নাকের ডগায় কালো দাগগুলোকে বলে ব্ল্যাকহেডস। সুন্দর নাকের ডগাখানি দেখতে বেমানান লাগে, যখন তাতে কালো কালো এই দাগ পড়ে।
ধুলাবালুর প্রকোপে এর থেকে রেহাই পাওয়াটা কঠিনই বটে। তবে আপনি চাইলে নিয়মিত পরিচর্যায় ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ধুলাবালুতে প্রথমে সাদা শাল বা হোয়াইটহেডসে পরিণত হয়। এগুলো পরে ব্ল্যাকহেডসে রূপান্তরিত হয়। যদি শুরু থেকেই সাদা শালগুলোকে দূর করা যায়, তবে ব্ল্যাকহেডস হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ঘরে বসেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু পরামর্শ রইল:
-সুন্দর থাকার অন্যতম শর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত মুখমণ্ডল পরিচ্ছন্ন রাখলে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
-যাঁরা এর মধ্যেই নাকে সাদা শালের উপদ্রব টের পেয়েছেন, তাঁরা যেকোনো লোশন বা ম্যাসাজ ক্রিম ও পেট্রোলিয়াম জেলি একত্রে মিশিয়ে হালকা করে নাকে কিছু সময় মালিশ করুন। নাকের ত্বক নরম হলে গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে হালকা চাপ দিয়ে সাদা শালগুলো তুলে নিতে পারেন।
-ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়েও নাকে লাগানো যেতে পারে। লাগানোর পর এর ওপর একটা পাতলা কোমল কাপড় আটকে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। এতে ব্ল্যাকহেডস উঠে যাবে।
-আঙুলের ডগায় মধু নিয়ে নাকে ও চোয়ালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কিছু সময় মালিশও করতে পারেন। এরপরকুসুমগরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-পাকা টমেটো পুরো মুখে লাগিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকহেডসের অংশগুলো ১৫ মিনিট ধরে হালকা মালিশ করুন। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই ও দুই-তিন ফোঁটা মধু মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন নাকে-চোয়ালে। এতে মৃদু মালিশে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যায়।
-যাঁদের ব্ল্যাকহেডস এর মধ্যেই অনেক বেশি শক্ত হয়ে বসেছে তাঁরা ওপরের যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ শেষে ব্ল্যাকহেডস দূর করার ক্লিপের সহায়তা নিতে পারেন। বাজারে একধরনের সরু ক্লিপ পাওয়া যায়, যেটি কেবল ব্ল্যাকহেডস দূর করতেই ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে হালকা চাপ দিলে বেরিয়ে আসে ভেতরের বাড়তি অংশটি, যেটি আপনার সৌন্দর্যের বাধা সৃষ্টিকারী।
বিদায় জানান ব্ল্যাকহেডসকে। আপনার নাকের ডগায় বসে এমন সাহস আর আছে কার?
ধুলাবালুর প্রকোপে এর থেকে রেহাই পাওয়াটা কঠিনই বটে। তবে আপনি চাইলে নিয়মিত পরিচর্যায় ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ধুলাবালুতে প্রথমে সাদা শাল বা হোয়াইটহেডসে পরিণত হয়। এগুলো পরে ব্ল্যাকহেডসে রূপান্তরিত হয়। যদি শুরু থেকেই সাদা শালগুলোকে দূর করা যায়, তবে ব্ল্যাকহেডস হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ঘরে বসেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু পরামর্শ রইল:
-সুন্দর থাকার অন্যতম শর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত মুখমণ্ডল পরিচ্ছন্ন রাখলে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
-যাঁরা এর মধ্যেই নাকে সাদা শালের উপদ্রব টের পেয়েছেন, তাঁরা যেকোনো লোশন বা ম্যাসাজ ক্রিম ও পেট্রোলিয়াম জেলি একত্রে মিশিয়ে হালকা করে নাকে কিছু সময় মালিশ করুন। নাকের ত্বক নরম হলে গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে হালকা চাপ দিয়ে সাদা শালগুলো তুলে নিতে পারেন।
-ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়েও নাকে লাগানো যেতে পারে। লাগানোর পর এর ওপর একটা পাতলা কোমল কাপড় আটকে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। এতে ব্ল্যাকহেডস উঠে যাবে।
-আঙুলের ডগায় মধু নিয়ে নাকে ও চোয়ালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কিছু সময় মালিশও করতে পারেন। এরপরকুসুমগরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-পাকা টমেটো পুরো মুখে লাগিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকহেডসের অংশগুলো ১৫ মিনিট ধরে হালকা মালিশ করুন। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই ও দুই-তিন ফোঁটা মধু মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন নাকে-চোয়ালে। এতে মৃদু মালিশে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যায়।
-যাঁদের ব্ল্যাকহেডস এর মধ্যেই অনেক বেশি শক্ত হয়ে বসেছে তাঁরা ওপরের যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ শেষে ব্ল্যাকহেডস দূর করার ক্লিপের সহায়তা নিতে পারেন। বাজারে একধরনের সরু ক্লিপ পাওয়া যায়, যেটি কেবল ব্ল্যাকহেডস দূর করতেই ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে হালকা চাপ দিলে বেরিয়ে আসে ভেতরের বাড়তি অংশটি, যেটি আপনার সৌন্দর্যের বাধা সৃষ্টিকারী।
বিদায় জানান ব্ল্যাকহেডসকে। আপনার নাকের ডগায় বসে এমন সাহস আর আছে কার?
