Archive for October 2014
২ বছরের গর্ভবতী ছেলে শিশু
২ বছরের ‘গর্ভবতী’ ছেলে শিশুর পেট থেকে বের হল যমজ সন্তানের ভ্রƒণ। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল চীনের ২ বছরের শিশু। পেটটা কেমন ফুলে উঠেছিল, শ্বাসও নিতে কষ্ট হচ্ছিল খুব। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সবার চক্ষুচড়ক গাছ। ২ বছরের সেই ছেলে শিশুর পেটে অস্ত্রপচারের পর বেরিয়া এল যমজ সন্তান। ২ বছরের বাবা, থুড়ি মা, থুড়ি জš§দাতার নাম জিও ফেং। ডাক্তাররা বললেন, ফংয়ের পেটের মধ্যে ছিল অপুষ্ট ভ্রƒণ এবং অস্ত্রপচারের পর সেই ভ্রƒণ নষ্ট করা হয়। ফেংয়ের পেটের মধ্যে থাকা ভ্রƒণ দুটো ছিল যমজ। ফংয়ের পেটে থাকা ভ্রƒণ নষ্ট করে না দিলে সে মারা যেতে পারত, তাই ডাক্তাররা ঝুঁকি নেননি।
ছাগলও গাছে চড়ে
পেটে টান পড়লে ছাগলও ঘাস খায় কিংবা অমুক রাজার শাসনামলে বাঘে-ছাগলে একঘাটে পানি খেতো- প্রবাদ প্রবচনের বদৌলতে এসব শ্র“তিমধুর কল্পকাহিনীর গল্পরাজ্যে একটু-আধটু যাওয়া-আসা থাকলেও ছাগল গাছে চড়ে এ রকম আষাঢ়ে গল্পের হাটে আজ পর্যন্ত বোধহয় কেউ-ই সওদা করেনি! চাক্ষুষ দেখার পরেও হয়তো অনেকেরই দৃষ্টিভ্রম মনে হবে। এমনকি অতি অবিশ্বাসে শরীরে একটু চিমটি কেটে নিজের সজ্ঞানে অস্তিত্বটুকুর পরখ নেয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তারপরও যে সত্যটা টিকে থাকে তা হল ছাগল বাস্তবেই গাছে ওঠে!
অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি দেখা যায় আফ্রিকার দেশ মরক্কোর ছোট্ট গ্রাম তামিরিতে। এই গ্রামের ছাগলগুলো খাদ্যের সন্ধানে অনায়াসে চড়তে পারে গাছে। অরগ্যান নামের ওই গাছের জামের মতো মিষ্টি ফল খুবই পছন্দ ছাগলের। এখানেই শেষ নয়, আরও যে বিষয়টি থেকে যায় তা হল- গাছগুলো কিন্তু সাধারণ পেয়ারা গাছের মতো ছোট নয়। পূর্ণবয়স্ক একটি অরগ্যান গাছের উচ্চতা ১৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
গাছের মিষ্টি ফল খেতেই মূলত গাছে চড়ে ছাগলগুলো। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত ভারসাম্য রাখতে হয় শরীরের, যেটা চতুষ্পদী এমন জন্তুর জন্য খুবই কঠিন কাজ। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, মরক্কোর দুর্ভিক্ষপ্রবণ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই ছাগলগুলো খাবারের জন্য গাছে উঠতে শিখেছে। উল্লেখ্য, মরক্কোই সবচেয়ে ছোট পানির বোতলটির দামও পঞ্চাশ পাউন্ড।
শুধু তাই নয়, বেরিস নামক ফলগুলো খেলে এর ভেতরের বীজটাও তার অসাধারণ দক্ষতায় নিচে ফেলে দেয় খুব দ্রুততার সঙ্গে। এটা ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে। এটা পিষে অরগ্যান তেলও তৈরি হয়। হাফিংটন পোস্ট।
অবিশ্বাস্য এই দৃশ্যটি দেখা যায় আফ্রিকার দেশ মরক্কোর ছোট্ট গ্রাম তামিরিতে। এই গ্রামের ছাগলগুলো খাদ্যের সন্ধানে অনায়াসে চড়তে পারে গাছে। অরগ্যান নামের ওই গাছের জামের মতো মিষ্টি ফল খুবই পছন্দ ছাগলের। এখানেই শেষ নয়, আরও যে বিষয়টি থেকে যায় তা হল- গাছগুলো কিন্তু সাধারণ পেয়ারা গাছের মতো ছোট নয়। পূর্ণবয়স্ক একটি অরগ্যান গাছের উচ্চতা ১৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
গাছের মিষ্টি ফল খেতেই মূলত গাছে চড়ে ছাগলগুলো। এর জন্য তাদের অতিরিক্ত ভারসাম্য রাখতে হয় শরীরের, যেটা চতুষ্পদী এমন জন্তুর জন্য খুবই কঠিন কাজ। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, মরক্কোর দুর্ভিক্ষপ্রবণ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতেই ছাগলগুলো খাবারের জন্য গাছে উঠতে শিখেছে। উল্লেখ্য, মরক্কোই সবচেয়ে ছোট পানির বোতলটির দামও পঞ্চাশ পাউন্ড।
শুধু তাই নয়, বেরিস নামক ফলগুলো খেলে এর ভেতরের বীজটাও তার অসাধারণ দক্ষতায় নিচে ফেলে দেয় খুব দ্রুততার সঙ্গে। এটা ব্যবহার করা হয় সার হিসেবে। এটা পিষে অরগ্যান তেলও তৈরি হয়। হাফিংটন পোস্ট।
ভয়ংকর চেহারার মাছের সন্ধান
মাছটির মুখে হাতির মতো বড় দুটি কাঁটাযুক্ত গজদাঁত। মুখটিও বিকট দেখতে। কুমিরের মতো খাঁজযুক্ত কাটা চলে গেছে মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত।
ভয়ংকর দেখতে এই মাছটি সম্প্রতি ধরা পড়েছে মালয়েশিয়ার দক্ষিণ চীন সাগরের বোর্নিয় উপকূলীয় অঞ্চলে।
ডেইলি মেইলের বরাতে জানা যায়, মাছটি ধরা পড়ার পর শিকারি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হন। মাছটি শনাক্ত করতে রীতিমতো গলদঘর্ম হন তারা।
স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে মাছটির নাম দিয়েছে ‘অ্যারমার ফিশ’ বা বর্ম মাছ। মাছটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ধারালো কাঁটাযুক্ত স্পাইন চলে গেছে। তবে লেজের দিকে এসে হয়ে গেছে ছোট। যা দেখতে একবারের বর্মের মতো। এজন্যই হয়তো এই নামকরণ।
মাছটি ধরার পর সাপার মনসুর বোর্নিও পোস্টকে বলেন, আমি আমার জীবনে প্রথম এই ধরনের মাছ দেখলাম এবং ধরলাম। তাই মাছটি ধরার পর এটি আমার স্ত্রীর জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার বন্ধুদের নিযে সমুদ্রে বোটে করে ঘুরছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা মাছ ধরতে শুরু করি এবং বিরল এ মাছটি ধরি।
সাপার স্ত্রী সিটি বলেন, আমার স্বামী মাছটির বাড়ি আনার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। আমার বাচ্চারাও খুব খুশি।
দেশটির সংরক্ষিত এলাকা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগ সারওয়াক ফরেস্ট্রি করপোরেশন মাছটির শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাছটি বর্তমানে সাপার বাড়িতেই সংরক্ষিত আছে। সঠিক প্রজাতি জানা গেলে বিশ্বের মাছের তালিকায় যুক্ত হবে আরও একটি নতুন মাছ।
ভয়ংকর দেখতে এই মাছটি সম্প্রতি ধরা পড়েছে মালয়েশিয়ার দক্ষিণ চীন সাগরের বোর্নিয় উপকূলীয় অঞ্চলে।
ডেইলি মেইলের বরাতে জানা যায়, মাছটি ধরা পড়ার পর শিকারি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হন। মাছটি শনাক্ত করতে রীতিমতো গলদঘর্ম হন তারা।
স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে মাছটির নাম দিয়েছে ‘অ্যারমার ফিশ’ বা বর্ম মাছ। মাছটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ধারালো কাঁটাযুক্ত স্পাইন চলে গেছে। তবে লেজের দিকে এসে হয়ে গেছে ছোট। যা দেখতে একবারের বর্মের মতো। এজন্যই হয়তো এই নামকরণ।
মাছটি ধরার পর সাপার মনসুর বোর্নিও পোস্টকে বলেন, আমি আমার জীবনে প্রথম এই ধরনের মাছ দেখলাম এবং ধরলাম। তাই মাছটি ধরার পর এটি আমার স্ত্রীর জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার বন্ধুদের নিযে সমুদ্রে বোটে করে ঘুরছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা মাছ ধরতে শুরু করি এবং বিরল এ মাছটি ধরি।
সাপার স্ত্রী সিটি বলেন, আমার স্বামী মাছটির বাড়ি আনার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। আমার বাচ্চারাও খুব খুশি।
