Archive for July 2013

‘মানুষের আকৃতি’র বাচ্চা জন্ম দিল মহিষ!

ঢাকা: থাইল্যান্ডে মানব শিশুর আকৃতির বাচ্চা প্রসব করেছে একটি বিস্ময়কর মহিষ। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মহিষের সদ্যজাত বাচ্চাটিকে মনুষ্য শিশুর মতোই পাটিতে রাখা হয়েছে। শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খানিকটা মানুষের মতো মনে হলেও মুখাবয়ব একেবারেই মানুষের আকৃতির। অবশ্য হাত-পা’র আকৃতিতে খানিকটা মহিষের সাদৃশ্য আছে। কিন্তু সবদিক থেকে মহিষের বাচ্চাটিকে মানুষের আকৃতিরই মনে হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই বাচ্চাটি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিস্ময়কর ঘটনাকে সৌভাগ্যের প্রতীক অলৌকিক ঘটনা ধরে নিয়ে মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা-অর্চনা শুরু করেছেন।

বিয়ের পাকা কথা শেষে মেয়ে পরিনত হলো ছেলেতে!

‘প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমাতে গেলো মিনু।
স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয় থেকে গতবছর মাধ্যমিক পাশ করলেও টাকার অভাবে আর পড়া হলোনা তার। তবুও পড়ার শখ রয়ে গেছে বলে শোবার আগে কিছুটা সময় চোখ বুলিয়ে নেয়া।
মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো তার।
কোনো একটা চাপা যন্ত্রণা সারা শরীর জুড়ে।
অনেকটা সময় পরে সে বুঝতে পারে তার শরীর তার নিয়ন্ত্রনের বাইরে।
সে রাতে আর ঘুমাতে পারেনি সে।
পরদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে আবিষ্কার করে মেয়েলী কোনোকিছুই আর নেই তার মাঝে।
আয়নার সামনে যেয়ে চিৎকার করে উঠে, মা..।’
মনে হচ্ছে না, জাফর ইকবালের কোনো সায়েন্স ফিকশন থেকে বলছি? কিংবা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে জেন্ডার চেঞ্জের কোনো ঘটনাও নয়।
ঘটনা সত্য। এ ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলী ইউনিয়নের গাংনগর পোড়ানগরী গ্রামের মিনু খাতুন (১৮) এর জীবনে।
ছেলেপক্ষ দেখে যাবার পর বিয়ের আগে নিজেই ছেলে হয়ে গেলেন তিনি!
মিনু’র বাবা কৃষক আব্দুল কাফী জানান, “বিয়ের জন্য মিনুকে কদিন আগে দেখে গেছে ছেলেপক্ষ। তাদের পছন্দও হয়েছে। এবার পরিবার থেকে ছেলে দেখার কথা ছিলো। কিন্তু বৃহস্পতিবার নিজেই ছেলে হয়ে গেলো সে।”
তিনি বলেন, মিনুর মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিণত হওয়ার খবর শুনে তাকে একনজর দেখার জন্য এখন মানুষের ঢল নেমেছে তার বাড়িতে।
মিনুর বাবা আরো জানান, বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মৌলভী ডেকে শনিবার মিনুর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আব্দুল মাজেদ।
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মতে, প্রকৃতি মাঝে মাঝেই মানুষকে নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। সে হুট করে দীর্ঘদিনের চলে আসা চেইন থেকে কোনো একটি উপাদান সরিয়ে দিয়ে উপভোগ করে ব্যাপারটা।
আব্দুল মাজেদের (মিনু) ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, সে মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু অর্থাভাবে পড়ালেখা করতে পারেনি। তারপর থেকে বাড়ির কাজে মাকে সহযোগিতা করতো।
মিনুর দীর্ঘদিনের বান্ধবী বৃষ্টি জানায়, স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে তারা একসঙ্গে লেখাপড়া করেছে। কখনও তার আচার-আচারণে পুরুষালি ভাব দেখা যায়নি।
এদিকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হওয়া মিনু ওরফে আব্দুল মাজেদের এখন ইচ্ছা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অভাবের সংসারে হাল ধরবেন। বিয়ে করে সুখী একটি সংসার করার ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেন তিনি।
মিনু ওরফে আব্দুল মাজেদের বাবা সবকিছু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন সেটা আমার জন্যও ভালো।“

এবার দিনাজপুরে গরু ধর্ষন




গরুকে ধর্ষণ করার অপরাধে এক কিশোরের বিরুদ্ধে শালিস করার কারণে দিনাজপুরের এক ইউপি মেম্বারের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ৮টার সময় সদর উপজেলার উলিপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মোঃ সোলেমানের আলীর পুত্র জাবেদ আলীর গরু পার্শ্বের খোলা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেধে রাখলে একই এলাকার আলতাব হোসেনের কিশোর পুত্র মশিউর রহমান (১৫) গরুটির সামনে যায়। গরুটিকে ধর্ষন করতে থাকে। 
আশপাশে ধান ক্ষেতে কাজ করা স্থানীয় মহিলারা এটি দেখতে পেয়ে মশিউরকে ধাওয়া করলে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে গরুর মালিক জাবেদ আলী স্থানীয় মেম্বার সারোয়ার জামানকে বিচার দেয়। মেম্বার সারোয়ার স্থানীয় মুরুব্বীদের নিয়ে বিচারে বসে। গত ইউপি নির্বাচনে সারোয়ার মেম্বারের সাথে পরাজিত নিকটতম প্রতিদন্দ্বি উলিপুর মাঝাপাড়া গ্রামের মৃত হামিদুর রহমানের পুত্র আবুল কালাম আজাদ (৩৫) ও শামসুর রহমানের পুত্র সফিকুল আলম গরু ধর্ষনকারী মশিউরের পক্ষ নেয়। 

মেম্বার সারোয়ার ও স্থানীয় লোকজনেরা শালিসে ধর্ষনকরীকে গরুটি তার মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে সিদ্ধান্ত দিলে পরাজিত মেম্বারপ্রাথী আবুল কালাম আজাদের উস্কানিতে গরু ধর্ষণকারী ও তার আত্মীয়-স্বজন স্থানীয় গণ্যমান্যদের বিচার মেনে না নিয়ে চলে আসে। পরে গরু মালিক গরু ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ করে।

এদিকে স্থানীয় মেম্বার সারোয়ার জামান গরু ধর্ষণের শালিস করায় তার বিরুদ্ধে মারধর করার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে স্বাক্ষী হন স্থানীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়া মেম্বারপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।

এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

বানান ভুল ধরবে কলম

লার্নস্টিফট ডিজিটাল পেন দিয়ে লেখার সময় কোনো ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে কলমটি কেঁপে উঠে লেখককে তার ভুল সম্পর্কে সাবধান করে দেয়।

