নানির গর্ভে হবে নাতির জন্ম!
ওয়াশিংটন: নিজের নাতির জন্ম নিজেই দিতে চলেছেন এক আমেরিকান নানি। আমেরিকার ইউটাহ প্রদেশে জুলিয়া নাভারো নামের ৫৮ বছর বয়েসী এক নারী নিজের নাতিকে জন্ম দিতে চলেছেন। নিজের মেয়ে অসুস্থ এবং গর্ভধারণে অক্ষম থাকায়, মেয়ে জামাইয়ের শুক্রানু ধারণ করে তিনি গর্ভধারণ করেছেন বলে জানান জুলিয়া।
জুলিয়ার মেয়ে লরেনা ম্যাককিনন জানান, গত তিন বছর ধরে তিনি গর্ভধারণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই সময়ের মধ্যে তার অন্তত ১০ বার গর্ভপাত হয়। শারীরিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতার জন্য তিনি গর্ভধারণে ব্যর্থ হন। তাই তিনি তার সন্তানের জন্মের জন্য একজন প্রতিনিধি খুঁজতে থাকেন।
লরেনার বোন এবং তার এক বান্ধবী গর্ভধারণের জন্য রাজি হলেও পরে তারা সিদ্ধান্ত বদল করেন। তখন লরেনার সন্তান ধারণে রাজি হন তার মা। তিনি বলেন, “পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি মনে করি একজনের বিপদে আরেকজনের এগিয়ে আসা উচিত।”
চিকিৎসকরা জানান, বয়সের কারণে নানি জুলিয়ারও গর্ভপাতের আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা আরো জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলিয়ার নাতি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউজ।
রোগীর লিভারে ডাক্তারের স্বাক্ষর!
শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মে নিজের পরিচয় রাখতে পছন্দ করেন। তবে যদি সেই তুলি হয় একটি ছুঁড়ি এবং ক্যানভাস হয় মানবদেহ, তাহলে এ ধরণের আইডিয়া পরিহার করাই উচিৎ। কিন্তু এক ব্রিটিশ ডাক্তার সেই কাজটিই করেছেন। তিনি তার রোগীর লিভারে নিজের 'ব্র্যান্ড' খোঁদাই করে চিহ্নিত করে রেখেছেন।
ইংল্যান্ডের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের এক সার্জন আর্গন প্লাজমা কোয়াগুলেশন টুল ব্যবহার করে পেশেন্টের লিভারে স্বাক্ষর দিয়ে রেখেছেন। পরবর্তীতে আরেকজন ডাক্তার একই রোগীর অন্য আরেকটি সার্জারি করতে গেলে সেই চিহ্নটি আবিষ্কার করেন। এজন্য ব্র্যান্ড অংকনকারী সার্জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং রিপোর্ট বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই সার্জন তার অন্যান্য রোগীদেরও হয়ত একইভাবে 'সিগনেচার' করে দিয়েছেন। অবশ্য, ডাক্তাররা বলছেন, ঐ স্বাক্ষরের ব্যাপারে পেশেন্টের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই, কেননা এর দ্বারা তারা কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। এটি একটি হালকা ক্ষতর মত চেহারা নিয়ে থাকবে।
যাইহোক, এ ধরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে, অন্য আরেকজন ডাক্তার একজন মহিলার অপসারিত জরায়ুতে পেশেন্টের নাম লিখে দিয়েছিলেন। আরেক সার্জন তার রোগীর সি-সেকশন অপারেশনের পর তলপেটে নিজের সাইন দেন। এরা উভয়েই পরবর্তীতে আইনী ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন।
গাজরের হালুয়া
আজ আপনাদের জন্য রয়েছে গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি রেসিপি।
# গাজর ১ কেজি
# দুধ ২ কাপ
# চিনি ২ কাপ
# মেওয়া টুকরো করা ৪০০ গ্রাম
# ঘি আধা কাপ
# পেস্তাবাদাম ২০ গ্রাম
# কিসমিস, দারুচিনি, এলাচ পরিমাণ মতো
উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে গাজর ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন। এবার কুকারে গাজর, দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এখন গাজরগুলো ব্ল্যান্ড করে নিন। অন্য একটি পাত্রে ঘি, মেওয়া, এলাচ, দারুচিনি, ব্ল্যান্ড করা গাজর, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে যখন শুকিয়ে আসবে এবং তেল ভেসে উঠবে ও জড়ায়ে আসবে তখন একটি ট্রেতে ইঞ্চি পরিমাণ পুর করে ঢালতে হবে। ট্রেতে ঢালার পর কিসমিস, পেস্তাবাদাম এর উপরে ছড়িয়ে দিন। এবার ঠাণ্ডা হলে চাকু দিয়ে বোরফি আকারে কেটে নিন। হয়ে গেলো মজাদার গাজরের হালুয়া। এটি শীতের কালের স্বাস্থ্যকর একটি ভালো আইটেম।পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট বলতেই যখন আমাদের মনে ভেসে উঠে একজন ক্ষমতাবান ও বিত্তবান ব্যক্তিত্বের ছবি তখন জোসে মুজিকার নাম শুনলেই ভেসে উঠবে দানশীল ও সহজ সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক রাষ্ট্রনায়কের ছবি।
আর উরুগুয়ের সেই বর্তমান প্রেসিডেন্টের নামই হলো জোসে মুজিকা । যাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট। যিনি যৌবনে ছিলেন একজন গেরিলা ও সত্যিকারের যোদ্ধা।
যাকে রাজনীতিবিদদের আরাম-আয়েশ আর চাকচিক্যময় জীবন কাছে টানে না। তবে বিশ্বের মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত উরুগুয়ের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার মাসিক বেতন প্রায় ১২ হাজার ডলার ।
কিন্তু বেতনের শতকরা ৯০ ভাগই তিনি দান করে দেন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এবং নিজের জন্য অবশিষ্ট রাখেন মাত্র ৭৭৫ ডলার (কমবেশি)। এই দানশীলতার কারণেই তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
তার স্ত্রীর নাম লুসিয়াও । নিঃসন্তান এই দম্পতির সবচেয়ে দামি সম্পত্তি হলো ১৯৮৭ সালে কেনা এক হাজার ৯০০ ডলারের একটি গাড়ি।
আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, উরুগুয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর এই ব্যক্তির বসবাসের খামার বাড়িটি দেখলে যে কেউ ভূতেরবাড়ি বলে চমকে উঠবে। বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকার বদলে প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি বেছে নিয়েছেন নিতান্তই এক সাধারণ জীবন।
এখনো কর্দমাক্ত পথ পেরিয়েই নিজের খামার বাড়িতে পৌঁছাতে হয় তাকে। এই অর্ধ-পরিত্যক্ত খামার বাড়ির মালিকানাও তার নয়, তার স্ত্রীর। এখনো খামারে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত কৃষিকাজ করেন তিনি। খামারে চাষ করছেন হরেক রকমের ফুল।