দেশটির সংরক্ষিত এলাকা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগ সারওয়াক ফরেস্ট্রি করপোরেশন মাছটির শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাছটি বর্তমানে সাপার বাড়িতেই সংরক্ষিত আছে। সঠিক প্রজাতি জানা গেলে বিশ্বের মাছের তালিকায় যুক্ত হবে আরও একটি নতুন মাছ।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মৃত্যুশয্যায় যুবক
ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় জাহিদুল ইসলাম (২৮)। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর-২ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে।
জাহিদুল ইসলামের বয়স (২৮) বছর। তিনি এমএ ফজল অ্যান্ড কোং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সিএ পড়ছেন। বাবার নাম আব্দুল মতিন। বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া। তিনি থাকেন মিরপুরের কাজীপাড়ায়।
তার বান্ধবী সাবিনা ইয়াসমিন টিনাও (২৫) আহত হয়েছেন। টিনার বাড়ি মিরপুর-১১ বেনারসি পল্লী এলাকায়।
জাহিদুলের সহপাঠী রিয়াজ হায়দার জানান, সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে জাহিদুল ও টিনা মিরপুর-১ থেকে শপিং করে ব্যাটারি চালিত রিকশোযোগে মিরপুর ১০ এ ফিরছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেল যোগে দেই যুবক এসে টিনার ভ্যানিটি ব্যাগ ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে দুজনেই রিকশা থেকে পড়ে যান। এসময় টিনার ডান হাত ভেঙে যায় এবং জাহিদুলের মাথায় মারাত্মক জখম হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে তাকে মিরপুর গ্যালাক্সি হসপিটালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর-২ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে।
জাহিদুল ইসলামের বয়স (২৮) বছর। তিনি এমএ ফজল অ্যান্ড কোং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সিএ পড়ছেন। বাবার নাম আব্দুল মতিন। বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া। তিনি থাকেন মিরপুরের কাজীপাড়ায়।
তার বান্ধবী সাবিনা ইয়াসমিন টিনাও (২৫) আহত হয়েছেন। টিনার বাড়ি মিরপুর-১১ বেনারসি পল্লী এলাকায়।
জাহিদুলের সহপাঠী রিয়াজ হায়দার জানান, সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে জাহিদুল ও টিনা মিরপুর-১ থেকে শপিং করে ব্যাটারি চালিত রিকশোযোগে মিরপুর ১০ এ ফিরছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেল যোগে দেই যুবক এসে টিনার ভ্যানিটি ব্যাগ ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে দুজনেই রিকশা থেকে পড়ে যান। এসময় টিনার ডান হাত ভেঙে যায় এবং জাহিদুলের মাথায় মারাত্মক জখম হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে তাকে মিরপুর গ্যালাক্সি হসপিটালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দশ টাকায় রাতঘুম
মাথার পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে গাড়ি; সাঁই সাঁই করে, বিকট শব্দে। মানুষের হাক ডাক আর চিৎকার চেঁচামেচিতো আছেই। ধুলোবালির কথা না হয় বাদ গেলো। আর কাঁথা-বালিশ- ওসব স্বপ্নে থেকে যাক। ছাদ হিসেবে আকাশই তো যথেষ্ট! তবুও একটু ঘুমানো চাই। রাত হয়েছে অনেক।
রাজধানীতে যাদের ঘুমানোর কোনো জায়গা নেই, ফুটপাতই তাদের উপযুক্ত স্থান। একপাশে কুকুর বসে ঝিমায়, অন্যপাশে দিব্যি ঘুমায় মানুষ। এরা দিন মজুর, ভিক্ষুক আর ছিন্নমূল। কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। শেষ পর্যন্ত ফুটপাতই বেছে নেয় একটুখানি চোখ বুঁজে জিরোবার জন্যে।
কিন্তু এতেও বিপত্তি কম না। মশার উৎপাত, বৃষ্টি এলে তো নির্ঘুম কাটাতে হয়। সাথে দারোয়ান, পুলিশের বখরা তো আছেই। তবুও একটু ঘুমানো চাই।
বৃহস্পতিবার রাত তখন দেড়টা। কাওরান বাজারের ঠিক উল্টোদিক। সারিবদ্ধভাবে ঘুমোচ্ছে মানুষগুলো। মাথার নিচে হাত রেখে বালিশের কাজ সেরেছে অনেকে। কেউ কেউ খুঁজে আনা ইট কিংবা সঙ্গে থাকা ব্যাগকেই বালিশ হিসেবে ব্যবহার করছে। আর যাদের এসবও নেই, তারা বালিশহীন অবস্থাতেই পাড়ি জমিয়েছে ঘুমের দেশে।
এসব যেন তাদের জন্য কোনো বাধাই নয়। বড় বাধা হচ্ছে বৃষ্টি আর বখরা চাইতে আসা (অ)মানুষগুলো। মাঝরাতে লাঠির গুঁতো দিয়ে ঘুম ভাঙে। দশ টাকা হাতের মুঠোয় গুঁজে দিলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়। আর এতে যাদের আপত্তি, তাদের ঘুম সে রাতের জন্য হারাম।
কথাগুলো জানিয়েছেন মধ্যবয়সী সোলায়মান মুন্সী। রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় বাড়ি। ঢাকায় এটা সেটা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। চরম ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘টাকা পাইলে সব ঠিক, না হয় ঘুমাতেও দ্যায় না।’
‘দে ট্যাকা দে’ আওয়াজটা তখনই কানে এলো। ফিরে তাকানোর আগেই ‘ঠাস’ করে আরও একটা শব্দ পেলাম। একটি বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানির পোশাক পরা এক গার্ড শাসাচ্ছে কয়েকজনকে। যেনো ওর বহুদিনের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ধমকাচ্ছে।
একটু সামনেই পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়ানো। এক পুলিশ সদস্যও দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছেন। ‘কিরে হয় নাই?’ বলে পুলিশটি তাড়া দিলেন সিকিউরিটি গার্ডকে অথবা লোকটিকে। ততোক্ষণে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেলো, এ সিকিউরিটি গার্ডের কণ্ঠে এতো জোর ধমক কোত্থেকে আসে!
সদ্য ঘুম থেকে ওঠা মানুষগুলো যেনো ‘ভূত’ দেখার মতো আঁতকে উঠে কোমরে গুঁজে রাখা ভাঁজ করা টাকা থেকে দশ টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কোনো প্রতিবাদ নেই। কীসের টাকা, সে হিসাব জানারও প্রয়োজন বোধ করেনি কেউ। উল্টো যোনো দশ টাকা দিয়ে রেহায় পেলেই বাঁচে।
অন্তত একশ জনের কাছ থেকে এ টাকা উঠানোর কাজটি সুন্দরভাবেই সারলেন গার্ড। টাকা গুনে নিয়ে যেতে যেতে বলেও বসলেন, ‘ট্যাকা না দিয়া ঘুমাইবি? তোর বাপে দিবো ট্যাকা।’
কার বাবার জায়গায় কে যে টাকা তোলে বিষয়টা নিয়ে তখনই লেগে গেলো খটকা। তখনই উক্তিটির চরম বাস্তবতা আনমনে ভেসে এলো- জোর যার মুল্লুক তার।
পুলিশের গাড়িটির ইঞ্জিন গর্জে উঠলো। কনস্টেবল আগে থেকেই বুকের নেমপ্লেট খুলে রেখেছেন। তাই নামটা উদ্ধার করা যায়নি। গার্ডের কাছ থেকে নিজের মতো করেই বুঝে নিলেন টাকাগুলো। এ যেনো নিয়মিত দায়িত্বেরই অংশ। গার্ডের হাতেও কিছু টাকা গুঁজে দিতে ভুল করলেন না।
পুলিশের গাড়ি চলে গেলো। গার্ড তখনই বলে উঠলেন, ‘সব শালা ধান্দাবাজ। তুইলা দিলাম এক হাজার ট্যাকাআর আমারে দিলো ৫০ ট্যাকা। শালা পুলিশের জাতই...(উচ্চারণ অযোগ্য)।’
এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে জানা নেই। তবে দশ টাকা দেয়ার পর মানুষগুলোর ঘুমে আর কোনো ব্যাঘাত হবে না এটাই এই মুহূর্তে একটু প্রশান্তি দিল!
