Archive for August 2013

চিকিৎসায় দূর হয় বন্ধ্যাত্ব

ড. পি কে সেন কলকাতার বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ এবং সার্জন।  এমবিবিএস(ক্যাল), ডিজিও(ক্যাল), এমডি (গাইনোকোলজি এবং অবস্ট্রেস্টিক্স)।

তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন রেজিস্টার এবং এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালের প্রাক্তন স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ। ড. পিকে সেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গাইনোকোলজি এবং অবস্ট্রেস্টিক্স বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক।

বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ আজকের প্রজন্মের বহু দম্পতিদের কাছে এক বড় মাপের সমস্যা। এই সমস্যা প্রভাব ফেলে দাম্পত্য জীবনে। শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়- এর প্রভাব পড়ে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও।

আজও আমাদের সমাজে বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে অনেকেই চান না। কিন্তু অন্য আর পাঁচটি শারীরিক সমস্যার মতোই এগুলিও একটি সমস্যা।

অথচ চিকিৎসা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক অবস্থায় বেশির ভাগ মহিলাই  চিকিৎসা করান না।। ফলে সমস্যা বাড়তে বাড়তে জটিল আকার ধারণ করে।

এ সমস্যাগুলি নিয়ে জানতেই বাংলানিউজটোয়ন্টিফোর.কম- এর কলকাতা প্রতিনিধি ভাস্কর সরদার হাজির হয়েছিলেন ড. পিকে সেন‘র চেম্বারে। ৬১ বছর বয়সের প্রবীণ এই চিকিৎসক জানালেন বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ নিয়ে তার মতামত।

বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলি কি কি?

প্রথমেই বলি বন্ধ্যাত্ব শুধু মহিলাদের শারীরিক সমস্যা নয়। এটা মহিলা পুরুষ উভয়েরই সমস্যা হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব’র কারণ গুলির মধ্যে একটি প্রধান- হল আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাব। এছাড়াও অন্যান্য বড় কারণ গুলি হল বেশী বয়েসে বিয়ে, প্রথম গর্ভস্থ শিশুকে গর্ভে নষ্ট করে দেওয়া, অ্যাবরসন, টিউবাল ব্লকেজ বিবিধ।

পাঠকদের সুবিধার জন্য কারণ একটু বুঝিয়ে বলুন?

আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে খুব বেশী জড়িয়ে যাওয়া যে কোন মানুষেরই শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। অতিরিক্ত মশল্লা দেওয়া হোটেল রেস্তরার খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে, সঠিক বিশ্রাম না নেওয়া, ভাত-রুটি থেকে সরে গিয়ে পিজা-বার্গার এর ভক্ত হয়ে ওঠা এই সব কিছুই সমস্যার কারণ। তার সঙ্গে “কোল্ড ড্রিঙ্ক”-এর অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ্যাত্বর অন্যতম কারণ।
এছাড়া  অ্যাবরসন করা হলে অনেক সময়ই তা সঠিকভাবে করা হয় না। এরফলে হতে পারে সংক্রমণ এবং এটিও বন্ধ্যাত্বর একটি প্রধান কারণ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে তৈরি হয় ‘টিউবাল ব্লকেজ’র ফলেও জন্ম নেয় বন্ধ্যাত্বর সমস্যা।

কী পরিমাণ মহিলা বন্ধাত্বর শিকার?

ভারত-বাংলাদেশের হিসাব ধরলে বলা যেতে পারে ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন মহিলা বন্ধ্যাত্বর শিকার। গোটা পৃথিবীর হিসাবটাও এরই কাছাকাছি।

বেশি বয়েসে মহিলাদের বিয়ের ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্যা মনে করেন?