ভাঙাচোরা একটি পুরানো কুয়াই বাড়িতে পানি সরবরাহের একমাত্র ব্যবস্থা। বিশ্বের দরিদ্রতম এই প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আছে মাত্র দুজন পুলিশ আর ম্যানুয়েলা নামের একটি আদুরের কুকুর। তার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত এই কুকুরটিরও একটি পা খোঁড়া।
এক সময়কার বামপন্থি গেরিলা নেতা মুজিকার নামে কোনো ঋণ নেই, এমনকি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই।
নিজেকে নিয়ে মুজিকার উপলব্ধি, 'আমাকে সবাই দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট বলে। আমার তো মনে হয়, দরিদ্র তারাই যারা সারাটা জীবন কেবল ভোগ্যপণ্য কেনার অর্থ জোগাড় করতে দাসের মতো খেটে যাচ্ছে।'
নিজেকে তিনি পরিচয় দেন একজন কৃষক হিসেবে। ২০০৯ সালে দেশটির জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেন। মুজিকা তার ৭৮ বছরের জীবনে জেল খেটেছেন ১৪ বছর আর গুলি খেয়েছেন মোট ছয়বার।
দেশটির আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করে মুজিকা জানান, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না, এখন তার অবসরের সময় হয়েছে এবং আগামী বছর তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেবেন ।
বসবাসের অনুপযুক্ত দশটি জায়গা, তবু সেখানে মানুষ বসবাস করে!
বিশ্বের এমনও কিছু জায়গা আছে যেখানে বসবাস আপনার কাছে অসম্ভব মনে হতে
পারে। কিন্তু সব সম্ভবের এই পৃথিবীতে আসলে কিছুই অসম্ভব নয়। প্রচন্ড
প্রতিকূলতার মাঝেও মানুষ বসবাস করে আসছে এমন কিছু জায়গা থেকেই আজ ঘুরিয়ে
নিয়ে আসবো আপনাদের!
Arctic Circle এ অবস্থিত এই শহরটিতে প্রায় ১৫০০ লোকের বসবাস। অন্যতম শীতল এই জায়গাটি একসময় অপরাধীদের নির্বাসন দেয়ার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিলো।
আগুন পাহাড় নামেই অত্যধিক পরিচিত এই জায়গাটি। এই অগ্নিপাহাড়ে সবসময় ধিকিধিকি করে আগুন জ্বলতে থাকে, এবং গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৬০ বার সবেগে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। তবু এখানকার উর্বর মাটির লোভ সামলাতে পারেনি প্রায় আড়াইলাখ মানুষ!
এই লেকের গভীরে প্রায় কয়েক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মিথেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চিত রয়েছে। যদি কোনোভাবে গ্যাসগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় তবে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় সাথে সাথেই মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে!
এই জায়গাটি বেশ মজার, অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে ছোটো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৯টি পরিবারের ৫০ জন মানুষের বাস এই জায়গাটিতে। তবে এখানে নেই কোনো পোতাশ্রয় কিংবা উড়োজাহার নামবার স্থান। যদি কোনোভাবে আপনি ওখানে পৌঁছাতে পারেন তবে পাবেন অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট!
ছবিটি দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কি পরিমাণ দূষিত চীনের এই শহর। তবে সত্যি বলতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ হতেও পারবেনা এই শহরটি, কিন্তু তবু এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস।
আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীতে এখনও ৭৯ জন লোক বসবাস করছে, যদিও সম্পূর্ণ জায়গাটি জ্বলন্ত লাভায় পরিপুর্ণ!
এই জায়গাটি পুরো পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন! বলা হয় এটি পৃথিবীর ভেতরেই অন্য এক এলিয়েন জগত! এখানে যেসব উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সেগুলো আর কোথাওই পাওয়া যায়নি! এখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাসে এবং তারা চলাচলের জন্য চমৎকার দুটি রাস্তাও ব্যবহার করে!
পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী অধ্যুষিত জায়গা এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরে এই জায়াগটির বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব একটা বন্ধুসুলভ নয়। বলা যায় বাইরের কেউ এখানে নিষিদ্ধ!
বজ্রপাতের ভয় থাকলে এই গ্রামে বসবাস না করাটাই আপনার জন্য ভালো। কিন্তু এখানকার অধিবাসিরা নিয়মিত এই বজ্রপাতের সাথেই বসবাস করেন, প্রতি স্কয়ার মাইলে বছরে গড়ে ৬০বার বজ্রপাত হয় এখানে!
এই গ্রামটিকে বলা যায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা! এখানে যেতে আপনাকে একটি সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, তবু এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস!
Atacama Desert, Chile/Peru
বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান বলে পরিচিত এই জায়গাটিতে প্রতি হাজার বছরে মাত্র ৪ বছর বৃষ্টি পড়ে! এই মরুভূমিতে দিনের বেলা যেমন ভয়াবহ গরম পড়ে ঠিক তেমন রাত্রিতে ভয়াবহ শীত পড়ে। তবু এমন একটি জায়গায় অন্তত এক মিলিয়নেরও বেশী মানুষের বসবাস অবাক করে দেয়!Verkhoyansk, Russia
Arctic Circle এ অবস্থিত এই শহরটিতে প্রায় ১৫০০ লোকের বসবাস। অন্যতম শীতল এই জায়গাটি একসময় অপরাধীদের নির্বাসন দেয়ার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিলো।
Mount Merapi, Indonesia
আগুন পাহাড় নামেই অত্যধিক পরিচিত এই জায়গাটি। এই অগ্নিপাহাড়ে সবসময় ধিকিধিকি করে আগুন জ্বলতে থাকে, এবং গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ৬০ বার সবেগে অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। তবু এখানকার উর্বর মাটির লোভ সামলাতে পারেনি প্রায় আড়াইলাখ মানুষ!