রাজধানীতে যাদের ঘুমানোর কোনো জায়গা নেই, ফুটপাতই তাদের উপযুক্ত স্থান। একপাশে কুকুর বসে ঝিমায়, অন্যপাশে দিব্যি ঘুমায় মানুষ। এরা দিন মজুর, ভিক্ষুক আর ছিন্নমূল। কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। শেষ পর্যন্ত ফুটপাতই বেছে নেয় একটুখানি চোখ বুঁজে জিরোবার জন্যে।
কিন্তু এতেও বিপত্তি কম না। মশার উৎপাত, বৃষ্টি এলে তো নির্ঘুম কাটাতে হয়। সাথে দারোয়ান, পুলিশের বখরা তো আছেই। তবুও একটু ঘুমানো চাই।
বৃহস্পতিবার রাত তখন দেড়টা। কাওরান বাজারের ঠিক উল্টোদিক। সারিবদ্ধভাবে ঘুমোচ্ছে মানুষগুলো। মাথার নিচে হাত রেখে বালিশের কাজ সেরেছে অনেকে। কেউ কেউ খুঁজে আনা ইট কিংবা সঙ্গে থাকা ব্যাগকেই বালিশ হিসেবে ব্যবহার করছে। আর যাদের এসবও নেই, তারা বালিশহীন অবস্থাতেই পাড়ি জমিয়েছে ঘুমের দেশে।
এসব যেন তাদের জন্য কোনো বাধাই নয়। বড় বাধা হচ্ছে বৃষ্টি আর বখরা চাইতে আসা (অ)মানুষগুলো। মাঝরাতে লাঠির গুঁতো দিয়ে ঘুম ভাঙে। দশ টাকা হাতের মুঠোয় গুঁজে দিলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়। আর এতে যাদের আপত্তি, তাদের ঘুম সে রাতের জন্য হারাম।
কথাগুলো জানিয়েছেন মধ্যবয়সী সোলায়মান মুন্সী। রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় বাড়ি। ঢাকায় এটা সেটা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। চরম ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘টাকা পাইলে সব ঠিক, না হয় ঘুমাতেও দ্যায় না।’
‘দে ট্যাকা দে’ আওয়াজটা তখনই কানে এলো। ফিরে তাকানোর আগেই ‘ঠাস’ করে আরও একটা শব্দ পেলাম। একটি বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানির পোশাক পরা এক গার্ড শাসাচ্ছে কয়েকজনকে। যেনো ওর বহুদিনের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ধমকাচ্ছে।
একটু সামনেই পুলিশের একটি গাড়ি দাঁড়ানো। এক পুলিশ সদস্যও দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছেন। ‘কিরে হয় নাই?’ বলে পুলিশটি তাড়া দিলেন সিকিউরিটি গার্ডকে অথবা লোকটিকে। ততোক্ষণে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেলো, এ সিকিউরিটি গার্ডের কণ্ঠে এতো জোর ধমক কোত্থেকে আসে!
সদ্য ঘুম থেকে ওঠা মানুষগুলো যেনো ‘ভূত’ দেখার মতো আঁতকে উঠে কোমরে গুঁজে রাখা ভাঁজ করা টাকা থেকে দশ টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কোনো প্রতিবাদ নেই। কীসের টাকা, সে হিসাব জানারও প্রয়োজন বোধ করেনি কেউ। উল্টো যোনো দশ টাকা দিয়ে রেহায় পেলেই বাঁচে।
অন্তত একশ জনের কাছ থেকে এ টাকা উঠানোর কাজটি সুন্দরভাবেই সারলেন গার্ড। টাকা গুনে নিয়ে যেতে যেতে বলেও বসলেন, ‘ট্যাকা না দিয়া ঘুমাইবি? তোর বাপে দিবো ট্যাকা।’
কার বাবার জায়গায় কে যে টাকা তোলে বিষয়টা নিয়ে তখনই লেগে গেলো খটকা। তখনই উক্তিটির চরম বাস্তবতা আনমনে ভেসে এলো- জোর যার মুল্লুক তার।
পুলিশের গাড়িটির ইঞ্জিন গর্জে উঠলো। কনস্টেবল আগে থেকেই বুকের নেমপ্লেট খুলে রেখেছেন। তাই নামটা উদ্ধার করা যায়নি। গার্ডের কাছ থেকে নিজের মতো করেই বুঝে নিলেন টাকাগুলো। এ যেনো নিয়মিত দায়িত্বেরই অংশ। গার্ডের হাতেও কিছু টাকা গুঁজে দিতে ভুল করলেন না।
পুলিশের গাড়ি চলে গেলো। গার্ড তখনই বলে উঠলেন, ‘সব শালা ধান্দাবাজ। তুইলা দিলাম এক হাজার ট্যাকাআর আমারে দিলো ৫০ ট্যাকা। শালা পুলিশের জাতই...(উচ্চারণ অযোগ্য)।’
এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে জানা নেই। তবে দশ টাকা দেয়ার পর মানুষগুলোর ঘুমে আর কোনো ব্যাঘাত হবে না এটাই এই মুহূর্তে একটু প্রশান্তি দিল!
১৪ ফুট লম্বা গোঁফ!
রাম সিং চৌহানের মুখ জুড়ে গোঁফ। দৈর্ঘ্যে ১৪ ফুট। বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হওয়ারই কথা। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গোঁফ রেখে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন রাম সিং-এটি আর এখন অবিশ্বাস করার জো নেই। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন রাম সিং। জানা যায়, ভারতের জয়পুরের এ নাগরিক ৩২ বছর ধরে গোঁফ কাটেননি। ১৯৭০ দশক থেকে তিনি গোঁফের পরিচর্যা শুরু করেন। রাম সিং দৈনিক দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন গোঁফের পরিচর্যায়। তার গোঁফের আকৃতি সত্যিই অসাধারণ। প্রতিদিন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল দিয়ে গোঁফের পরিচর্যা করেন রাম সিং। দৈনিক ভোরবেলায় গোঁফে কাপড় পেঁচিয়ে যোগ ব্যায়াম করেন তিনি। গোসলের পর বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে গোঁফ শুকাতে গেলে তার স্ত্রী নিচ থেকে সেটি ধরতে পারেন। গোঁফের যত্ন সম্পর্কে রাম সিং বলেন, গোঁফ পরিচর্যা অনেকটা শিশু প্রতিপালনের ন্যায়। ১৪ ফুট লম্বা গোঁফের পেছনে জীবনের বড় একটি সময় আমাকে ব্যয় করতে হয়েছে। এটি সহজ কোনো কাজ নয়। গোঁফ বড় করে রেকর্ড গড়া রাম সিং আরও বলেন, গোঁফ রাখার সঙ্গে নিঃসন্দেহে সম্মান জড়িত। প্রাচীনকালে ভারতে প্রায় প্রত্যেক বিখ্যাত ব্যক্তিরই গোঁফ ছিল। তাই বড় গোঁফ রাখতে পেরে আমি গর্বিত। জানা যায়, ইতালি ও জার্মানিতে রাম সিংয়ের গোঁফের প্রদর্শনী হয়েছে। তিনি রাজস্থান ট্যুরিজম বিভাগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদের বিশালাকৃতির গোঁফ দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া তার অন্যতম দায়িত্ব ছিল। বর্তমানে তার ছেলে তাকে অনুসরণ করে গোঁফের যত্ন নেওয়া শুরু করেছেন। ডেইলি মেইল।
তুরস্কে সমুদ্র তলদেশের কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
সমুদ্র তলদেশে চলাচলে সক্ষম কমিউটার ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করল তুরস্ক। মঙ্গলবার এ ট্রেনের উদ্বোধন করে দেশটির সরকার। ট্রেন চলাচলের জন্য মারমারে নামের সমুদ্র তলদেশের টানেল এশিয়া ও ইউরোপকে যুক্ত করবে।
ট্রেনটি প্রতিঘণ্টায় ৭৫ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। এ ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল ও প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এদ্রোগান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশটিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকী উদযাপনে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে সরকার।
এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ইস্তাম্বুলের ভয়াবহ যানজট নিরসন করা ও বসফরাস প্রণালির দু’প্রান্তে যাতায়াতে সময় বাঁচানো। বসফরাসের একদিকে ইউরোপ ও অন্যদিকে এশিয়া অবস্থিত।
এ টানেল নির্মাণে নয় বছর সময় লাগে। আর এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ট্রেনটি প্রতিঘণ্টায় ৭৫ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। এ ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল ও প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এদ্রোগান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দেশটিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকী উদযাপনে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করে সরকার।
এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ইস্তাম্বুলের ভয়াবহ যানজট নিরসন করা ও বসফরাস প্রণালির দু’প্রান্তে যাতায়াতে সময় বাঁচানো। বসফরাসের একদিকে ইউরোপ ও অন্যদিকে এশিয়া অবস্থিত।
এ টানেল নির্মাণে নয় বছর সময় লাগে। আর এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিয়ে করছেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ সুলতান কোসেনের সব দুশ্চিন্তার যেন অবসান হলো। কোনো মেয়ে তার জীবনসঙ্গী হবেন কী না-এ নিয়ে তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবশেষে এক তুর্কি তরুণী তার সঙ্গে ঘর বাধতে রাজি হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তার সে চিন্তার অবসান হলো।
তুরস্কের এ তরুণ লম্বায় আট ফুট তিন ইঞ্চি। হাতের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার ও পায়ের দৈর্ঘ্য ৩৬ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার। যাকে তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তার উচ্চতা পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি।
৩০ বছর বয়সী সুলতান রবিবার তুরস্কে নিজ বাসভবনে নিজের চেয়ে উচ্চতায় দুই ফুট সাত ইঞ্চি ছোট ২০ বছর বয়সী দীবোর সঙ্গে আংটি বদল করেন। শিগগিরই তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানা গেছে।
জীবনের সঙ্গী পেয়ে উল্লসিত সুলতান বলেন, ‘আমি অনেক চিন্তায় ছিলাম কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবো কিনা। তবে শেষ পর্যন্ত দীবো আমার জীবনে এলো। আমি অনেক শিহরিত।’
কোসেন পেশায় একজন কৃষক। সুলতানকে জীবনসঙ্গী করতে পেরে দীবাও গর্ববোধ করেন।
১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারদিনে জন্মগ্রহণ করেন সুলতান। জন্মের পর থেকেই হরমোনজনিত কারণে অস্বাভাবিকভাবে শারীরিক বৃদ্ধি হতে থাকে তার। তবে শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে শারীরিক বৃদ্ধি থামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে ঠাঁই পাওয়া সুলতানের।
তুরস্কের এ তরুণ লম্বায় আট ফুট তিন ইঞ্চি। হাতের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার ও পায়ের দৈর্ঘ্য ৩৬ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার। যাকে তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তার উচ্চতা পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি।
৩০ বছর বয়সী সুলতান রবিবার তুরস্কে নিজ বাসভবনে নিজের চেয়ে উচ্চতায় দুই ফুট সাত ইঞ্চি ছোট ২০ বছর বয়সী দীবোর সঙ্গে আংটি বদল করেন। শিগগিরই তারা বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানা গেছে।
জীবনের সঙ্গী পেয়ে উল্লসিত সুলতান বলেন, ‘আমি অনেক চিন্তায় ছিলাম কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবো কিনা। তবে শেষ পর্যন্ত দীবো আমার জীবনে এলো। আমি অনেক শিহরিত।’
কোসেন পেশায় একজন কৃষক। সুলতানকে জীবনসঙ্গী করতে পেরে দীবাও গর্ববোধ করেন।
১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারদিনে জন্মগ্রহণ করেন সুলতান। জন্মের পর থেকেই হরমোনজনিত কারণে অস্বাভাবিকভাবে শারীরিক বৃদ্ধি হতে থাকে তার। তবে শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে শারীরিক বৃদ্ধি থামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে ঠাঁই পাওয়া সুলতানের।
বান্ধবী যখন পুত্রবধূ!
