১৭ টি প্রাণ কেড়ে নেয়া এক অভিশপ্ত সিন্দুক!
আজ অনেক আগের একটি সত্য গল্প। আমেরিকার সিভিল ওয়ারের ২০ বছর আগের ঘটনা। জ্যাকব কুলি নামের একজন মার্কিন ব্যক্তি তার ছেলের জন্য একটি সিন্দুক তৈরি করতে চাইলেন। জ্যাকব ছিলেন বেশ ধনী ব্যক্তি। তার অনেকগুলো দাস ছিল। তিনি তার এফ্রো-আমেরিকান দাস হোসিয়াকে নির্দেশ দিলেন সিন্দুকটি তৈরি করার। হোসিয়া কাঠ খোদাই করে সিন্দুক বানালেন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে জ্যাকবের সেটি পছন্দ হয় নি। তিনি তার দাসকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন। জ্যাকবের অন্যান্য দাস অর্থাৎ হোসিয়াহর বন্ধুরা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা সিন্দুকের ভেতরের একটি ড্রয়ারে পেঁচার রক্ত ছড়িয়ে দিলেন। এই পেঁচাটিকে ব্ল্যাক-ম্যাজিক প্রয়োগে মেরে ফেলা হয়েছিল। আর এটি করে সেসময়ের একজন স্থানীয় জাদুকর। এই জাদুকর বলে, ‘জ্যাকবের পরবর্তী প্রজন্মের যে বা যারা সিন্দুকের সংস্পর্শে আসবে তারা সবাই মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করবে।“
জ্যাকব তার যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুক বানিয়েছিলেন, সেই শিশুটি তার জন্মের পর পরই মারা যায়। শিশুটি যে ঘরে ছিল সিন্দুকটিও সেখানেই রাখা হয়েছিল। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। এই ব্যক্তিও তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুক নিজেদের দখলে নেয়। জন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর বাগানের মালিক হয়েছিল। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা একজন আইরিশ ব্যক্তি সিনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে থাকার কোন জায়গা না পেয়ে মেলিন্ডা ও সিন এসে জনের সাহায্য প্রার্থনা করে। জন সেসময় আর্থিকভাবে বেশ ধনী হয়ে উঠছিল সে তার বেশ কিছু খামার থেকে একটি মেলিন্ডা ও তার স্বামী সিনকে দিয়ে দেয়। সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মাঝেই স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
জনের স্ত্রী এলি চিন্তা করলো, এই দম্পতিকে তার শ্বশুর জ্যাকবের সিন্দুক উপহার দেয়া যাক। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। এলি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাতো না। যাই হোক, কাউকে না বলে একদিন সিন মেলিন্ডার কাছ থেকে পালিয়ে যায়। মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর-বর্ণ ধারণ করে, সে মারা যায়। মেলিন্ডা মারা যাবার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন নিজের কাছে নিয়ে এসে বড় করে তুলে। এভেলিন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে, মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। এভেলিন বড় হয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকাকালীন সময়ে কিছুই ঘটে নি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সাথে সাথে একটি দত্তক মেয়েও ছিল, যার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হলো, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ করেই আরাবেলার স্বামী মারা গেল। আরাবেলা তার শিশু সন্তানের পোশাক রেখেছিল সিন্দুকে, শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বৌ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখে। সে মারা যায়।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছে, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে বাচ্চাটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর, সে প্যারালাইজড হয়ে যায়। ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছিলেন। তিনি তার এক এফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসে, যে জাদুবিদ্যা জানত। সে অনেক চেষ্টা করে সিন্দুকটিকে অভিশাপমুক্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সেও মারা যায়। ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সি মেইনি সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি যাদুঘরে দিয়ে দেয়। সতেরোটি প্রাণ সংহার করার পর এর অশুভ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়াম আছে। এর প্রথম ড্রয়ারটি বন্ধ করা। কেউ অভিশাপ বিশ্বাস করুক আর না করুক। যদি কিছু হয়ে যায়? বলাই বাহুল্য, এসবের সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজতক বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
জ্যাকব তার যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুক বানিয়েছিলেন, সেই শিশুটি তার জন্মের পর পরই মারা যায়। শিশুটি যে ঘরে ছিল সিন্দুকটিও সেখানেই রাখা হয়েছিল। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। এই ব্যক্তিও তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুক নিজেদের দখলে নেয়। জন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর বাগানের মালিক হয়েছিল। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা একজন আইরিশ ব্যক্তি সিনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে থাকার কোন জায়গা না পেয়ে মেলিন্ডা ও সিন এসে জনের সাহায্য প্রার্থনা করে। জন সেসময় আর্থিকভাবে বেশ ধনী হয়ে উঠছিল সে তার বেশ কিছু খামার থেকে একটি মেলিন্ডা ও তার স্বামী সিনকে দিয়ে দেয়। সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মাঝেই স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
জনের স্ত্রী এলি চিন্তা করলো, এই দম্পতিকে তার শ্বশুর জ্যাকবের সিন্দুক উপহার দেয়া যাক। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। এলি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাতো না। যাই হোক, কাউকে না বলে একদিন সিন মেলিন্ডার কাছ থেকে পালিয়ে যায়। মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর-বর্ণ ধারণ করে, সে মারা যায়। মেলিন্ডা মারা যাবার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন নিজের কাছে নিয়ে এসে বড় করে তুলে। এভেলিন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে, মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। এভেলিন বড় হয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকাকালীন সময়ে কিছুই ঘটে নি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সাথে সাথে একটি দত্তক মেয়েও ছিল, যার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হলো, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ করেই আরাবেলার স্বামী মারা গেল। আরাবেলা তার শিশু সন্তানের পোশাক রেখেছিল সিন্দুকে, শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বৌ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখে। সে মারা যায়।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছে, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে বাচ্চাটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর, সে প্যারালাইজড হয়ে যায়। ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছিলেন। তিনি তার এক এফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসে, যে জাদুবিদ্যা জানত। সে অনেক চেষ্টা করে সিন্দুকটিকে অভিশাপমুক্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সেও মারা যায়। ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সি মেইনি সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি যাদুঘরে দিয়ে দেয়। সতেরোটি প্রাণ সংহার করার পর এর অশুভ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়াম আছে। এর প্রথম ড্রয়ারটি বন্ধ করা। কেউ অভিশাপ বিশ্বাস করুক আর না করুক। যদি কিছু হয়ে যায়? বলাই বাহুল্য, এসবের সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজতক বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