Lake Kivu, Democratic Republic of Congo/Rwanda
এই লেকের গভীরে প্রায় কয়েক ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মিথেন গ্যাস এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চিত রয়েছে। যদি কোনোভাবে গ্যাসগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় তবে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় সাথে সাথেই মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে!
The Pitcairn Islands
এই জায়গাটি বেশ মজার, অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে ছোটো গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৯টি পরিবারের ৫০ জন মানুষের বাস এই জায়গাটিতে। তবে এখানে নেই কোনো পোতাশ্রয় কিংবা উড়োজাহার নামবার স্থান। যদি কোনোভাবে আপনি ওখানে পৌঁছাতে পারেন তবে পাবেন অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট!
Linfen, China
ছবিটি দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কি পরিমাণ দূষিত চীনের এই শহর। তবে সত্যি বলতে এর চেয়ে বিশুদ্ধ হতেও পারবেনা এই শহরটি, কিন্তু তবু এখানে বিপুল সংখ্যক লোকের বসবাস।
Pompeii, Italy
আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরীতে এখনও ৭৯ জন লোক বসবাস করছে, যদিও সম্পূর্ণ জায়গাটি জ্বলন্ত লাভায় পরিপুর্ণ!
Socotra Island, Yemen
এই জায়গাটি পুরো পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন! বলা হয় এটি পৃথিবীর ভেতরেই অন্য এক এলিয়েন জগত! এখানে যেসব উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাস সেগুলো আর কোথাওই পাওয়া যায়নি! এখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাসে এবং তারা চলাচলের জন্য চমৎকার দুটি রাস্তাও ব্যবহার করে!
Tristan da Cunha
পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী অধ্যুষিত জায়গা এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ২ হাজার মাইল দূরে এই জায়াগটির বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব একটা বন্ধুসুলভ নয়। বলা যায় বাইরের কেউ এখানে নিষিদ্ধ!
Kifuka, Democratic Republic of the Congo
বজ্রপাতের ভয় থাকলে এই গ্রামে বসবাস না করাটাই আপনার জন্য ভালো। কিন্তু এখানকার অধিবাসিরা নিয়মিত এই বজ্রপাতের সাথেই বসবাস করেন, প্রতি স্কয়ার মাইলে বছরে গড়ে ৬০বার বজ্রপাত হয় এখানে!
Motuo, China
এই গ্রামটিকে বলা যায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা! এখানে যেতে আপনাকে একটি সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, তবু এখানে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস!
দূর করূন ব্ল্যাকহেডস
নাকের ডগায় কালো দাগগুলোকে বলে ব্ল্যাকহেডস। সুন্দর নাকের ডগাখানি দেখতে বেমানান লাগে, যখন তাতে কালো কালো এই দাগ পড়ে।
ধুলাবালুর প্রকোপে এর থেকে রেহাই পাওয়াটা কঠিনই বটে। তবে আপনি চাইলে নিয়মিত পরিচর্যায় ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ধুলাবালুতে প্রথমে সাদা শাল বা হোয়াইটহেডসে পরিণত হয়। এগুলো পরে ব্ল্যাকহেডসে রূপান্তরিত হয়। যদি শুরু থেকেই সাদা শালগুলোকে দূর করা যায়, তবে ব্ল্যাকহেডস হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ঘরে বসেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু পরামর্শ রইল:
-সুন্দর থাকার অন্যতম শর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত মুখমণ্ডল পরিচ্ছন্ন রাখলে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
-যাঁরা এর মধ্যেই নাকে সাদা শালের উপদ্রব টের পেয়েছেন, তাঁরা যেকোনো লোশন বা ম্যাসাজ ক্রিম ও পেট্রোলিয়াম জেলি একত্রে মিশিয়ে হালকা করে নাকে কিছু সময় মালিশ করুন। নাকের ত্বক নরম হলে গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে হালকা চাপ দিয়ে সাদা শালগুলো তুলে নিতে পারেন।
-ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়েও নাকে লাগানো যেতে পারে। লাগানোর পর এর ওপর একটা পাতলা কোমল কাপড় আটকে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। এতে ব্ল্যাকহেডস উঠে যাবে।
-আঙুলের ডগায় মধু নিয়ে নাকে ও চোয়ালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কিছু সময় মালিশও করতে পারেন। এরপরকুসুমগরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-পাকা টমেটো পুরো মুখে লাগিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকহেডসের অংশগুলো ১৫ মিনিট ধরে হালকা মালিশ করুন। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই ও দুই-তিন ফোঁটা মধু মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন নাকে-চোয়ালে। এতে মৃদু মালিশে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যায়।
-যাঁদের ব্ল্যাকহেডস এর মধ্যেই অনেক বেশি শক্ত হয়ে বসেছে তাঁরা ওপরের যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ শেষে ব্ল্যাকহেডস দূর করার ক্লিপের সহায়তা নিতে পারেন। বাজারে একধরনের সরু ক্লিপ পাওয়া যায়, যেটি কেবল ব্ল্যাকহেডস দূর করতেই ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে হালকা চাপ দিলে বেরিয়ে আসে ভেতরের বাড়তি অংশটি, যেটি আপনার সৌন্দর্যের বাধা সৃষ্টিকারী।
বিদায় জানান ব্ল্যাকহেডসকে। আপনার নাকের ডগায় বসে এমন সাহস আর আছে কার?