 
নতুন এক প্রযুক্তিপণ্য লেখককে ধরিয়ে দেবে বানান ভুল। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লার্নস্টিফট ডিজিটাল পেন দিয়ে লেখার সময় ভুল করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেঁপে উঠবে কলমটি।
লার্নস্টিফট একটি জার্মান শব্দ, যার ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে লার্নিং পেন।
পণ্যটির নির্মাতারা বর্তমানে ডিজিটাল এ কলমটির বানান প্রক্রিয়া এবং হাতের লেখার ধরণ নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। কলমটি ভুল বানান এবং লেখার সময় কাটাকাটি শনাক্ত করতে পারে। নির্মাতারা একটি ধারাবাহিক ভিডিওতে কলমটির বিভিন্ন বিষয় নিয়মিত জানাচ্ছেন।
ডিজিটাল এ কলমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম, এআরএম প্রসেসর, কয়েকটি সেন্সর, ফিজিকাল ভাইব্রেশন ফিডব্যাক এবং ওয়াই-ফাই।
জার্মানির মিউনিখভিত্তিক নির্মাতারা কলমটির একটি নমুনাও তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে কলমটিতে ব্যাকরণ, বাক্যগঠন ও অন্যান্য ভাষার ফিচার যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতাদের।

ইমার একই অঙ্গে নানারূপ

:: পরিবর্তন প্রতিবেদক ::
বর্তমান সময়ের আলোচিত একটি নাম রিজওয়ানা খালেদ ইমা। রূপ-লাবণ্য আর সৌন্দর্যকে পুঁজি করে অসংখ্য প্রতারণা আর জালিয়াতি করেছেন। গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। ইমা-কাহিনী রুপালি পর্দার গ্যাংস্টার কাহিনীকেও হার মানায়।
জানা যায়, ইমা ধনী ছেলেদের সাথে প্রথমে সখ্যতা গড়ে গ্যাংস্টার কায়দায় চষে বেড়াতেন ঢাকা। কখনো বিনোদন পত্রিকার সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে, স্টার বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে তরুণীদের ক্যামেরার সামনে বিবস্ত্র পোজ দিতে বাধ্য করেছেন, কখনো বা তাদেরকে ক্যামেরার উপস্থিতিতেই পরপুরুষের শয্যাসঙ্গী হতেও বাধ্য করেছেন। আর এসব কাজ ইমা করতেন তার নিজ বাসাতেই। নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এসব মেয়েরা প্রতিবাদ করলেই ‘সেক্স ভিডিও’ বাজারে প্রকাশ করার ভয় দেখাতেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রাজধানীর বিলাসবহুল ডিওএইচএসে’র বাসায় এভাবেই পর্নো স্টুডিও গড়ে তুলেছেন ইমা।
নিজ বাসাতেই পর্নো স্টুডিও : ইমা গ্রেপ্তারের পরই বেড়িয়ে আসে নানা তথ্য। পুলিশের কাছে অনেকে অভিযোগ করেন, ইমা নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে তাদের পর্নো ছবি তৈরিতে বাধ্য করেছেন। ছবি বানানোর কথা বলে দফায় দফায় ইমা মডেলদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মডেল বানানোর কথা বলে ইমা তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে বিবস্ত্র পোজ দিতে বাধ্য করেছেন। অনেক সময় পর পুরুষের শয্যাসঙ্গীও হতে হয়েছে। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও নায়িকা বানাননি। প্রতিদিনই বাসায় ডেকে নিয়ে পর্নো ছবি করতে বাধ্য করেছেন। টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তার নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের হুমকি দিতেন ইমা।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক নারী অভিযোগ করেন, ইমা প্রথমে তাকে বিনোদনমূলক একটি ইংরেজি পত্রিকার কাভার মডেলের প্রস্তাব দেন। পরে নায়িকা বানানোর কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ইমার বাসাতে গোপন স্টুডিও, ব্যক্তিগত মেকআপ ও ক্যামেরাম্যান রয়েছে।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক পরিচালক। তিনি বলেন, “ইমা ও তার পরিবারের সাথে তার সাত বছরের পরিচয়। ইমার ভাই তানভীর খালেদের প্রযোজনায় ‘ওয়ান ফোর থ্রি’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন নায়ক নীরব ও নায়িকা কেয়া। আর্থিক অনটনের কথা বলে ছবির কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এখনো কয়েক লাখ টাকা ইমার ভাইয়ের কাছে পাওনা রয়েছে বলে জানান ওই পরিচালক।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, “পলাতক তানভীর খালেদ ও আলমগীর খালেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইমার স্টুডিওতে যারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাদের ব্যাপারগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্বামীর বন্ধুর সাথে লিভ টুগেদার : ইমা স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে তার বন্ধুর সাথে লিভ টুগেদারও করেছেন। বিয়ে না করেও একই ছাদের নিচে রাত কাটিয়েছেন। ‘বিয়ে করছি, করবো’ বলে পার করেছেন একে একে পাঁচটি বছর। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন প্রতারক রেজওয়ানা খালেদ ইমা। প্রথম প্রেমিক গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তার সাথে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেন ইমা। তবে, বেশিদিন সুখের হয়নি তাদের সংসার। ইমার দাবি, তার প্রথম স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। ইমা বন্ধুত্ব গড়ে তোলে স্বামীর বন্ধু উত্তমের সাথে। কয়েকদিনের মধ্যেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। উত্তম ওঠেন ইমার ফ্ল্যাটে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বছরের পর বছর বাস করেন। ইমা দাবি করেন, উত্তমকে বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করলেও কখনই বিয়েতে রাজি হননি।
এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “অর্থের লোভেই ইমা স্বামীকে ছেড়ে তার বন্ধুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।”

জালিয়াতি আর প্রতারণা : ইমার জালিয়াতির গল্পের যেন শেষ নেই। ধনাঢ্য ব্যক্তি-শিল্পপতি, ব্যাংক কর্মকর্তা, বাংলা ছবির পরিচালক, সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকে পড়েছেন এই সুন্দরীর কবলে। তাকে কেউ হয়তো কাছে পেয়েছেন। কেউ হয়তো দূর থেকে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ ব্যয় করেছেন লাখ লাখ টাকা। এখন তারাই যাচ্ছেন গোয়েন্দা পুলিশের কাছে, দিচ্ছেন নানা অভিযোগ। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইমার রূপের মায়াজালে আবিষ্ট হয়েছেন শত শত যুবক। কারও সাথে সম্পর্ক করার আগে তিনি বলতেন, “সম্পর্ক তো করতে চাচ্ছো, আমাকে সামলাতে পারবে তো। আমার কিন্তু কসমেটিকস আর পার্লারে মাসে ৫০ হাজার টাকা যায়। এসব বহন করতে হবে।”
বিদেশে লোক পাঠানোর নামেও তিনি হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। ইমা তার কণ্ঠের জাদুতে বন্দি করেন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের। ইমা রেন্ট-এ-কার থেকে গাড়ি ভাড়া করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে থাকেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, “রিজওয়ানা খালেদ ইমাকে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের হয়েছে। গত শুক্রবার ইমাকে হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান ও রামপুরা এবং ওয়ারী থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।”
ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন জনের কাছে ইমা নিজের গ্রামের বাড়ি হিসেবে কখনো জামালপুরের নাম বলেন, আবার কখনো সিলেটের কথা বলেন। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও তার রয়েছে প্রতারণা। কলেজের সিঁড়িতে পা না পড়লেও নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী বলে দাবি করেন।

ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি হলো কৃত্রিম কান

যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এবার ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার ব্যবহার করে জৈব বস্তু থেকে প্রায় স্বাভাবিক কানের মতো দেখতে কৃত্রিম কান তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে গিজম্যাগ।


   
যেসব শিশু মাইক্রোশিয়া নামে জন্মগত অঙ্গবিকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তাদের বহিঃকর্ণ বা পিনার গঠন অনুন্নত থাকে। এ কারণে কানের ভেতরের গঠন ঠিক থাকলেও এরা ঠিকমতো শুনতে পায় না। এমনকি এই সমস্যা দূর করতে ফোমের মতো যে কৃত্রিম পিনা ব্যবহৃত হয়, সেটাও দেখতে অস্বাভাবিক।

কার্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লরেন্স বনাসার এবং প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেসন স্পেকটর এই গবেষণার পরিচালক। তারা প্রথমে একটি শিশুর পূর্ণাঙ্গ কানের ডিজিটাল মডেল তৈরি করেন এবং সেই মডেলের ওপর ভিত্তি করে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার দিয়ে কানের ছাঁচ তৈরি করেন। এরপর ইদুরের লেজ থেকে সংগৃহীত কোলাজেন এবং গরুর কানের তরুণাস্থির কোষ থেকে উৎপন্ন ‘হাইড্রোজেল’ ওই ছাঁচে প্রবেশ করানো হয়। এখানে কোলাজেন কাঠামো হিসেবে কাজ করে যেন কোষগুলো বেড়ে উঠতে পারে।

বনাসার বলেন, ‘অর্ধেক দিন লাগে কানের ছাঁচের নকশা করতে, একদিন সময় লাগে সেটা প্রিন্ট করতে, এরপর ত্রিশ মিনিটে জেল প্রবেশ করানোর পর, ১৫ মিনিট পরেই আমরা কান বের করে ফেলতে পারি।’ এরপর সেই কানকে মাপমতো কেটে ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য কয়েকদিন কালচার মিডিয়াতে রাখা হয়।

শুধু মাইক্রোশিয়াই নয়, কোন আঘাত বা রোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কানের জন্যও এই কৃত্রিম কান ব্যবহার করা যাবে। স্পেকটর  আশাবাদী, আগামী তিন বছরের মধ্যে রোগীর নিজের কোষ থেকেই নতুন অঙ্গ প্রিন্ট করা যাবে।

কাঠমিস্ত্রি থেকে মেয়র কামরান!

সিলেট থেকে ফিরে: সিলেটের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের উত্থান রূপকথার মতোই। কর্মজীবনের শুরুতে ভাগ্যান্বেষণে তিনি মধ্যপ্রাচ্য গিয়েছিলেন। মুরগির খামারে শ্রমিক ও কাঠমিস্তির কাজ করতেন। দেশে ফিরে নামেন রাজনীতিতে। টানা ২০ বছরের বেশি সময় তিনি সিলেটের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে এবারও তিনি মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অর্থ কখনও কখনও মানুষের জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অর্থ যদি কালো এবং অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়, তবে তো কোন কথাই নেই। কামরান যখন রাজনীতিতে নামেন, তখনকার সাথে বর্তমান জীবনের ফারাক অনেক। গত দুই যুগে কামরান আঙ্গুল ফুলে কালাগাছ বনে গেছেন। কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন। নগরবাসী এখন কামরানের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এই টাকাকেই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পথে বড় বাধা বলে মনে করছেন সিলেটের নগরবাসী। সিলেট নগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

কামরানের ঘনিষ্ঠরা জানান, রাজনীতিতে নামার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে কামরানের জীবন। অর্থবিত্ত আর প্রাচুর্যের নাগাল পান তিনি। কামরান এখন সিলেটের অন্যতম শীর্ষ ধনী। তার কি পরিমাণ সহায়-সম্পত্তি ও অর্থ আছে তা তিনি নিজেও জানেন না বলে দাবি করেন কামরানের ঘনিষ্ঠরা। সম্পত্তির মধ্যে কিছু আছে নিজের নামে থাকলেও বেশির ভাগই স্ত্রী ও সন্তানের নামে।

কামরানের ঘনিষ্ঠরা আরও জানান, আশির দশকের শুরুর দিকে জীবনের তাগিদে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যান। সেখানে গিয়ে তিনি প্রথমে একটি মুরগির খামারে কাজ করতেন। কাঠমিস্তি হিসেবেও তিনি কাজ করেন সেখানে। পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

মাত্র দু’লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে আসার পর কি করবেন তা কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেন না কামরান। তাই সারাক্ষণ তিনি মনমরা হয়ে থাকতেন। কামরানের বাবা বশির উদ্দীন আহমদ তার মন খারাপের কথা জানলেন।

ছেলের জন্য খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন তার বাবা। কামরানের বাবার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান ফরিদ গাজীর সুসম্পর্ক ছিল। তাই তার বাবা তাকে একদিন কামরানকে ফরিদ গাজীর কাছে নিয়ে যান। ফরিদ গাজীকে তার বাবা বলেন, আমার ছেলেটা কিছুই করে না। ছেলেকে আমি আপনাকে দিয়ে গেলাম। ওকে কোন কাজে লাগান। তার কিছু দিন পরই ছিল সিলেট পৌরসভার নির্বাচন। ফরিদ গাজী কামরানকে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচনে প্রার্থী হতে বলেন। কামরান ফরিদ গাজীকে বলেন, চাচা আমাকে তো কেউ চিনে না, আমাকে ভোট দেবে কে! কিন্তু ফরিদ গাজী বলেন, আমি তোমাকে যা বলছি তাই কর। তুমি আগে নির্বাচনে দাঁড়াও, বাকিটা আমি দেখবো।

ফরিদ গাজীর নির্দেশে সিলেট পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার পদে নির্বাচনে প্রার্থী হলেন কামরান। নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়ে নির্বাচিত হন ওয়ার্ড কমিশনার। ৯০’র দশকের শুরুতে তিনি সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। সিলেট সিটি করপোরেশনের ঘোষণা করা হলে--২০০৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালের মেয়র নির্বাচনেও তিনি কারাবন্দী অবস্থায় বিপুল ভোটে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন।

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিপুলি অর্থ-বিত্তের মালিক হন। নগরীর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সব ঠিকাদারকেই যে কোনো কাজ পাওয়ার আগেই কামরানকে পুরো কাজের শতকরা তিনভাগ টাকা অগ্রিম দিতে হতো। এ কারণেই সিলেট নগারবাসীর কাছে কামরান মিস্টার ‘থ্রি পার্সেন্ট’ বলে পরিচিতি পেয়েছেন। এভাবেই বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক বনে গেছেন তিনি।