পৃথিবীর সব দেশেই পুত্রবধূদের কাছে স্বামীর বাবা বা শ্বশুররা সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের সম্পর্ক অনেকটা বাবা-মেয়ের মতোই হয়ে থাকে। কিন্তু চীনে শ্বশুর আর পুত্রবধূর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে এমন অসামাজিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফলে দীর্ঘদিনের ফেসবুক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ছেলের হাতে উত্তম মধ্যমের শিকার হয়েছেন বাবা ওয়াং।
৫৭ বছরের ওয়াংয়ের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় লিলির। সম্পর্কে তারা পুত্রবধূ আর শ্বশুর। কিন্তু ফেসবুকে দুজনেই নিজেদের পরিচয় গোপন রাখায় তাদের সম্পর্কটিও গোপন থাকে। এমনকি তারা দুজন দুজনকে যে ছবি পাঠান সেগুলোও ছিল অন্যের। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের জের ধরে তারা পরস্পরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওয়াং হেলংঝিয়াং প্রদেশের মুলিং শহরের এক হোটেলে রুম ভাড়া নেন বান্ধবী লিলির সঙ্গে দেখা করার জন্য।
এদিকে ওয়াংয়ের ছেলে এবং লিলির স্বামী ডা. জুন স্ত্রীর অনলাইন প্রেম সম্পর্কে জেনে যায়। স্ত্রীর ও তার প্রেমিককে হাতে নাতে ধরার জন্য সে লিলির পিছু নেয়। গন্তব্যে পৌঁছে তার তো চক্ষু চরক গাছ! লিলির বন্ধু যে আর কেউ নয়, স্বয়ং তার বাবা। রেগে গিয়ে জুন তার বাবা ও স্ত্রীকে পেটায়। এতে লিলির তিনটি দাঁত ভেঙে যায়।
দু’বছর আগের কথা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওয়াং ফেসবুকে তার সম্পর্কে লেখেন, ‘অন্যদের বুঝতে পারা ভালো।’ আর লিলি ফেসবুকে তার নিজের সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘নিসঃঙ্গ ফুল’। একদিন রাতে ফেসবুকে দু’জনার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব।
লিলি একজন গৃহবধূ। ছেলের দেখাশোনা ছাড়া সংসারে তার আর তেমন কাজ নেই। সময় কাটে ফেসবুকে চ্যাট করে। তার স্বামী ডা. জুন মালবাহী ট্রাক চালান। কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় বাইরে বাইরেই থাকতে হয় তাকে।
বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ছবি আদান প্রদান করে ওয়াং আর লিলি। লিলি পাঠায় তার এক সুন্দরী বান্ধবীর ছবি। আর ওয়াং পাঠান তার এক বন্ধুর ছবি। ছবি দেখে দু’জন তো মহাখুশি। শুধু ছবি নয়। নিজেদের পরিচয় পর্যন্ত তারা গোপন রাখে।
ওয়াং নিজেকে একটি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একাই দিন কাটাচ্ছেন।
আর লিলি ওয়াংকে জানান, তার স্বামী পাঁচ বছর ধরে জেল খাটছে। আর সে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিঃসঙ্গ দিন গুজরান করছে।
সব মিলিয়ে দু’জনকে দু’জনার মনে ধরে। তারা এবার মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যা ৬টায় তাদের সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু যেদিন তাদের দেখা করার কথা সেদিনই হঠাৎ দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরে লিলির স্বামী জুন। সে ফেসবুক ঘেঁটে স্ত্রীর গোপন প্রণয় এবং তার ডেটিং সম্পর্কে জেনে যায়। তখন সে স্ত্রীকে হাতে নাতে পাকড়াও করতে মনে মনে ফন্দি আঁটে। সে ফোন করে বৌকে জানায়, তাকে এক্ষুণি আবার কাজে বেরুতে হবে।
লিলি তখন ছেলেকে তারা মায়ের বাসায় রেখে নিশ্চিন্ত মনে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বের হন। কিন্তু বান্ধবীকে অভ্যর্থণা জানাতে ওয়াং যখন হোটেল রুমের দরজা খুলেন তখন বিস্ময়ে হতবাক লিলি। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারই সম্মানিত শ্বশুরবাবা।
‘কিছু একটা ভুল হচ্ছে’ বলে দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়ে লিলি। কিন্তু যাবে আর কোথায়! তার গোয়েন্দা স্বামী যে তার পেছনেই ছিল! স্ত্রী আর বাবাকে একসঙ্গে দেখে তার মাথায় আগুন ধরে যায়। সে দু’জনকেই আচ্ছামতো পেটায়। এ পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্বশুর আর পুত্রবধূকে ছেড়ে দিলেও সম্মানিত বাবার গায়ে হাত তোলায় পাঁচ দিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে জুনকে।
পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জুন বলেন, ‘সংসারের অভাব মেটাতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে আমি যখন আধমরা হয়ে যাচ্ছি তখন এরা দুইজন ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে।
৫৭ বছরের ওয়াংয়ের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় লিলির। সম্পর্কে তারা পুত্রবধূ আর শ্বশুর। কিন্তু ফেসবুকে দুজনেই নিজেদের পরিচয় গোপন রাখায় তাদের সম্পর্কটিও গোপন থাকে। এমনকি তারা দুজন দুজনকে যে ছবি পাঠান সেগুলোও ছিল অন্যের। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের জের ধরে তারা পরস্পরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওয়াং হেলংঝিয়াং প্রদেশের মুলিং শহরের এক হোটেলে রুম ভাড়া নেন বান্ধবী লিলির সঙ্গে দেখা করার জন্য।
এদিকে ওয়াংয়ের ছেলে এবং লিলির স্বামী ডা. জুন স্ত্রীর অনলাইন প্রেম সম্পর্কে জেনে যায়। স্ত্রীর ও তার প্রেমিককে হাতে নাতে ধরার জন্য সে লিলির পিছু নেয়। গন্তব্যে পৌঁছে তার তো চক্ষু চরক গাছ! লিলির বন্ধু যে আর কেউ নয়, স্বয়ং তার বাবা। রেগে গিয়ে জুন তার বাবা ও স্ত্রীকে পেটায়। এতে লিলির তিনটি দাঁত ভেঙে যায়।
দু’বছর আগের কথা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওয়াং ফেসবুকে তার সম্পর্কে লেখেন, ‘অন্যদের বুঝতে পারা ভালো।’ আর লিলি ফেসবুকে তার নিজের সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘নিসঃঙ্গ ফুল’। একদিন রাতে ফেসবুকে দু’জনার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব।
লিলি একজন গৃহবধূ। ছেলের দেখাশোনা ছাড়া সংসারে তার আর তেমন কাজ নেই। সময় কাটে ফেসবুকে চ্যাট করে। তার স্বামী ডা. জুন মালবাহী ট্রাক চালান। কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় বাইরে বাইরেই থাকতে হয় তাকে।
বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে ছবি আদান প্রদান করে ওয়াং আর লিলি। লিলি পাঠায় তার এক সুন্দরী বান্ধবীর ছবি। আর ওয়াং পাঠান তার এক বন্ধুর ছবি। ছবি দেখে দু’জন তো মহাখুশি। শুধু ছবি নয়। নিজেদের পরিচয় পর্যন্ত তারা গোপন রাখে।
ওয়াং নিজেকে একটি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একাই দিন কাটাচ্ছেন।
আর লিলি ওয়াংকে জানান, তার স্বামী পাঁচ বছর ধরে জেল খাটছে। আর সে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিঃসঙ্গ দিন গুজরান করছে।
সব মিলিয়ে দু’জনকে দু’জনার মনে ধরে। তারা এবার মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যা ৬টায় তাদের সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়।
কিন্তু যেদিন তাদের দেখা করার কথা সেদিনই হঠাৎ দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরে লিলির স্বামী জুন। সে ফেসবুক ঘেঁটে স্ত্রীর গোপন প্রণয় এবং তার ডেটিং সম্পর্কে জেনে যায়। তখন সে স্ত্রীকে হাতে নাতে পাকড়াও করতে মনে মনে ফন্দি আঁটে। সে ফোন করে বৌকে জানায়, তাকে এক্ষুণি আবার কাজে বেরুতে হবে।
লিলি তখন ছেলেকে তারা মায়ের বাসায় রেখে নিশ্চিন্ত মনে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বের হন। কিন্তু বান্ধবীকে অভ্যর্থণা জানাতে ওয়াং যখন হোটেল রুমের দরজা খুলেন তখন বিস্ময়ে হতবাক লিলি। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তারই সম্মানিত শ্বশুরবাবা।
‘কিছু একটা ভুল হচ্ছে’ বলে দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়ে লিলি। কিন্তু যাবে আর কোথায়! তার গোয়েন্দা স্বামী যে তার পেছনেই ছিল! স্ত্রী আর বাবাকে একসঙ্গে দেখে তার মাথায় আগুন ধরে যায়। সে দু’জনকেই আচ্ছামতো পেটায়। এ পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্বশুর আর পুত্রবধূকে ছেড়ে দিলেও সম্মানিত বাবার গায়ে হাত তোলায় পাঁচ দিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে জুনকে।
পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জুন বলেন, ‘সংসারের অভাব মেটাতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে আমি যখন আধমরা হয়ে যাচ্ছি তখন এরা দুইজন ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে।
২৬ বছর পরও লাশটি অক্ষত!