পাইলস্ ও প্রস্রাবসহ নানা রোগের মহৌষধ পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আমরা সাধারণ তরকারি স্বাদের জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু এই পেঁয়াজে
রয়েছে বহু গুণাগুণ। আসুন জেনে নেই এই পেঁয়াজে কি কি গুণ রয়েছে।
# ওষধী শাস্ত্রে পেঁয়াজের রয়েছে অনেক রকম ব্যবহার। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব, সর্দিতে নাক বন্ধ, কপাল ভার এরকম পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের রস নাকে দিলে সর্দি বেরিয়ে আসে। কপাল হাল্কা বোধ হয় এবং জ্বর জ্বর ভাব কেটে যায়।
# অস্থিরকর ভ্যাপসা গরমে শরীর কষে গেলে প্রস্রাবও কষে যায়। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস এক চা চামচ ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে আসে। পেঁয়াজ শীরের প্রস্রাব ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা প্রস্রাব চাপলে আর দাঁড়াতে পারেন না। মুত্র নি:স্বরণের জন্য ব্যস্ত হতে বাধ্য হন। কিন্তু পেঁয়াজের রস ওই অস্থিরকর পরিস্থিতি কাটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস এক চা চামচ করে ৪/৫ দিন খেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা।
# শরীর গরম হয়ে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের নস্যি নিলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
# যারা অর্শ্ব (পাইলস্) রোগে ভোগেন পেঁয়াজ তাদের জন্যও একটি বিশেষ উপকারী ভেশজ। যদি কোন কারণে রক্ত পড়া বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রে এক চা চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। একই পরিমাণ পেঁয়াজের রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ ও দাস্ত পরিষ্কার হয়।
# অনেক সময় কানের বাইরে ঘা হয়। কিন্বা বিশফোঁড়া পেকে টন টন করে। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস ৪/৫ ফোটা অল্প অল্প করে দিলে ব্যথা কমে গিয়ে ঘা বা ফোঁড়া ভালো হয়ে যায়।
# ওষধী শাস্ত্রে পেঁয়াজের রয়েছে অনেক রকম ব্যবহার। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব, সর্দিতে নাক বন্ধ, কপাল ভার এরকম পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের রস নাকে দিলে সর্দি বেরিয়ে আসে। কপাল হাল্কা বোধ হয় এবং জ্বর জ্বর ভাব কেটে যায়।
# অস্থিরকর ভ্যাপসা গরমে শরীর কষে গেলে প্রস্রাবও কষে যায়। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস এক চা চামচ ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে আসে। পেঁয়াজ শীরের প্রস্রাব ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা প্রস্রাব চাপলে আর দাঁড়াতে পারেন না। মুত্র নি:স্বরণের জন্য ব্যস্ত হতে বাধ্য হন। কিন্তু পেঁয়াজের রস ওই অস্থিরকর পরিস্থিতি কাটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস এক চা চামচ করে ৪/৫ দিন খেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা।
# শরীর গরম হয়ে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের নস্যি নিলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
# যারা অর্শ্ব (পাইলস্) রোগে ভোগেন পেঁয়াজ তাদের জন্যও একটি বিশেষ উপকারী ভেশজ। যদি কোন কারণে রক্ত পড়া বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রে এক চা চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। একই পরিমাণ পেঁয়াজের রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ ও দাস্ত পরিষ্কার হয়।
# অনেক সময় কানের বাইরে ঘা হয়। কিন্বা বিশফোঁড়া পেকে টন টন করে। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস ৪/৫ ফোটা অল্প অল্প করে দিলে ব্যথা কমে গিয়ে ঘা বা ফোঁড়া ভালো হয়ে যায়।