ফরমালিন: স্বাস্থ্যের কি কি ক্ষতি করে
ফরমালিন আসলে কি। যদি এই ফরমালিন সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা আমাদের থাকতো তাহলে হয়তো আমরা এরকম মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য হয়তো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতাম।
কি এই ফরমালিন
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতো। পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনক। ফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়
ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছে
ফল
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে।
মাছ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)। ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না।
মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবে
# পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
# লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়।
# প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
# সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়।
এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক
এটা দু’ভাবে ক্ষতি করতে পারে:
# তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলে-
ক. সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে।
খ. চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
গ. দুর্বলতা ও মাথাব্যথা।
ঘ. কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়।
ঙ. বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে।
চ. লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে।
ছ. স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।
জ. খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে।
২। দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলে:
ক. ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খ. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
গ. ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
ঘ. ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
# লেখক : ডা. মোঃ তানভীর আলী, মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কি এই ফরমালিন
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতো। পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনক। ফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়
ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছে
ফল
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে।
মাছ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)। ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না।
মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবে
# পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
# লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়।
# প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
# সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়।
এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক
এটা দু’ভাবে ক্ষতি করতে পারে:
# তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলে-
ক. সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে।
খ. চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
গ. দুর্বলতা ও মাথাব্যথা।
ঘ. কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়।
ঙ. বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে।
চ. লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে।
ছ. স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।
জ. খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে।
২। দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলে:
ক. ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খ. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
গ. ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
ঘ. ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
# লেখক : ডা. মোঃ তানভীর আলী, মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!
চুম্বনকে সবসময়েই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে চুম্বনকে এখন শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই নয় বরং ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও বলা যেতে পারে। অবাক হচ্ছেন?
অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপভোগ্য মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প ।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপভোগ্য মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প ।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
ছেলেটি না মরলে আমার বাঁচা হতো না
কেনিয়ার নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিংমলে গত সপ্তাহের সন্ত্রাসী হামলার কথা বিশ্ববাসী কমবেশি শুনেছে। মিডিয়ার কল্যানে মানুষ জেনেছে কিভাবে সন্ত্রাসীরা শপিং মলের ভেতর একের পর এক নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মেরেছে। কি নারী, কি পুরুষ, শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক; কোনো বাছবিচার করেনি সন্ত্রাসীরা। সামনে যাকেই পেয়েছে তাকে মেরে লাশের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সন্ত্রাসীদের এই রক্তপিপাসার মধ্যে কেনিয়ার একজন রেডিও উপস্থাপিকা উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পেরেছেন। নইলে তাকেও আজ থাকতে হতো নিহতদের তালিকায়। স্রেফ বুদ্ধির জোরে বেঁচে যাওয়া ওই রেডিও তারকার নাম স্নেহা কোঠারি মাশরু। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই তরুণী চারদিনব্যাপী ওই হামলার পর জীবিত বের হয়ে আসেন। পরে বাইরের দুনিয়াকে তিনি জানিয়েছেন কিভাবে সন্ত্রাসীদের উদ্ধত বন্দুকের নল থেকে তিনি রেহাই পেয়েছিলেন।
রক্তপিপাসুরা একের পর এক গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে আসছে। স্নেহা বাঁচার জন্য িগ্বদিক ছুটছেন। তার মতো ছুটছে আরো অগণিত মানুষ। চোখের সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে একজনের পর অন্যজন। স্নেহা সামনে তাকিয়ে দেখেন দুই বন্দুকবাজকে। দৌঁড়ে পলায়নরত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে ঠান্ডা মাথায় গুলি ছুড়ছে। এক কিশোরী সিড়ির আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পুরো শরীরটা লুকাতে পারলো না। এক সন্ত্রাসী ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। ঠান্ডা মাথায় বন্দুকটা তাক করলো। এরপর বন্দুকের আওয়াজ। তারপর রক্তের স্রোত।