এমন অনেক খবরই আমরা মাঝে মধ্যে দেখে থাকি। তবে সেগুলো বেশির ভাগই বিশ্বের কোন না কোন দেশের। এবার আমাদের দেশেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ২৬ বছর পরেও এক মহিলার লাশ প্রায় অক্ষত পাওয়া গেছে। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালা পাড়ার। মৃত আলতাফ হোসেনের স্ত্রী সারফুন (৪৫) ২৬ বছর আগে মারা গেলে তাদের বাড়ির সঙ্গে একটি স্থানে কবর দেওয়া হয়।
গত ১৯ অক্টোবর ল্যাট্রিন দেওয়ার জন্য সারফুনের ছেলে মাটি খুড়তে থাকেন। হঠাৎ করেই তিনি আবিষ্কার করেন একটি কাফনের কাপড়ের। তখন তার মনে হয় তার মাকে এখানেই দাফন করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে লোক জানাজানি হলে মাটির নীচ থেকে ওই কাফনের লাশটি তুলে দেখা যায় এখনও তার লাশ প্রায় অক্ষত রয়েছে। শুধু মাংস শুকিয়ে চামড়াগুলো হাড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। মৃত সারফুনের দুই ছেলে নাজিম ও মজিবুর এবং দুই মেয়ে মরিয়ম ও টগরী এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন।
পরে তার ছেলেরা জানান, ২৬ বছর আগে তার মাকে এখানে কবর দেওয়া হয়। জায়গাটি ঠিক না থাকায় তারা বুঝতে না পেরে ল্যাট্রিন বানানোর জন্য খুড়তে থাকেন। এমন সময় লাশের সন্ধান পান।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ওই লাশ দেখতে আসেন। পরে অন্য একটি কবরস্থানে তাকে পুনরায় দাফন করা হয়
গত ১৯ অক্টোবর ল্যাট্রিন দেওয়ার জন্য সারফুনের ছেলে মাটি খুড়তে থাকেন। হঠাৎ করেই তিনি আবিষ্কার করেন একটি কাফনের কাপড়ের। তখন তার মনে হয় তার মাকে এখানেই দাফন করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে লোক জানাজানি হলে মাটির নীচ থেকে ওই কাফনের লাশটি তুলে দেখা যায় এখনও তার লাশ প্রায় অক্ষত রয়েছে। শুধু মাংস শুকিয়ে চামড়াগুলো হাড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। মৃত সারফুনের দুই ছেলে নাজিম ও মজিবুর এবং দুই মেয়ে মরিয়ম ও টগরী এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন।
পরে তার ছেলেরা জানান, ২৬ বছর আগে তার মাকে এখানে কবর দেওয়া হয়। জায়গাটি ঠিক না থাকায় তারা বুঝতে না পেরে ল্যাট্রিন বানানোর জন্য খুড়তে থাকেন। এমন সময় লাশের সন্ধান পান।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ওই লাশ দেখতে আসেন। পরে অন্য একটি কবরস্থানে তাকে পুনরায় দাফন করা হয়
আইফোনের জন্য কন্যাশিশু বিক্রি
চীনে আইফোন আর বিলাস সামগ্রি কেনার জন্য মাত্র কয়েক সপ্তাহের এক কন্যাশিশুকে বিক্রি করে দেন তার বাবা মা। এখন শিশু বিক্রির মামলায় আদালতে বিচার চলছে ওই তরুণ দম্পতির। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হবে।
চীনের মিস জ্যাং ও মি. তেং নামের তরুণ দম্পতি সংবাদপত্রে তাদের গর্ভস্থ শিশুকে বিত্রির জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেন। তারা তাদের সন্তানের দাম হাকেন পাঁচ হাজার ডলার। শিশুটি জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সাংহাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা ঠুকে দেয়। চীনের এক আদালতে ওই চীনা দম্পতির বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
চীনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সন্তান বিক্রির অর্থ দিয়ে ওই চীনা দম্পতি ইতিমধ্যে একটি আইফোন কেনেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি বিলাস পণ্য কেনেন তারা। বাকি অর্থ ব্যাকে জমা রাখেন। বেকার ওই দম্পতির আরো দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে অভিজুক্ত জ্যাং ও তেং শিশু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা প্রসিকিউটরকে বলেন, মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তারা তাকে একটি স্বচ্ছল পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। যাতে সে শিক্ষাসহ সব ধরনের সুযোগ পায়। এ প্রসঙ্গে সাংহাইয়ের এক পত্রিকাকে তারা বলেন,‘আমরা অর্থের জন্য নয়, ওর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ওকে বিক্রি করে দিয়েছি।’
তবে তাদের ব্যাংক রেকর্ড ঘেটে প্রসিকিউটররা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে, কেবল অর্থ লাভের উদ্দেশেই তারা এ জঘন্য কাজ করেছেন।
বাচ্চা বিক্রির পরপরই তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি আইফোন এবং দুটি দামি সামগ্রি ক্রয় করেন।
শিশু বিক্রির ঘটনা গোপন করার জন্য জ্যাং তার গর্ভবতী হওয়ার খবরটি লুকানোর চেষ্টা করেন। বাচ্চা হওয়ার ঘটনা যাতে জানাজানি না হয এজন্য তিনি নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন। বাচ্চা বিক্রি করে দেয়ার পর তারা প্রতিবেশীদের জানায়, জ্যা গর্ভবতী ছিল না। তার পেটে আসলে টিউমার হয়েছিল।
এর আগে গত বছর চীনে আইফোন কেনার জন্য এক কিশোরের কিডনি বিক্রির ঘটনা ঘটে। এ অপরাধে হুনান প্রদেশে সাত লোক কারাদণ্ড ভোগ করছে।
চীনের মিস জ্যাং ও মি. তেং নামের তরুণ দম্পতি সংবাদপত্রে তাদের গর্ভস্থ শিশুকে বিত্রির জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেন। তারা তাদের সন্তানের দাম হাকেন পাঁচ হাজার ডলার। শিশুটি জন্মের কয়েক সপ্তাহ পরেই তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর সাংহাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা ঠুকে দেয়। চীনের এক আদালতে ওই চীনা দম্পতির বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বেশ কয়েক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
চীনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সন্তান বিক্রির অর্থ দিয়ে ওই চীনা দম্পতি ইতিমধ্যে একটি আইফোন কেনেন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি বিলাস পণ্য কেনেন তারা। বাকি অর্থ ব্যাকে জমা রাখেন। বেকার ওই দম্পতির আরো দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে অভিজুক্ত জ্যাং ও তেং শিশু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা প্রসিকিউটরকে বলেন, মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তারা তাকে একটি স্বচ্ছল পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। যাতে সে শিক্ষাসহ সব ধরনের সুযোগ পায়। এ প্রসঙ্গে সাংহাইয়ের এক পত্রিকাকে তারা বলেন,‘আমরা অর্থের জন্য নয়, ওর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ওকে বিক্রি করে দিয়েছি।’
তবে তাদের ব্যাংক রেকর্ড ঘেটে প্রসিকিউটররা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে, কেবল অর্থ লাভের উদ্দেশেই তারা এ জঘন্য কাজ করেছেন।
বাচ্চা বিক্রির পরপরই তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি আইফোন এবং দুটি দামি সামগ্রি ক্রয় করেন।
শিশু বিক্রির ঘটনা গোপন করার জন্য জ্যাং তার গর্ভবতী হওয়ার খবরটি লুকানোর চেষ্টা করেন। বাচ্চা হওয়ার ঘটনা যাতে জানাজানি না হয এজন্য তিনি নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন। বাচ্চা বিক্রি করে দেয়ার পর তারা প্রতিবেশীদের জানায়, জ্যা গর্ভবতী ছিল না। তার পেটে আসলে টিউমার হয়েছিল।
এর আগে গত বছর চীনে আইফোন কেনার জন্য এক কিশোরের কিডনি বিক্রির ঘটনা ঘটে। এ অপরাধে হুনান প্রদেশে সাত লোক কারাদণ্ড ভোগ করছে।
৮০ বছর প্রেমের পর বিয়ে!