অস্থাবর সম্পদের বর্ণনা দিতে গিয়ে কামরান হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তার চার লাখ ৪৮ হাজার ৩৮৮ টাকার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত রয়েছে। ১১ লাখ এক হাজার ৬০০ টাকা তিনি মেয়র হিসেবে সম্মানি ভাতা পেয়েছেন। তার এবং তার স্ত্রীর নগদ গচ্ছিত আছে ৭৪ লাখ টাকা। নিজের নগদ রয়েছে ১৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর রয়েছে ৬০ লাখ নগদ টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার এবং তার স্ত্রীর গচ্ছিত রয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০৩ টাকা। নিজের নামে জমা রয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৮ টাকা।

বন্ড, শেয়ার এবং স্থায়ী আমানতে কামরানের স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে এক কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৯৭০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে একটি সাড়ে ৬ লাখ টাকা মূল্যের জিপ। নিজের ও স্ত্রীর নামে রয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু। নিজের নামে এক লাখ ৫০ হাজার এবং স্ত্রীর নামে স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে এক লাখ ৪০ টাকার।

ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকার। নিজের নামে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪শ’ টাকা এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রি। আসবাবপত্র রয়েছে চার লাখ ৪৭ হাজার টাকার। নিজের নামে ৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কামরানের স্ত্রীর নামে রয়েছে দুই লাখ ৯৭ হাজার ২৮৪ টাকার কৃষি জমি। নিজের নামে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর নামে কৃষি জমি রয়েছে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৭ টাকার। নিজের নামে ১০ লাখ টাকা মূল্যের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত একটি দোতলা দালান এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি টিনশেড ঘর রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় কামরানের পেশা উল্লেখ করা হয়েছে ‘বালু-পাথর সরবরাহকারী’।

২০০৮ সালে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় পেশা হিসেবে কামরান উল্লেখ করেছিলেন তার যৌথ মালিকানার পেট্রোল পাম্প রয়েছে। সম্পদ বিবরণীতে তার মালিকানায় দু’টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, হবিগেঞ্জর মাধবপুরের সেলিমপুরে যৌথ মালিকানার পেট্টলপাম্প এবং গ্লোবাল লিংক লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগের কথা তিনি উল্লেখ করে ছিলেন। ৩৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং এক লাখ টাকা তার কাছে নগদ আছে বলে উল্লেখ ছিল। স্বর্ন ও মূল্যবান ধাতুর মধ্যে তার ১৫ তোলা, স্ত্রীর নামে ১০ তোলা এবং বাড়ির মূল্য ১০ লাখ টাকা তিনি উল্লেখ করে ছিলেন।

কামরানের ঘনিষ্ঠরা জানান, হলফনামায় তিনি সম্পত্তির যে বিবরণ উল্লেখ করেছেন, বাস্তবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অনেকগুণ বেশি। তিনি তার প্রকৃত সম্পদ ও অর্থের কথা তিনি উল্লেখ করেননি। কারণ, তিনি যে বাড়িতে বাস করেন, বর্তমান বাজারমূল্যে এর দাম হবে ৫ কোটি টাকার বেশি। নিজের এবং স্ত্রী সন্তানের নামে অনেক বেশি টাকার সম্পদ রয়েছে বলেও জানান তার ঘনিষ্টরা।

বিপুল এই অর্থ-বিত্ত সম্পর্কে জানতে বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অন্য একজন ফোন ধরে বলেন, কামরান ভাই বাথরুমে আছেন। ২০ মিনিট পরে ফোন করুন। ২০ মিনিট পর ফোন করলে তিনি লাইন কেটে দেন।

তবে হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদ সম্পর্কে কামরান কয়েক দিন আগে সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, “আমি সম্পত্তি ও অর্থের কথা কিছুই লুকায়নি। সব টাকাই আমি সততার সাথে আয় করেছি। গত ৫ বছরে তার এত টাকা বেড়ে যাওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি জানান, মেয়র হিসেবে আমার প্রাপ্ত সম্পানির বাইরে আমার প্রবাসী আত্মীয়-স্বজন এবং আমার বোনেরা এসব টাকা আমাকে উপহার দিয়েছে। সব টাকারই আমি কর দিয়েছি। অস্বাভাবিকভাবে আমার টাকা বাড়েনি।”

পাঁচ ভাইয়ের একাই স্ত্রী রাজো!

রাজো ভার্মার বয়স ২১। তার পাঁচ স্বামী। যারা আপন পাঁচ ভাই। নিয়ম করেই একেক স্বামীর সঙ্গে একেক রাত কাটে রাজোর। রাজোর এক ছেলে। তবে সে জানেই না, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে কে এই সন্তানের পিতা। প্রথম দিকে একটু ঝামেলা মনে হতো, কিন্তু এখন কড়া রুটিন করে নিয়েছি। রাত কাটানোর ব্যাপারে কেউ কারো চেয়ে বেশি সুবিধা পায় না, বলেন রাজো।
স্বামীদের একজন গুড্ডুর বয়স ২১। এর সঙ্গেই রাজোর প্রথম বিয়ে হয়। তবে গাঁয়ের রীতি মেনে একে একে বর হিসেবে তাকে মেনে নিতে হয় বাকি চার ভাইকেও। এরা হলেন বাজ্জু ৩২, শান্তরাম ২৮, গোপাল ২৬ ও দীনেশ ১৮। গুড্ডু বললেন, আমরা পাঁচ ভাইই রাজোর সঙ্গে রাত কাটাই। এনিয়ে আমার কোনোই কষ্ট নেই। সবচেয়ে বড় ভাই বাজ্জু বলেন, অন্য ভাইদের মতো আমারও স্ত্রী রাজো। এবং আমরা একসঙ্গেই রাত কাটাই।
উত্তর ভারতের দেরাদুনে রাজোদের সংসার। দিনভর সে বাড়িতে রান্না-বান্না, ঘরকন্নার কাজ করে। দেখাশোনা করে ছেলে জয়ের। আর স্বামীরা বাইরে কাজে যায়।
রাজো জানালেন, এটি তাদের গাঁয়ের প্রাচীন রীতি। তার মায়েরও ছিলো তিন স্বামী। যারা আপন ভাই। বললেন, “বিয়ের সময়ই জানতে পারি বরেরা পাঁচ ভাই। পাঁচভাইকেই বর হিসেবে গ্রহণ করতে তখন থেকেই প্রস্তুত ছিলাম।”
মহাভারতে পঞ্চ পা-বের স্ত্রী দ্রৌপদীর কাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায় রাজো ভার্মার এই জীবন।

উপকূলের ত্রাস কে এই রহিমা?