সমাজ বদল হচ্ছে । আজকের নারীরা সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা পড়াশুনা করে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। শুধু তারা উপার্জন করছেন তাই নয়- তারা দেশ ও সমাজের প্রগতির অঙ্গ হিসেবে পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে চলেছেন।

কিন্তু অনেক সময় জীবনের অন্যদিকের কাজ-কর্মে সময় দিতে গিয়ে  দেরী করে তাদের বিয়ে হচ্ছে। সেখানেই শুরু হতে পারে সমস্যা।

কি কারণে বেশি বয়সে এই সমস্যা হয়?

খুব সহজ করে বলতে গেলে মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের পর এই সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার জটিল ভাষা না বলেও বলা যায় MAFH,MAH,TSH এই তিনটি হরমোন গর্ভবতী হবার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব পূর্ণ কাজ করে।

মহিলাদের ৩৫ বছর হবার পর MAFH হরমোন এর ক্ষরণ বেড়ে যায় ও MAH হরমোন এর ক্ষরণ কমে যায় এর ফলে সমস্যা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কারণ আছে।

অতিরিক্ত ওজন কি সমস্যার কারণ?

অবশ্যই। তবে এটা শুধু মহিলাদের নয় পুরুষদেরও সমস্যার কারণ। অতিরিক্ত ওজন কমাতেই হবে। এটি আজকের দম্পতিদের একটি প্রধান সমস্যা।

পুরুষদের ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে?

অনেক পুরুষের সমস্যাও বন্ধ্যাত্বের কারণ। যে সমস্যা গুলি বেশি দেখা যায় সেগুলি হোল “স্পার্ম কাউন্ট” কমে যাওয়া। খুব দ্রুত “স্পার্ম” মরে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া আছে “মামস” বা বিভিন্ন যৌন সংক্রমণ জাতীয় রোগের শিকার হওয়া। এই গুলিও বন্ধ্য‍াত্বের অন্যতম কারণ।

কারণ গুলি কি কি?

আবারও বলতে হবে আধুনিক জীবনযাত্রা আর খাদ্যাভ্যাসের কথা। ধূমপান, অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন, ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার ফলে “স্পার্ম কাউন্ট” কমে যায়। এর ফলে তৈরি হয় বন্ধাত্ব। অপর দিকে বাড়তে থাকে ওজন, সেটি বন্ধ্যাত্বের অপর একটি কারণ।

মহিলাদের আর একটি সমস্যা অনিয়মিত ঋতুচক্র। একজন স্ত্রীরোগ বিশেষঞ্জ হিসেবে আপনি সমস্যাটিকে কি ভাবে দেখেন?

এটি কিশোরী থেকে শুরু করে ৪০ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এর কারণ অনেকটাই খাদ্যাভাস। এছাড়া আছে বাড়তে থাকা ওজন। বাড়িতে রান্না খাবার ছেড়ে বিরিয়ানি, চপ, কাটলেট-এর প্রতি প্রবল ভালবাসা এটির অন্যতম কারণ।
তবে এই সমস্যাকে ফেলে রাখা একদমই উচিত নয় অনেকেই এটাকে নিয়ে অবহেলা করেন। এই সমস্যার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত।

এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যা থেকে সমাধানের রাস্তা বলুন

এসব সমস্যা  থেকে দুরে থাকতে হলে পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই সুস্থ জীবন শৈলীতে ফিরে আসতে হবে। সময় মত নিয়ম করে খাওয়া, তেল জাতীয় খাদ্য যতটা সম্ভব কম খাওয়া, প্রচুর পরিমাণে সবুজ এবং তাজা শাক- সবজী খাওয়া। বাইরের মুখরোচক খাবার ছেড়ে ঘরে বানান পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।

এছাড়াও নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ওজন বাড়তে না দেওয়া। এই গুলি বজায় রাখলে এই ধরণের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। তবে এরপরও সমস্যা দেখা দিলে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা দরকার।

এই দ্রুততর এবং মানসিক চাপ যুক্ত জীবনে কি এই জীবন শৈলী বজায় রাখা সম্ভব? কাজের চাপ বা মানসিক চাপ কি সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয় না?