ধুলাবালুর প্রকোপে এর থেকে রেহাই পাওয়াটা কঠিনই বটে। তবে আপনি চাইলে নিয়মিত পরিচর্যায় ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ধুলাবালুতে প্রথমে সাদা শাল বা হোয়াইটহেডসে পরিণত হয়। এগুলো পরে ব্ল্যাকহেডসে রূপান্তরিত হয়। যদি শুরু থেকেই সাদা শালগুলোকে দূর করা যায়, তবে ব্ল্যাকহেডস হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ঘরে বসেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু পরামর্শ রইল:
-সুন্দর থাকার অন্যতম শর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত মুখমণ্ডল পরিচ্ছন্ন রাখলে ব্ল্যাকহেডস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
-যাঁরা এর মধ্যেই নাকে সাদা শালের উপদ্রব টের পেয়েছেন, তাঁরা যেকোনো লোশন বা ম্যাসাজ ক্রিম ও পেট্রোলিয়াম জেলি একত্রে মিশিয়ে হালকা করে নাকে কিছু সময় মালিশ করুন। নাকের ত্বক নরম হলে গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে হালকা চাপ দিয়ে সাদা শালগুলো তুলে নিতে পারেন।
-ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়েও নাকে লাগানো যেতে পারে। লাগানোর পর এর ওপর একটা পাতলা কোমল কাপড় আটকে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। এতে ব্ল্যাকহেডস উঠে যাবে।
-আঙুলের ডগায় মধু নিয়ে নাকে ও চোয়ালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কিছু সময় মালিশও করতে পারেন। এরপরকুসুমগরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-পাকা টমেটো পুরো মুখে লাগিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকহেডসের অংশগুলো ১৫ মিনিট ধরে হালকা মালিশ করুন। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
-চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই ও দুই-তিন ফোঁটা মধু মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন নাকে-চোয়ালে। এতে মৃদু মালিশে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যায়।
-যাঁদের ব্ল্যাকহেডস এর মধ্যেই অনেক বেশি শক্ত হয়ে বসেছে তাঁরা ওপরের যেকোনো একটি উপায় অনুসরণ শেষে ব্ল্যাকহেডস দূর করার ক্লিপের সহায়তা নিতে পারেন। বাজারে একধরনের সরু ক্লিপ পাওয়া যায়, যেটি কেবল ব্ল্যাকহেডস দূর করতেই ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে হালকা চাপ দিলে বেরিয়ে আসে ভেতরের বাড়তি অংশটি, যেটি আপনার সৌন্দর্যের বাধা সৃষ্টিকারী।
বিদায় জানান ব্ল্যাকহেডসকে। আপনার নাকের ডগায় বসে এমন সাহস আর আছে কার?
পাইলস্ ও প্রস্রাবসহ নানা রোগের মহৌষধ পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আমরা সাধারণ তরকারি স্বাদের জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু এই পেঁয়াজে
রয়েছে বহু গুণাগুণ। আসুন জেনে নেই এই পেঁয়াজে কি কি গুণ রয়েছে।
# ওষধী শাস্ত্রে পেঁয়াজের রয়েছে অনেক রকম ব্যবহার। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব, সর্দিতে নাক বন্ধ, কপাল ভার এরকম পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের রস নাকে দিলে সর্দি বেরিয়ে আসে। কপাল হাল্কা বোধ হয় এবং জ্বর জ্বর ভাব কেটে যায়।
# অস্থিরকর ভ্যাপসা গরমে শরীর কষে গেলে প্রস্রাবও কষে যায়। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস এক চা চামচ ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে আসে। পেঁয়াজ শীরের প্রস্রাব ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা প্রস্রাব চাপলে আর দাঁড়াতে পারেন না। মুত্র নি:স্বরণের জন্য ব্যস্ত হতে বাধ্য হন। কিন্তু পেঁয়াজের রস ওই অস্থিরকর পরিস্থিতি কাটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস এক চা চামচ করে ৪/৫ দিন খেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা।
# শরীর গরম হয়ে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের নস্যি নিলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
# যারা অর্শ্ব (পাইলস্) রোগে ভোগেন পেঁয়াজ তাদের জন্যও একটি বিশেষ উপকারী ভেশজ। যদি কোন কারণে রক্ত পড়া বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রে এক চা চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। একই পরিমাণ পেঁয়াজের রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ ও দাস্ত পরিষ্কার হয়।
# অনেক সময় কানের বাইরে ঘা হয়। কিন্বা বিশফোঁড়া পেকে টন টন করে। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস ৪/৫ ফোটা অল্প অল্প করে দিলে ব্যথা কমে গিয়ে ঘা বা ফোঁড়া ভালো হয়ে যায়।
# ওষধী শাস্ত্রে পেঁয়াজের রয়েছে অনেক রকম ব্যবহার। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব, সর্দিতে নাক বন্ধ, কপাল ভার এরকম পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের রস নাকে দিলে সর্দি বেরিয়ে আসে। কপাল হাল্কা বোধ হয় এবং জ্বর জ্বর ভাব কেটে যায়।
# অস্থিরকর ভ্যাপসা গরমে শরীর কষে গেলে প্রস্রাবও কষে যায়। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস এক চা চামচ ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়ে আসে। পেঁয়াজ শীরের প্রস্রাব ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা প্রস্রাব চাপলে আর দাঁড়াতে পারেন না। মুত্র নি:স্বরণের জন্য ব্যস্ত হতে বাধ্য হন। কিন্তু পেঁয়াজের রস ওই অস্থিরকর পরিস্থিতি কাটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস এক চা চামচ করে ৪/৫ দিন খেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা।
# শরীর গরম হয়ে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজের নস্যি নিলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
# যারা অর্শ্ব (পাইলস্) রোগে ভোগেন পেঁয়াজ তাদের জন্যও একটি বিশেষ উপকারী ভেশজ। যদি কোন কারণে রক্ত পড়া বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রে এক চা চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। একই পরিমাণ পেঁয়াজের রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ ও দাস্ত পরিষ্কার হয়।
# অনেক সময় কানের বাইরে ঘা হয়। কিন্বা বিশফোঁড়া পেকে টন টন করে। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস ৪/৫ ফোটা অল্প অল্প করে দিলে ব্যথা কমে গিয়ে ঘা বা ফোঁড়া ভালো হয়ে যায়।
শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য কিছু টিপস্