স্নেহা একটি পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের এই নিষ্ঠুরতা দেখলেন। তার সামনের ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে অনেকের রক্তমাখা দেহ। দেখলেন বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসী ওই পিলারের দিকেই এগিয়ে আসছে। স্নেহা বুঝলেন এবার সব শেষ। পিলারের আড়ালে নিজেকে লুকানো সম্ভব নয়। মুহুর্তে মনে পড়ে গেল স্বামী এবং শিশুপুত্রের মুখ। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছা করল তার। কিন্তু সেটা যে আর সম্ভব নয় তা বুঝতে পারলেন। মৃত্যুদূত একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সামনে। তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি কিশোর ছেলে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে তার দিকেই আসছে। কিন্তু তাকে দেখেই গর্জে উঠল এক সন্ত্রাসীর বন্দুক। মুহুর্তেই ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো স্নেহার সামনে এসে। ছেলেটি ছটফট করতে লাগলো আর রক্তের ফোয়ারা ছুটতে লাগলো তার পিঠ দিয়ে। স্নেহা ভাবলেন এবার তার পালা।
হঠাত্ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। তিনি ছেলেটির শরীর থেকে দুই হাতে রক্ত নিয়ে নিজের দুই হাতে মাখলেন। ছেলেটি তখনো ছটফট করছে। এমন আহত একটি ছেলের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শরীরে মাখতে গিয়ে নিজেকে প্রচন্ড স্বার্থপর মনে হলো স্নেহার। এমন সময় ছেলেটির মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো। স্নেহা বুঝলেন মোবাইলের রিংটোন শুনে সন্ত্রাসীরা বুঝি সেদিকে ছুটে এসে তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তিনি দ্রুত ছেলেটির প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে সুইচ অফ করে দিলেন। রিংটোন থেমে গেল। কিন্তু স্নেহা বুঝতে পারলেন সেই সাথে ছেলেটির জীবনপ্রদীপও নিভে গেল! স্নেহা তখন আর ইতঃস্তত না করে তার বুক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দুই হাতে নিয়ে সারা মুখে ও পায়ে মাখলেন। এরপর মাথার চুলের খোপা খুলে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে মরার মতো করে শুয়ে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের কাছে এক সন্ত্রাসীর অস্তিত্ব বুঝতে পারলেন। কিন্তু সে স্নেহাকে মৃত মনে করে তার দিকে গুরুত্ব দিল না। তার মাথার পাশে দাঁড়িয়েই সে গুলি করে ফেলে দিল আরেক বৃদ্ধকে। এরপর সে হেটে অন্যদিকে চলে গেল।
বেঁচে গেলেন স্নেহা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই গল্প তিনি শুনিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীকে। স্টান্ডার্ড ডিজিটালের সাথে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন তার বেঁচে থাকার এই অবিশ্বাস্য গল্প। তার কাছে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে তার। স্নেহা বিশ্বাস করেন, সেই কিশোরটি তার সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়ে না মরলে বাঁচতে পারতেন না তিনি। তাই তিনি জানার চেষ্টা করছেন কে ছিল সেই হতভাগ্য কিশোর। নিহত ছেলেটির ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। একটি ফুল দিয়ে অন্তত একটু সম্মান জানাতে চান।
রক্তপিপাসুরা একের পর এক গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে আসছে। স্নেহা বাঁচার জন্য িগ্বদিক ছুটছেন। তার মতো ছুটছে আরো অগণিত মানুষ। চোখের সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে একজনের পর অন্যজন। স্নেহা সামনে তাকিয়ে দেখেন দুই বন্দুকবাজকে। দৌঁড়ে পলায়নরত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে ঠান্ডা মাথায় গুলি ছুড়ছে। এক কিশোরী সিড়ির আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পুরো শরীরটা লুকাতে পারলো না। এক সন্ত্রাসী ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। ঠান্ডা মাথায় বন্দুকটা তাক করলো। এরপর বন্দুকের আওয়াজ। তারপর রক্তের স্রোত।
স্নেহা একটি পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের এই নিষ্ঠুরতা দেখলেন। তার সামনের ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে অনেকের রক্তমাখা দেহ। দেখলেন বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসী ওই পিলারের দিকেই এগিয়ে আসছে। স্নেহা বুঝলেন এবার সব শেষ। পিলারের আড়ালে নিজেকে লুকানো সম্ভব নয়। মুহুর্তে মনে পড়ে গেল স্বামী এবং শিশুপুত্রের মুখ। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছা করল তার। কিন্তু সেটা যে আর সম্ভব নয় তা বুঝতে পারলেন। মৃত্যুদূত একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সামনে। তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি কিশোর ছেলে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে তার দিকেই আসছে। কিন্তু তাকে দেখেই গর্জে উঠল এক সন্ত্রাসীর বন্দুক। মুহুর্তেই ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো স্নেহার সামনে এসে। ছেলেটি ছটফট করতে লাগলো আর রক্তের ফোয়ারা ছুটতে লাগলো তার পিঠ দিয়ে। স্নেহা ভাবলেন এবার তার পালা।
হঠাত্ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। তিনি ছেলেটির শরীর থেকে দুই হাতে রক্ত নিয়ে নিজের দুই হাতে মাখলেন। ছেলেটি তখনো ছটফট করছে। এমন আহত একটি ছেলের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শরীরে মাখতে গিয়ে নিজেকে প্রচন্ড স্বার্থপর মনে হলো স্নেহার। এমন সময় ছেলেটির মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো। স্নেহা বুঝলেন মোবাইলের রিংটোন শুনে সন্ত্রাসীরা বুঝি সেদিকে ছুটে এসে তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তিনি দ্রুত ছেলেটির প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে সুইচ অফ করে দিলেন। রিংটোন থেমে গেল। কিন্তু স্নেহা বুঝতে পারলেন সেই সাথে ছেলেটির জীবনপ্রদীপও নিভে গেল! স্নেহা তখন আর ইতঃস্তত না করে তার বুক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দুই হাতে নিয়ে সারা মুখে ও পায়ে মাখলেন। এরপর মাথার চুলের খোপা খুলে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে মরার মতো করে শুয়ে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের কাছে এক সন্ত্রাসীর অস্তিত্ব বুঝতে পারলেন। কিন্তু সে স্নেহাকে মৃত মনে করে তার দিকে গুরুত্ব দিল না। তার মাথার পাশে দাঁড়িয়েই সে গুলি করে ফেলে দিল আরেক বৃদ্ধকে। এরপর সে হেটে অন্যদিকে চলে গেল।
বেঁচে গেলেন স্নেহা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই গল্প তিনি শুনিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীকে। স্টান্ডার্ড ডিজিটালের সাথে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন তার বেঁচে থাকার এই অবিশ্বাস্য গল্প। তার কাছে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে তার। স্নেহা বিশ্বাস করেন, সেই কিশোরটি তার সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়ে না মরলে বাঁচতে পারতেন না তিনি। তাই তিনি জানার চেষ্টা করছেন কে ছিল সেই হতভাগ্য কিশোর। নিহত ছেলেটির ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। একটি ফুল দিয়ে অন্তত একটু সম্মান জানাতে চান।
মরেও বেঁচে গেলেন!