সুস্থ থাকতে হলে সঠিক সময় পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে- তা সে যতই কাজের চাপ থাক না কেন। প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে হবে। খুব কম করে হলেও ১৫ মিনিট।

ওজন বাড়লে হাজির হবে আরও নানা রকম রোগ। বন্ধ করতে হবে ঠাণ্ডা পানীয় সহযোগে পিজা, বার্গার, চপ, কাটলেটসহ তেল, চর্বি জাতীয় খাবার।

কি ধরনের  রোগী আপনার কাছে বেশী আসে

বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগীরা আসেন। কারো বাচ্চা জন্মানোর পর কোন সমস্যা নিয়ে, কারো বা তার আগের কোন সমস্যা নিয়ে। অনেক গর্ভবতী মা-র সুগার, মৃগী রোগ, উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা থাকে তারাও আসেন। এছাড়া স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্ব সমস্যার রোগীরা তো আছেনই।

ইতোমধ্যেই রোগীরা আসতে শুরু করেছেন কলকাতার চারু চন্দ্র প্লেসের তার চেম্বারে। এছাড়াও তিনি আরও চারটি জায়গায় রোগি দেখেন।  মাত্র দশ জন রোগি দেখেন ডাক্তার পি কে সেন ।

তিনি আগেই জানিয়েছিলেন অনেক রোগী আসেন বাংলাদেশ থেকে। মনে হচ্ছিল সেই রকম এক জন কারো সঙ্গে দেখা হলে ভালো হত। কথা শেষ করে বেড়িয়ে এলাম তার ঘর থেকে। বাইরে কয়েকজন বসে আছেন। জানতে চাইলাম কোথা থেকে এসেছেন?

পেয়েও গেলাম একজনকে। শেখ সাহেব ও ফ্যান্সী বিবি। এসেছেন ঢাকা থেকে। প্রশ্ন করলাম কি করে সন্ধান পেলেন এই ডাক্তারের?  স্বাভাবিক কারণেই একটু ইতস্তত ভাব। শেখ সাহেব পোশাক ব্যবসায়ী, বয়স ৪১ ফ্যান্সী বিবির বয়স ২৫। জানালেন ঢাকা হাইকোর্টের এক মহিলা উকিলের কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে এখানে এসেছেন।
সেই উকিল এই ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা নিয়ে আজ “মা” হয়েছেন।

ফ্যান্সী বিবি  বললেন ডাক্তারবাবুর প্রতি তার অসীম ভরসা। শেখ সাহেব বিশ্বাস করেন আল্লা চাইলে তিনি “আব্বা” ডাক শুনবেনই, আর ডাক্তারবাবু তো আছেনই ।

যেকোন পরামর্শের জন্য
Email-hnc24x7@gmail.com

বিশ্বের সব থেকে ছোট নারী

গতকাল আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়েছিলাম বিশ্বের সব থেকে ছোট মানুষ [পুরুষ] এর সাথে;
আজকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি সব থেকে ছোট মানুষ [নারী] এর সাথে;
নিচে যার ছবি দেখতে পাচ্ছেন তিনি হলেন বিশ্বের সব থেকে ছোট নারী;

#Guinness_World_Records_2011 এর তালিকায় বিশ্বের সব থেকে ছোট মানুষের (নারী) এর তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন ভারতের অধিবাসি #Jyoti_Amge';
এখন পর্যন্ত Jyoti Amge বিশ্বের সব থেকে ছোট নারীর তালিকায় রয়েছেন ;

'Jyoti Amge' ১৯৯৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন...
২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তার ১৮ তম জন্মদিনে 'Guinness World Records' এর তালিকায় স্থান পান ;

২০ বছর বয়সি এই ছোট নারীর উচ্চতা মাত্র ৫৮.৪ সেন্টিমিটার (২৩ ইঞ্চি)[দাঁড়িয়ে] এবং তার ওজন মাত্র 5 কেজি;