ঢাকা: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলকে ‘জলদস্যু’দের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছেন একজন রহিমা খাতুন। উপকূলবর্তী মানুষের কাছে তিনি দস্যুরানি নামেই খ্যাত। তার জন্ম এক বিখ্যাত ডাকাত পরিবারে। তাকে নিয়ে ওই এলাকায় নানা অতিকথা (মিথ) প্রচলিত।

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় রহিমার হাত প্রশাসনের নানা পর্যায়ে বিস্তৃত। সাপ্তাহিক মাসোহারার বিনিময়ে পুলিশকে বশ করেছেন তিনি। তাই কেবল রাত নয়, দিনের আলোয় জনসম্মুখেও চলে তার ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা। আর সবার সামনেই লুটের মালামাল ট্রাকে চাপিয়ে চট্টগ্রামে বিক্রির জন্য নিয়ে যান তিনি।

গত ২৬ মার্চ গভীর সাগরে তিনটি মাছ ধরা ট্রলার লুটপাট করে ৩২ জেলেকে সাগরে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয় রহিমা খাতুনের দল। সর্বশেষ পর্যন্ত যার ২৪টি লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাংলানিউজের পক্ষ থেকে জানার চেষ্টা করা হয়, কে এই রহিমা খাতুন। আর এ চেষ্টায় উঠে এসেছে রহিমার অজানা জগতের নানা খণ্ডচিত্র। পাঠকের জন্য ভয়ংকর এই দস্যুরানীর তথ্য তুলে দেওয়া হলো-

চট্টগাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের কুতুবখালী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন। বাবা মোহাম্মদ আলী ছিলেন সামান্য লবণ চাষী। অবসর সময়ে তিনি সাগরে চিংড়ি পোনা আহরণ করতেন।

রহিমার আপন বড় ভাই আব্দুল হাকিম (বাইশ্যা ডাকাত) উপকূলীয় অঞ্চলের ত্রাস হিসেবে ‘খ্যাতি’ রয়েছে। অন্য দুই ভাই জাফর ও বেত্তা ডাকাতও বহু মামলার আসামি। রহিমার স্বামী মোক্তার আহমদ ও ভাই বেত্তা বর্তমানে একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় কারাগারে আছেন। অপর দুই বোন জামাই ভুলাইয়া ডাকাত ও নুরুল কাদেরের আছে ডাকাতিতে কুখ্যাতি। ভাগিনা বাহাদুর নিজেই ছোট খাট এক জমদূত। এই পরিবারের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধেই আছে একাধিক হত্যা, খুন, গুম, অস্ত্র ও লুটপাটের মামলা।

এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মহেষখালীর একাধিক ডাকাত বাহিনীর সদস্যরা। এদের মধ্যে লালাইয়া, এনাম চেয়ারম্যান, মিন্টু, কুতুব দিয়ার ওসমান গনি, বাদশা, দিদার, পেকুয়ার ইসমাইল, বাশঁখালীর আলী হোসেন, আঙ্গুল কাটা জব্বারসহ বিভিন্ন দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দারেরা। রহিমার নেতৃত্বে এরা গঠন করেছে ভয়ংকর এক দস্যু সাম্রাজ্য। হাতিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমগ্র সমুদ্র উপকূল এদের দখলে। মাছধরা থেকে শুরু করে পণ্য পরিবহন, এমনকি সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া, মহেষখালী চ্যানেলের সব নৌযানই রহিমা খাতুনকে কর দিয়ে চলাচল করে।

কিন্তু কিভাবে একটি সাধারণ পরিবারের এই বাঙালি মেয়ে হয়ে উঠলো ভয়ংকর ‘দস্যুরানি’? এই প্রশ্নের উত্তর খুজঁতে গিয়ে দেখা গেল মৃত মোহাম্মদ আলির বড় ছেলে রহিমার বড় ভাই আব্দুল হাকিমের (বাইশ্যা ডাকাত) ছিল একটি ছোট ফিশিং বোট। এ দিয়েই সে তার ভাইদের নিয়ে সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু আস্তে আস্তে এ পরিবারের সদস্যরা মাছ ধরা বাদ দিয়ে উপকূলে নৌ-ডাকাতি শুরু করে। গড়ে ওঠে এদের নিজস্ব ডাকাত বাহিনী। এই বাহিনীরই এক সদস্য মোক্তার আহমদের সঙ্গে বিয়ে হয় রহিমা খাতুনের। এভাবেই নিজেও এ পেশায় জড়িয়ে পড়েন রহিমা। সময়টা বিংশ শতকের শেষ দিকে। কিন্তু তার ভয়ংকর রূপে আবির্ভাব অপারেশন ক্লিনহার্টের পর।

চারদলীয় জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে অপারেশন ক্লিনহার্ট শুরু করলে নিজ আস্তানায় বেশ কয়েক জন সঙ্গী সমেত ধরা পড়েন রহিমার বড় ভাই দস্যু সম্রাট আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত। এরপর ভাইদের অবর্তমানে দলের হাল ধরেন রহিমা খাতুন। আর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর ভাইরাসহ সকল সদস্য জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসে যোগ দেয় তার দলে।

অভিযোগ আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে হাত আছে তার। নিয়মিত মাসোহারা দিয়েই ডাকাতির সাম্রাজ্য রক্ষা করে চলেছেন তিনি। এ কাজে সহায়ত করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশীদ (সাবেক ইউপি মেম্বার)। চার দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে যান। আবার এই সরকার ক্ষমতায় এলেই দেশে এসে হাত মেলান রহিমার সঙ্গে।

এছাড়া রহিমার আশ্রয়দাতার তালিকায় আছে নুরুর ছাফা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী নুরুল কাদেরের নাম। নুরুল কাদের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হলেও বহু অবৈধ অস্ত্রের মালিক তিনি। রহিমার বাহিনীর কাছে এসব অস্ত্র ভাড়া দিয়ে লুট ও ডাকাতির মালের ভাগ নেন।

স্থানীয়দের মতে, এ অঞ্চলে রহিমা ডাকাতের মুক্তাঞ্চলের ঘটনা এলাকায় ওপেন সিক্রেট। সে ও তার পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জল ডাকাত বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। অথচ কেউই মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত পায় না।

গবেষণাগারে ‘কিডনি তৈরিতে’ সাফল্য

গবেষণাগারে একটি কিডনি ‘তৈরিতে’ সাফল্য পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। কিডনিটি একটি প্রাণীর শরীরে স্থাপনের পর সেটি প্রশ্রাব উৎপাদন করেছে।


নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিষয়টি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী।

এই কিডনি তৈরিতে যে ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রয়োগ করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরল অঙ্গ তৈরি করে তা রোগীদের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কিডনি দেহের অন্যতম জটিল অঙ্গ, এবার এটিও তৈরি করা হল।

তবে স্বাভাবিক কিডনির তুলনায় গবেষণাগারে তৈরি করা এই কিডনিটির কার্যক্ষমতা কম।

তবে এই গবেষণার বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসা গবেষকরা।

কিডনি রক্তের বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি ছাঁকার কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরেই শরীরে প্রতিস্থাপন যোগ্য কিডনি চাহিদার শীর্ষে রয়েছে।

পুরনো একটি কিডনির সব কোষ ফেলে দিয়ে এর মৌচাক ধরনের কাঠামোতে রোগীর শরীরের কোষ দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কিডনি তৈরির আশা করছেন গবেষকরা।