শীতকাল আসলেই ঠাণ্ডা লাগা সর্দি-কাশি হওয়া বেড়ে যায়। কিন্তু একটু সচেতন থাকলে এই ঠাণ্ডা লাগা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
আসুন জেনে নেয় টিপস্ গুলি -
# শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতিদিন উষ্ণ গরম পানি বা যেকোন গরম পানীয় (চা/কফি/স্যুপ/দুধ) খাওয়া ভাল। তাতে শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস কম ক্ষতি করে।
# শীতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২চা চামচ মধু খেতে পারেন যা ঠান্ডা লাগার অনেকটা প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
# বেশী শীতে শুধু একটা ভারী কাপড় না পরে, একাধিক পোশাক পরিধার করুন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী হলো হালকা কোন কাপড় যা শরীরের সাথে লেগে থাকে এমন কিছু নিচে পরা, তার উপরে কয়েক লেয়ার -এ ফুল অন্যান্য জামা-কাপড় পরা। এটা বেশি ঠান্ডায় সবচেয়ে কার্যকরী।
# প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কালজিরা রান্না করে বা রান্না ছাড়া খেতে পারেন। কালজিরা প্রায় ৩০০ রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
# শীতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি ঠাণ্ডা লাগার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
# প্রতিদিন খাবারে রসুন ব্যবহার করুন। কারণ কাঁচা রসুন ঠাণ্ডা লাগা কমায়।
# ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলে আদা ও লবঙ্গ অত্যন্ত কার্যকরি। আদা ও লবঙ্গের রস ঠাণ্ডা কাশি কমাতে সহায়ক। আদা ও লবঙ্গ দিয়ে চা খুবই কার্যকর।
# শীতের সকালে-বিকালে নাক বন্ধ বন্ধ মনে হলে নাকে গরম পানির ভাপ নিলে ভাল বোধ হয়। উপকার বেশি পেতে হলে গরম পানিতে কিছু ফিটকিরি টুকরা দিয়ে গরম ভাপ নিলে নাক বন্ধ হওয়া কমে যায়।
# সরিষার তেল শরীর গরম রাখে যা ঠাণ্ডা লাগার প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
# শীতে পানি খাওয়া কম হয়। যে কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সেই জন্য পানি জাতীয় গরম খাবার বেশি খেতে হয়।
# শীতকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বেশি প্রয়োজন। শীতে ধুলাবালি বেশি থাকায় তাতে রোগ-জীবাণু বেশি থাকে এবং সেই কারণে অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে যত ঠাণ্ডায় পড়ুক না কেনো এই শীতে আপনিও সুস্থ থাকতে পারবেন।
আসুন জেনে নেয় টিপস্ গুলি -
# শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতিদিন উষ্ণ গরম পানি বা যেকোন গরম পানীয় (চা/কফি/স্যুপ/দুধ) খাওয়া ভাল। তাতে শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস কম ক্ষতি করে।
# শীতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২চা চামচ মধু খেতে পারেন যা ঠান্ডা লাগার অনেকটা প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
# বেশী শীতে শুধু একটা ভারী কাপড় না পরে, একাধিক পোশাক পরিধার করুন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী হলো হালকা কোন কাপড় যা শরীরের সাথে লেগে থাকে এমন কিছু নিচে পরা, তার উপরে কয়েক লেয়ার -এ ফুল অন্যান্য জামা-কাপড় পরা। এটা বেশি ঠান্ডায় সবচেয়ে কার্যকরী।
# প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কালজিরা রান্না করে বা রান্না ছাড়া খেতে পারেন। কালজিরা প্রায় ৩০০ রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
# শীতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি ঠাণ্ডা লাগার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
# প্রতিদিন খাবারে রসুন ব্যবহার করুন। কারণ কাঁচা রসুন ঠাণ্ডা লাগা কমায়।
# ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলে আদা ও লবঙ্গ অত্যন্ত কার্যকরি। আদা ও লবঙ্গের রস ঠাণ্ডা কাশি কমাতে সহায়ক। আদা ও লবঙ্গ দিয়ে চা খুবই কার্যকর।
# শীতের সকালে-বিকালে নাক বন্ধ বন্ধ মনে হলে নাকে গরম পানির ভাপ নিলে ভাল বোধ হয়। উপকার বেশি পেতে হলে গরম পানিতে কিছু ফিটকিরি টুকরা দিয়ে গরম ভাপ নিলে নাক বন্ধ হওয়া কমে যায়।
# সরিষার তেল শরীর গরম রাখে যা ঠাণ্ডা লাগার প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
# শীতে পানি খাওয়া কম হয়। যে কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সেই জন্য পানি জাতীয় গরম খাবার বেশি খেতে হয়।
# শীতকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বেশি প্রয়োজন। শীতে ধুলাবালি বেশি থাকায় তাতে রোগ-জীবাণু বেশি থাকে এবং সেই কারণে অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে যত ঠাণ্ডায় পড়ুক না কেনো এই শীতে আপনিও সুস্থ থাকতে পারবেন।
প্রতিরোধ করূন অল্প বয়সে চুল পাকা
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এখন অনেক
কম বয়সী নারী-পুরুষেরই চুল পাকার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কুড়িতে বুড়ি না হলেও
এখন এ রকম বয়সে অনেকেরই সখের কালো চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে। চুল সাদা হলে বয়সের
ছাপটা যেন একটু বেশি বোঝা যায়। সেইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্ব খানিকটা ম্লান
হয়ে পড়ে।
অল্প বয়সে চুল পাকার জন্য কিছু জিনিসতো অবশ্যই দায়ী।
এসবের মধ্যে ঘুম কম হওয়া, নিম্ন মানের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, অত্যাধিক পরিমাণে চুলে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, চুলের নিয়মিত যত্ন না নেয়া, তেলে ভাজাপোড়াসহ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, বংশগত বা হরমোনের কারণে, অতিরিক্ত চিন্তা, চুল অতিরিক্ত ড্রাই করা, পানি দূষিত হওয়া, চুলে খুব বেশি রোদর তাপ লাগা প্রধান কারণ।
প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। একটু সচেতন হলে অল্প বয়সে কাচা চুল সাদা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করা যায়।