ভাড়ায় স্বামী পাওয়া যায়

রাজধানীতে চলছে ভাড়ায় স্বামী বাণিজ্য। পেশাদার ভাড়াটে স্বামীও আছেন। স্বামী হিসেবে ভাড়ায় খেটে নিজের সংসার চালান এমনও পাওয়া গেছে অনুসন্ধান কালে। দিনে ১শ’ টাকা থেকে মাসে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় ভাড়ায় স্বামী পাওয়া যায়। একই পুরুষ ভাড়ায় খাটেন একাধিক নারীর স্বামী পরিচয়ে। জামালপুরের মধ্যবয়সী পুরুষ সালাউদ্দিন। এক যুগ আগে ঢাকায় এসে মিরপুর এলাকায় পান-সিগারেটের ব্যবসা শুরু করে। ধীরে ধীরে জড়িয়ে যায় এক সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে। ধরা পড়ে জেলও খাটে দেড় বছর। জেল থেকে বেরুনোর পর পরিচয় হয় এক মহিলার সঙ্গে। সেই থেকে ভাড়ায় স্বামী বাণিজ্য শুরু সালাউদ্দিনের। এখন রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা ও গাবতলী এলাকায় ৬টি বাসায় ৬ নারীর ভাড়াটে স্বামী সে। ভাড়া পায় ৩০ হাজার টাকা। কোন মাসে বেশিও পায়। আবার কোন মাসে কিছুটা কমও পায় বলে জানায় সালাউদ্দিন। নিজের স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে ভাড়া থাকে মিরপুরের কালসী এলাকায়। ভাড়ায় স্বামী খাটাই এখন তার একমাত্র পেশা বলে জানায় সে। রাজধানীর জুরাইন এলাকার সড়ক পাশের খুদে দোকানি রহিমা বেগমের স্বামী নেই। আরেক বিয়ে করে স্বামী চলে গেছে, কোথায় গিয়েছে সেটাও জানা নেই আলো বেগমের। তিনটি সন্তান নিয়ে সড়ক পাশের কখনও পিঠা, কখনও মওসুমি ফল, সঙ্গে চা-পানের দোকান করে জীবন চালান তিনি। এখন ছেলেকে চা পানের দোকান আলাদা করে দিতে পাঁচ হাজার টাকার ঋণ দরকার তার। একটি এনজিও থেকে ঋণ পেতে স্বামী দরকার। এনজিও’র লোকেরা বলেছে ঋণ পেতে হলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছবি লাগবে, এক সঙ্গে না হলে ঋণ পাওয়া যাবে না। মাস কয়েক আগে এনজিও’র ঋণ পেতে একজন স্বামী ভাড়া করেছিলেন তিনি। ঋণের টাকা থেকে ৫শ’ টাকা দিয়েছেন তাকে। মাত্র ৫শ’ টাকাতেই আলো বেগমের সঙ্গে স্বামী পরিচয়ে এনজিও অফিসে গিয়ে ছবি তুলে ঋণ পেতে সহায়তা করেছে বিশু নামের এক লোক।
অনুসন্ধানে রাজধানীতে তিন ধরনের কাজের জন্য মহিলাদের স্বামী পরিচয়ে পুরুষ ভাড়া করার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা গেছে। বিশেষ করে যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারীরা বাসা ভাড়া নেয়ার সময় স্বামী হিসেবে লোক ভাড়া করে বাড়ির মালিককে দেখিয়ে থাকে। এনজিও সহ বেশকিছু মাল্টি পারপাস  কোম্পানি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নেয়ার শর্ত হিসেবে স্বামীর পরিচয় ও তার ছবি ব্যবহার করতে স্বামী ভাড়া করে। এছাড়া, সাম্প্রতিক কালে পাসপোর্ট অফিসে কোন মহিলা স্বামী ছাড়া একা গেলে তাকে স্বামীর উপস্থিতি দেখানোর প্রয়োজনে স্বামী ভাড়া করে দেখিয়ে আবার স্বামী নিয়ে আসার ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে হয়।
ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে যৌনকর্মীদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই সব যৌনকর্মী এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করেছে। বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামী ছাড়া বাড়ির মালিক বাসা ভাড়া দিতে চায় না। বাড়ি ভাড়া নেয়ার ওই প্রতিবন্ধকতার কথা চিন্তা করে যৌন কর্মীরা তাদের পূর্ব পরিচিত কোন পুরুষকে স্বামী হিসেবে ভাড়া করে। বাড়ি ভাড়া করার সময় সঙ্গে থাকে ভাড়াটে স্বামী। দেখা গেছে, বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় বাড়ির মালিককে বলা হয় স্বামী  নিয়মিত ঢাকায় থাকে না, বাইরের কোন জেলায় চাকরি বা ব্যবসা করে। একই সঙ্গে বলা হয় বাসায় নিয়মিত থাকবে তার স্ত্রী ও দুই বা তিন বোন। ওই বোনদের থাকার কথা বলে জায়েজ করে নেয়া হয় আরও দু’-তিনজন যৌন কর্মীকে। এভাবেই রাজধানী শহর জুড়ে ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে চলছে যৌন বাণিজ্য। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে একই ব্যক্তির তিন-চারটে ফ্ল্যাট বাড়িতে স্বামীর পরিচয়ে ভাড়া খাটার বিষয়টি। সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে সালাউদ্দিন নামের এক লোককে। ৬ নারীর স্বামী হিসেবে ভাড়া খাটে। ভাড়া খাটার শর্ত হচ্ছে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন স্বামী পরিচয়ে বাসায় অবস্থান করতে হবে, আর বাসার বাজারও করে দিতে হবে। বাসায় অবস্থান করা ও বাজার করার শর্ত দেয়ার মানে হচ্ছে যাতে আশপাশের লোকেরা কোন প্রকার সন্দেহ না করে। ওই সব যৌনকর্মীদের ক্ষেত্রে স্বামীর ভাড়া সবচেয়ে বেশি। ব্যক্তিগত অনুসন্ধানে যৌনকর্মীদের স্বামী হিসেবে ভাড়ায় খাটা চারজনের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মাসে তাদের কারও ভাড়াই পাঁচ হাজারের নিচে নয়, এর চেয়ে বেশিও আছে। আবার ভাড়াটে স্বামীরা তাদের বন্ধু পরিচয়ে কোন খদ্দেরকে বাসায় নিয়ে গেলে সেখান থেকে কমিশনও পায়।
দেখা গেছে, রাজধানীতে বিভিন্ন ক্ষুদে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ বস্তিবাসী বা ভাসমান নারীরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সন্তানদের নিয়ে জীবন ধারণ করছে। তাদের বেশির ভাগই স্বামী পরিত্যক্তা। ব্যবসা পরিচালনা বা সম্প্রসারণের কারণে কখনও কখনও এদের ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজন হয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এনজিওগুলো বা নগরীতে সুদের ব্যবসা করে এমন সংস্থাগুলো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ছবি ও নাম ব্যবহার করে, দু’জনকেই ঋণের দায়বদ্ধ করে। এনজিও গুলোর ওই নিয়মের কারণে স্বামী পরিত্যক্তদের ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে পরিচিত এবং ভাল সম্পর্ক আছে এমন কাউকে স্বামী হিসেবে ভাড়া করে সংস্থাগুলো থেকে ব্যবসার ঋণ পায় মহিলারা। বিনিময়ে ভাড়াটে স্বামীকে ধরিয়ে দিতে হয় নগদ কিছু। আবার জানা গেছে, অনেকে কেবলমাত্র ভাল সম্পর্কের কারণে বিনা টাকায় মহিলাদের ঋণ পেতে সহায়তা করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে অফিসে যেতে হয়। অজ্ঞতাপ্রসূত কোন নারী একা পাসপোর্টের ছবি তুলতে গেলে তাকে স্বামী সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়, সে ক্ষেত্রে মহিলা পাসপোর্ট প্রত্যাশীকে সময় ব্যয় করে আরেক দিন আসতে হয়, অনেকে ফিরে যান। মহিলারা ফিরে যাওয়ার সময় এখানকার কিছু দালাল সুকৌশলে মহিলাদের প্রস্তাব দেন, টাকা-পয়সা খরচ করে আবার আসবেন তার চেয়ে মাত্র ১শ’ টাকা খরচ করুনÑ আমি একজন লোক দিচ্ছি উনি আপনার সঙ্গে যাবেন, মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য উনাকে স্বামী পরিচয় দেবেন, ছবিটা তোলা হলে চলে যাবেন। নানা বয়সী নারীদের জন্য কয়েক মিনিট ভাড়ায় খাটতে নানা বয়সী পুরুষ পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে জড়ো করা আছে এখানকার কুদ্দুস নামের এক দালালের।-মানবজমিন