তাদের ভালোবাসা শুরু হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও ছয় বছর আগে। ১৯৩৩ সাল থেকে একসাথে হওয়ার ৮০ বছর পর প্রেমের পূর্ণতা দিতে দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন প্যারাগুয়ের এক দম্পতি।
১০৩ বছর বয়সী জোসে ম্যানুয়েল রিয়েল্লা বিয়ে করলেন ৯৯ বছর বয়সী মার্টিনা লোপেজকে। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীরাও এসেছিলেন তাদের শুভেচ্ছা জানাতে। বিয়েতে রিয়েল্লা পড়লেন হালকা নীল রঙের শার্ট ও উজ্জ্বল স্যুট। আর মার্টিনা পড়েছিলেন সাদা লম্বা বিয়ের পোশাক। দম্পতির নিজেদের বাড়িতেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
রিয়েল্লা ও মার্টিনার আট সন্তানের সবাই বড় হয়ে গেছে। তারাও এখন বাবা-মা। তাদের সন্তানের সংখ্যা ৫০।
ধর্মযাজক বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার পর আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন লোপেজ। ৩১ বছর আগে তাদের আইনসম্মতভাবে বিয়ে হয়েছিলো। তাদের মনে হয়েছে তাতেও তাদের প্রেম ঠিক পূর্ণতা পায়নি। তাই ধর্মমতে বিয়ে করার জন্য আবারও তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা।
তাদের একসাথে থাকার ৮০ বছরের মধ্যে বিশ্বের অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। শুধু পরিবর্তিত হয়নি তাদের প্রেম। ওই বছর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাকডোনাল্ড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছেন, হয়ে গেছে বিশ্বযুদ্ধ, অনেক দেশ স্বাধীন হয়েছে, পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন শুরু হয়েছে, মানুষ চাঁদে গিয়েছে, চলচ্চিত্রে শব্দ এসেছে, রঙ এসেছে আরও কতো কি। কিন্তু অটুট রয়ে গেছে তাদের প্রেম।
১০৩ বছর বয়সী জোসে ম্যানুয়েল রিয়েল্লা বিয়ে করলেন ৯৯ বছর বয়সী মার্টিনা লোপেজকে। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীরাও এসেছিলেন তাদের শুভেচ্ছা জানাতে। বিয়েতে রিয়েল্লা পড়লেন হালকা নীল রঙের শার্ট ও উজ্জ্বল স্যুট। আর মার্টিনা পড়েছিলেন সাদা লম্বা বিয়ের পোশাক। দম্পতির নিজেদের বাড়িতেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
রিয়েল্লা ও মার্টিনার আট সন্তানের সবাই বড় হয়ে গেছে। তারাও এখন বাবা-মা। তাদের সন্তানের সংখ্যা ৫০।
ধর্মযাজক বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার পর আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন লোপেজ। ৩১ বছর আগে তাদের আইনসম্মতভাবে বিয়ে হয়েছিলো। তাদের মনে হয়েছে তাতেও তাদের প্রেম ঠিক পূর্ণতা পায়নি। তাই ধর্মমতে বিয়ে করার জন্য আবারও তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা।
তাদের একসাথে থাকার ৮০ বছরের মধ্যে বিশ্বের অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। শুধু পরিবর্তিত হয়নি তাদের প্রেম। ওই বছর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাকডোনাল্ড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছেন, হয়ে গেছে বিশ্বযুদ্ধ, অনেক দেশ স্বাধীন হয়েছে, পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন শুরু হয়েছে, মানুষ চাঁদে গিয়েছে, চলচ্চিত্রে শব্দ এসেছে, রঙ এসেছে আরও কতো কি। কিন্তু অটুট রয়ে গেছে তাদের প্রেম।
স্কুলজীবনে প্রেম, ৬৩ বছর পর বিয়ে
দীর্ঘ ৬৩ বছরের প্রেমের সফল পরিণতি ঘটল বিয়ের মাধ্যমে।
মার্সিলা ও জনি ভীক নামের এ প্রেমিক যুগলের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে ১৯৫০ সালে হাই স্কুল জীবনে।
তাদের দুজনেরই স্বামী এবং স্ত্রী মারা গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর এবছরের জুন মাসে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
৭৯ বছর বয়সী মার্সিলার তার আগের ঘরের তিন মেয়ে এবং ৮০ বছর বয়সী ভিকের দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে।
মার্সিলা এবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অতীত হয়ে যাওয়া সময়কে পিছনে ফেলে আমরা আমাদের টিনেজার সময়ে ফিরেছি যখন আমরা একত্রে সময় কাটাতাম।’
মার্সিলার মেয়ে শীলা ম্যাককল এবিসি নিউজকে বলেন, ‘এটি একটি চমৎকার ঘটনা। আমরা প্রকৃতপক্ষে ভীকের পরিবার সর্ম্পকে জানি না কিন্তু আমরা সবাইকে স্ক্র্যাপবুকে একটি পাতা খুলতে বলেছি, যেখানে থাকবে তাদের নিজের ও তাদের পরিবারের ছবি এবং তাদের সবার সর্ম্পকে কিছু তথ্য।’
বিয়েটি সর্ম্পূণ পারিবারিকভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে মার্সিলা ও ভীকের হাই স্কুল জীবনের বন্ধুরা অংশগ্রহণ করেন।
মার্সিলার মেয়ে শীলা ম্যাককল আরো বলেন, ‘আমার মায়ের টিনেজার বয়স থেকেই একটা কাঠের বাক্স ছিল এবং সে বাক্সে ভীকের নাম লেখা ছিল।মা এটি পেন্সিল দিয়ে লিখেছিল এবং ছোট বয়স থেকেই আমি ভীকের নাম শুনে আসছি।’
জনি ভীক এবং মার্সিলা বর্তমানে মিসৌরির ব্র্যানসনে হানিমুনে আছেন।
মার্সিলা ও জনি ভীক নামের এ প্রেমিক যুগলের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে ১৯৫০ সালে হাই স্কুল জীবনে।
তাদের দুজনেরই স্বামী এবং স্ত্রী মারা গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর এবছরের জুন মাসে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
৭৯ বছর বয়সী মার্সিলার তার আগের ঘরের তিন মেয়ে এবং ৮০ বছর বয়সী ভিকের দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে।
মার্সিলা এবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অতীত হয়ে যাওয়া সময়কে পিছনে ফেলে আমরা আমাদের টিনেজার সময়ে ফিরেছি যখন আমরা একত্রে সময় কাটাতাম।’
মার্সিলার মেয়ে শীলা ম্যাককল এবিসি নিউজকে বলেন, ‘এটি একটি চমৎকার ঘটনা। আমরা প্রকৃতপক্ষে ভীকের পরিবার সর্ম্পকে জানি না কিন্তু আমরা সবাইকে স্ক্র্যাপবুকে একটি পাতা খুলতে বলেছি, যেখানে থাকবে তাদের নিজের ও তাদের পরিবারের ছবি এবং তাদের সবার সর্ম্পকে কিছু তথ্য।’
বিয়েটি সর্ম্পূণ পারিবারিকভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে মার্সিলা ও ভীকের হাই স্কুল জীবনের বন্ধুরা অংশগ্রহণ করেন।
মার্সিলার মেয়ে শীলা ম্যাককল আরো বলেন, ‘আমার মায়ের টিনেজার বয়স থেকেই একটা কাঠের বাক্স ছিল এবং সে বাক্সে ভীকের নাম লেখা ছিল।মা এটি পেন্সিল দিয়ে লিখেছিল এবং ছোট বয়স থেকেই আমি ভীকের নাম শুনে আসছি।’
জনি ভীক এবং মার্সিলা বর্তমানে মিসৌরির ব্র্যানসনে হানিমুনে আছেন।
১৭ টি প্রাণ কেড়ে নেয়া এক অভিশপ্ত সিন্দুক!