চুল পাকা থেকে মুক্তির পাওয়ার কিছু উপায়:
-চুলের ধরণ অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্রান্ডের শ্যাশ্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল, কালার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
-চুলে খুশুকি হলে শুরুতেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
-চুলে যেন সরাসরি রোদ না লাগে সেজন্য বাইরে বের হলে ছাতা, ক্যাপ অথবা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা জরুরি।
- হরতকি ও মেহেদী পাতার সঙ্গে নারিকেল তেল দিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। আমলকির রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যায়।
-নারিকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসেজ করলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
-চুল সাদা হওয়ার শুরুতে হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালে চুল সাদা হওয়া কমে যাবে। হেনা ব্যবহারে শুধু চুল সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করবে না সেই সঙ্গে সাদা চুলে কালো রঙে ফিরে আসবে।
-চুলের নিজস্ব রঙ ধরে রাখতে মাঝে মাঝে চায়ের ঘন লিকার ব্যবহার করতে পারেন।
-ধুমপান পরিহার করে নিয়মিত পানি, ফলমূল, রঙিন শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেলে চুল সাদা হবে না বরং চুল হবে সুন্দর ও ঝরঝরে।
অল্প বয়সে চুল পাকার জন্য কিছু জিনিসতো অবশ্যই দায়ী।
এসবের মধ্যে ঘুম কম হওয়া, নিম্ন মানের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, অত্যাধিক পরিমাণে চুলে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, চুলের নিয়মিত যত্ন না নেয়া, তেলে ভাজাপোড়াসহ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, বংশগত বা হরমোনের কারণে, অতিরিক্ত চিন্তা, চুল অতিরিক্ত ড্রাই করা, পানি দূষিত হওয়া, চুলে খুব বেশি রোদর তাপ লাগা প্রধান কারণ।
প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। একটু সচেতন হলে অল্প বয়সে কাচা চুল সাদা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করা যায়।
চুল পাকা থেকে মুক্তির পাওয়ার কিছু উপায়:
-চুলের ধরণ অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্রান্ডের শ্যাশ্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল, কালার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
-চুলে খুশুকি হলে শুরুতেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
-চুলে যেন সরাসরি রোদ না লাগে সেজন্য বাইরে বের হলে ছাতা, ক্যাপ অথবা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা জরুরি।
- হরতকি ও মেহেদী পাতার সঙ্গে নারিকেল তেল দিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। আমলকির রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যায়।
-নারিকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসেজ করলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
-চুল সাদা হওয়ার শুরুতে হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালে চুল সাদা হওয়া কমে যাবে। হেনা ব্যবহারে শুধু চুল সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করবে না সেই সঙ্গে সাদা চুলে কালো রঙে ফিরে আসবে।
-চুলের নিজস্ব রঙ ধরে রাখতে মাঝে মাঝে চায়ের ঘন লিকার ব্যবহার করতে পারেন।
-ধুমপান পরিহার করে নিয়মিত পানি, ফলমূল, রঙিন শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেলে চুল সাদা হবে না বরং চুল হবে সুন্দর ও ঝরঝরে।
শ্বেতি রোগ ও মুখের মেছতা দাগ তুলতে লাউ
লাউ আমাদের প্রতিদিনের আহার্যের বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। লাউয়ের ফুল,
লতা-পাতা এমন কি সুখনো খোলও কাজে লাগে। শ্বেতি রোগ ও মুখের মেছতা দাগ
তুলতে লাউ বিশেষ ভূমিকা রাখে।
লাউয়ের ফুল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে ভাজি করলে তার স্বাদ হয় অসাধারণ। লাউয়ের পাতা উত্তম শাক। লাউয়ের খোলা দিয়ে তৈরি হয় ডুগডুগি বা একতারা। ভেশজ শাস্ত্র মতে শুধুগৃহস্থালি কার্যেই নয়, শরীরের রোগ-শোকেও লাউ অপরিহার্য।
লাউয়ের অন্যতম ব্যবহার হচ্ছে শ্বেতিরোগের একদম শুরুতে যখন ছোট ছোট দাগ দেখা দেয় তখনই প্রতিদিন একবার লাউফুল ঘষে দিলে শ্বেতি রোগের বিস্তার বন্ধ হয়। দিনে ১৫ বার ব্যবহার করলে রোগ সেরে যায়। শ্বেতি ছাড়াও ছুলি রোগে লাউ ব্যবহার করা যায়। আগুনে ঝলসে পড়া লাউয়ের টুকরো ছুলির স্থানে ঘষে দিলে ছুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে এই রোগ পুরোপুরি নিমূল না হলে সারে না। সেজন্যে চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।
সুপ্রাচীন কাল থেকে মুখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য লাউ ব্যবহার হয়ে আসছে। কচি লাউয়ের সাদা নরম অংশটি প্রতিদিন মুখে ঘোষতে হয়। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে যায় এবং বলিরেখা দূর হয়। ত্বক হয় টান টান। মুখের মেছতা দাগ উঠাতেও লাউ ব্যবহার করা যায়। মুখে দাগ সৃষ্টি হওয়া মাত্রই লাউয়ের টুকরো ঘষতে হয় মুখে। এতে কয়েক দিনের মধ্যেই মেছতার দাগ উঠে যায়। লাউয়ের টুকরো ঘষলে মুখের কালো দাগও উঠে যায়।
এছাড়াও লাউয়ের বেশ কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে। গায়ে জ্বালা-পোড়া এবং একই সঙ্গে বমি বমি ভাব দেখা দিলে লাউ ঝলসে তার রস বের করতে হয়। সেই রসের সঙ্গে এক চা চামচ আন্দাজ মধু মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব ও জ্বালা-পোড়া কেটে যায়।
লাউ খেলে শরীরের খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ে। কোষ্ঠ-কাঠিন্য কেটে যায়। রান্না করা লাউ তরকারি হিসেবে অপূর্ব। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সবচেয়ে প্রিয় তরকারি ছিল লাউ।
তাই আসুন বেশি করে লাউ খায় এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখি। সকলের সুস্থ্যতায় আমাদের কাম্য।
From TheDhakaTimes
লাউয়ের ফুল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে ভাজি করলে তার স্বাদ হয় অসাধারণ। লাউয়ের পাতা উত্তম শাক। লাউয়ের খোলা দিয়ে তৈরি হয় ডুগডুগি বা একতারা। ভেশজ শাস্ত্র মতে শুধুগৃহস্থালি কার্যেই নয়, শরীরের রোগ-শোকেও লাউ অপরিহার্য।