কেনিয়ায় বউ ভাগাভাগি চুক্তি

ঢাকা: এক তরুণীকে দুই পুরুষ ভালোবাসে। আর তা নিয়ে ভীষণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত। মাঝে মাঝে আত্মহননের মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু সম্প্রতি দুইজন কেনিয়ান পুরুষ ভালোবাসার এক রমণীকে বিয়ে করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা হয়ত অনেককেই নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলবে।

চার বছরের বেশি সময় ধরে একই নারীকে সিলভেস্টা মিয়ন্ডা এবং এলিজাহ কিমানি নামের ওই দুই পুরুষ ভালোবাসে আসছে। দুইজনই তাকে বিয়ে করতে চায়। এই নিয়ে অনেক দেন দরবারের পর সিদ্ধান্ত হয়- মেয়েটি যাকে বিয়ে করতে চাইবে সেই ওই মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাবে।

কিন্তু না এবারও সংকটের সমাধান হলো না। মেয়েটি দুইজনের মধ্যে একজন বেছে নিতে পারল না। সুতরাং সমস্যা এবার আরো ঘনীভূত হলো।

শেষমেষ ওই দুই যুবক এই সিদ্ধান্তে পৌছাল যে তারা উভয়েই ভালাবাসার মানুষটিকে বিয়ে করবে। এ লক্ষ্যে তারা এক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে।

চুক্তিতে বলা হয়, সিলভেস্টা মিয়ন্ডা এবং এলিজাহ কিমানি বিয়ের পর স্ত্রীর বাসায় একসঙ্গে থাকবেন। তাদের ঘর আলোকিত করে যে সন্তান আসবে তা তারা একসঙ্গে দেখাশুনা করবেন।

সোমবার কেনিয়ার স্থানীয় ডেইলি নেশন পত্রিকার এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এ কথা জানায়।
কেনিয়ার আইনজীবীরা বলছে, ওই তিনজন যদি প্রমান করতে পারে যে বহুভর্তৃকা ( এক নারীর একাধিক স্বামী) তাদের সমাজ প্রথায় ছিল তবেই এই বিয়ে আইনগতভাবে বৈধতা পাবে।

কেনিয়ার পারিবারিক আইন বিশেজ্ঞ জুডি থংরি জানায়, বাহ্যিকভাবে এক নারীর একাধিক স্বামী রাখার প্রথা কেনিয়ায় আইন বিরোধী নয়। তবে এটি হতে হবে বিধিবদ্ধ আইন কিংবা প্রথাগত বিয়ের অধীনেই।

জানা যায়, এক স্বামী একাধিক স্ত্রী রাখার কথা কেনিয়ায় প্রায়ই শোনা গেলও স্ত্রী ভাগাভাগি করার ঘটনা বিরল।

কেশ যার ৫৫ ফুট!

ঢাকা: কেশ নারীর সৌন্দর্যের অংশ। কিন্তু ৫৫ ফুট লম্বা চুলকে কি বলবেন আপনি! ছবিগুলো দেখলেও বিশ্বাস হতে চায় না, কোনো নারীর এতো লম্বা চুল হতে পারে!