আজ অনেক আগের একটি সত্য গল্প। আমেরিকার সিভিল ওয়ারের ২০ বছর আগের ঘটনা। জ্যাকব কুলি নামের একজন মার্কিন ব্যক্তি তার ছেলের জন্য একটি সিন্দুক তৈরি করতে চাইলেন। জ্যাকব ছিলেন বেশ ধনী ব্যক্তি। তার অনেকগুলো দাস ছিল। তিনি তার এফ্রো-আমেরিকান দাস হোসিয়াকে নির্দেশ দিলেন সিন্দুকটি তৈরি করার। হোসিয়া কাঠ খোদাই করে সিন্দুক বানালেন। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে জ্যাকবের সেটি পছন্দ হয় নি। তিনি তার দাসকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন। জ্যাকবের অন্যান্য দাস অর্থাৎ হোসিয়াহর বন্ধুরা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা সিন্দুকের ভেতরের একটি ড্রয়ারে পেঁচার রক্ত ছড়িয়ে দিলেন। এই পেঁচাটিকে ব্ল্যাক-ম্যাজিক প্রয়োগে মেরে ফেলা হয়েছিল। আর এটি করে সেসময়ের একজন স্থানীয় জাদুকর। এই জাদুকর বলে, ‘জ্যাকবের পরবর্তী প্রজন্মের যে বা যারা সিন্দুকের সংস্পর্শে আসবে তারা সবাই মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করবে।“
জ্যাকব তার যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুক বানিয়েছিলেন, সেই শিশুটি তার জন্মের পর পরই মারা যায়। শিশুটি যে ঘরে ছিল সিন্দুকটিও সেখানেই রাখা হয়েছিল। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। এই ব্যক্তিও তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুক নিজেদের দখলে নেয়। জন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর বাগানের মালিক হয়েছিল। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা একজন আইরিশ ব্যক্তি সিনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে থাকার কোন জায়গা না পেয়ে মেলিন্ডা ও সিন এসে জনের সাহায্য প্রার্থনা করে। জন সেসময় আর্থিকভাবে বেশ ধনী হয়ে উঠছিল সে তার বেশ কিছু খামার থেকে একটি মেলিন্ডা ও তার স্বামী সিনকে দিয়ে দেয়। সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মাঝেই স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
জনের স্ত্রী এলি চিন্তা করলো, এই দম্পতিকে তার শ্বশুর জ্যাকবের সিন্দুক উপহার দেয়া যাক। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। এলি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাতো না। যাই হোক, কাউকে না বলে একদিন সিন মেলিন্ডার কাছ থেকে পালিয়ে যায়। মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর-বর্ণ ধারণ করে, সে মারা যায়। মেলিন্ডা মারা যাবার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন নিজের কাছে নিয়ে এসে বড় করে তুলে। এভেলিন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে, মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। এভেলিন বড় হয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকাকালীন সময়ে কিছুই ঘটে নি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সাথে সাথে একটি দত্তক মেয়েও ছিল, যার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হলো, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ করেই আরাবেলার স্বামী মারা গেল। আরাবেলা তার শিশু সন্তানের পোশাক রেখেছিল সিন্দুকে, শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বৌ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখে। সে মারা যায়।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছে, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে বাচ্চাটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর, সে প্যারালাইজড হয়ে যায়। ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছিলেন। তিনি তার এক এফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসে, যে জাদুবিদ্যা জানত। সে অনেক চেষ্টা করে সিন্দুকটিকে অভিশাপমুক্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সেও মারা যায়। ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সি মেইনি সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি যাদুঘরে দিয়ে দেয়। সতেরোটি প্রাণ সংহার করার পর এর অশুভ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়াম আছে। এর প্রথম ড্রয়ারটি বন্ধ করা। কেউ অভিশাপ বিশ্বাস করুক আর না করুক। যদি কিছু হয়ে যায়? বলাই বাহুল্য, এসবের সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজতক বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
জ্যাকব তার যে অনাগত সন্তানের জন্য সিন্দুক বানিয়েছিলেন, সেই শিশুটি তার জন্মের পর পরই মারা যায়। শিশুটি যে ঘরে ছিল সিন্দুকটিও সেখানেই রাখা হয়েছিল। এরপর সিন্দুক নিয়ে যান জ্যাকবের ভাই। এই ব্যক্তিও তারই এক গৃহকর্মীর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। জ্যাকবের আরেক ছেলে জন ও তার স্ত্রী এলি এই সিন্দুক নিজেদের দখলে নেয়। জন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর বাগানের মালিক হয়েছিল। জ্যাকবের এক মেয়ে মেলিন্ডা একজন আইরিশ ব্যক্তি সিনের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে থাকার কোন জায়গা না পেয়ে মেলিন্ডা ও সিন এসে জনের সাহায্য প্রার্থনা করে। জন সেসময় আর্থিকভাবে বেশ ধনী হয়ে উঠছিল সে তার বেশ কিছু খামার থেকে একটি মেলিন্ডা ও তার স্বামী সিনকে দিয়ে দেয়। সিনের ছন্নছাড়া স্বভাবের কারণে কিছুদিনের মাঝেই স্ত্রী মেলিন্ডার সাথে তার দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়।
জনের স্ত্রী এলি চিন্তা করলো, এই দম্পতিকে তার শ্বশুর জ্যাকবের সিন্দুক উপহার দেয়া যাক। এটা এতদিন এলির কাছেই ছিল কিন্তু অশুভ কিছু হয়নি। এলি এসব নিয়ে মাথাও ঘামাতো না। যাই হোক, কাউকে না বলে একদিন সিন মেলিন্ডার কাছ থেকে পালিয়ে যায়। মেলিন্ডা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেলিন্ডার চুল ধূসর-বর্ণ ধারণ করে, সে মারা যায়। মেলিন্ডা মারা যাবার কিছু পরেই তার স্বামী একটি বাষ্পচালিত নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পায় ও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মেলিন্ডা ও সিনের অনাথ মেয়ে এভেলিনকে জন নিজের কাছে নিয়ে এসে বড় করে তুলে। এভেলিন ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে, মেয়েটি খুব বুদ্ধিমান ছিল। এভেলিন বড় হয়ে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
এলি এবার সিন্দুকটি এভেলিনের বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এভেলিনের বাড়িতে সিন্দুক থাকাকালীন সময়ে কিছুই ঘটে নি। এভেলিন ও তার স্বামী ম্যালকম জনসনের নিজেদের সন্তানের সাথে সাথে একটি দত্তক মেয়েও ছিল, যার নাম আরাবেলা। আরাবেলার যখন বিয়ে হলো, তখন তার মা এভেলিন মেয়ের বিয়ের পোশাক সেই সিন্দুকে করেই পাঠিয়েছিলেন। একদিন হঠাৎ করেই আরাবেলার স্বামী মারা গেল। আরাবেলা তার শিশু সন্তানের পোশাক রেখেছিল সিন্দুকে, শিশুটিও মারা যায়। এভেলিনের বড় ছেলের বৌ একই সিন্দুকে তার পোশাক রাখে। সে মারা যায়।
এরপর সিন্দুকটি যিনিই ব্যবহার করেছে, করুণ পরিণতির শিকার হয়েছে। এভেলিনের নাতনি ক্যারি হাডসন তার প্রথম সন্তান হারান, যখন সিন্দুকে বাচ্চাটির কাপড় রাখা হয়। তার আরেক সন্তানের কাপড় ওখানে রাখার পর, সে প্যারালাইজড হয়ে যায়। ক্যারি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছিলেন। তিনি তার এক এফ্রো-আমেরিকান বান্ধবী এনিকে ডেকে নিয়ে আসে, যে জাদুবিদ্যা জানত। সে অনেক চেষ্টা করে সিন্দুকটিকে অভিশাপমুক্ত করতে। শেষ পর্যন্ত সেও মারা যায়। ক্যারির মেয়ে ভার্জিনিয়া সি মেইনি সিন্দুকটি কেন্টাকির একটি যাদুঘরে দিয়ে দেয়। সতেরোটি প্রাণ সংহার করার পর এর অশুভ যাত্রা সমাপ্ত হয়।
বর্তমানে এটি কেন্টাকি হিস্ট্রি মিউজিয়াম আছে। এর প্রথম ড্রয়ারটি বন্ধ করা। কেউ অভিশাপ বিশ্বাস করুক আর না করুক। যদি কিছু হয়ে যায়? বলাই বাহুল্য, এসবের সঠিক কোন ব্যাখ্যা আজতক বিজ্ঞান দিতে পারেনি।
ফরমালিন: স্বাস্থ্যের কি কি ক্ষতি করে
ফরমালিন আসলে কি। যদি এই ফরমালিন সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা আমাদের থাকতো তাহলে হয়তো আমরা এরকম মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য হয়তো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতাম।
কি এই ফরমালিন
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতো। পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনক। ফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়
ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছে
ফল
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে।
মাছ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)। ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না।
মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবে
# পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
# লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়।
# প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
# সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়।
এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক
এটা দু’ভাবে ক্ষতি করতে পারে:
# তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলে-
ক. সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে।
খ. চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
গ. দুর্বলতা ও মাথাব্যথা।
ঘ. কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়।
ঙ. বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে।
চ. লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে।
ছ. স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।
জ. খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে।
২। দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলে:
ক. ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খ. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
গ. ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
ঘ. ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
# লেখক : ডা. মোঃ তানভীর আলী, মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কি এই ফরমালিন
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতো। পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনক। ফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।
ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়
ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছে
ফল
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে।
মাছ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)। ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না।
মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবে
# পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
# লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়।
# প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
# সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়।
এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক
এটা দু’ভাবে ক্ষতি করতে পারে:
# তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলে-
ক. সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে।
খ. চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে।
গ. দুর্বলতা ও মাথাব্যথা।
ঘ. কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়।
ঙ. বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে।
চ. লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে।
ছ. স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।
জ. খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে।
২। দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলে:
ক. ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খ. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
গ. ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
ঘ. ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
# লেখক : ডা. মোঃ তানভীর আলী, মেডিকেল সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!
চুম্বনকে সবসময়েই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে চুম্বনকে এখন শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই নয় বরং ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও বলা যেতে পারে। অবাক হচ্ছেন?
অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপভোগ্য মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প ।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না। অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ ও উপভোগ্য মাধ্যম। এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প ।
চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক।
গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে। হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন
বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয়। এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব।
ছেলেটি না মরলে আমার বাঁচা হতো না
কেনিয়ার নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিংমলে গত সপ্তাহের সন্ত্রাসী হামলার কথা বিশ্ববাসী কমবেশি শুনেছে। মিডিয়ার কল্যানে মানুষ জেনেছে কিভাবে সন্ত্রাসীরা শপিং মলের ভেতর একের পর এক নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মেরেছে। কি নারী, কি পুরুষ, শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক; কোনো বাছবিচার করেনি সন্ত্রাসীরা। সামনে যাকেই পেয়েছে তাকে মেরে লাশের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সন্ত্রাসীদের এই রক্তপিপাসার মধ্যে কেনিয়ার একজন রেডিও উপস্থাপিকা উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পেরেছেন। নইলে তাকেও আজ থাকতে হতো নিহতদের তালিকায়। স্রেফ বুদ্ধির জোরে বেঁচে যাওয়া ওই রেডিও তারকার নাম স্নেহা কোঠারি মাশরু। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই তরুণী চারদিনব্যাপী ওই হামলার পর জীবিত বের হয়ে আসেন। পরে বাইরের দুনিয়াকে তিনি জানিয়েছেন কিভাবে সন্ত্রাসীদের উদ্ধত বন্দুকের নল থেকে তিনি রেহাই পেয়েছিলেন।
রক্তপিপাসুরা একের পর এক গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে আসছে। স্নেহা বাঁচার জন্য িগ্বদিক ছুটছেন। তার মতো ছুটছে আরো অগণিত মানুষ। চোখের সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে একজনের পর অন্যজন। স্নেহা সামনে তাকিয়ে দেখেন দুই বন্দুকবাজকে। দৌঁড়ে পলায়নরত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে ঠান্ডা মাথায় গুলি ছুড়ছে। এক কিশোরী সিড়ির আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পুরো শরীরটা লুকাতে পারলো না। এক সন্ত্রাসী ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। ঠান্ডা মাথায় বন্দুকটা তাক করলো। এরপর বন্দুকের আওয়াজ। তারপর রক্তের স্রোত।
স্নেহা একটি পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের এই নিষ্ঠুরতা দেখলেন। তার সামনের ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে অনেকের রক্তমাখা দেহ। দেখলেন বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসী ওই পিলারের দিকেই এগিয়ে আসছে। স্নেহা বুঝলেন এবার সব শেষ। পিলারের আড়ালে নিজেকে লুকানো সম্ভব নয়। মুহুর্তে মনে পড়ে গেল স্বামী এবং শিশুপুত্রের মুখ। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছা করল তার। কিন্তু সেটা যে আর সম্ভব নয় তা বুঝতে পারলেন। মৃত্যুদূত একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সামনে। তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি কিশোর ছেলে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে তার দিকেই আসছে। কিন্তু তাকে দেখেই গর্জে উঠল এক সন্ত্রাসীর বন্দুক। মুহুর্তেই ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো স্নেহার সামনে এসে। ছেলেটি ছটফট করতে লাগলো আর রক্তের ফোয়ারা ছুটতে লাগলো তার পিঠ দিয়ে। স্নেহা ভাবলেন এবার তার পালা।
হঠাত্ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। তিনি ছেলেটির শরীর থেকে দুই হাতে রক্ত নিয়ে নিজের দুই হাতে মাখলেন। ছেলেটি তখনো ছটফট করছে। এমন আহত একটি ছেলের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শরীরে মাখতে গিয়ে নিজেকে প্রচন্ড স্বার্থপর মনে হলো স্নেহার। এমন সময় ছেলেটির মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো। স্নেহা বুঝলেন মোবাইলের রিংটোন শুনে সন্ত্রাসীরা বুঝি সেদিকে ছুটে এসে তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তিনি দ্রুত ছেলেটির প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে সুইচ অফ করে দিলেন। রিংটোন থেমে গেল। কিন্তু স্নেহা বুঝতে পারলেন সেই সাথে ছেলেটির জীবনপ্রদীপও নিভে গেল! স্নেহা তখন আর ইতঃস্তত না করে তার বুক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দুই হাতে নিয়ে সারা মুখে ও পায়ে মাখলেন। এরপর মাথার চুলের খোপা খুলে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে মরার মতো করে শুয়ে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের কাছে এক সন্ত্রাসীর অস্তিত্ব বুঝতে পারলেন। কিন্তু সে স্নেহাকে মৃত মনে করে তার দিকে গুরুত্ব দিল না। তার মাথার পাশে দাঁড়িয়েই সে গুলি করে ফেলে দিল আরেক বৃদ্ধকে। এরপর সে হেটে অন্যদিকে চলে গেল।
বেঁচে গেলেন স্নেহা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই গল্প তিনি শুনিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীকে। স্টান্ডার্ড ডিজিটালের সাথে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন তার বেঁচে থাকার এই অবিশ্বাস্য গল্প। তার কাছে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে তার। স্নেহা বিশ্বাস করেন, সেই কিশোরটি তার সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়ে না মরলে বাঁচতে পারতেন না তিনি। তাই তিনি জানার চেষ্টা করছেন কে ছিল সেই হতভাগ্য কিশোর। নিহত ছেলেটির ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। একটি ফুল দিয়ে অন্তত একটু সম্মান জানাতে চান।
রক্তপিপাসুরা একের পর এক গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে আসছে। স্নেহা বাঁচার জন্য িগ্বদিক ছুটছেন। তার মতো ছুটছে আরো অগণিত মানুষ। চোখের সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে একজনের পর অন্যজন। স্নেহা সামনে তাকিয়ে দেখেন দুই বন্দুকবাজকে। দৌঁড়ে পলায়নরত মানুষগুলোকে লক্ষ্য করে ঠান্ডা মাথায় গুলি ছুড়ছে। এক কিশোরী সিড়ির আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পুরো শরীরটা লুকাতে পারলো না। এক সন্ত্রাসী ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল। ঠান্ডা মাথায় বন্দুকটা তাক করলো। এরপর বন্দুকের আওয়াজ। তারপর রক্তের স্রোত।
স্নেহা একটি পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের এই নিষ্ঠুরতা দেখলেন। তার সামনের ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে অনেকের রক্তমাখা দেহ। দেখলেন বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসী ওই পিলারের দিকেই এগিয়ে আসছে। স্নেহা বুঝলেন এবার সব শেষ। পিলারের আড়ালে নিজেকে লুকানো সম্ভব নয়। মুহুর্তে মনে পড়ে গেল স্বামী এবং শিশুপুত্রের মুখ। তাদের জন্য বাঁচতে খুব ইচ্ছা করল তার। কিন্তু সেটা যে আর সম্ভব নয় তা বুঝতে পারলেন। মৃত্যুদূত একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সামনে। তিনি সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি কিশোর ছেলে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে তার দিকেই আসছে। কিন্তু তাকে দেখেই গর্জে উঠল এক সন্ত্রাসীর বন্দুক। মুহুর্তেই ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো স্নেহার সামনে এসে। ছেলেটি ছটফট করতে লাগলো আর রক্তের ফোয়ারা ছুটতে লাগলো তার পিঠ দিয়ে। স্নেহা ভাবলেন এবার তার পালা।
হঠাত্ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। তিনি ছেলেটির শরীর থেকে দুই হাতে রক্ত নিয়ে নিজের দুই হাতে মাখলেন। ছেলেটি তখনো ছটফট করছে। এমন আহত একটি ছেলের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শরীরে মাখতে গিয়ে নিজেকে প্রচন্ড স্বার্থপর মনে হলো স্নেহার। এমন সময় ছেলেটির মোবাইল ফোন বেঁজে উঠলো। স্নেহা বুঝলেন মোবাইলের রিংটোন শুনে সন্ত্রাসীরা বুঝি সেদিকে ছুটে এসে তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তিনি দ্রুত ছেলেটির প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটি বের করে সুইচ অফ করে দিলেন। রিংটোন থেমে গেল। কিন্তু স্নেহা বুঝতে পারলেন সেই সাথে ছেলেটির জীবনপ্রদীপও নিভে গেল! স্নেহা তখন আর ইতঃস্তত না করে তার বুক থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দুই হাতে নিয়ে সারা মুখে ও পায়ে মাখলেন। এরপর মাথার চুলের খোপা খুলে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে মরার মতো করে শুয়ে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের কাছে এক সন্ত্রাসীর অস্তিত্ব বুঝতে পারলেন। কিন্তু সে স্নেহাকে মৃত মনে করে তার দিকে গুরুত্ব দিল না। তার মাথার পাশে দাঁড়িয়েই সে গুলি করে ফেলে দিল আরেক বৃদ্ধকে। এরপর সে হেটে অন্যদিকে চলে গেল।
বেঁচে গেলেন স্নেহা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এই গল্প তিনি শুনিয়েছেন গোটা বিশ্ববাসীকে। স্টান্ডার্ড ডিজিটালের সাথে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন তার বেঁচে থাকার এই অবিশ্বাস্য গল্প। তার কাছে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বার জন্ম হয়েছে তার। স্নেহা বিশ্বাস করেন, সেই কিশোরটি তার সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়ে না মরলে বাঁচতে পারতেন না তিনি। তাই তিনি জানার চেষ্টা করছেন কে ছিল সেই হতভাগ্য কিশোর। নিহত ছেলেটির ঋণ তিনি কোনোদিন শোধ করতে পারবেন না। একটি ফুল দিয়ে অন্তত একটু সম্মান জানাতে চান।