এতে প্রচলিত অঙ্গ প্রতিস্থাপনের দুটি সীমাবদ্ধতা দূর করা যাবে।

রোগির শরীরের কোষ দিয়ে নতুন কিডনিটি তৈরি বলে রোগীর শরীরের কোষের সঙ্গে এটি মিলে যাবে, এতে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে এর অবস্থান সাংঘর্ষিক হবে না। ফলে রোগীকে সারাজীবন ধরে ওষুধের উপর নির্ভর করতে হবে না।

এটি শরীরের নির্গত পদার্থ বের করে দেয় এমন অঙ্গ প্রতিস্থাপনের রাস্তাও খুলে দিবে।

টানাহেচড়ায় ভবন ধস, অটল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর আবারো বলেছেন, হরতাল সমর্থকদের ফটক আর স্তম্ভ ধরে 'টানাহেচড়ায়' সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়তে পারে।

 
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তথাকথিত হরতাল সমর্থক লোকজন কারখানা বন্ধ করার জন্য ফাটল ধরা স্তম্ভ নিয়ে টানাহেচড়া করেন।"
এর ফলে ধস হয়েছে কিনা বা ধস তরান্বিত হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে বলে তিনি জানান।
বুধবার বিবিসিকে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এক সাক্ষাতকারে এ ধরনের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জের ধরে সাংবাদিকরা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রশ্ন তোলেন।

বিবিসিকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে ভবন ধসের জন্য স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।"এখানকার মৌলবাদী... বিএনপি... এদের হরতালের জন্য আহ্বান জানাচ্ছিল। আমাকে বলা হয়েছে, হরতাল-সমর্থক কতিপয় ভাড়াটে লোক সেখানে গিয়ে ওই যে ভাঙা দালান ছিল বা ফাটল ধরা দালান ছিল, সেই দালানের বিভিন্ন স্তম্ভ নিয়ে নাড়াচাড়া করে এবং যে গেট বা দরজা ছিল, সেটা নিয়েও নাড়াচাড়া করে। এটাও এ ধরনের একটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।"
ভবন ধরে নাড়াচাড়া করার কারণেই ভবনটি ধসে পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, "ভবন সম্পর্কে মনে রাখা দরকার, যখন একটি ভবন ধসে পড়া শুরু হয়, তখন তার একটি অংশ বা খানিকটা অংশ ধসে পড়লে বাকি অংশের ওপরও এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে ধরনের প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হতে পারে।"
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর গণমাধ্যম ও ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
মঙ্গলবার ফাটল ধরার পর সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ খোলা রাখেন এর মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা। ভবনটিতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতেও জোর করে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

ঝুকিপূর্ণ ভবনটি বুধবার সকালে ধসে পড়ে, যখন এর বিভিন্ন তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি শ্রমিক।বিরোধীদলের হরতাল প্রতিহত করার জন্য স্থানীয় যুবলীগকর্মীরা সোহেলের নেতৃত্বে এ ভবনে জড়ো হতেন। ভবন ধসের সময় সোহেল ঘটনাস্থলে ছিলেন যাকে 'জনরোষ' থেকে রক্ষা করতে উদ্ধার করে নিয়ে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদ।
ভবন ধসে পড়া নিয়ে 'টানাহেচড়ার' প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বারংবার প্রশ্নের জবাবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরও বার বার জোর দিয়ে বলেন, হরতাল সমর্থক লোকজন কারখানা বন্ধ করার জন্য ফাটল ধরা স্তম্ভ নিয়ে টানাহেচড়া ধসে পড়ার একটি কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন, যা তদন্ত করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্ত্রী বলেন, ভবন ধসের জন্য যারা দায়ী তারা যে দলের, যে গোষ্ঠীর বা যারই আত্মীয় হোক না কেন কাউকেউই ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
“প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে কাউকে রেহাই দেয়া হবে না।”

‘আত্মহত্যার পর জানা গেল পাস করেছে রীমা’

 ‘সহপাঠীদের’ কাছে অকৃতকার্য হওয়ার খবর পেয়ে নরসিংদীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।



     
বৃহস্পতিবার বিকালে বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের নন্দরামপুর গ্রামের প্রবাসী কাজল মিয়ার মেয়ে রীমা আক্তারের (১৬) মৃত্যুর পর জানা যায়, সে পাস করেছে। দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা দিয়ে ৩ দশমিক ৩১ জিপিএ পেয়ে পাস করে সে।

বেলাব থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভূইয়া বলেন, সহপাঠীদের কাছ থেকে জানতে পারে এবারো সে (রীমা) পাস করেনি। এ খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের কাঠের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
রীমা গত বছর পাটুলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।
বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

৪ বছরের বালক চালাচ্ছে শহর!

ঢাকা: রূপ কথা নয়, সত্যি। মাত্র চার বছরের বালক যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা শহরের মেয়র! রবার্ট টাটস্ নামে ছোট এই ছেলেটি এখনও কিন্ডারগার্টেন পাস করেনি অথচ নগরপিতা।

গত বছর মিনেসোটা শহরের ডরেস্ট এর মেয়র নির্বাচিত হয় রবার্ট টাটস। মাত্র ২২ জন নাগরিক নিয়ে শহরটি গঠিত। তবে সংখ্যার হিসাবটা যাই হোক কাগজে-কলমে মেয়র বলে কথা।

শহরটির একজন বাসিন্দা বলছিলেন, টাটস্ এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকতে পারে কিন্তু শহর চালানোর মতো যথেষ্ট যোগ্যতা তার রয়েছে।

চার প্রজন্ম ধরে ওই এলাকায় থাকছেন কেথি স্মিডথ। তিনি বলেন, সে (টাটস্) সত্যিই বিস্ময়কর। সম্পূর্ণ বিস্ময়কর। আপনি ভাবতে পারবেন না সে কতটা কর্মঠ।

সিবিএস মালিকানাধীন মিনোসোটার শহরের ডব্লিউসিসিও টেলিভিশন জানায়, মেয়র গাইতে ও নাচতে পারে। তিনি লাঠি হাতে তার শহরের নাগরিকদের নিরাপদে রাস্তা পার হবার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তিনি ভালো মাছ ধরতেও পারেন।

রীতি অনুযায়ী গত বছর ‘টেস্ট অব ডরসেট’ উতসবের মধ্যদিয়ে টাটস্ নির্বাচিত মেয়র নির্বাচিত হয়। উৎসবে নাগরিকরা লটারি ড্রয়ের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত করে থাকেন। সব বয়সের মানুষই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আর নির্বাচনী প্রচারণাতেও বেশি খরচ করতে হয়না। মাত্র এক ডলারের মাধ্যমে সকল প্রচারণা শেষ করা যায়। আবার শহরটিতে না থেকেও কেউ মেয়র হতে পারে।

শত বছরের পুরাতন ডরসেট শহরটি বিশ্বে ‘রেস্টুরেন্টের শহর’ বলে পরিচিত। কারণ এখানে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী ৮ মাসের গর্ভবতী