বড় জোর আপনার বিশ্বাস হতে পারে, ছবির নারীটি ওয়াল্ট ডিজনি পিকচারসের ৫০ তম অ্যানিমেটেড সিনেমা ট্যানজেলড ও এর পরের সংস্করণ ট্যানজেলড ইভার আফটারের চরিত্র রেপুনজাল।

কিন্তু এ নারী কল্প সাহিত্যের রেপুনজাল নন। বাস্তবের রেপুনজাল। তার নাম আশা ম্যান্ডেলা। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টার বাসিন্দা তিনি।

২৫ বছর ধরে লালন করছেন ইয়া লম্বা চুলকে। ‘আধ্যাত্মিক ডাকে’ তিনি চুল রাখা শুরু করেন।

এতো লম্বা চুলের জন্য তার মেরুদণ্ডে বক্রতার সৃষ্টি হয়েছে। প্যারালাইজড হওয়‍ার আশঙ্কা রয়েছে তার। চিকিৎসকরা তাকে চুল কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ এ কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দেন তিনি।

আশা ম্যান্ডেলা বলেন, তার কেশ কেটে ফেললে তিনি জীবন্ত লাশে পরিণত হবেন।

এক সন্তানের মা আশা বলেন, ‘আমার চুল আমার অংশ। এটা আমার জীবন। আমি কখনই এগুলো কাটাবো না।’
তার মতে, চুল কাটা আর আত্মহত্যা একই সমান।

নিজের চুলকে ‘সন্তান’ মানেন তিনি। ক্যান্সার, দুই দুইবার স্ট্রোক ও হার্ট-অ্যাটাক থেকে তিনি রেহাই পেয়েছেন এই চুলের কারণই।

এতো কষ্ট করে এতো লম্বা চুলগুলো লালন-পালন করার স্বীকৃতিও পেয়েছে

ঐতিহাসিক চুল তৈরির ফর্মুলা তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। তার চুল ধুঁতে আর শুকাতে দুদিন লাগে।
ন আশা। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কেশওয়ালির খেতাবটি তার ঝুলিতে, গিনেস বুকে উঠেছে তার নাম।

মুঠোফোনে প্রেম অতঃপর গণধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ১



বাউফল :: মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম আর অচেনা সেই প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী ১৮ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের কলেজ রোড এলাকায় ঘটনা ঘটে পুলিশ তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় এদিকে তরুণীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে মো. মনির হোসেন (২২) নামে একজনকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
ঘটনায় রোববার রাতেই তরুণীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন মামলায় প্রেমিক সোহাগ (২৩)সহ আরো দুজনকে আসামী করা হয়েছে
ধর্ষিতা তরুণীর পরিবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয়-সাত মাস আগে সোহাগ (২৩) নামের একজনের সাথে মোবাইলে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক হয় রোববার বিকালে সে প্রেমিক সোহাগের সাথে দেখা করতে কালাইয়া এলাকায় যায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে ওই কলেজ এলাকার স্থানীয় জসিম উদ্দিনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে সোহাগ তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালাক্রমে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায় খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরেশ চন্দ্র কর্মকার সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের বরিশাল ডটকমকে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুদ হাসান বলেন, রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে, এখন সে আশংকামুক্ত তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে

দিনে ৭ খদ্দেরকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে খাবার বন্ধ - থাকতে হত উলঙ্গ!!

প্রতিদিন ৭ খদ্দেরকে সন্তষ্ট করতে না পারলে খাবার দেয়া হতো না। গায়ের কাপড় খুলে নেয়া হতো। থাকতে হত উলঙ্গ। এছাড়া নির্যাতন তো আছেই। দু’বছর ধরে আটকে রেখে চাপের মুখে যৌন লালসার শিকার হতে বাধ্য করা হতো। এমনই লোমহর্ষক খবর পাওয়া গেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক মিনি যৌনপল্লী থেকে।