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ১২ মিনিট ফাঁসির দড়িতে ঝুলে ছিলেন তিনি। ডাক্তার তাকে মৃতও ঘোষণা করে। কিন্তু মর্গে বেঁচে উঠলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ইরানে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে দ্বিতীয়বার ফাঁসিতে না ঝোলানোর আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটির আইনমন্ত্রী মোস্তফা পোওরমোহাম্মাদিও জানিয়েছেন, আলিরেজা নামে ৩৭ বছর বয়সী ওই মাদক চোরাকারবারীকে দ্বিতীয়বার ঝোলানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এতে ইরানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে আইনমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
ইরানে বিচার বিভাগের ওপর অর্থাৎ আদালতের ওপর সরকারের সরাসরি কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই ওই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার ফাঁসিতে ঝোলানো হবে কি না সেটি আদালতেই নির্ধারিত হবে।
বিশ্বে যেসব দেশে সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ইরান তাদের অন্যতম।
গত সপ্তায় ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় বোজনর্ড শহরের কারাগারে আলিরেজার ফাঁসি কার্যকর হয়। ১২ মিনিট ফাঁসিররজ্জুতে ঝুলে থাকার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
কিন্তু পরদিন আলিরেজার পরিবার তার মরদেহ নেওয়ার জন্য মর্গে গিয়ে দেখতে পায় তিনি শ্বাস নিচ্ছেন।
পরবর্তীসময়ে আলিরেজাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি সশস্ত্র প্রহরায় রয়েছেন।
তার সর্বশেষ অবস্থা এখনো জানা যায়নি। তবে সোমবার দেশটির ইরনা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আলিরেজা কোমায় চলে গেছেন।
সংক্রমিত রোগ গনোরিয়া
গনোরিয়া এমন একটি রোগ যা কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এক পুরুষ থেকে অন্য নারীতে বা এক নারী থেকে অন্য পুরুষে সংক্রমিত হতে থাকে। এ রোগের রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ খুবই কম। এটি বংশ পরম্পরায় সংক্রামিত হয় না। সাধারণ পুরুষ বা নারীর যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি করে থাকে। এ ক্ষতে পুঁজ সৃষ্টি হয়। এ পুঁজ যদি অন্য নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে তাহলে এ জীবাণু তাদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। সেখানে বাসা বাঁধে এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে।
লক্ষণ : নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই বুঝতে হবে পুরুষ বা নারী এ রোগে আক্রান্ত।
প্রস্রাবের জ্বালা অনুভূত হতে থাকে। প্রস্রাবের পরে চাপ দিলে সামান্য আঠা আঠা মতো পুঁজ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পুরুষের ইন্দ্রিয় বাইরে ও নারীর যোনির চারদিকে ঘা হতে দেখা যায়। এসব ঘায়ে জ্বালা ও তাতে পুঁজ হয়ে থাকে। ক্রমশ ঘা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথা বেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং প্রস্রবা করতে ভীষণ কষ্ট হয়। অল্প অল্প জ্বর দেখা দেয়। জ্বরের সঙ্গে মাথাধরা, গা-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, শরীরের ভুগলে ঋতুতে গণ্ডগোল হয়। ঋতুস্রাত বেশি হতে থাকে। কখনো মাসে দুবার হয়। আবার কখনো ঋতুস্রাব শেষে শ্বেতস্রাব হতে থাকে।
ভয়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো : এ রোগ হলে পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি হয়। নারীর সঙ্গে তার সন্তানেরও ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। নিচে সেদিকগুলো তুলে ধরা হলো। নারীর ডিম্ববাহী ও নারীর ডিম্বকোষ আক্রান্ত হলে তার সন্তান জন্ম চিরদিনের জন্য বন্ধ্য ও নারী বন্ধ্যত্ববরণ করতে পারে। কখনো কখনো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম অবস্থায় ওই রোগ হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ গর্ভপাত হয়ে পড়ে যায়, তার জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। গর্ভের শেষ অবস্থায় এ রোগ হলে সন্তান জন্মের সময় তার চোখে রোগের পুঁজ লেগে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা : এ রোগের খুব ভালো ওষুধ হলো সিপ্রোসিন/ এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট খেলে ধীরে ধীরে রোগ কমে আসবে ও রোগী সুস্থ হবে। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ব্যবস্থাপত্র নেবেন।
অন্যান্য ব্যবস্থা : যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে জ্বরের জন্য হালকা খাবার যেমন_ পাউরুটি সেঁকে বা হরলিকস প্রভৃতি হালকা ও তরল খাবার দিতে হবে। এ রোগ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রীকে পূর্ণ চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হতে হবে আগে। না হলে এর ফল খুবই খারাপ হবে।
নতুন মেশিন উদ্ভাবন: শিশুর জন্ম হবে মেশিনে!