লাউয়ের অন্যতম ব্যবহার হচ্ছে শ্বেতিরোগের একদম শুরুতে যখন ছোট ছোট দাগ দেখা দেয় তখনই প্রতিদিন একবার লাউফুল ঘষে দিলে শ্বেতি রোগের বিস্তার বন্ধ হয়। দিনে ১৫ বার ব্যবহার করলে রোগ সেরে যায়। শ্বেতি ছাড়াও ছুলি রোগে লাউ ব্যবহার করা যায়। আগুনে ঝলসে পড়া লাউয়ের টুকরো ছুলির স্থানে ঘষে দিলে ছুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে এই রোগ পুরোপুরি নিমূল না হলে সারে না। সেজন্যে চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।
সুপ্রাচীন কাল থেকে মুখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য লাউ ব্যবহার হয়ে আসছে। কচি লাউয়ের সাদা নরম অংশটি প্রতিদিন মুখে ঘোষতে হয়। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে যায় এবং বলিরেখা দূর হয়। ত্বক হয় টান টান। মুখের মেছতা দাগ উঠাতেও লাউ ব্যবহার করা যায়। মুখে দাগ সৃষ্টি হওয়া মাত্রই লাউয়ের টুকরো ঘষতে হয় মুখে। এতে কয়েক দিনের মধ্যেই মেছতার দাগ উঠে যায়। লাউয়ের টুকরো ঘষলে মুখের কালো দাগও উঠে যায়।
এছাড়াও লাউয়ের বেশ কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে। গায়ে জ্বালা-পোড়া এবং একই সঙ্গে বমি বমি ভাব দেখা দিলে লাউ ঝলসে তার রস বের করতে হয়। সেই রসের সঙ্গে এক চা চামচ আন্দাজ মধু মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব ও জ্বালা-পোড়া কেটে যায়।
লাউ খেলে শরীরের খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ে। কোষ্ঠ-কাঠিন্য কেটে যায়। রান্না করা লাউ তরকারি হিসেবে অপূর্ব। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সবচেয়ে প্রিয় তরকারি ছিল লাউ।
তাই আসুন বেশি করে লাউ খায় এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখি। সকলের সুস্থ্যতায় আমাদের কাম্য।
From TheDhakaTimes
কপালে নাক
চীনে কপালের উপর নাক তৈরী করা হয়েছে এক ব্যক্তির। ফুজিয়ান রাজ্যের নাগরিক ২২ বছর বয়সী জিওলিয়ান নামের ওই ব্যক্তি গত বছর আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নাক হারান।
এরপর নাসারন্ধের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। একপর্যায়ে সংক্রমনে তার নাকের কার্টিলেজ (কানেকটিভ টিস্যু) নষ্ট হয়ে যায়। তারপর জিওলিয়ান চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলে কিছুতেই কিছু করতে পারছিলেন ডাক্তাররা।
শেষমেষ সার্জনরা কৃত্রিমভাবে জিওলিয়ানের কপালে নাক বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। চিকিৎসকরা কপালে স্কিন টিস্যু বসিয়ে নতুন এই নাক তৈরি করেছেন।
শিগগিরই যথাস্থানে নাক প্রতিস্থাপনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
অলৌকিক শিশুর মাতৃভক্তি
ঢাকা: পৃথিবীতে মায়ের মতো আপন আর কে আছে? মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক কতটা অকৃত্রিম তা চীনা এই মা ছেলেকে দেখেই বোঝা যায়।
২০১০ সালে মা ঝাং রংজিয়াং সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কোমায় চলে যান।
তাকে হাসপাতালে নেয়া পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন ঝাং অন্তঃসত্ত্বা।
অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকে ঝাংয়ের গর্ভের শিশু। ২০১১ সালে কোমায় থাকা অবস্থাতেই ঝাংয়ের সিজার করেন চিকিৎসকরা। জন্ম নেয় গোয়া কিয়াংবো।
সে বছর মে মাসে অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা শিশু গোয়ার কণ্ঠস্বর শুনে কোমায় থেকে ফেরেন ঝাং।
কিন্তু কোমা থেকে ফিরলেও পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে আছেন তিনি। তাই নিজের খাবার চিবিয়ে খেতে পারেন না ঝাং।
তাতে কি? গোয়ার বয়স এখন দুই বছর। সে খাবার চিবিয়ে মুখ দিয়েই মাকে খাইয়ে দেয়। আর সারাক্ষণ মায়ের পাশেই থাকে সে।পরজনমেও চালাবেন গাড়ি!
ঢাকা: কারও মতে, এই জনমই শেষ! আবার কারও মতে, মৃত্যুর পর আরেকটি জনম আছে। দ্বিতীয়োক্তদের কেউ কেউ পরজনমে স্বর্গ বাসের আশায় পূণ্য অর্জনে সাধনা পর্যন্ত করে থাকেন। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্ট লাভ করতে অনেকে অর্থ-বিত্তের দিকেও নজর দেন না।
ব্রাজিলের এক ধনকুবের দ্বিতীয়োক্তদের মতোই পরজনমে বিশ্বাসী। তবে মৃত্যুর পর সুখ-সৃমদ্ধ জীবন যাপনে করতে ইহকালের অর্থ-কড়ি আগেভাগেই ‘পরপারে পাঠিয়ে’ দিচ্ছেন তিনি!
উদ্ভট ব্যাপার হলেও সত্য, ব্রাজিলের সাও পাওলোর নিকটবর্তী জর্ডিনস শহরের বাসিন্দা কাউন্ট স্কার্পা তার অর্থ-কড়ির বিপুল অংশ পরজনমের জন্য ‘সমাহিত করেই জমিয়ে’ রাখছেন!
সেটা কিভাবে? পরজনমের জন্য তার এসব অর্থ-কড়ি রাখার পদ্ধতি আরও অদ্ভুত! মঙ্গলবার তার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, বাড়ির পেছনের বাগানে নিজের জন্য নির্ধারিত সমাধিস্থলের পাশেই সবচেয়ে প্রিয় ও দামি গাড়ি ‘বেন্টলে’কে সমাহিত করার জন্য গর্ত খুঁড়ছেন তিনি।
কয়েকবার কোমায় গিয়েছেন, নিশ্চিত করে বলতে পারেন না কবে তার পরজনমে যাওয়ার ডাক পড়ে! সেজন্য আগে ভাগেই ৩ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা) মূল্যমানের নতুন ব্র্যান্ডের কালো রঙা বিলাসবহুল প্রাইভেটকারটি সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কার্পা!
প্রকাশিত ছবিগুলোর সঙ্গে দেওয়া ক্ষুদে বার্তায় স্কার্পা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহের শেষের দিকেই ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ সম্পন্ন করে সমাহিত করবেন গাড়িটিকে!
স্কার্পার এই সিদ্ধান্তে রীতিমত হইচই পড়ে গেছে ব্রাজিলে। দেশটির বান্দেইরেন্টস টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কার্পা তার এই উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনের গল্পটি তুলে ধরে বলেন, গত রোববার মিশরের ফারাও সম্রাটদের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখি। আমি অবাকচিত্তে লক্ষ্য করলাম, সম্রাটরা আগ থেকে নির্ধারিত অর্থকড়ি নিয়ে সমাহিত হয়েছেন, পরজনমে সুখে বসবাস করার আশায়। তাহলে আমি কেন পরজনমে ব্যবহারের জন্য প্রিয় গাড়িটিকে জমা রাখতে পারবো না?