খুলনা প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী এক পাষন্ডের হাতে ধর্ষিত হওয়ার পর এখন ৮ মাসের গর্ভবতী। তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য পাষন্ড বাদশা তালুকদার তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে গর্ভবতী ছাত্রী বাগেরহাট সেল্টার হোমে আছে।

 বিষয়টি নিয়ে অসহায় ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা করায় তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর খালা  বেগম খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্ষক বাদশা তালুকদারের ফাঁসি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শান্তি বেগম বলেন, আমার বোনের স্বামী মারা যাওয়ার পর তার মেয়ে  (১২) কে ছোট্ট বেলায় আমার কাছে ফেলে চট্টগ্রামে চলে যায়। মে আমি কোলে-পিঠে করে মানুষ করি।

গত বছরের ৩১ আগস্ট বিকাল বেলা আমার দেয়া তরকারির বাটি আনতে গেলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাদশা তালুকদার (৫০) জোর করে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয়-ভীতি, মেরে ফেলার হুমকি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরবর্তীতে আরও কয়েক বার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ৩৪ সপ্তাহের গর্ভবতী। তার পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বাদশা তালুকদার ও সহযোগীরা তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তাদের হাত থেকে আমিও রেহাই পায়নি। আমাকেও তারা বেদম প্রহার করে। খুন করার হুমকি দেয়।

 গত ১০ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে লিমা বাদী হয়ে ব্রাকের সহযোগিতায় বাগেরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালতের আদেশে লিমা এখন বাগেরহাট সেল্টার হোমে আছে। তিনি জানান, লিমা গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রথমে শরণখোলা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গালাগাল দিয়ে ফিরিয়ে দেয়।

মামলা করার পর আসামী বাদশা তালুকদার, তার সহযোগী মেম্বর মুজিবর তালুকদার, আসামীর ভাই ফিরোজ তালুকদার ও স্থানীয় জামাল তালুকদার আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এই হুমকির কথা উল্লেখ করে শরণখোলা থানায় জিডি করেছি।

কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শান্তি বেগম আরও জানান, আমি লিমার অনিশ্চিত জীবনের কথা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সেই সাথে আসামীদের হুমকি ও পুলিশের অসহযোগিতায় কি করবো বুঝতে পারছি না।

আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষক বাদশা তালুকদারের গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই। আর লিমা ও তার অনাগত সন্তানের জন্য কি করা উচিত তা নির্ধারণের জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।

যমুনা ব্যাংক দেউলিয়ার পথে!

ঢাকা: অনিয়ম, দুর্নীতি, পরিচালনা পর্ষদের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত, ভুয়া ঋণপত্র (এলসি) খোলা, ঋণ জালিয়াতি ও অস্তিত্বহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বেসরকারি খাতের যমুনা ব্যাংক। পর্যায়ক্রমে দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটছে ব্যাংকটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ব্যাংকটির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হচ্ছে নানা অনিয়মও। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দূরত্ব ও মতপার্থক্যের সুযোগ নিচ্ছে মধ্যবর্তী অন্য আরেকটি দল। যারা পদাধিকার বলে নয়, বিশৃঙ্খলার সুযোগে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, একমাত্র দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই যমুনা ব্যাংকটিতে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। আর ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে ব্যাংকটির আমানত।

জানা গেছে, যমুনা ব্যাংকের মাধ্যমে বিতর্কিত বিসমিল্লাহ গ্রুপের কয়েকটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন সক্ষমতার বেশি রফতানি দেখিয়ে অতিরিক্ত নগদ অর্থ তুলে নিয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে বিসমিল্লাহ গ্রুপ যমুনা ব্যাংক থেকে ১৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছে। এর বিপরীতে ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত জামানত নেই বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মোজাম্মেল হোসেন ও দিলকুশার শাখা ব্যবস্থাপককে বাধ্য হয়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে হয়েছে। ব্যাংকের গুলশান শাখায় সম্প্রতি চেক জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থার মধ্যে ব্যাংকটিতে অনিয়ম জালিয়াতি বেড়েই চলেছে। ফলে ব্যাংকটি পর্যায়ক্রমে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভুয়া এলসি ও শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি বাবদ প্রায় আট কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ব্যাংকের কর্মকর্তারা।এ অভিযোগে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্তরা হলেন- যমুনা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (বর্তমানে যমুনা ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ) মো. বেলাল হোসেন, একই শাখার এভিপি একেএম শাহ আলম এবং সাবেক এফএভিপি (বর্তমানে যমুনা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এভিপি) বিপ্লব কুমার চক্রবর্তী।

সূত্র মতে, মেসার্স রায়হান প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান  এই ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩টি এলসি খোলে। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইউসুফ হোসাইন ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩টি এলসি খোলেন। এর মধ্যে দুটি এলসির টাকা প্রায় দেড় বছর পর পরিশোধ করা হলেও বাকি ১১টি এলসির বিপরীতে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এমনকি এসব ক্ষেত্রে মঞ্জুরিপত্রের শর্তভঙ্গ করে এলসি খোলা হয়েছে। এছাড়া শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির নামে প্রতিষ্ঠানের এমডি ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পেরেছে। অভিযুক্ত চারজন পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ৮ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৮ টাকা জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র মতে, যমুনা ব্যাংকের অন্য অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন,শাখায় হিসাব খোলার আগেই ঋণ অনুমোদন, একই পরিবারভুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন, শাখার বিরূপ মন্তব্য সত্ত্বেও ঋণ অনুমোদন এবং ব্যাংকের সক্ষমতার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলকৃত প্রতিবেদনের বিস্তর অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে যমুনা ব্যাংকও রয়েছে। যমুনা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের সঙ্গে তার বেশিরভাগ তথ্যেরই কোনো মিল নেই।

ব্যাংকের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। তবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ম. মাহফুজুর রহমান সম্প্রতি বলেন, ‘কোনো ব্যাংক অনিয়ম করে পার পাবে না। যেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন করছে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পিছপা হবে না।

এটিএম জালিয়াতিতে বিস্ময়কর প্রতিভা!