কৃত্রিম উপায়ে শরীরের বাইরেই মানবশিশুর জন্ম-প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণায় গবেষকরা দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারবোর্ড সংবাদ সংস্থা। এই প্রক্রিয়াতে শিশুর জন্ম হবে মেয়ের গর্ভের মতই একটি টিউবে!
গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে সেরগেসি প্রক্রিয়াতে একটি শিশু তার প্রকৃত মায়ের গর্ভে না হয়ে অন্য একজন সাহায্যকারী কিংবা ভাড়ায় সন্তান প্রসব করে এমন মায়ের গর্ভে জন্ম হয়। এতে সন্তান নিজের গর্ভে নিতে চাননা এমন মায়েদের জন্য আলাদা করে সারোগেট মাদার’ বা গর্ভ ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে নতুন এই প্রক্রিয়াতে আর গর্ভ ভাড়া করার কোন দরকার নেই।
এদিকে গবেষকরা দাবি করছেন, ‘একটোজেনেসিস’ নামের এই পদ্ধতি ২০৩৪ সাল নাগাদ ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে এবং ওই সময় থেকে মেশিনে শিশুর জন্ম সম্ভব হবে। ফলে শিশুর মৃত্যুহার একই সাথে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মাতৃ মৃত্যুহার অনেক অংশে কমে যাবে।
পশুর জন্ম হচ্ছে টিউবে।
পশুর জন্ম হচ্ছে টিউবে।
কিভাবে একটি যন্ত্রে শিশুর জন্ম হবে এবং বেড়ে উঠবে? এমন প্রশ্নে গবেষকরা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রের গঠন উল্লেখ করে দেখান, একটি বিশেষ টিউবে শিশুর ভ্রূণ বিকশিত করা হবে। সেখানেই শিশু ধীরে ধীরে মায়ের গর্ভের মত বেড়ে উঠবে। সম্পূর্ণ যন্ত্র ফ্লুইড দিয়ে ভরা থাকবে এবং এর থেকে বিভিন্ন ক্যাবল এবং তার দিয়ে আধুনিক সব যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকবে। এসব যন্ত্রের মাঝে থাকবে শিশুর জন্য খাদ্য তৈরি চেম্বার, আলাদা শ্বাস প্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র। এতদিন এই যন্ত্র ব্যাক্টেরিয়া এবং বিভিন্ন পশুর জন্ম বৃদ্ধিতে ব্যবহার হলেও এখন এটি মানুষের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এদিকে এই যন্ত্রের উদ্ভাবন নিয়ে সারা দুনিয়াতে অনেকেই একে মানুষকে কৃত্রিম করে ফেলার একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছেন, এভাবে মানুষ মেশিনে জন্ম দিলে মা-ও সন্তানের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে, পরিবারের প্রতি শিশুর আকর্ষণ থাকবেনা। মানুষে মানুষে ভালোবাসা নষ্ট হয়ে যাবে।
তবে গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা এখন যে অবস্থায় আছে এতেও শিশুর জন্ম মেশিনে দেয়ার চেষ্টা করা যায় কিন্তু এখনো এটি কিছু আইনি এবং নৈতিক বাধা থাকায় বাস্তবে সম্ভব হচ্ছেনা।
স্বামী আপন ভাই, জানা ছিল না আগে!