এই কিশোরী বন্দিদশা থেকে উদ্ধার পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এি নির্যাতনের বীভৎস কাহিনী বর্ণনা করে। পুলিশ সেখান থেকে আটক করেছে মা-ছেলেকে।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের অদূরে কুঠিবাড়ি ব্রিজের পাশেই মোয়াজ্জেম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গড়ে উঠেছে এই মিনি যৌন পল্লী। তার স্ত্রীর নাম বেলী বেগম। ছেলে বেলাল হোসেন বাধ্যগত পুত্র। বাড়ির সবাই বেকার। তাদের নিজের কোন পেশা ছিল বা আছে বলে এলাকার লোকজন জানে না। তবে আশপাশের বাড়ির লোকজন তাদের সন্দেহের চোখে দেখতেন। তারা বলেন, মেয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যে মেয়েদের চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়। আবার থেমে থেমে মারপিট ও কান্নাকাটি। তারপর দিনরাত বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাস্তানদের আনাগোনা। তার মধ্যে পুলিশ ও পোশাকধারী লোকজনের যাতায়াত ছিল। এ কারণে এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে ভয়ে বেশি দূর এগোয়নি।

কিন্তু ওই বাড়ি থেকে ডলি নামের এক মেয়ে পালিয়ে যৌন নির্যাতনের এই কাহিনী ফাঁস করে দেয়। ওই কিশোরীর মুখে নির্যাতনের বর্ণনা শুনে এলাকার লোকজনের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এলাকার লোকজন জানতে পারে যে বাড়ির মালিক মোয়াজ্জেম ও তার স্ত্রী বেলী বাড়িতে নারী ব্যবসা করতো। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরী মেয়েদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে আসতো। চাকরি দেয়ার কথা বলে, এমনকি বিয়ে ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী মেয়েদের নিয়ে আসতো বাড়িতে। তারপর বাড়িতে আটকে রেখে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হতো। ডলির এসব কাহিনীর পর ওইদিন বিক্ষুব্ধ লোকজন মোয়াজ্জেম হোসেনের মিনি পতিতালযে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। গোবিন্দগঞ্জ পুলিশের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া দলদলিয়া এলাচের ঘাট গুচ্ছগ্রামের এক কিশোরী মেয়ে দু’বছর আগে তার বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। সমপ্রতি সাঘাটা উপজেলার ফল ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া (৩৮) ফেরি করে ফল বিক্রি করতে যান গোবিন্দগঞ্জে কুঠিবাড়িতে। ফজলু মিয়া প্রতিবেশী হিসেবে আগে থেকেই ওই কিশোরীকে চিনতেন। মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়িতে তিনি দেখতে পান তাকে। তারপর সাঘাটায় ফিরে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ওই কিশোরীর মা ও বাবাকে জানান।

খবর পেয়ে শনিবার বিকালে কিশোরীর মা ফজলু মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে আসেন গোবিন্দগঞ্জে। ঘটনার বর্ণনা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ফকুর কাছে। তারপর পুলিশের সহায়তায় হানা দেয়া হয় ওই কুঠিবাড়ির মোয়াজ্জেমের বাড়িতে। দু’বছর পর বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। বাবা-মাকে কাছে পেয়ে মেয়ে কিশোরী তার সর্বনাশের কথা খুলে বলে। তার উপর পৈশাচিক নির্যাতনের কথা বর্ণনা করে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বেলাল হোসেন ও তার মা বেলী বেগমকে। তবে সটকে পড়ে নাটের গুরু মোয়াজ্জেম হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করে বলে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরী মেয়েদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে এসে দেহব্যবসায় বাধ্য করতো। তাদের অনেকের মধ্যে ওই কিশোরীও ছিল। তবে তার খদ্দের কারা ছিল তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মোয়াজ্জেম হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। - মানবজমিন

যৌনপল্লী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ!


মূত্র থেকে গজাবে নতুন দাঁত!



- Copyright © Personal Blog - Tips Guru - Powered by Md Joy - Designed by Md Joy Chowdhury -