ঢাকা: পড়াশুনা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই প্রযুক্তির দিকে ছিল প্রচ- ঝোঁক। আর এ থেকেই হয়ে উঠেন প্রযুক্তিবিদ। প্রযুক্তি নির্ভর চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে এই প্রযুক্তি তার কাল হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণ মানুষের জমানো ব্যাংকের টাকা জাল কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে নিয়ে এখন তিনি সবার আলোচনায়। জালিয়াতির এই চক্রকে আটক করার পর মূল হোতা সেলিমের ব্যাপারে জানা গেছে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে জালিয়াতি করে টাকা উঠানোর বিশদ বর্ণনাও দিয়েছেন। সেলিম ও তার চক্রের বাকি সদস্যদের কারিগরি প্রতিভায় রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও। বিশেষ করে মো. সেলিমের প্রতিভা বিস্ময়কর।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম অপরাধী হলেও অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি অনুতপ্ত। কাড়িকাড়ি টাকা জালিয়াতি করলেও তার ঘরের চুলায় আগুন জ্বলে না। মাদকের পেছনেই তিনি ৯০ ভাগ টাকা খরচ করেছেন। তার স্ত্রী-সন্তানরা প্রায়ই না খেয়ে থাকে।

তিন দিন রিমান্ডের প্রথম দিন শেষে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে এসব কথা বলেছেন ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড জালিয়াত চক্রের মুল হোতা মো. সেলিম।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯৫ সালে সাইটেক নামের একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি প্রকৌশলী হিসেবে সেলিম প্রথম যোগদান করেন। এরপর ডাচ-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংকের এটিএম সেবার কাজ করতেন। ২০০০ সালে টেক্সাস ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে কর্মকর্তা পদে এটিএম সেবার রক্ষাণাবেক্ষণ ও দেখাশোনার কাজ শুরু করেন।
তিনি চাকরিতে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যে ওই কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ‘আমরা টেকনোলজি’ করা হয়। নতুন ম্যানেজমেন্ট এসে লোক ছাঁটাই করতে থাকে। এই অবস্থায় তার যোগ্যতা বিচার না করে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা হবে জানতে পেরে খুব কষ্ট পান।
এক পর্যায়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বেকার হয়ে পড়েন। কিছুদিন চাকরির জন্য চেষ্টা করেন। এভাবে স্ত্রী সন্তান নিয়ে  খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতে থাকে। এক সময় তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।

সেলিম গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বলেন, ২০১২ সালের রমজান মাসে পলওয়েল মার্কেটের এটিএম বুথের পিনকোড সংগ্রহ করেন তিনি। ওই ডাটা দিয়ে তিনি আরো ৫০টি নকল কার্ড তৈরি করেন। এর মধ্যে সহকারী আরিফকে ৩০টি কার্ড দেন তিনি।
বাকি ২০টি কার্ড নিজের কাছে রেখে আরো ১৩ লাখ টাকা বুথ থেকে জালিয়াতি করে উঠান তিনি। সব মিলে সহযোগী আরিফ মঞ্জুরুল, আসাদ ও লালনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ব্যাংকের এটিএম বুথ জালিয়াতি করে তিনি ৫৫ লাখ টাকা টাকা উঠান।

গ্রেপ্তার হওয়া আরিফ হোসেন খান বর্তমানে এডিএন (অ্যাডভান্স ডেটা নেটওয়ার্ক টেকনোলজি) নামের প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে ২০১০ সাল থেকে কাজ করছেন। আসাদুল ইসলাম ২০০৯ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসার পদে চাকরি করতেন।

ডিবি জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে তরুণ বিজ্ঞানী সেলিমসহ অন্যরা বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য চুরি করে ভুয়া ক্রেডিট কার্ড বানিয়ে ব্যাংকের গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা তোলে নিতেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তারা বলেছেন, যে প্রযুক্তিতে তারা এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠাতেন সেই প্রযুক্তি বাংলাদেশে কেউ আর জানে না। সেহেতু ব্যাংকের বুথ থেকে কেউ আর এভাবে টাকা উঠাতে পারবে না। এছাড়া গ্রাহকদের টাকা এভাবে চুরি হওয়াতে ব্যাংকগুলো এখন আরো সতর্ক। পূর্বে এটিএম বুথে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হতো এখন তারচেয়ে বেশি শক্তিশালী।

কর্মকর্তারা বলেন, সেলিম দাবি করেন তার কাছে এটিএম বুথের সর্বশেষ এবং লেটেস্ট প্রযুক্তি রয়েছে। এটা ব্যবহার করলে এটিএম শতভাগ নিরাপদ থাকবে। এটিএম বুথ পরিচালনাকারী কোনো আইটি বিশেষজ্ঞও টাকা উঠাতে পারবে না।

ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা এটিএম বুথের সিপিইউ  থেকে পেনড্রাইভের মাধ্যমে কাস্টমারের তথ্য ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরার মাধ্যমে পাসওয়ার্ডের পিনকোর্ড চুরি করে কার্ড রিডার ও রাইটারের মাধ্যমে ল্যাপটপের সাহায্যে সংগৃহীত তথ্য কাজে লাগাত।
এরা ব্যাংকের আসল এটিএম কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপে ধারণ করে নতুন কার্ড তৈরি করে সেটি দিয়ে ক্লোন কার্ড ও  গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্যাংক থেকে থেকে টাকা তুলত।

৫০০ বছর আগের অক্ষত কিশোরী!

ঢাকা: ছবি দেখে মনে হতে পারে চিকিৎসক হয়তো একজন বালিকাকে সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু এমন ধারণা ভুল। বরং এই বালিকা সাধারণ কোনো জীবিত বালিকাও নয়। ৫০০ বছর আগে মারা যাওয়া পেরুর বিস্ময়কর ইনকা সম্প্রদায়ের ১৫ বছর বয়সী বালিকা ‘ল্য দোঞ্চেলা’।

এতোকাল আগের বালিকাকে এ রকম জীবন্ত মনে হওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার বটে, কিন্তু কীভাবে সম্ভব?

ইতিহাস বলছে, শিশু-কিশোরদেরকে সৃষ্টিকর্তাদের উদ্দেশে বলি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল ইনকাদের। তারপর মারা যাওয়া শিশুদের স্রষ্টারই সম্মানে মমি করে রাখা হতো।

‘ল্য দোঞ্চেলা’ নামের এই বালিকার মমিটিকে ১৯৯৯ সালে বিস্ময়কর মাচুপিচু নগরীর লুলাইকো আগ্নেয়গিরির ৬,৭৩৯ মিটার (২২,১১০ ফুট) উঁচুতে আবিষ্কার করেন একজন আর্জেন্টাইন-পেরুভিয়ান অভিযাত্রী।

বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলেন, ল্য দোঞ্চেলার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এখনও অক্ষত রয়ে গেছে এবং মনে হচ্ছে সে কেবল কয়েকসপ্তাহ আগে মারা গেছে। তার অক্ষত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে কোনো ঔষুধ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ‍তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, চুল পরীক্ষা করেই তার মৃত্যুর সময় নির্ণয় করেন গবেষকরা।

ইতিহাস মতে, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে বলি দেওয়া শিশুদের হত্যার আগে সুষম খাবার খাইয়ে মোটা-তাজা করা হতো এবং সমাধিস্থলে পৌঁছানোর আগে শিশুদের ভীতি ও ব্যথা নাশক উন্মাদক পানীয় পান করানো হতো, তারপর তাদের হত্যা করা হতো।

গবেষকরা বলেন, সাম্রাজ্যবাদে বিশ্বাসী ইনকারা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ধর্মবিশ্বাসের আড়ালে অপেক্ষাকৃত নিম্নশ্রেণীর সন্তানদের প্রতি এ ধরনের নির্মম আচরণ করতো।

- Copyright © Personal Blog - Tips Guru - Powered by Md Joy - Designed by Md Joy Chowdhury -