বিয়ের সাত বছর পর এক আকস্মিক ঘটনার মধ্য দিয়ে আপন ভাই-বোন সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন ব্রাজিলের এক যুগল।
যুক্তরাজ্যের মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদ্রিয়ানা (৩৯) ও তার স্বামী লিয়েন্দ্রো (৩৭)- দুজনেই জানতেন তাদের মা শিশুকালে তাদেরকে ফেলে রেখে গেছে। ব্রাজিলের পৃথক শহরে বেড়ে উঠলেও সাত বছর আগে বিয়ে করেন তারা। সংসারে ছয় বছরের একটি কন্যাও রয়েছে তাদের।
স্বামী-স্ত্রীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল ছিল। দুজনই মা’কে হারিয়েছেন। দুজনের মায়ের নামের সঙ্গেই ‘মারিয়া’ শব্দটি। অবশ্য ব্যাপারটিকে তারা কাকতালীয় হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন।
আদ্রিয়ানা মায়ের খোঁজে একদিন হাজির হলেন ব্রাজিলের ‘রেডিও গ্লোবো’র লাইভ অনুষ্ঠানে। ‘অ্যাঞ্জেল অব মিটিংস’ নামে পরিচিত ওই অনুষ্ঠানটি মূলত হারিয়ে যাওয়াদের খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হারানো মায়ের খোঁজ পেয়েই বসলেন অদ্রিয়ানা। তবে জীবনের সেই আনন্দঘন মুহূর্তটি তার জন্য নতুন আরেক তিক্ত বাস্তবতা উন্মোচন করল।
সাত বছর ধরে সংসার করা স্বামী যে তার মায়েরই সন্তান, আদ্রিয়ানা তা জানতে পারলেন মায়ের সঙ্গে আলাপের পর।
মাথায় বাজ পড়ার মতো এমন খবরে কেঁদে ফেললেন লিয়েন্দ্রো। জীবনে যে এমন বাস্তবতার মুখে পড়তে হবে তা কল্পনাতেও ছিল না এই যুগলের।
আদ্রিয়ানার সংসারে বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই। এমন ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছা তাদের না থাকলেও সংসার চালিয়ে যাবেন বলেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ছেলে বা মেয়ে সন্তান চাইলে যেটা করা প্রয়োজন
অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ৬টি ফল
আজকাল ডায়াবেটিস ঘরে ঘরে। প্রত্যেক বাড়িতে খুঁজলেই ২/১ জন ডায়াবেটিস রোগী মিলবে। শুনতে আহামরি মনে না হলেও কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন যে কি মারাত্মক এক রোগ এই ডায়াবেটিস। জীবনটাকে যেন একেবারে আগাগোড়া বদলে দেয়, পাল্টে দেয় খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে জীবনযাপনের ধারা পর্যন্ত সব কিছুই। আসুন, জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী কয়েকটি ফল সম্পর্কে।
১)কিউয়ি-
এই ফলটি বিদেশী হলেও আজকাল আমাদের দেশে সহজেই কিনতে মেলে। ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল একটি ফল এটি। এই ফলটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
২)কালোজাম-
একজন সুগার রোগী একদম চিন্তামুক্তভাবে এই ফলটি খেতে পারেন। কালোজাম রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। শুধু ফলই নয়, কালোজামের বীজকে গুঁড়ো করে দিনে একবার যদি হাফ চামচ খাওয়া যায় সেটিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩)পেয়ারা-
ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার জন্য অন্যতম একটি উপকারী হল হল পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন ‘এ’ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। বিনা সংকোচে খেটে পারেন এই ফল।
৪)পেঁপে-
কাঁচা ও পাকা পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলটিতেও বেশ ভাল পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। খিদে পেলে পেট ভরাতেও অনন্য এই খাবার। তবে খাবেন পরিমিত পরিমাণে।
৫)তরমুজ-
যত ইচ্ছা তত পরিমাণে যে ফলটি খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা, সেটা হচ্ছে তরমুজ। খিদে মেটানো, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগানো ছাড়া পানি শূন্যতাও রোধ করে এই ফলটি।
৬) কামরাঙ্গা-
আমাদের দেশি এই ফলটি ডায়াবেটিসদের রোগীদের জন্য আরও একটি উপকারী খাবার। খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে।
২৪ ঘণ্টার মাঝে সাইনাস ইনফেকশন দূর করার দারুণ ঘরোয়া উপায়!
শুধু শীতকালে নয়, এই বর্ষাকালেও অনেকেরই বেড়েছে সাইনাসের উপদ্রব। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ও নাকে প্রবল ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে কাটছে দিন। ওষুধ খাচ্ছেন, ভাপ নিচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, তাই না? সাইনাস রোগটাই এমন যে ওষুধে কমানো যায় না সহজে, বরং ঘরোয়া টোটকা গুলো বেশ কাজে আসে। তেমনই একটি ঘরোয়া টোটকা নিয়ে আজকের এই ফিচার।
অল্প কয়েকটা উপাদান দিয়ে ঘরেই তৈরি করে রাখুন। তারপর কষ্ট করে হলেও নিয়মিত খান। ২৪ ঘণ্টার মাঝেই কার্যকারিতা দেখতে পাবেন। কয়েকদিনের নিয়মিত সেবনে আরাম মিলবে। বহুকাল যাবত সাইনাসের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই ঘরোয়া উপায়।
কী কী লাগবে?