স্কার্পার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, দামি গাড়িটির সামনে আরেক প্রিয় তোতাপাখি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এই তোতাপাখিটিও তিনি আগেভাগেই ‘পরপারে পাঠিয়ে দেবেন’ কিনা এমন কোনো ইঙ্গিত না দিলেও স্কার্পা বলেন, যারা আমার এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নাক সিঁটকাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বসহকারে বলছি, ইতোমধ্যেই আমি সমাধি খোঁড়া শুরু করেছি এবং এ সপ্তাহের শেষ দিকেই গাড়িটি সমাহিত করবো!
মঙ্গলবার স্কার্পার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এই ছবি ও ক্ষুদে বার্তায় সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি লাইক ও ছয় হাজারের বেশি শেয়ার পড়ে।
মায়ের জন্য অশ্রু
মায়ের জন্য অশ্রু একটি বাচ্চা হাতির
ঢাকা: মা
শব্দটির মতোই মধুর মায়ের সবকিছু। মায়ের আদর ভালোবাসা মমতাই গড়ে দেয় আমাদের
জীবন। তাই মাকে ছেড়ে থাকা যেমন কষ্টের, তেমন কষ্টের মা ছেড়ে চলে যাওয়া।
প্রাণীকুলের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।
মাকে ছেড়ে থাকার সবচেয়ে কষ্টের বহিঃপ্রকাশ নিঃসন্দেহে কান্না। এবার তারই নমুনা রাখল একটি বাচ্চা হাতি। মা তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় অঝোর ধারায় কেঁদেছে সে।
চীনের রংচেং অঞ্চলে শেনডিয়াওশান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে।
বাচ্চা হাতিটি তার মায়ের জন্য কেঁদেছে কয়েক ঘণ্টা ধরে। বিষয়টি প্রাণীবিদদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে।
হাফিংটন পোস্ট পত্রিকার বরাতে জানা যায়, আগস্ট মাসে ঝুয়াং ঝুয়াং নামক পুরুষ শাবক হাতিটির জন্ম হয়।
চিড়িয়াখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা প্রথমে ভেবেছিলেন, মা হাতিটি অসচেতনভাবে তার বাচ্চাকে আঘাত করেছে। তাই তারা সামান্য চিকিৎসার পর আবার বাচ্চাটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
কিন্তু তারা লক্ষ্য করলেন, মা হাতিটি পুনরায় বাচ্চাকে আঘাত করছে। তাই বাধ্য হয়ে কর্মকর্তারা মায়ের কাছ থেকে বাচ্চাটিকে আলাদা করে রাখেন।
চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের মেট্রো পত্রিকা জানায়, নতুন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর পুরুষ শাবকটি একেবারে চুপচাপ হয়ে যায়। মাটিতে শুয়ে অনবরত কাঁদতে থাকে।
ফটোগ্রাফারের তোলা ছবিতে দেখা যায়, বাচ্চা হাতিটির রক্তিম চোখ থেকে চিবুক বেয়ে পানি ঝরছে। আরেকটি ছবিতে বাচ্চাটিকে ক্রন্দনরত অবস্থায় কম্বলের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, মা হাতিটি ক্ষুধায় কিংবা বিষণ্ণতায় তার বাচ্চার সঙ্গে এরূপ আচরণ করে থাকতে পারে। তবে ইউনির্ভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া গবেষকরা হাতিটির কান্নার বিষয়ে গবেষণা করছেন।
পাবলিক ব্রডকাস্টার সার্ভিস (পিবিএস) জানায়, হাতি অত্যন্ত অনুভতিশীল প্রাণী। মানুষের মতো কাছের কাউকে হারানোর পর তারাও কাঁদে।
মাকে ছেড়ে থাকার সবচেয়ে কষ্টের বহিঃপ্রকাশ নিঃসন্দেহে কান্না। এবার তারই নমুনা রাখল একটি বাচ্চা হাতি। মা তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় অঝোর ধারায় কেঁদেছে সে।
চীনের রংচেং অঞ্চলে শেনডিয়াওশান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে।
বাচ্চা হাতিটি তার মায়ের জন্য কেঁদেছে কয়েক ঘণ্টা ধরে। বিষয়টি প্রাণীবিদদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে।
হাফিংটন পোস্ট পত্রিকার বরাতে জানা যায়, আগস্ট মাসে ঝুয়াং ঝুয়াং নামক পুরুষ শাবক হাতিটির জন্ম হয়।
চিড়িয়াখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা প্রথমে ভেবেছিলেন, মা হাতিটি অসচেতনভাবে তার বাচ্চাকে আঘাত করেছে। তাই তারা সামান্য চিকিৎসার পর আবার বাচ্চাটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
কিন্তু তারা লক্ষ্য করলেন, মা হাতিটি পুনরায় বাচ্চাকে আঘাত করছে। তাই বাধ্য হয়ে কর্মকর্তারা মায়ের কাছ থেকে বাচ্চাটিকে আলাদা করে রাখেন।
চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের মেট্রো পত্রিকা জানায়, নতুন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর পুরুষ শাবকটি একেবারে চুপচাপ হয়ে যায়। মাটিতে শুয়ে অনবরত কাঁদতে থাকে।
ফটোগ্রাফারের তোলা ছবিতে দেখা যায়, বাচ্চা হাতিটির রক্তিম চোখ থেকে চিবুক বেয়ে পানি ঝরছে। আরেকটি ছবিতে বাচ্চাটিকে ক্রন্দনরত অবস্থায় কম্বলের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, মা হাতিটি ক্ষুধায় কিংবা বিষণ্ণতায় তার বাচ্চার সঙ্গে এরূপ আচরণ করে থাকতে পারে। তবে ইউনির্ভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া গবেষকরা হাতিটির কান্নার বিষয়ে গবেষণা করছেন।
পাবলিক ব্রডকাস্টার সার্ভিস (পিবিএস) জানায়, হাতি অত্যন্ত অনুভতিশীল প্রাণী। মানুষের মতো কাছের কাউকে হারানোর পর তারাও কাঁদে।