ছোট এক কাপ মধু
সম পরিমাণ লেবুর রস
একটা ছোট ম্যাজেনটা রঙের পিঁয়াজ
৩ টা কচি ছোট শালগম
৬ কোয়া রসুন
প্রণালি-
- সমস্ত সবজি ধুয়ে টুকরো করে নিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট ভালো করে ছেঁকে রস বের করে নিন। প্রয়োজনে ২/৩ বার ছাঁকুন।
-রসের সাথে লেবুর রস ও মধু মেশান। ভালো করে নাড়ুন।
-মিশ্রণটি একটি কাঁচের জারে ভরে মুখ আটকে ফ্রিজে রাখুন। ধাতব বা চিনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন না।
-একবার তৈরি করলে ২/৩ দিন ভালো থাকবে।
-সেবনের পূর্বে কক্ষ তাপমাত্রায় এনে নেবেন।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য- ২ টেবিল চামচ সেবন করবেন প্রতিদিন
ছোটদের ক্ষেত্রে- ১ টেবিল চামচ প্রতিদিন
সেবনের পর কুসুম কুসুম গরম পানি পান করুন আধা গ্লাস। ২৪ ঘণ্টার মাঝে কার্যকারিতা দেখতে পাবেন।
তথ্য সূত্র- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মনিরউজ্জামান আলমগীরের লেখা বই
জেনেনিন নিয়মিত শারীরিক মিলনের ১৫ উপকারিতা
ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷ কিন্তু আপনি জানেন কি শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে:
ভালো ব্যায়াম:
শারীরিক মিলনের সময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩0 মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায়:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাত আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমদের শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷
জীবন কাল বাড়ে:
নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷
ব্যাথা থেকে মুক্তি:
বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন, আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷
পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয়:
যে সব মহিলাদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণত পিরিয়ডের সময় মহিলাদের ব্যাথা হয়ে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷
মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি:
মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে। ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷
ভালোবাসা বাড়ে:
শারীরিক মিলনের আকর্ষণের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এর কার্যকারীতা ভীষণ জরুরি৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷
কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে:
শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয়। তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷
ভালো ঘুম হয়:
শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন৷
আত্মবিশ্বাস বাড়ে:
শারীরিক মিনলের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতরকার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷
ওজন কমে:
শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয়। তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷
সৌন্দর্য্য বাড়ে:
শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
ভালো ত্বক:
শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে। তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝঁকি কমে:
নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷
হাঁপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি:
শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন রূপে দেখা হয়৷ এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়৷ আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷
কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি:
মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷
বিস্বস্ততা বাড়ে:
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তারা একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷
রক্তের প্রবাহ বাড়ে:
শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বাড়ায় তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়৷
যে কারণে দোয়েল জাতীয় পাখি
দোয়েলকে কেন বাংলাদেশের জাতীয় পাখির মর্যাদা দেওয়া হলো? অন্যপাখিও তো জাতীয় পাখি হতে পারতো! যেমন ধরা যাক শালিক, ঘুঘু, ময়না, বক প্রভৃতি।
আমরা সবাই শুধু এতটুকুই জানি যে, দোয়েল আমাদের দেশের জাতীয় পাখি। এর বেশি কিছু জানি না! কিন্তু কী কারণে এবং কোন বিবেচনায় দোয়েল জাতীয় পাখির মুকুট পড়ল তা আমাদের অনেকেরই অজ্ঞাত। বস্তুতপক্ষে বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন।
জাতীয় পাখি হওয়ার জন্য দোয়েলের দাবি কতখানি শক্তিশালী? এই ভাবনা থেকেই একদিন মুখোমুখি হই বরেণ্য পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হকের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি বেশ কিছুদিন আগে এমন একটি লেখা লিখেছিলাম। তার অংশবিশেষ বলছি আপনাকে। প্রথম কথা, জাতীয় কিছু করা মানে অর্থাৎ পশু, পাখি, বৃক্ষ, ফল ইত্যাদি সিম্বলিক (প্রতীক) ব্যাপার মাত্র। এটাকে সৌখিনও বলা হয়। সৌখিনতার চাইতে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিক নেই।
এখানে শুধু দুটো জিনিস সাধারণত ভালো করে দেখা হয়। প্রথমটি হলো- ওই দেশে ওই জিনিসটা বেশি সংখ্যক রয়েছে কি-না? প্রচুর সংখ্যক থাকার অর্থই হলো ওই দেশকে সে রিপ্রেজেন্ট (উপস্থাপন) করছে। যেমন ধরা যাক ইলিশ মাছের কথা। যে কোনো মাছের নাম জানে না সেও ইলিশ মাছের নাম জানে। এই মাছটি এতো ব্যাপকভাবে পরিচিত যে আমরা সবাই এর নাম জানি। ওই পাখিটিরও এমনই ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয় থাকতে হবে। লোকের মুখে মুখে হতে হবে। তবেই সেটি জাতীয় বলে অখ্যায়িত হওয়ার চূড়ান্ত যোগ্যতা রাখে।
দ্বিতীয়ত, অন্য কোনো দেশ এটিকে তাদের জাতীয় করে ফেলেছে কি-না, সেটি দেখা। যদি দোয়েল ভারতের জাতীয় পাখি হতো, তবে বাংলাদেশ কখনোই তাকে জাতীয় পাখি হিসেবে তালিকাভুক্ত করত না। অধিক পরিচিতি এবং অন্য কোনো দেশ এটিকে জাতীয় হিসেবে আগেই তালিকাভুক্ত করেছে কি-না এই দুটো জিনিস মূলত কোনো কিছুকে জাতীয় হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রধান মানদণ্ড। ইনাম আল হক আরো বলেন, এটা যখন করা হয়েছিল তখন পাখির লোকেদেরই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তখন যারা প্রাণিবিজ্ঞানী বা গবেষক ছিলেন তাদের মতামত ছিল দোয়েল। একটি খুবই যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি। দোয়েলও ইলিশ মাছের মতই আমাদের দেশে ব্যাপক পরিচিত। তবে আমাদের দেশের সর্বত্র কাকের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও কাক–কে কেউ জাতীয় পাখি করবে না। কারণ স্বভাবগত বিষয়ের জন্যই সে আমাদের প্রিয় পাখিদের তালিকায় পড়ে না।
তিনি আরও বলেন, শালিক, দোয়েল, বক এই ৩/৪টি পাখি এরাই সম্ভবত জাতীয় পাখির মর্যাদার লড়াইয়ে তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার টেবিলে ছিল। তার মধ্যে দোয়েলকেই মনোনীত করা হয়েছে এ জন্য যে, এই পাখিটি আমাদের দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। শহর থেকে শুরু করে পাহাড়-বন কিংবা গ্রামের নির্জন পুকুরের পাড়েও তার দেখা মেলে। আমাদের দেশের খুব কম পাখির অবস্থান এমন। যে পাখি শহরে থাকে সে আর বনে থাকতে পারে না। বাসস্থান, বিচরণভূমি ও আহারগত কারণে। কিন্তু সর্বত্রই রয়েছে দোয়েল।
এ পাখি গবেষক আরও বলেন, গহিন বনেও আপনি দোয়েল পাবেন। দোয়েল ছাড়া আর কোনো পাখিকে সারাদেশের আনাচে কানাচে এভাবে দেখা যায় না। সুন্দরবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ছোট-বড় বনে তারা বিচরণ করছে। আবার ঢাকার মতো প্রচণ্ড কোলাহলপূর্ণ ব্যস্ত শহরেও দোয়েল দিব্বি টিকে আছে। চারিদিকে দোলানকোঠো, কোনো গাছপালা নেই। যেহেতু যে সব স্থানে টিকে থাকতে পারে এবং বাংলাদেশের সর্বত্র আছে তাই তাকেই নির্বাচন করা হয়েছে।
ইনাম আল হক বলেন, অরেকটা বিষয় দেখুন, দোয়েল খুব নিরুপোদ্রপ একটা পাখি। কখনোই এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। সে শুধু পোকা খায়। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো তার চমৎকার গানের গলা। ভোরবেলা তার মিষ্টি-মধুর গান চারপাশ মধুর করে তোলে।
বার্ড ক্লার্ব সূত্র জানায়, দোয়েল বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। এর ইংরেজি নাম Oriental Magpie-Robin। এরা দৈর্ঘ্যে ২০ সেমি ও ওজনে ৪০ গ্রাম। পুরুষ দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচে কালো রঙের, পেট সাদা। ডানার দুই পাশে সাদা রঙের প্যাচ আছে। স্ত্রী দোয়েলের উপরিভাগ ও গলার নিচে ছাই-রঙা হয়। পেটের অংশ পুরুষ দোয়েলের মত উজ্জ্বল নয়, কিছুটা ফিকে সাদা। মার্চ-জুলাই প্রজনন কাল। এ সময় গাছের গর্ত, দেয়াল, পাইপের ফাঁকে ঘাস-পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। সবুজ রঙের ৪-৫টি ডিম দেয়। ১২-১৩ দিন ছানা বের হয়।
ঘরে বসেই সমাধান, আন্ডার আর্মের কালো দাগ
আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের কালো দাগ নিয়ে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। আন্ডার আর্ম বা বগল কালো বিশ্রি লাগে নিজের কাছেই। এমনটি হলে স্লিভলেস ড্রেসও পরা যায় না।
পার্লারে গিয়ে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের কালো দাগের ট্রিটমেন্ট নেয়া যায়। তবে এটাও অনেকের জন্যই বিব্রতকর। ঘরে বসেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ওয়াক্সিং
আনডার আর্ম বা বাহুর নিচ কালো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সেভিং অথবা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম। এজন্য ওয়াক্সিং করুন। যদিও এটা আপনাকে কিছুটা ব্যাথা দিবে। কিন্তু এর মাধ্যমে চুল গোঁড়াসহ উঠে আসবে এবং এতে করে আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ হবে ফর্সা।
ঘরেই তৈরি করুন ফর্সাকারী মাস্ক :
কালো আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ ফর্সা করার জন্য ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন মাস্ক।
উপকরণ:
আধা চা চামচ লবণ
১/৩ কাপ গোলাপ জল
১/৩ কাপ জনসন বেবি পাউডার।
পদ্ধতি :
উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ নরম একটি মিশ্রণ না হয়।এটি আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন আর ভালো ফলাফল দেখুন প্রথম বার ব্যবহারেই। এটি প্রতিবার ওয়াক্সিং এর পর পরই আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগাবেন।
লেবুর রস :
এটি একটি খুবই উপকারী পদ্ধতি। গোসলের আগে লেবু কেটে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে ঘষতে হবে। লেবু ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। গোসলের পর ত্বক নরম করার জন্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম লাগান।
আলু এবং শসা :
আলু প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। আলু পাতলা করে কেটে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে ঘষতে পারেন বা আলুর রস বের করেও লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। একইভাবে শশা ব্যবহার করতে পারেন।
জাফরান মিশ্রণ :
এক চিমটি জাফরান ২ চামচ দুধে অথবা ক্রিমে মিশিয়ে শোবার সময় আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগান। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।এটি শুধু বাহুর নিচের অংশ কে ফর্সাই করে না, জার্ম ও ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে।
চন্দন ও গোলাপজল :
একসাথে মিশিয়ে লাগান। চন্দন এর ফর্সাকারী উপাদান দিয়ে ফর্সা করবে আর গোলাপ জল ত্বক রাখবে ঠান্ডা আর নরম।
ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে সতর্কতা :
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে শরীরের গন্ধ কিছুদিনের জন্য দূর করুন। বেকিং সোডা অল্প পানিতে দিয়ে আনডার আর্ম বা বাহুর নিচটা ধুয়ে ফেলুন। ডিওডোরেন্ট সরাসরি শরীরে না লাগিয়ে কাপড়ে লাগান